সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় দেন।
একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। উসমান আলী গত নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদ, নগরীর ফাজিলচিশতের জাবেদ, সওদাগরটুলার রুবেল আহমদ, বলকলাপাড়ার কামাল হোসেন, নূরানী সুবিদবাজারের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা কলিন্স সিংহ, কদমতলীর আবদুল মমিন, ইঙ্গুলাল রোড কুয়ারপাড়ের রহিম আলী, দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের শফিক মিয়া, একই গ্রামের বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান উসমান আলীর ভাই আনহার ও আঙ্গুর, আবদুল হক লিটন, শাহান, লিটন ও সিপন আহমদ।
এদের মধ্যে জাবেদ, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আবদুল হক লিটন ও লিটন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয় বলে জানিয়েছে আদালতের পিপি মফুর আলী।
মামলা সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা নিয়ে নগরীর লালদিঘীরপাড় প্রধান শাখায় মাইক্রোবাসযোগে আসছিলেন পূবালী ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার হুমায়ূন রশীদ চত্ত্বরে আসার পর ১৫-২০ জন লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে গাড়িতে থাকা ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত রায় ঘোষণা করে।