জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেছে, বিপজ্জনক খুঁটি অপসারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে হবে। দ্রুততম সময়ে অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা কোনো ক্রমেই ৬০ দিনের বেশি হবে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালত আদেশের পাশাপাশি সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি চিহ্নিত করে তা অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নরসিংদীর শিবপুর এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখে নিজের ফেসবুকে লাইভ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে বুধবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি নিজেই বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।