আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হক ও মনোনয়ন বঞ্চিত তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
শনিবার দুপুরে তাহেরপুরের হরিতলা এলাকায় হওয়া এ সংঘর্ষে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত চঞ্চল চন্দ্র (৪২) হলদারপাড়ার নরেন চন্দ্র পিয়নের ছেলে ও তাহেরপুর পৌরসভা যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে সংঘর্ষ চলাকালে তাহেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চঞ্চল। এসময় সাংসদ এনামুলের সমর্থক সুমন, বিপ্লব ও সাবেক যুবলীগ ক্যাডার মাসুদসহ ৩০-৪০ জনের একটি দল চঞ্চলের ওপর হামলা করে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত চঞ্চলকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
ওসি নাছিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।