এর মধ্যে শেখ হেলাল উদ্দীন বাগেরহাট-১ আসনে (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) এবং বাগেরহাট-২ আসনে (সদর ও কচুয়া) শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
শেখ হেলাল উদ্দীন এবং তার ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়কে মনোনয়ন দেয়ায় খুশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বাবা-ছেলে বাগেরহাটের এই দুই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন। এই দু’টি আসনে নৌকা মার্কাই বিজয়ী হবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন দলের নেতাকর্মীরা।
১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগেরহাট-১ আসন থেকে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। পরে তিনি বাগেরহাট-১ আসন ছেড়ে দিলে ওই দু’টি উপনির্বাচনে তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন নির্বাচিত হন। ২০০১ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে শেখ হেলাল উদ্দীন নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে জাতীয় পর্যায়ের অধিকাংশ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনের ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছেন। একারণেই আওয়ামী লীগ এই আসনকে তাদের ঘাঁটি মনে করে।
বাগেরহাট-২ আসনটি নানা কারণে অনেক গুরুত্ব বহন করে আসছে। কথিত আছে বিগত বেশ কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসন থেকে বিজয়ী রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করেছে। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মীর সাখাওয়াত আলী দারু, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এম এএইচ সেলিম, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা বিজয়ী হন।
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিট পেলেন শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। আগামী সংসদ নির্বাচনে তন্ময় বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় হবে বলে আশাবাদী দলটি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু জানান, বাগেরহাটের চারটি সংসদী আসন থেকে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী নৌকার টিকিট পেয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সভা থেকে মনোনয়ন পাওয়া চারজনকে অভিনন্দ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বাগেরহাট-২ আসনে মোট ভোটর সংখ্যা দুই লাখ ৮৪ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪১ হাজার ৯১৭ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৪২ হাজার ১৪৬ জন।