সোমবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, কুশাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিক, ছাত্রদল নেতা বদরুল ইসলাম শ্যামল, মিজানুর রহমান পলাশ, হারুনুর রশিদ, ইমতিয়াজ, জাহের, শিমুল, বরকত উল্যা ও আবদুল খালেক। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
এছাড়া হামলায় দাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আবদুর রেজ্জাক ও এক কনস্টেবলও আহত হন।
দলীয় সূত্র জানায়, সকালে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি নিজ বাসা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে বের হন। এ সময় সদর উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে পৌঁছালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের নেতৃত্বে নৌকার কর্মীরা গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় লাঠি ও ইটের আঘাতে ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এক পর্যায়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়, বাকি আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পুলিশ।
বিএনপি প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির অভিযোগ, পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ চলাকালে নুরুল আমিন ও আবদুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
তবে হামলার কথা অস্বীকার করে কুশাখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দলের কয়েক নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন তিনি।
দাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মতিন জানান, কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।