তিনি বলেন, ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে বাধা দিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের ভয়ংকর প্রোপাগান্ডায় সয়লাব।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘অনলাইনে আওয়ামী সমর্থক এবং পেইড অ্যাক্টিভিস্টরা কোনো প্রমাণ তথ্য ছাড়াই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ভয়ংকর প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। ‘তারা বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস শুরু করেছে।’
ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে নানা বিদ্বেষমূলক বানোয়াট ছবি ও অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
‘তারা (সরকার) এসব নির্জলা মিথ্যাচার, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অশ্লীল রুচিহীন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের ১০ বছরের গুম, খুন, অত্যাচার, নিপীড়ন, জেল, জুলুম, সর্বগ্রাসী লুটপাট ও দুঃশাসন থেকে ভোটারদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করছে,’ যোগ করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ ধরনের গর্হিত অপকর্মে অর্ধ শতাধিক অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করছে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, নামে-বেনামে ভুয়া আইডির ফেসবুকে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে বুস্ট করছে।’
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে রয়েছে বাংলা ইনসাইডার, বাংলা নিউজ পোস্ট, আমাদের রাজনীতি, চিরায়ত বাংলাদেশ, নিউজ ফর অল, ছবির মত দেশ, বাংলাদেশি ভাইরাল ভিডিও, চেয়াম্যান সাব, গেরিলা ৭১, শোন হে বাঙালি, সাইবার ফোর্স ৭১, রক্ত ঋণ একাত্তর, বঙ্গবন্ধু সাইবার ফোর্স, বঙ্গবন্ধু জিজিটাল ব্রিগেড, আওয়ামী সাইবার ব্রিগেড, আম জনতা, ভোরের পাতা, গুজবে কান দিবেন না, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রভৃতি।
আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আপনজনদের নামেও ওয়েবসাইট খুলে অবান্তর, কাল্পনিক ও উদ্ভট অপপ্রচার চালাতে হিসাববিহীন অর্থ ব্যয় করছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি এসব মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরকারকে বিরত থাকার এবং ইতিবাচক রাজনীতি চর্চা করার আহ্বান জানান। জনগণ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মিথ্যা প্রচারণার উপযুক্ত জবাবে দেবে বলে সতর্কও করে দেন তিনি।