তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার জন্য সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি, তাদের দুর্বলতাই একমাত্র দায়ী।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত কোনো বিশ্ব নেতার সাথে সাক্ষাত করেননি এবং ইস্যু নিয়ে কোনো দেশ সফর করেননি। এমনকি, সরকার জাতিসংঘে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে পারেনি। এজন্য মানুষকে এখনও রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একটি বিশাল বোঝা বহন করতে হচ্ছে। ’
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সাথে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
চীন ও ভারত দুটি দেশ মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দুই শক্তিশালী দেশকে এটি করতে রাজি করার মতো ক্ষমতা সরকারের নেই।
বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরু করলে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তুতি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও এখনও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।
ফখরুল বলেন, যারা দেশের স্বাধীতার জন্য লড়াই করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তাদের এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার জন্য দমন করা হচ্ছে, যা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বিরোধী।
তিনি বলেন, এটি দুঃখজনক যে সোমবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারি দলের সংসদ সদস্যের গুন্ডা বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং আহত করেছে।
‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেদনা সহকারে লক্ষ্য করছি যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এখন কোনো সম্মান ও মর্যাদা নেই। বাংলাদেশকে সত্যিকারের পরাধীনতার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। ’