সরকার
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
রাজস্ব আদায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে এবং পূর্ববর্তী অর্থবছরের আদায় না হওয়া রাজস্ব (Foregone revenue) বা পরোক্ষ সরকারি ব্যয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার ব্যয়করকে যৌক্তিকীকরণে কাজ করছে বলে সরকারি এক নথিতে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬) অনুযায়ী, আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাকে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করছে সরকার।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির হাতে কিছু নথিপত্র এসেছে। এতে দেখা গেছে, ‘ব্যয়কর বিশ্লেষণ শুরু করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে আয়কর ও ভ্যাটের জন্য করের হারের মানদণ্ড নির্ধারণ এবং ভিত্তি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা।’
ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমসে প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও পছন্দের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করাও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত কম থাকায়, কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় বা লোকসান হয় এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না- তা সরকারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় অর্থায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
সরকার সামাজিক বা অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ, নির্দিষ্ট খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বা বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কর সুবিধার অনুমতি দেয়।
এতে বলা হয়, ‘পূর্ববর্তী অর্থবছরের আদায় না হওয়া রাজস্ব অনুমান করার জন্য একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে তা হলো ব্যয়কর মূল্যায়ন।’
ব্যয়কর হলো একটি বেঞ্চমার্ক (বা রেফারেন্স) কর ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অগ্রাধিকারমূলক ট্যাক্স ট্রিটমেন্টের কারণে সংগ্রহ না করা অনুমিত রাজস্ব, যা নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও সমতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।
ব্যয়করের মধ্যে কর ছাড়, হ্রাসকৃত করের হার, ট্যাক্স ক্রেডিট, ট্যাক্স হলিডে, ট্যাক্স ভাতা, ট্যাক্স বিলম্ব ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ব্যয়কর প্রাক্কলন বিভিন্ন বিশেষ কর ব্যবস্থার ব্যয়-সুবিধা বিশ্লেষণ করে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর এবং কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
অনেক দেশ ব্যয়কর মূল্যায়নকে তাদের বার্ষিক বাজেট অনুশীলনের অংশ করে নিয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যয়করের প্রাক্কলন শুরু করতে পারেনি, ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট আয়করের জন্য একটি ব্যয়কর বিশ্লেষণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
ছোট আকারে হলেও এবং পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, সেই বিশ্লেষণের ফলাফল বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রত্যক্ষ কর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার পূর্ববর্তী অর্থবছরের অপরিশোধিত কর।
যদি কেউ জমি হস্তান্তরে ব্যয়কর যোগ করে তাহলে জিডিপি হিসাবের আওতাভুক্ত নয় এমন মূলধনী লাভের একটি বড় অংশ পূর্ববর্তী অর্থবছরের অপরিশোধিত করে পরিণত হয়। আরও প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
এটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির প্রায় ২.৬ শতাংশ।
যদিও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বৃহত্তর প্রবেশাধিকার, বৈষম্য হ্রাসের মতো কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ব্যয়কর মঞ্জুর করা হয়। এর মূল্যায়নগুলো অর্জিত সুবিধা ও রাজস্ব ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য তুলে ধরে।
মূসকের ক্ষেত্রে মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবরণীতে (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬) বলা হয়েছে, কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, শিক্ষা, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মতো বেশ কিছু খাত (মোট জিডিপির ২১ দশমিক ২ শতাংশ) মূল্য সংযোজন করের আওতা বহির্ভূত। উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রকৌশল (হালকা), গৃহস্থালি বৈদ্যুতিক পণ্য ও ভোগ্যপণ্য, ওষুধ, কম্পিউটার দ্রব্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি, রপ্তানিমুখী শিল্প ইত্যাদি শিল্পকে স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যা জিডিপির আরও ২৩ শতাংশ।
খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে (জিডিপির ১৫ শতাংশ) একটি বড় অংশ ভ্যাটমুক্ত। পরিবহন ব্যয় সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী করতে পরিবহন সেবার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (জিডিপির ৭.৫ শতাংশ) ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্যাটের বাইরে রাখা হয়েছে।
গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব সম্মেলনে এক উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশে পণ্য ও সেবার ওপর কোনো ভ্যাট আদায় করা হয় না।
যদিও ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের অবদান কমে যেতে পারে, তবুও বর্তমানে এটি সরকারি কোষাগারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানির বিষয় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সব আমদানির ১৫ শতাংশ শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্ডেড কারখানা, ৭ দশমিক ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানা এবং ১৯.৮ শতাংশ আমদানি সম্পন্ন করেছে এসআরও/অর্ডারের আওতায় বিশেষ কর সুবিধা থেকে।
সব মিলিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট আমদানির ৪২ দশমিক ৩ শতাংশে কোনো শুল্ক আদায় হয়নি।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে এটি থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি জানান, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর নয়, সব এলাকার বর্জ্যেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করব? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।
‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা তাকাচ্ছি। কীভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।’
সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।’
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বিশ্বে উৎসব পার্বণে দ্রব্যমূল্য কমে আর আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখে। সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং এ অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণ যখন মোর্চা গড়ে তুলবে তখন তারা কোথায় যাবে -প্রশ্ন রাখেন হাছান মাহমুদ।
ওআইসি ও এডিএফে যোগদান ও ইউএই সফর
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে ব্রিফ করেন।
ড. হাছান জানান, পয়লা মার্চ থেকে তুরস্কে তিন দিনের আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরমে ১৯ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৭৩টি দেশের পররাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হতে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
আনতালিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথা জানান হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ৫ মার্চ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান ও ইসরায়েলকে বয়কট করার প্রস্তাব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
পাশাপাশি সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে হাছান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ দিয়েছে এবং সৌদিতে ১০ বিলিয়নসহ পুরো গালফ দেশগুলোতে ৫০ বিলিয়ন গাছ লাগানর উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশ নেবে। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
৮ ও ৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের ওপরও আলোকপাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএই'র রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্রটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহকে হস্তান্তর করেন তিনি। জানিয়ে তার সাথে
একই সঙ্গে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বৃদ্ধিকল্পে মাতারবাড়ি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএই'র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া ১১০ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে ইউএই'র বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন হাছান।
ইউএইর মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ইউএই'র সব এমিরেটে সব ট্রেডে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগ, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণ নিয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোজায় পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং ইলিশ বেড়ে উঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে। ‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এই প্রতিপাদ্যে আমাদের এবারের কর্মসূচি। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষা এবং জাটকা নিধন বন্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা না নয়, সেজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্র্যান্ডেড এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা মাছ ইলিশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি- ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে এ বছর বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে ৩০ দিনে ১৭টি জেলায় মোট ৯৩১টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৪৭৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যার মাধ্যমে- ৭ হাজার ৬৬৯টি বেহুন্দি জাল, ৪৪৮ দশমিক ৭১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৯ হাজার ৭৪২টি বেড় জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল ও পাইজাল আটক করা হয়েছে এবং প্রায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। কারণ, আমাদের মৎস্যজীবীদের পরিবারের কথাও মাথায় রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ জেলেকে চাহিদানুযায়ী নানা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
ইলিশ সংরক্ষণে শুধু মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর নয়, সকলকে সম্পৃক্ত থাকতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
এমন কি মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমরা জাটকা ধরবো না। বড় ইলিশ তৈরির সুযোগ করে দেবো। আমরা বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবো না। এটা হোক জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে আমাদের অঙ্গীকার।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, জাটকা নিধনের সাথে যারা জড়িত, গোচরীভূত হওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। মা ইলিশ রক্ষা পেলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, তবে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এসব বিষয় সদিচ্ছার সঙ্গে মনিটরিং করছে।
শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধে সামাজিক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
শনিবার (২ মার্চ) পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে চুন্নু নগরীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী রেজাউল করিম।
চুন্নু বলেন, সরকার চালাতে কর দেয় দেশের মানুষ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে সরকারের ছয়টি সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পর ভবনগুলোতে কোনো নজরদারি থাকে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, একটি ভবন এক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হলেও তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন তাদের দায় কে নেবে?’ এটা সরকার ও সরকারি অফিসের দায়িত্ব।
মুজিবুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনার পর সরকার বলছে তদন্ত করা হবে, একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ‘কিন্তু এরপর আর কোনো ফলোআপ হয় না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারকে দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম সংসদকে জানান, ধানমন্ডির সাত মসজিদ এলাকায় একটি ভবনে ১৫টি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যদিও তাদের অনুমতি নেই।
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের পাশের ভবনগুলোতে শত শত রেস্টুরেন্ট থাকলেও তাদের কোনো অনুমতি নেই। খিলগাঁওয়ের তালতলায় বিভিন্ন বহুতল ভবনেও একই অবস্থা।’
সরকার এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেজাউল।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে জানতে চাই এসবের দায়ভার কে নেবে, রাজউক হোক, ফায়ার ব্রিগেড হোক, পরিবেশ হোক, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করুন।’
আরও পড়ুন: বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অভিযোগ পত্র দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
রেজাউল করিম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দোষীদের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানান।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সংসদ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচার আইন সংসদে উত্থাপন
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়াল সরকার
সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এতে বলা হয়, রেন্টাল সহ সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য বর্তমানে ১৪ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ক্যাপটিভ, ছোট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এই দাম নির্ধারণ করে।
নতুন আইনটি সরকারকে যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখতিয়ারকে পাশ কাটিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
এই ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয় এবং সেটি ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ