সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর ধান ও চালের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় তিন শতাধিক চাতালকল রয়েছে। এ উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হয়। তবে বৃষ্টির কারণে এখন তা হুমকির মুখে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মোকামে চাল সরবরাহ সম্ভব হবে না।
এদিকে, চাতালগুলোতে কর্মরত আছেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক। বর্তমানে টানা বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারায় মজুরি পাচ্ছেন না তারা।
চাতাল মালিক মেহেদি শিকদার বলেন, ‘কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে হাউজে ভিজিয়ে রাখা ধান ও মাঠে সিদ্ধ ধান না শুকাতে পারায় আমার ১ লাখ টাকা ক্ষতি হবে। এ ধান থেকে চাল উৎপাদন করলেও ভালো দাম পাওয়া যাবে না।’
তার মতো অন্যান্য চাতাল মালিকও জানান, টানা বৃষ্টিতে কারণে পানিতে ভেজানো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া খোলা মাঠে টুপরি দিয়ে রাখা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির জোবায়ের হায়দার বুলু বলেন, ‘এমনিতেই মোকামে ধান সংকটের কারণে মূল্য বেশি, এরই মধ্যে আবার বৃষ্টি। এসব কারণে মোকামে ধানের আমদানি কম। বর্তমানে উপজেলার চাতালকলগুলোতে প্রায় অর্ধলাখ টন ধান সিদ্ধ করে রাখা আছে। আরও অর্ধলাখ টন ধান রয়েছে হাউজে ভেজানো। টানা বৃষ্টির কারণে এসব ধান শুকানো যাচ্ছে না। এতে করে মিল মালিকদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে।’