জেলায় সবচেয়ে বেশি অসহায় অবস্থায় আছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আর হাট-বাজারের দোকানপাটে পানি থাকায় মালিকরাও লোকসানে পড়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে দোকানে নতুন মালামাল তুলেছেন কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি থাকায় ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। একইভাবে দোকানপাটে পানি থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। নতুন মালামাল থাকলেও ক্রেতা শূন্য বাজার।
হাতে কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, এ অবস্থায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোনো মতে দিন পার করছেন অনেকে। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ আবার আশ্রয়কেন্দ্র গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ নিজ বাড়িতেই পানির মধ্যে ঘরে আছেন। গবাদি পশু এবং ভিটা ছেড়ে যারা যাননি তারা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।
সুনামগঞ্জের সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ। এ উপজেলাগুলোর সর্বত্রই পানি আর সড়কগুলোও পানির নিচে তলিয়ে আছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবারের পর থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে করে পানি কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু হাওর এলাকার সর্বত্র পানি থাকায় তা নামতে অনেক দেরি হবে।