এ সময় এশিয়ান হাইওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।
রবিবার দুপুরে মদনপুর এলাকায় আমির গ্রুপ ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে খলিল মেম্বারকে (৪৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ১২টায় মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার খলিল মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নিজস্ব পল্ট্রি ফিডের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় আমির গ্রুপের আমির সোহেলসহ অর্ধ শতাধিক ক্যাডার এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। শাহ আলম নামে এক হকার তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে ক্যাডাররা।
খলিল মেম্বারের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং নবী মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় খলিল মেম্বার গ্রুপ এশিয়ান হাইওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেন ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও পাল্টা হামলা করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে সংঘর্ষের সময় ইটের আঘাতে পুলিশের আট সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গেলে অবরোধকরীরা সড়ক থেকে সরে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন, পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন স্বাভাবিক রয়েছে, যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।