সংঘর্ষ
কামরাঙ্গীরচরে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ গেল যুবকের
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ছুরিকাঘাতে মো. রকি (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে কামরাঙ্গীরচর থানার বড়গ্রাম মাতবর বাজার হারিকেন ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রানা জানান, নিহত রকি পেশায় একজন শ্রমিক আমরা জানতে পেরেছি। তিনি একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বড়গ্রাম মাতবর বাজার হারিকেন ফ্যাক্টরির সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় রকি দৌড়ে পালানোর সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা এখনো পাইনি। তবে তিনি কামরাঙ্গীরচর বড়গ্রাম চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় থাকতেন বলে জানতে পেরেছি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
ফরিদপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজার এলাকার তিনটি স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে; লুটপাট করা হয়েছে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামাল।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গট্টি ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সম্প্রতি এই বিরোধের জেরে উভয় নেতার সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, জাহিদ ও নুরু মাতুব্বর বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে গট্টি ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
৫ দিন আগে
নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
নরসিংদীর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ইদন মিয়া (৫৫) মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় নি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন,আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভাজন তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে তা সংঘর্ষের রুপ নেয়।
৭৮ দিন আগে
‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া পোস্ট করা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে দিয়ে মিছিল চলাকালে অবমাননাকর অঙ্গভঙ্গি করে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
পরে এক ভিডিওবার্তায় ইব্রাহীম নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার ও সড়ক ছেড়ে মাদরাসায় ঢুকে যাওয়ার আহ্বান জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপরও কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পর মাদরাসা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মুমিন ইউএনবিকে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরেরহাট থেকে এগারোমাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ইউএনও আরও বলেন, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রবিবার বিকেল পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল বা বিক্ষোভ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
৮৯ দিন আগে
ফেনীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ফেনীর পরশুরামে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দলটির দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পরশুরাম জিরো পয়েন্ট এলাকায় স্টেশন রোডে পরশুরাম উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এই র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেবের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দলের নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের মধ্যে চিথলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক জানান, গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে আসতে চাইলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয় হবে বলেও জানান তিনি।
পড়ুন: হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব জানান, দলীয় কোনো পক্ষ নেই। মঞ্চের সামনে বসাকে কেন্দ্র করে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী ১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু।
৯২ দিন আগে
সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ছাত্রীকে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মুমিন রবিবার(৩১ আগস্ট) বিকালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের পূর্ব পাশ থেকে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পূর্ব পাশে রেলগেট পর্যন্ত রবিবার দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সকল ধরণের আন্দোলন, জমায়েত, সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং সকল ধরণের অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: চবিতে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ, সব পরীক্ষা স্থগিত
এর আগে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, উপ উপাচার্য এবং প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর আবাসিক এলাকার ২ নম্বর গেটে স্থানীয় একদল লোক কোনো উসকানি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ৫০ জন আহত হন। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন, সকালে ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও তারা একটি সংক্ষিপ্ত অভিযান চালিয়ে চলে যান। তাদের চলে যাওয়ার পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
উপ উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়দের হামলায় আহত অনেক শিক্ষার্থীর আজ নির্ধারিত পরীক্ষা ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
এর আগে, শনিবার দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মধ্যরাতের কিছু আগে গেট খোলার বিষয়টি নিয়ে তার ভাড়া বাড়ির একজন প্রহরী এবং তার মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে, প্রহরী মেয়েটিকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে।
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে জড়ো হয়ে প্রহরীকে আটক করার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে, স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে বাসিন্দাদের জড়ো হয়ে আক্রমণ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে চবি সোহরাওয়ার্দী হল মসজিদ থেকে ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়, যার ফলে ভয়াবহ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং ৫০ জন আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন যে, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২০ থেকে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
৯৫ দিন আগে
চবিতে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ, সব পরীক্ষা স্থগিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা আবাসিক ২ নম্বর গেটে এ সংঘর্ষ চলছিল।
এ সময় স্থানীয়দের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে আহত হন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের আজ পরীক্ষা ছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা জানান, দুই-তিনদিক থেকে চবির শিক্ষার্থীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়ে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা শুরু করেন। তবে স্থানীয়দের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বারবার পেছাতে বাধ্য হন, অনেক শিক্ষার্থী ইটের আঘাতে আহত হন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ (রোববার) সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখতে পেয়েছি। তবে এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে তারা চলে যান। এর পরপরই দুপুর ১২টার দিকে ফের সংঘর্ষের শুরু হয়।
এ বিষয়ে তারা একটি সুষ্ঠু সমাধান চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ সফল হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
৯৫ দিন আগে
চবিতে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে এলাকাবাসী-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৩২, সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধর ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল (শনিবার) রাতে তার কক্ষে যেতে দেরি হওয়ায় দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল মারা শুরু করেন। তখন তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সময় মতো বাসায় আসি। আজকেও দেরি করিনি। ১২টার মধ্যে চলে আসি। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বলি। তবে তিনি দরজা খুলতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ আমার গলায় চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আমার রুমমেট ও আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন।’
ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় মাছ বাজারের সামনে একটি বাসায় এক ছাত্রীর ঢুকতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান। তাকে বিভাগের ছোট ভাইয়েরা বিষয়টি জানালে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান এবং দারোয়ানকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে একটু দূরে গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন তারা। তখন এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে দারোয়ানকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আইন বিভাগের ২০-২১ সেশনের ইমতিয়াজকে রক্তাক্ত করে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে। আমি নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশকে জানিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।’
৯৬ দিন আগে
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তারেক রহমানের নিন্দা, তদন্তের আহ্বান
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ঘটনা তদন্তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’
‘আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক অত্যন্ত নাজুক সময়ের মধ্যে আছি, যার প্রথম পদক্ষেপ হলো জাতীয় নির্বাচন। সম্মিলিতভাবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আজকের ঘটনার মতো অস্থিতিশীল ঘটনাগুলো যেন আর না ঘটে এবং গণতন্ত্রের পথ থেকে আমাদের দূরে ঠেলে না দেয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ও এর জোটসঙ্গীরাসহ গণতন্ত্রপন্থী অংশীজনদের অবশ্যই সংযম ও সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। দেশকে অবশ্যই দলবাজি, সহিংসতা ও বর্তমান অস্থিতিশীলতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে আমাদের সহিংস জনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের এই মব ভায়োলেন্সের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখা, আইনের শাসন সমুন্নত রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়ে তুলতে হবে।’
কেবল গণতান্ত্রিক পথে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সফল হতে পারি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
৯৬ দিন আগে
আজ সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, ঢাকায় সমাবেশ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে দলটি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের নতুন এ কর্মসূচির কথা জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি জানান, শনিবার দুপুর ১২টায় দেশের ৬৪ জেলায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবে। পাশাপাশি বিকেল ৩টায় ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এই হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। সে সময় নুরের কর্মী ও জাপা নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তখন জাপা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন নুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। এর মাঝখানে পড়ে নুর আহত হন।
এই হামলার বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেও আমরা এভাবে হামলার শিকার হইনি। আজকে নুরুল হক নুর আইসিউতে কেন, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, আজকের হামলা থেকে আপনারা কিছুটা প্রমাণ পেয়েছেন। সেনাবাহিনী বুট জুতা দিয়ে আমাদের পাড়িয়েছে। আজকে যদি এর বিচার না হয়, তাহলে সেনাবাহিনী নিজেকে নিজে কলঙ্কিত করল।
এদিকে, এ ঘটনাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়ে তা ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে সেনাবাহিনী বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: কাকরাইলের ঘটনায় যা বলল আইএসপিআর
সেনাপ্রধানের উদ্দেশে রাশেদ বলেন, ‘আমরা সেনাপ্রধানকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু আপনাকে এর জবাব দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাপ্রধানকে কৈফিয়ত দিতে হবে, এ হামলা আপনার নির্দেশে হয়েছে নাকি আপনার অগোচরে হয়েছে।’
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কাছেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই হামলা কি খোদা বকসের নির্দেশে হয়েছে নাকি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে হয়েছে; নাকি আপনার নির্দেশনায় হয়েছে— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি জবাব না দেন, তাহলে পরবর্তীতে যদি কোনো অঘটন ঘটে, আমরা যদি আইন হাতে তুলে নেই, তার জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।’
৯৭ দিন আগে