বুধবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় তিনি বলেন, ‘এদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে জাতির প্রতি এ আমার আবেদন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সবাই খুনি...তারা খুনির পরিবার। তারা খুন, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ছাড়া আর কিছু জানেন না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মামলায় নয়, এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য দুর্নীতির মামলায় এখন কারাগারে আছেন এবং এ মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছিল।
‘তাকে আমরা কারাগারে একজন বুয়া দিয়েছি...এটি পৃথিবীতে খুবই দুর্লভ,’ বলেন তিনি।
বিএনপি প্রধানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর সমস্যা অনেক পুরনো। ‘১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নি-কাপ অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন এবং পরে সৌদি আরবেও এটি করা হয়।’
শেখ হাসিনা জানান, বিদেশে কেনাকাটা ও হজ করার সময় খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায় দেখা গেছে। ‘তখন ফালু (মোসাদ্দেক আলী ফালু) হুইলচেয়ার ঠেলতেন।’
বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে তাদের অপশাসন ভুলে না যাওয়া এবং ২০০৮ সালের নির্বাচেন তাদের ভোট না দেয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি দাবি করেন যে বিএনপি গত সাধারণ নির্বাচনকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছিল এবং এক আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছিল।
সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তা দেখতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ অভিযান নিশ্চিতভাবেই অব্যাহত থাকবে।
খালেদা জিয়ার আমলে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ায় তাকে এ দেশে ‘সন্ত্রাসের গডমাদার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি (খালেদা) বাংলা ভাইয়ের মতো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দিয়েছেন...তিনি আগুনে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পেছনে ছিলেন। এর চেয়ে বড় সন্ত্রাস আর কী হতে পারে!’
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সংক্ষেপে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষ ও দেশের জন্য কাজ করে। ‘আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি...আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার মানে দেশের উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য সম্মান।’
তিনি জানান, সরকার ও আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং এ জন্য সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে।