প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৬ নভেম্বর) বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের বাইরের কাউকে তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, কারণ জনগণই তার শক্তি।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের আর কোনো অভিভাবক নেই। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমি ক্ষমতায় থাকার জন্য তোষামোদের রাজনীতি করি না।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে তার দলের মনোনয়ন চাওয়া ৩ হাজার ৩৬৯ জনের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যানও শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী বিপুল ত্যাগ ও রক্তপাতের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই মাটি আমাদের। বাইরের কোনো চোখ রাঙানি সহ্য করা হবে না। জনগণই আমাদের শক্তি, তাই আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল নই।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গত ১৫ বছরে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জনগণ শান্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান।
২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনটি বৈঠকে ৩০০ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে মনোনয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যারা জড়িত জনস্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে, জনগণের ও জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করে তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
রবিবার এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে, ততক্ষণ তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। বরং তাদের ভাবমূর্তি আরও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পর তারা জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যারা অগ্নিসংযোগে জড়িত বা যারা অগ্নিসংযোগের জন্য নির্দেশ দেয় বা অর্থ জোগায় তাদের নিয়ে সরকারের কী করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কি তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব, নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে? আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিই, তাহলে তারা অগ্নিসংযোগের সহিংসতা চালিয়ে যাবে।’
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসির বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
এ বছর ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসির বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৯ দলের ১৪ নেতার সাক্ষাৎ
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ নেতার একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় নেতারা জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
পরে প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার কাছে একটি ক্যালিগ্রাফি উপহার দেন।
রাজনৈতিক দলগুলো হলো- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকান আউলিয়া ঐক্য পরিষদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
মিল মালিকদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
আরও পড়ুন: এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান-চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে।
ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান-চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রসাশনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি পাক্ষিক মজুত বিক্রির রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।
এ বছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ও নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যৌথভাবে আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ভারতের সভাপতিত্ব শেষ করার আগে দিল্লি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ফোরাম।
ফোরামে স্পেনকে স্থায়ী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করে ভারত।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ শিশুকে নির্মমভাবে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, 'এই সব দানবীয় কর্মকাণ্ড বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, বৈশ্বিক দুর্দশাকে তীব্রতর করেছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবন ও মানবতা রক্ষার জন্য সব যুদ্ধ ও সংঘাতকে দৃঢ়ভাবে 'না' বলা সহজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন , একটি ভাল শুরু হতে পারে সুপ্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বজুড়ে এটির প্রসার ঘটানো।
তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের চমৎকার সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদেশগুলো অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বৈশ্বিক পরিবারের সবার কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চেতনায় বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিককে (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমি আপনাদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো যে সব অঙ্গীকার করেছে তা ফলপ্রসূ হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত' আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান,পৃথিবী গ্রহের যত্ন নিতে, সুরক্ষিত করতে এবং গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা, বিশেষ করে জলবায়ু পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত রূপান্তর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন সম্পর্কিত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে নয়া দিল্লীতে নেতারা একমত হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত দিল্লি ঘোষণা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারত একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জি-২০ দেশগুলোর নেতারা, ৯টি অতিথি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ভারত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের জি-২০ সম্মেলনে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে জি-২০ ত্রয়ীকা গঠিত হবে।
আগামী মাসে ব্রাজিল যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তখন নতুন ত্রয়িকা গঠন করা হবে, যেখানে ভারতের সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে দায়িত্ব নেবে ব্রাজিল এবং এর পরের মেয়াদে সভাপতি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জি-২০ সদস্যরা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, 'শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য আমি আর কোথাও এমন অমানবিকতা ও হত্যাকাণ্ড দেখিনি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবে, তারা অমানুষ।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে প্রশ্ন হলো, কেন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে? আমি এখনও বুঝতে পারছি না, মানুষকে কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, বাস পোড়ানো হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশ একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন,‘আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯, আমরা এটি মোকাবিলা করেছি। এছাড়া প্রায়ই অগ্নিসন্ত্রাসের মতো নানা ধরনের ঝামেলা শুরু হয়।’
শান্তি প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবেও শান্তি চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব,কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
বাংলাদেশকে শান্তির দেশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কিছুই অর্জন করা যায় না। অগ্নিসংযোগকারীদের মধ্যে চেতনা ফিরে আসুক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস। কীভাবে একটা মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? এটা ভুল।’
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে অসামান্য অবদানের জন্য শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি প্রয়োজন, জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে বা মানুষকে পুড়িয়ে কিছুই অর্জন করা যায় না।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার পেশ করে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা