প্রধানমন্ত্রী
দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমির মালিকানাসহ আরও ৩০ হাজার ৩৬৫টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চতুর্থ পর্যায়ে ৩০ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের ৯টি জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর ফলে সারাদেশে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখে পৌঁছেছে।
এছাড়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭।
এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৬৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। এতে করে চিহ্নিত ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি পরিবারের মধ্যে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন হচ্ছে।
অবশিষ্ট ৪৩ হাজার ৪১০টি পরিবারের মধ্যে ২২ হাজার ১০টি পরিবার চিহ্নিত করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতাংশ জমিসহ একক গৃহ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২১ হাজার ৪০৪টি পরিবার চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘দেশের কোনও মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না’ বলে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই প্রোগ্রামে সুবিধাভোগীর সংখ্যা হল ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন। প্রতি পরিবারে পাঁচ জন সদস্যের ওপর ভিত্তি করে গণনা।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭ পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে।
অবশিষ্ট দুই লাখ ১৬ হাজার ৭০৪ পরিবারকে ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এদিকে বরিশালের বানারীপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গৃহহীনদের বাড়ি-ঘর ও ঠিকানা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে বাড়ি দেয়া তার অঙ্গীকার ও উদ্যোগ।
তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪২টি ঘর বিতরণ করবেন এবং আগামী দিনে আরও ১৬৩টি বাড়ি বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ভালোবাসেন এবং সর্বদা জনগণ ও তাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন।
শাহে আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পদক্ষেপটি অনন্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
ইউএনও ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, প্রকৃত গৃহহীনদের খুঁজে বের করতে প্রশাসন অনেক কঠোর ও সতর্ক ছিল।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে: স্কুলশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিয়ে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা হল শরীরচর্চার মাধ্যম। খেলাধুলা মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং মনকে আরও উদার করে তোলে… এছাড়া খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনায়ও মনোযোগ দিতে হবে। একটি স্বাধীন দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাইমারি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাইমারি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের শিশুরা পড়াশোনা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভালো পারফরম্যান্স করবে।
তিনি আরও আশা করেন যে তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে দেশের জন্য মর্যাদা বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছি। তবে আমরা আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তোমরা হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল শক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, ছোট শিশুদের সবসময় সুশৃঙ্খল জীবন বজায় রাখতে হবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কথা শুনে চলতে হবে, তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও প্রতিবন্ধী মানুষের সঙ্গে ভাল আচরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, তোমাদের সবাইকে মানবিক গুণ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশে আন্তঃবিদ্যালয়, আন্তঃ-উপজেলা ও আন্তঃজেলা, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মত বৃহত্তর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি একই সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, গল্পের বই পড়া, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বইয়ের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে বাংলাদেশ: সিএনএনকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তোমাদেরকে সবদিক থেকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এখন থেকে মনে রাখবে যে তোমরা সবচেয়ে যোগ্য হবে এবং নিজেদেরকে সবচেয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিভাগের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল) এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলার গ্র্যান্ড ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্র্যান্ড ফাইনাল খেলায় নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ-২০২২ এর শিরোপা জিতেছে।
রংপুর বিভাগের পূর্ব পঞ্চপুকুর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয় (নীলফামারী সদর) জমকালো ফাইনাল খেলায় ঢাকা বিভাগের বিনোদপুর কলেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (রাজবাড়ী সদর) হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ-২০২২ এর শিরোপা জিতেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত দেশব্যাপী টুর্নামেন্ট-২০২২-এ ৬৫ হাজার ৫২৯টি বিদ্যালয়ের মোট ১১ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩ জন ছেলে এবং ৬৫ হাজার ৫২৮টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৬টি মেয়ে অংশগ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রী দুইটি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার (৪ গোল) জাহিম এবং সেরা খেলোয়াড় মনিরুল ইসলাম, উভয়েই পূর্ব পঞ্চপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, তারা দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে প্রাইজমানির পাশাপাশি গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল পান।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার বাঞ্ছারামপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নুর নাহার আক্তার এবং নলমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুমি শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রাইজমানিসহ যথাক্রমে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল পান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে বাংলাদেশ: সিএনএনকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু কোনও বিশেষ দেশের সঙ্গে নয়, সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সবারই কাছের। যারা আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্কে (সিএনএন)- প্রচারিত এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এবং এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে বাংলাদেশ চীনের ‘খুব ঘনিষ্ট’ হয়ে যাচ্ছে- সিএনএন এর সিনিয়র সাংবাদিক রিচার্ড কোয়েস্ট এর এ মন্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। চীন এখানে বিনিয়োগ করছে এবং তারা নির্মাণকাজেও জড়িত। ‘ব্যাস এটুকুই। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল নই।’
তথাকথিত ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঋণ গ্রহণ বা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিংহভাগ ঋণ নিয়ে থাকে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীনা ঋণের ক্ষেত্রে আমাদের কেস শ্রীলঙ্কা বা অন্যদের মতো নয়।’
তিনি বলেন, তার সরকার যেকোনও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে সব সময় আয় ও সুবিধা বিবেচনা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হল আমরা সবসময় আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি। আমরা অপ্রয়োজনীয় ঋণ বা বড় প্রকল্প গ্রহণ করি না। আমরা সর্বদা বিবেচনা করি কোন প্রকল্প থেকে আমরা রিটার্ন পেতে পারি এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে।’
বাংলাদেশ কখনো কোনও আগ্রাসন সমর্থন করে না
প্রধানমন্ত্রী সিএনএনকে আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনোই কোনও ধরনের আগ্রাসন সমর্থন করে না, বরং আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি। কোনও বিরোধ থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। আমরা কখনই কোনও ধরনের আগ্রাসন বা সংঘাতকে সমর্থন করি না।’
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ: ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, যখন আমরা কাউকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আক্রমণ করতে দেখি, অবশ্যই আমরা এর বিরোধিতা করি।’
তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ববাসীর এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধ এক পক্ষের দ্বারা সংঘটিত হতে পারে না, উভয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি দেশেরই স্বাধীনভাবে তার ভূখণ্ডে বসবাস করার এবং তাদের নিজস্ব অঞ্চল রক্ষার অধিকার রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের কী প্রয়োজন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মিয়ানমার ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে চীন, আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছে এবং তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, মিয়ানমার সরকার কারও কথাই শুনছে না। এটাই সমস্যা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা (১২ লাখ) বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় বোঝা’ হয়ে উঠছে, কারণ আমাদের দেশে অতিরিক্ত জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, তাদের (রোহিঙ্গাদের) মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ওপর চাপ দিয়ে কোনও কাজ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাওয়াতে হবে। আমাকে তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।’
সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব মঙ্গলবার ভোরে প্রচারিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্বটি শিগগিরই প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি চালু হওয়ায় বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’- কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌ বহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের তাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে দেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। কারণ, আমরা আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ করার জন্য একটি সুনীল অর্থনীতি কর্মপন্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হামলা হলে তার সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, এটা মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাহিনী প্রস্তুত করছি’।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান, কারণ এই বাহিনী শুধু বাংলাদেশের জন্য জাহাজ নির্মাণই করছে না, বিভিন্ন জলযান নির্মাণ করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছে।
পেকুয়া ভেন্যু থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান সাবমেরিন ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার কমডোর এম আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরম্যান (অর্ডার) হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনএস শেখ হাসিনার নামফলক উন্মোচন করা হয়।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বিবেচনা করে নতুন দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব... আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’
সোমবার সরকারি বাসভবন গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর লক্ষ্য হবে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করতে পারতাম। আমরা এর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।’
তিনি বলেন, দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের
তিনি বলেন, ‘ভারত গ্রহণের পর, আমরা এক বছরের ভিত্তিতে নীতির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্জনগুলো ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, সরকার ২০২৪ (২০২১-২০০৪) পর্যন্ত রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেছেন ‘...কিন্তু এর পর আমরা কী করব? এরই মধ্যে, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছি। আমি মনে করি আগামী দিনে আমরা কী করব বা আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব তা বিবেচনা করার এটাই সঠিক সময়।’
তিনি বিশ্বব্যাপী বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে অর্থনীতির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে কারণ সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রপ্তানি খাতের উন্নয়নের জন্য একটি কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং পণ্য চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি-২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে।’
প্রধানমন্ত্রী আইসিটি এবং ডিজিটাল ডিভাইস, আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও মাঝারি ওজনের শিল্প, মোটর যান এবং ইলেকট্রনিক মোটর গাড়ির কথা উল্লেখ করে পণ্য বৈচিত্র্যের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশ-বিদেশের বিনিয়োগ নিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রোজার মাসে খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ কখনই খাদ্য মজুদ করতে না পারে এবং এসব জিনিসের কালোবাজারি করতে না পারে।’
রবিবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা/কেজি দরে ভর্তুকি দিয়ে চাল দেয় এবং আরও ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা/কেজি দরে চাল দেয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে সরকার আরও ৫০ লাখ মানুষকে (১৫ টাকা/কেজিতে) চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, চালের পাশাপাশি সরকার দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রমজানে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও অধ্যাপক ডা. মেরিনা জাহান কবিতা, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
ভারত উন্নত যোগাযোগের জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের বন্দর ব্যবহার করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত চাইলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য রাম মাধব তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার আঞ্চলিক সংযোগের ওপর জোর দিচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
রাম মাধবের সাক্ষাতকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব রয়েছে এবং আগামী দিনেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ যখন জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে তখন বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যখন অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের দ্বারপ্রান্তে, তখন এই পাইপলাইনটি আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত 'ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন' উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
এর মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবনির্মিত পাইপলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে তার কার্যালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই সাম্প্রতিক অতীতে অনেক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো একে একে সমাধান করেছি।
উভয় প্রতিবেশী দেশ তাদের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা পাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির ফলে ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য হার হ্রাস পাবে।’
দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ডিজেলের সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আমাদের অনুসরণ করার জন্য তিনি তার আদর্শ রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিশুদের অবশ্যই মানবিক গুণাবলী নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে এবং খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে বুদ্ধিমানভাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আনুগত্য করতে হবে, এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে।’
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলেছেন।
শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দেশের সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে যেখানে কোনও শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না এবং দেশে সকলের বসবাসের উপযোগী শিক্ষা ও বাসস্থান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী এই বছরের থিম বাছাই করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট মানুষ, যারা বাংলাদেশকে সঠিকভাবে গড়ে তুলবে।’
শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এছাড়া অপর দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এএল শরফুদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নীল বিশ্বাস।
মঞ্চে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’- শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’- নামে একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন বিভিন্ন বিভাগে শিশুদের মধ্যে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, বঙ্গবন্ধুর বই 'অসমাপ্ত স্মৃতি', 'কারাগারের রোজনামচা' ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার ৩২ জন বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে ১০০ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থী আর্থিক অনুদান হিসেবে আড়াই হাজার টাকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যকে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার উপায় খুঁজুন: ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান মাসে অসাধুভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মসজিদগুলোর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস আসছে। আমরা জানি, রমজানের সময় কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।’
শেখ হাসিনা বলেন, রমজান এমন একটি মাস যা সংযম ও কৃচ্ছতাকে উৎসাহিত করে এবং প্রত্যেককে অবশ্যই ধর্মীয় কার্যক্রম ও আধ্যাত্মিকতা নিশ্চিত ও সহজতর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাসে এই মুনাফালোভীরা দাম বাড়ায় এবং জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষ কার্ড বিতরণ করেছে। পবিত্র রমজানের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত এক কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেবে সরকার। যারা কাজের যোগ্য নন তারা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। আমরা প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে জনগণকে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তবানদের রমজানে অভাবগ্রস্তদের প্রতি আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
কেউ যাতে খাদ্যে ভেজাল, মজুদ, কালোবাজারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রধানমন্ত্রী