শেখ হাসিনা
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।
সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান।
ওয়ান টু ওয়ান মিটিংও করবেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করবেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি।
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর হাতে জয় বাংলা কনসার্টের ব্যানার-পোস্টার
আসন্ন জয় বাংলা কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার, স্যুভিনিয়র ও টি-শার্ট গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার ও স্যুভিনিয়র তুলে দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বিক্ষোভের মধ্যেই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শেহবাজ শরীফ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের স্যুভিনিয়র ও পোস্টার-ব্যানার তুলে দিয়ে তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘জয় বাংলা কনসার্ট প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। তাই বাড়তি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আয়োজনের খুঁটিনাটি নিয়ে এবার আরও বেশি কৌতুহলী তারুণ্যের অদ্বিতীয় ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি স্মরণ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা প্রতি বছর এই আয়োজন করে আসছে।
এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই কনসার্ট মাতাতে এবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন দেশের জনপ্রিয় ৯টি ব্যান্ড দল। ইয়াং বাংলা তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে যে সব ব্যান্ড দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যান্ড দলগুলো হলো- আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেইট, অ্যাভোয়েড রাফা, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল, লালন, চট্টগ্রামের ব্যান্ড তীরন্দাজ, কার্নিভাল।
এবারও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত স্বাধীনতার গান গেয়ে মঞ্চ মাতাবেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলো। জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে বরাবরই তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও নেই তার ব্যতিক্রম। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে এই কনসার্ট উপভোগ করতে।
২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন নতুন মুখ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাত নতুন মুখ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তারা শপথ ও গোপনীয়তার শপথেও স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
তারা হলেন- রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ , নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার চাপাত, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ডা. রোকেয়া সুলতানা।
গত ১১ জানুয়ারি ৩৭ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২৬ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ জনে। এখন তার মন্ত্রিসভায় ২৬ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির পত্নী ডা. রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর কনিষ্ঠ বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন যারা
মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার জেষ্ঠ পরিচালক পরিচালক আইলিন লাউবাচার কাছে চিঠির একটি অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির জবাব এটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান চিঠির মূল কপি হোয়াইট হাউসের কাছে হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
'আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই' উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দেশগুলো উপকৃত হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে আন্তঃসংস্থা মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পরিচালক আইলিন লাউবাচার।
ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সিডিএ হেলেন লাফাভে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য নতুন পথ অন্বেষণকে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তির পক্ষে এবং যে কোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তার সুবিধা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
একই সঙ্গে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। তিনি একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাওয়া বিষয়ে চিঠিতে বাইডেন বলেছেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে তার প্রশাসনের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা তিনি জানাতে চান।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের শক্তিশালী মানুষে-মানুষে বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।’আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন, সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় ইইউ প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
তিনি উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও অন্যান্য স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে: প্রধানমন্ত্রী
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ২০২৩ সালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনাকেও চিহ্নিত করেছে। যার লক্ষ্য আমাদের অংশীদারিত্বের কাঠামোকে আরো বিস্তৃত ও আধুনিকীকরণ করা।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইইউ দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে এবং এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হোটেল বায়েরিসচার হোফের সম্মেলনস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জার্মান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সভেঞ্জা শুলজে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান।
গত মাসে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম সরকারি বিদেশ সফর।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মিউনিখের হোটেল বায়েরিসচার হফে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪’।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী