শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে একটি মিডিয়ায় প্রচারণার ফলে হাসিনার চলে যাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি স্পষ্ট করে বলেছেন, পদত্যাগ এবং দেশ ত্যাগ সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো- ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন বিপ্লবে প্ররোচিত - বিশেষ রেফারেন্স নম্বর ০১/২০২৪-এ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেমনটি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বর্ণিত হয়েছে।
রায়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এসব বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছেন, যা আপিল বিভাগ যথাযথভাবে সরবরাহ করেছেন।
এসব ঘটনার আলোকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব পক্ষকে এই বিষয়টির সমাধানের প্রতি সম্মান জানাতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত করতে পারে এমন কাজ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ঐক্যের এই আহ্বানের লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন; তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
১১ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রার আভাস দিচ্ছে। জনগণের ক্ষোভের মুখে তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দিনের পর দিন অসংখ্য মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, এখন আবার শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।’
সোমবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন যে তিনি শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোনো পদত্যাগপত্র পাননি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবও বলেছেন যে তার কাছে পদত্যাগপত্র নেই।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এটা তাদের ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রা। তিনি (শেখ হাসিনা) অবশ্যই পদত্যাগ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ইউটিউবে শেখ হাসিনার সই করা পদত্যাগপত্র দেখেছি। তাছাড়া মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। এটাই তার পদত্যাগের শামিল।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রাষ্ট্রপতি: আইন উপদেষ্টা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। তিনি একটি প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন যারা তাকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। তারপরও তার পদত্যাগপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা এখনও বৈধ প্রধানমন্ত্রী এটা বিশ্বাস করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করছে। এর চেয়ে বড় মিথ্যা আর কী হতে পারে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। তারা খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় হাফিজ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জাতি একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার আশা করেছিল, যা জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেবে। আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। আমরা এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বিগ্ন কেন না আমরা এই সরকারের লক্ষ্য সম্পর্কে অনিশ্চিত রয়েছি। তারা কীভাবে সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে এবং তারা কী অর্জন করতে পারে। তারা তাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন কি না তা নিয়েও আমরা বিভ্রান্ত।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছরে যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারেক রহমান, খালেদা জিয়াসহ যাদের বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলাগুলো এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
তারেক রহমানসহ যারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা এবং স্বাধীনতা বিপন্ন করার চেষ্টায় ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হচ্ছে যাতে ভারত সহায়তা করছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, 'প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ যাদের বিতাড়িত করেছিল তারাই এখন ভারত থেকে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এসব চক্রান্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করতে দেশে ফেরানোর দাবি বিএনপির
১৬ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনাকে কটূক্তির মামলায় রাশেদ খানকে অব্যাহতি
ফেসবুক লাইভে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২০০ কেজি ইলিশ জব্দসহ ২২ জেলে আটক
এদিন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। পরে রাশেদের আইনজীবী জাহেদুর রহমান তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে- এমন অভিযোগে ওই বছরের ১ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তদন্ত শেষে রাশেদকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
১ দিন আগে
সাহস থাকলে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন: হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এরকম কথাই বলতেন। সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরে আসুন এবং আদালতে বিচারের মুখোমুখি হোন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা উনার জন্য ভালো হবে। এছাড়া উনার বক্তব্য উনি যে ফিলোসোফিতে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেক আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন। উনি হয়তো সেটাই করবেন।’
রবিবার (২০ অক্টোবর) বার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় নয়। আইনের ব্যাখ্যার কথা যদি বলেন, আমি যতটুকু বুঝি একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন একটি কমপিটেন্ট ট্রাইব্যুনাল।’
তিনি আরও বলেন, সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে দেখতে হবে, যে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানে, বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা যেতে পারে, এটা একটা অপশন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হলো, ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। শেখ হাসিনা যে দেশে আছেন সে দেশের আইনে ইন্টারপোল কাভার করে কি না-তার জুরিসডিকশন কাভার করে কি না-এগুলো বিচার-বিবেচেনা করে ইন্টারপোল তার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনসহ দুটি অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতা হত্যা মামলায় শমসের মবিন কারাগারে
১ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে বলে জানায় প্রসিকিউশন।
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা অপরাধের অভিযোগের বিচারের এখনও চলমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে এই বিচার পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন: চিফ প্রসিকিউটর
৪ দিন আগে
বগুড়ায় শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা
বগুড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বগুড়ার আকাশতারা গ্রামের জেল্লাল ফকিরের ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ. লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
বাদী তার এজাহারে অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আসামিরা শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই বগুড়ার কাঁঠালতলায় আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিয়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলা করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন এবং তার চোখ জখম হয়। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন চিকিৎসার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন বলেন, বাদীর এজাহার মামলা হিসেবে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৬, ৩০৭ ও ১০৯ ধারা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
১ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ. লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের ১২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানায় মামুদপুর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মুজাহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
এ মামলায় আরও ৩শ থেকে ৪শ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১২৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজাহিদুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অংশ নেয়। আন্দোলনের এক মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালালে অন্যান্যদের সঙ্গে তার মেয়েও আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কলেজে ভর্তি করা হয়। এই হামলার পেছনে মূল উস্কানি দাতা হিসেবে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ সপ্তাহ আগে
বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বরিশালে বিএনপির শান্তি মিছিলে হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান রাত সোয়া ১০টায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই সিএন্ডবি রোড চৌমাথায় বিএনপির শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ হামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হয়েছে।
তখন হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলে মামলায় উল্লেখ হয়।
এছাড়াও এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল, টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
১ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নয়া দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে খোঁজ নিলেও তার অবস্থান সরকার নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুসন্ধান করেছি। কেউ আমাদের নিশ্চিত করতে পারেনি।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে তারাও তার(শেখ হাসিনার) সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণের বিষয়ে খবর দেখেছেন।
আরও পড়ুন: সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি(শেখ হাসিনা) সম্ভবত আজমানে আছেন। তবে তারা এটি পুনরায় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেও সফল হননি।
তিনি বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই। এটি তার উপর নির্ভর করছে, তিনি কীভাবে বিষয়গুলো এগিয়ে নেবেন’ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে স্বপ্রণোদিত হয়ে দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন, সংক্ষিপ্ত নোটিশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে পলাতক এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফেরত আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মিশন শুধু বাংলাদেশে আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়। 'এটা বাংলাদেশে একমুখী সফর।'
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেছেন, বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ অবশ্যই ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় যেকোনো দণ্ডিত ব্যক্তির প্রত্যর্পণ চাইবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভারতে থেকে গেলে আমরা তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারি।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানাব।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাড়িতে নকল মদ তৈরির সময় গ্রেপ্তার ৩
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ডিবির একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা প্রকাশ করেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
২ সপ্তাহ আগে