শেখ হাসিনা
নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ বিএনপির
গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী ৮৪৮ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে দলের গুম-খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাউদ্দিন খান পিপিএম ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এই অভিযোগ দাখিল করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের সবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক র্যাবের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এসব হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডা. ফয়েজ হত্যা : হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট ৮৪৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির মতো একটি বড় দলকে নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস করার জন্য এই জঘন্য গণহত্যা করেছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। প্রমাণসহ মোট ৮৪টি মামলা করা হয়েছে।
ওই সব গণহত্যার এজাহারের কপি ও জেলা, মহানগরের বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক এবং আন্দোলনকারী, অংশগ্রহণকারী শহীদদের মোট ৮৪০ জনের তালিকা দেওয়া হলো। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দ্বারা তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে বিচারের জন্য উপস্থাপন করার অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে দেশব্যাপী হওয়া মামলার এজাহার, পত্রিকার ছবি, অডিও-ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তারা হত্যার সঠিক বিচার, ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিএনপি ২০০৮ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দলটির ২ হাজার ২৭৬ জন নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার এবং ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছিল। সেই অভিযোগেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
৬ দিন আগে
জুলাই অভ্যত্থানের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
জুলিই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের 'নিষ্ঠুর শাসনামলের' পতনের মাধ্যমে খুন ও গুমের অবসানের পর জাতিকে 'ঐক্যবদ্ধ' হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের মাঝে সহযোগিতার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সংঘাত কাটিয়ে ওঠার আমাদের ক্ষমতার উপর। ‘আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি আরও ঘোষণা করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করবে।
প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি অভ্যুত্থানের সময় শহীদ ও সাতজন আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের গুম ও খুনের শিকার পরিবার ও নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ও গুমের তদন্ত করা হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ড. ইউনূস সহিংসতা বা রক্তপাত ঘটানোর যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পরিবারগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামবো না।’
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধী তাদের আমরা পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসকল মানুষ অপরাধী নয়, তাদের মানুষ বানাবো। তাদের বলব, ‘ভাই, এ দেশটি আমরা একসঙ্গে গড়ি, এই দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সে স্বপ্ন দেখ। এদেশ আমার একার না, তোমারও এ দেশ। তুমি এদেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছে। আমি তোমারে কষ্ট দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’
৯ দিন আগে
শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট
খুলনার দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায় মুজিববাদের ঠাঁই নাই, জ্বালো-জ্বালো আগুন জ্বালো, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, মুজিববাদের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগানও দেয় উত্তেজিত জনতা।
জানা যায়, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়ার ভৈরব নদের পাশে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গুদাম ও এক কক্ষের ঘরসহ জমি কেনেন। ওই জমিতে নির্মাণ করা হয় পাট গোডাউন, যা বর্তমানে ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এই জমির কথা শেখ হাসিনা নিজেও জানতেন না। ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির কথা জানতে পারেন তিনি।
এই পাট গুদাম দেখাশোনা করতেন শেখ মুজিবের ছোটভাই শেখ আবু নাসের। এছাড়া শেখ মুজিব তার জীবদ্দশায় পাটের গুদাম ও এক কক্ষের আধাপাকা ঘর ছিল সেই জমিতে।
১২ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
গত ছয় মাসে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে তার একটি হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করেছেন।
দ্বিতীয়টি, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে—এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
১৩ দিন আগে
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে ক্রেন
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ক্রেন সামনে ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্র-জনতা সেখানে ক্রেনটি নিয়ে গেছেন। এ সময়ে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তবে রাত ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ক্রেন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেনি। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের। ক্রেনটি এখন বাড়ির সামনে অবস্থান করছে।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
রাত ৮টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে গিয়ে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রথমে ফটক ভেঙে ফেলা হয়। পরে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভবনের তৃতীয় তলার একটি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়িটির দেয়াল ভাঙতে শুরু করা হয়েছে।
১৩ দিন আগে
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
দুদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড এলার্ট জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপরও ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যার্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২৯ দিন আগে
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তার পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।
এছাড়া, নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নারায়াণগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে নারায়াণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
৩৪ দিন আগে
ডা. ফয়েজ হত্যা : হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফয়েজ আহমেদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে র্যাব। হত্যার পর তাকে বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। গভীর রাতে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
অভিযোগ দাখিলের পর এক লিখিত বক্তব্যে হাসানুল বান্না জানান, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডা. ফয়েজ আহমেদের নিজ বাসার ছাদে নিয়ে আঘাত করে, গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
ডা. ফয়েজ আহমেদ অত্যন্ত মানবিক ডা. হিসেবে পরিচিত এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে র্যাবের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের বাসায় এসে লোহার গেট ভেঙে ফেলে ও ভুক্তভোগী ডা. ফয়েজকে নিজের বাসার দোতলার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়।
এই সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা (আসামিরা) বিল্ডিংয়ে ঢুকে সব কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালায়। ডা. ফয়েজ আহমেদকে ছাদে নিয়ে তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার সম্মুখভাগ ও নাকে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদ তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফয়েজ আহমেদের ডান হাঁটুর ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, তাতে ওই স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ফয়েজ আহমেদকে তিনতলার ছাদের ওপর থেকে উপুড় করে (অর্থাৎ মাথা নিচের দিকে দিয়া) বিল্ডিংয়ের সামনের অংশের নিচে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে তার লাশ সদর হাসপাতালে রেখে দিয়ে যায়। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহাম্মদ ছিদ্দিকী, সাবেক এ.ডি.জি র্যাব মে. জে. জিয়াউল আহসান, র্যাব-১১ এর সাবেক সি.ই.ও এবং আলোচিত নারায়নগেঞ্জর সাত খুন মামলার আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদসহ ৪১ জনের নামে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
৩৪ দিন আগে
রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মামলায় আলাদা করে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
জয়কে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় সহায়তায়কারী হিসেবে শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ার) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে, জয়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জি), পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক নুরুল ইসলামও রয়েছেন এই মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় এবং তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইনবিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৬১/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জন রাজউক ও গৃহায়নের কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩৬ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধে নীরব ভারত, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে ভারত আর কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'আপনারা জানেন, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। এর বাইরে এই মুহূর্তে আমার আর কিছু বলার নেই।’
বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রবিবার বলেছেন, তারা শুনেছেন ভারত তাকে ফেরত দেবে না।
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা তাকে ফেরত দেবেন না। আমরা এমনটিই শুনছি।’
নয়া দিল্লির কাছ থেকে জবাব না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সোমবারই কূটনৈতিক চিঠি (নোট ভারবাল) হস্তান্তর করা হয়েছে। '(ভারতের পক্ষ থেকে) কোনো জবাব না এলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাবের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। ‘এই মুহুর্তে, আমরা কোনো মন্তব্য করব না, কারণ আমরা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব।’
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ব্যাপক অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও ভারত ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সেই করেছে। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলে তা এক ধরনের অনুরোধের জন্য একটি আইনি কাঠামোতে পরিণত হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে। যাতে পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করা যায়।
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিশ্চিত করা হবে। ‘এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৬ দিন আগে