মঙ্গলবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আজ বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে হুইল চেয়ারে করে মামলার প্রধান আসামি কারবান্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এজলাস কক্ষে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। এর তিন মিনিট পর এজলাসে ওঠেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জব্দ আলামতের কপি না থাকায় অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি পেছানোর জন্য আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন।
আদালত দুদক ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে সময় মঞ্জুর করে শেষবারের মতো আগামী ১ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। সেই সাথে জব্দ করা আলামতের কপির আবেদন নামঞ্জুর করে।
এদিন জার্মানিতে চিকিৎসাধীন আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে। আর মামলার অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার, নারায়ণগঞ্জ অথবা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবে বলে জানায়।
সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে খালেদা জিয়াকে আদালত কক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায়। এরপর খালেদা জিয়াকে এজলাস কক্ষ থেকে কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন। মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।