দুর্নীতি
দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ আটজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২ এপ্রিল ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। আদালত ৩ মার্চ আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এ সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সচেষ্ট থাকতে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'স্থানীয় সরকার স্মার্ট হবে: সেবার অধিকার নিশ্চিত হবে' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার দিবস -২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুবসমাজের ওপর মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে উসকে দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এই গতিশীলতায় অবদান রাখার জন্য স্থানীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জনপ্রতিনিধিদের তাদের দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা এবং সঠিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী, যাতে জনগণ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি ব-দ্বীপ উল্লেখ করে তিনি নদ-নদী, খাল, নালা, বিল ও হাওরসহ জলাশয় সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা গ্রাম পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাশয় সংরক্ষণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিজস্ব স্থানীয় সংস্থার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাদি জমি রক্ষা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও সেবার প্রতি মনোযোগ দিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা, কিন্তু ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা করা হয়।
তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে এবং স্থানীয় উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো সরবরাহে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ, পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদ্দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান এবং দেশব্যাপী স্থানীয় শাসন ও সেবা প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি দিনের মঞ্চ তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুর্নীতি বলতে আমরা আর্থিক দুর্নীতিকেই বেশি বুঝে থাকি। কিন্তু নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করাও অনেক বড় দুর্নীতি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব’ শীর্ষক এক পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে গেলে স্মার্ট জনপ্রতিনিধি ও স্মার্ট জনগণ দুটোই লাগবে। জনপ্রতিনিধি ও জনগণ তাদের নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের যে পথ-নকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্য অর্জনে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার বলতে শুধুমাত্র বাজেট বা টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা বুঝায় না, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করাও বুঝায়। সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে ধরনের অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই সরকারের লক্ষ্য।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা ও তাদের কাজের মূল্যায়নের উপরও জোর দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের খারাপ বলা উচিত নয়। কারণ, অনেক জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ভালো কাজ করছেন, তাদের সেই ভালো কাজের মূল্যায়নও সমাজে প্রয়োজন।
মন্ত্রী এ সময় শিক্ষিত তরুণ সমাজের রাজনীতিতে আসার প্রয়োজনের কথা বলেন। তা না হলে অযোগ্য লোক সমাজকে নেতৃত্ব দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার- কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আইন দ্বারা এই দুই ব্যবস্থার কাজের পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা রয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে- স্থানীয় সরকার তাদের নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা, তাদের রাজস্ব আয়ের নানা ধরনের উপায় সৃষ্টি করতে পারছে কিনা এবং স্থানীয় মানুষকে তাদের সমস্যার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারছে কিনা।
আরও পড়ুন: পানির সঙ্গে সহাবস্থান নিশ্চিত করেই আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা সাজাতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দুর্নীতি করলে কেউ রেহায় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে দুর্নীতি করি না, আমি থাকাকালীন কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না। এছাড়া দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না।’
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুযোগ-সুবিধাগুলো সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন। তবে আপনারা আস্থা রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সারাজীবন দুর্নীতি করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না। দুর্নীতি আমি মেনে নেব না এবং দুর্নীতি করে কেউ রেহাইও পাবে না।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালীন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, মুজিব কর্নার, শেখ রাসেল কিডস কর্নার ও হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন।
এর আগে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ের শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির আশ্রমে যান এবং আশ্রমে উপস্থিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রার্থনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি ক্রয়সহ কোনো খাতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করব না।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ বার্তা দেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
তিনি বলেন, 'আমাদের যে সম্পদ আছে তা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করব। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকি সবই ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আমাদের তা আরও কমাতে হবে।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। ‘কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা মূল্য নির্ধারণকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সংখ্যক গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, ‘তারাও সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো সহনীয় মূল্যে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত বাজারে যাতে পাওয়া যায়, তাই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
‘এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যান
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন মো. নূরুল হুদা নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ভালো ফল অর্জন সত্বেও নিজে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কাছে হার মেনেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্বর্ণপদকও ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নূরুল হুদা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যানের এই ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল হুদা বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
নূরুল হুদা লালমনিরহাট জেলার মৃত আহর উদ্দীনের ছেলে। তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি হন। এলএলবিতে (সম্মান) সিজিপিএ-৩.৬৫৪ এবং এলএলএমে ৩.৬০৭ অর্জন করেন।
এলএলবি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
নুরুল হুদা জানান, ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করেন তিনি। নিয়োগ বোর্ড বসার আগে বোর্ডের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও বিভাগীয় তৎকালীন সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ করেন। এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া নুরুল হুদার চেয়ে যাদের জিপিএ কম এমন তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি নিয়োগ বোর্ডকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত ইউজিসির তদন্ত কমিটির সামনে ২০২০ সালের ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর উপস্থিত হয়ে আমি ও আমার স্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরি। ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১ ও ২ নম্বর পর্যবেক্ষণে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
দুর্নীতির প্রতিবাদ করব, সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব: ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, দুর্নীতির প্রতিবাদ করব এবং সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার ভূমিকা আগের মতোই থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন।’
কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি বা দুটি নয়। বাংলাদেশে কেউ কাজ করতে চায় না। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে বিবেচনা করেন, তাহলে আমি অনেক কাজ করতে পারব।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ বছর সংসদ সদস্য। আমি যদি খারাপ পারফর্ম করি, মানুষ আমাকে বের করে দেবে।’
পাঁচ বছরের জন্য জনগণ তাকে দায়িত্ব দিয়েছে বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার সুমন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
‘এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও বর্তমানে উন্নতির শিখরে’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উন্নয়ন ও নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ইআরডিএফবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরের ইতিহাসে আর কোনো সরকারের আমলে কখনো এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে ছিলেন- ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সমাজ নির্মিত হয়েছে এদেশের খেটে খাওয়া অসহায় কৃষকের ঘামে ও শ্রমে।
তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ থেকে শিল্পভিত্তিক বাংলাদেশের পথচলা আমাদের নিজেদের ঘামে ও শ্রমে সম্ভব হয়েছে অন্য কারোর দয়ায় নয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এদেশের অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে জনগণের সমর্থন ও সহায়তায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের মধ্যে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা চেয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি
অসাধু ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর লোভ এবং রাতারাতি বড় হয়ে ওঠার চেষ্টা দেশের ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১২টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাবনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় একযোগে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাহাবুদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মিথ্যা তথ্য ও নথির মাধ্যমে ব্যবসায়ী, উৎপাদক ও আমদানিকারকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রণোদনার অপব্যবহার করছে। এ পরিবেশে সৎ ও ভালো ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সরকার সবসময় সৎ ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। সরকারের কাজ হচ্ছে ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। সরকার শুধু সেটাই করতে চায়।
রাষ্ট্রপতি ভারি, মাঝারি, ক্ষুদ্র, কুটির ও উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের মালিকদের হাতে পুরস্কার, ক্রেস্ট, অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
সংশ্লিষ্ট খাতে অসামান্য অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি শিল্প ইউনিটকে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২২' দেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রথম, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে নিতা কোম্পানি লিমিটেড প্রথম এবং নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।
এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে গ্রিন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস নির্বাচিত হয়েছে।
হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রথম এবং সুপার স্টার ইলেকট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বিআইডব্লিউটিএ'র অতিরিক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দুদক
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাতের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (তদন্ত ও তদন্ত-২) হাফিজুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। টিমের আরেক সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার।
বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর দুদকের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক (তদন্ত ও অনুসন্ধান-২) মো. হাফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি জারি করা হয়।
চিঠিতে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আরিফ উদ্দিন ওই সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের দায়িত্বে ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চিঠিতে আরিফ উদ্দিন বিআইডব্লিউটিএতে যোগদানের পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত বেতন-ভাতা এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সংক্রান্ত অফিস আদেশের বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
আরিফ উদ্দিন ও তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইদের নামে ব্যবসা বা শেয়ার রাখার জন্য আবেদন ও অনুমোদনসংক্রান্ত সব রেকর্ড চেয়েছে দুদক।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, চলমান তদন্তের স্বার্থে উপরোক্ত তথ্য চেয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ'র কাছে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ তা দেয়নি। এ কারণে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে একই তথ্য ও নথি চাওয়া হয়।
তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ দুদকে কোনো তথ্য পাঠায়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (প্রশাসন) ওয়াকিল নওয়াজ ইউএনবিকে বলেন, গত মাসের ৩ আগস্ট পাঠানো দুদকের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি তার কার্যালয় (বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়)। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তার অফিস ইতোমধ্যে দ্বিতীয় চিঠি পেয়েছে, যা ৩ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছিল।
চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ কেন দুদককে তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে- জানতে চাইলে ওয়াকিল নেওয়াজ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন এবং খুব শিগগিরই দুদকের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন বলে আশা করছেন।
আরিফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনবিকে বলেন, কয়েক বছর আগে তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর পর কেউ আবার আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এনেছে। দুদক এখন বিষয়টি তদন্ত করছে। দুদকের অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তার অনুসন্ধান অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা