নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় জেলা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার সহকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া (৩৯)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালায় তারা। এসব নাশকতা ও সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: ১২ জন গ্রেপ্তার
এরই ধারাবাহিকতায়, শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা ও ১৫টি মামলার পলাতক আসামি আবু তালেব মাসুম ও তার সহযোগী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশনায় ও মাসুমের পরিকল্পনা রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। মাসুম ২৮ অক্টোবর পল্টনে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে তারা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, মাসুম ও তার অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটির বেশি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার