ছাত্রদল
ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, রাবির সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
ফেসবুকে ৯১ জন ছাত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার ঘটনায় অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মিলনকে শাহ মাখদুম হলের সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাবি শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এ ঘটনায় সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রদল। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল জানিয়েছে, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এ জন্য তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬’ হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা তুহিনার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ মখদুম হলের সহ-সভাপতি এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকে এ আর মিলন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনও জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনিই ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ আর মিলন খানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ হল সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করছে। একইসঙ্গে সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো তার সঙ্গে কোনও প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার জন্য। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানানো হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা সবসময় নারীদের অধিকার আদায়ে ও তাদের সম্মানে বদ্ধপরিকর। নারীদের বুলিংয়ের বিষয়ে ছাত্রদল জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। আমাদেরই এক নারী নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন হল কমিটির এক নেতা। এ নিয়ে তার আমরা তার পদ সাময়িক স্থগিত করি এবং দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’
এর আগে, রাবির ‘জুলাই ৩৬’ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৯১ জন ছাত্রীকে প্রকাশ্যে নোটিশ দিয়ে তলব করেছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ। নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তা প্রত্যাহার করে হল প্রশাসন। এই বিষয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে করা এক পোস্টের কমেন্টে ওই ৯১ জন ছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিক ‘যৌনকর্মী’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন রাবির শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
৯১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল। এটি এবারের ডাকসু নির্বাচনে কোনো প্যানেলের প্রথম ইশতেহার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রদল মনোনিত 'আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ' তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহারে মোট ৬৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমের সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান লিখিত ইশতেহারটি পাঠ করেন। এ সময় প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক, আনন্দময়, বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা, কারিকুলাম ও গবেষণার আধুনিকায়ন, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও শাটল সার্ভিস, হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা, শিক্ষাঋণ ও কর্মসংস্থান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, ডিজিটাল সুবিধা ও সাইবার নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং কার্যকর ডাকসু প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: সাইবার নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রার্থীরা, প্রধান লক্ষ্য নারী প্রার্থীরা
ইশতেহারে আরও রয়েছে— গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দমন–নিপীড়নের মতো চর্চা বন্ধ করে ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বমুক্ত করা, নতুন আবাসিক হল নির্মাণ করে ভর্তির দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য 'একটি সিট ও একটি পড়ার টেবিল' নিশ্চিত করা, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি বৃদ্ধি ও খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি হলে স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট, মেডিকেল সেন্টারে নারী চিকিৎসকের উপস্থিতি, সান্ধ্য আইন বিলোপ ও পোশাকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও ইশতেহারে রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা, জরুরি ওষুধ বিনা মূল্যে সরবরাহের অঙ্গীকারও করা হয়েছে।
কোর্স কারিকুলাম নিয়মিত পর্যালোচনা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশন, নতুন বাস রুট, মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও শিক্ষাঋণ, ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতিও তারা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অলিম্পিয়াড, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ও একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতিও ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৯৮ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল, প্রার্থিতায় নতুনত্ব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে আজ। এরই মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে— ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্যানেল।
এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলগুলোতে এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। শিবিরের ‘ইনক্লুসিভ প্যানেল’র বিপরীতে ছাত্রদল স্থান দিয়েছে তরুণ ও পরীক্ষিতদের। আসন্ন ডাকসুতে শীর্ষ তিন পদ সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ নারী শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, প্যানেলগুলোতে নারী প্রার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।
৯টি প্যানেলের জমজমাট লড়াই
এবাবের ডাকসুতে লড়ছে— গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসালামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা।
পড়ুন: এক নজরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন
নারী নেতৃত্ব
এবারের ডাকসুতে ভিপি পদে লড়ছেন দুইজন নারী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি। এই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষিত না হলেও বর্তমানে ডাকসুর অন্যতম আলোচিত প্রার্থী উমামা।
এদিকে আরেক নারী শিক্ষার্থী ভিপি প্রার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি বামপন্থী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন। এদিকে, ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে জিএস পদে একমাত্র নারী প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন। এ ছাড়াও, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন ও স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহা শারমিন এ্যানি সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্যানেলের সম্পাদক ও সদস্য পদে রয়েছেন একাধিক নারী প্রার্থী।
এদিকে গত বছরের ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী দেয়নি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
শিবিরের ইনক্লুসিভ ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাদিক কায়েমকে ভিপি ও এসএম ফরহাদকে জিএস পদে প্রার্থী করে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই প্যানেলে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান নির্বাচন করবেন।
প্যানেলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, ৪ জন নারী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি।
এই প্যানেলে চমক হিসেবে রয়েছে সর্ব মিত্র চাকমার অন্তর্ভুক্তি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন ৪ নারী শিক্ষার্থী। এই প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা এবং সদস্য পদে সাবিকুন নাহার তামান্না ও আফসানা আক্তার মনোনয়ন পেয়েছেন। প্যানেল থেকে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খান জসিম আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়বেন।
তরুণদের নেত্বত্বে ছাত্রদলের প্যানেল
অবশেষে ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্রদলের ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলটি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সংগঠনটি সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবিদুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শেখ তানভীর বারী হামিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, এজিএস পদে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদকে মনোনয়ন দিয়েছে সংগঠনটি।
পড়ুন: জাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোটগ্রহণ ১১ সেপ্টেম্বর
ছাত্রদলের প্যানেলে সদস্য প্রার্থী হিসেবে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে রেখেছে সংগঠনটি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীর নাম ইবনু আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। এছাড়া, সংগঠনটির প্যানেলে ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়ন পেয়েছেন চিম চিম্যা চাকমা।
প্যানেল ঘোষণার সময়, দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল তুলনামূলক জুনিয়র, নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসমাজের কাছে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনীত করেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে।
প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. আবু বাকের মজুমদার এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন প্রার্থী হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি ঘোষিত হয়।
উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। গত সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। এখনও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষিত না হলেও এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে বাম জোটের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ইতি আফরোজ ইমি, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল।
পড়ুন: ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন
ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’
‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ নাম ও ‘ভোট ফর চেঞ্জ’ স্লোগান সামনে রেখে পুর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলে ভিপি পদে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন এবং এজিএস পদে ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’
ডাকসু নির্বাচনে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত নির্বাচনে সহ-সভাপতি বা ভিপি পদে, সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন।
মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা মাহিন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ প্যানেল ঘোষণা করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ।
এই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. মাহিন সরকার লড়বেন। এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে এই প্যানেল থেকে জিএস পদে প্রার্থী হওয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে নিজের পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানায় এনসিপি।
‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’
এদিকে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন। ছাত্রসংগঠনগুলো হলো— ছাত্র ইউনিয়ন (মাহির–বাহাউদ্দিন), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও ছাত্রলীগ–বিসিএল (জাসদ)। প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা।
‘অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪’ নামের এই প্যানেলে মো. নাইম হাসানকে (হৃদয়) সহসভাপতি (ভিপি), এনামুল হাসান অনয়কে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও অদিতি ইসলামকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।
২৮ পদে প্রার্থী ৫০৯ জন
ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। ডাকসুর ২৮ পদে মোট ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (বুধবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ডাকসুতে ৬৫৮টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫০৯টি এবং ১৪৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি।
পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করব। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে কাজ করছি।’
হল সংসদের বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ১৮টি হলে মোট ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র। জমা হয়নি ৩১৮টি।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। একই দিনে ফলাফলও ঘোষণা করা হবে।
আসন্ন ডাকসুর মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
২৪’র জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী উচ্চশিক্ষার ক্যাম্পাসগুলোতে সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনও করেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ছয় বছর পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে জুলাই আন্দোলনে প্রার্থীদের ভূমিকাও নির্বাচনে এক ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হয়। প্যানেলে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা ইতোমধ্যে দেখা গেছে।
১০৬ দিন আগে
নারীর পর্দা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, সমালোচনার মুখে জবি ছাত্রদল সদস্য সচিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের এক মন্তব্যের উত্তরে তিনি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি মন্তব্যের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘লুঙ্গির তলেও দারুণ পর্দা হয়। আমাদের পর্দায় সমস্যা না, সার্কাসে সমস্যা। বুজিপার পারিচো গেদা।’
আরেফিনের এসব মন্তব্যকে ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে তার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান সাকিব নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই হলো রাজনীতি, ছিঃ মুখে থু!’
আরও পড়ুন: জবির আইইআর ইনস্টিটিউটে র্যাগিং, ১০ দিন পেরোলেও গুরুত্বে নেয়নি পরিচালক
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদীরা এখন কই গেছে? এসব নিয়ে তো তাদের কোনো আওয়াজ দেখছি না। নাকি দাড়িওয়ালা পুরুষ আর হিজাব পরিহিত নারীকে নিয়ে যা খুশি বলা বৈধ? এই কমেন্টের মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে এমন কটূক্তিমূলক কথা বলা জাহেলিয়াতের চরমতম বহির্প্রকাশ। পর্দা করা মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো মুসলিম পরিবারের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে না। নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষের মতো আচরণ একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতার মুখে বেমানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বামদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যারা নিজেকে নব্য ইসলামবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চান, তাদের জানা উচিত, এদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।’
এদিকে, শামসুল আরেফিন এক মন্তব্যে সমালোচনার জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘পর্দার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বক্তব্য ভিসি মহোদয়ের হিপোক্রেসির উপর— একদিকে রাজনীতি প্রমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।’
১১৭ দিন আগে
হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ: উমামার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলে বাম, ডান ও ইসলামীসহ সব দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষকে দেওয়া একটি চিঠিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরা গত বছরের ১৭ জুলাই সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি নিতে সক্ষম হয়েছি যে, হলে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামপন্থি ইত্যাদি) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত এক বছরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের এই চুক্তি বলবৎ ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু সংগঠন গুপ্তভাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার কারণে ৮ আগস্ট ছাত্রদল হলে কমিটি ঘোষণা করেছে। আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করি, তাদের এইসব কার্যকলাপ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া উল্লেখিত চুক্তিকে ভঙ্গ করেছে, যা স্পষ্টত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’
পরবর্তীতে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উমামার উদ্ধৃতিতে বলা হয়, ‘হলে বাম দল ছাড়া সব দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চান উমামা ফাতেমা।’
পড়ুন: হল রাজনীতি নিষিদ্ধের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে: ঢাবি উপাচার্য
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ইউএনবিকে উমামা ফাতেমা বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠসহ অন্যান্য মিডিয়ায় শিরোনাম ও ফটোকার্ডে আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এসব সাংবাদিক নিজের মতো একটা অর্থ বানিয়েছে। কবি সুফিয়া কামাল হলে বামরা কোনো ফ্যাক্টর নয়, আমাদের হলে বাম রাজনীতি করেন এমন কেউ নেই।
বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রভোস্ট স্যারের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে আমরা সুফিয়া কামাল হলে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে লিখে দিয়েছি। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ (বাগছাস) ইত্যাদি, মানে যাবতীয় বাম, ডান, ইসলামিক সব দলের রাজনীতি হলে বন্ধ থাকবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অথচ ছাত্রীসংস্থার লোকজন এর আগেই খসড়া বিবৃতি ছড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রীসংস্থার লোকজন এর আগেও হলে পানির ফিল্টার ও ঝাড়বাতি লাগিয়েছে। ঝাড়বাতি বিষয়ে নাকি প্রক্টর অফিস থেকে ফোন দিয়ে হলে অফিসকে অনুমতি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
‘হল রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সব ধরনের রাজনীতি এনডোর্স করা হচ্ছে,’ বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক এই মুখপাত্র।
তবে উমামার এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী সাকিবুন্নাহার তামান্না। তিনি বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রী সংস্থা এমন কোনো কাজে জড়িত ছিলো না। হলে তো অনেক শিক্ষার্থী আছেন, এখানে ছাত্রী সংস্থার নাম কেন জড়ানো হলো বুঝতে পারছি না।’
একই দিন রাতে মিরর নিউজ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের ফটোকার্ডে উমামার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়, ‘শিবিরকে সব হল কমিটি প্রকাশ করতে হবে এবং ছাত্রদল যে কমিটি প্রকাশ করেছে তা বাতিল করতে হবে।’
পড়ুন: ঢাবির ১৮ হলে আহ্বায়ক কমিটি দিল ছাত্রদল
এই ফটোকার্ডের বিষয়ে উমামা বলেন, আমি বলিনি যে শিবিরকে প্রকাশ করতে হবে। যারা ‘গুপ্ত’ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা তো নিজ থেকে এসে পরিচয় প্রকাশ করবে না। এটি প্রশাসনের দায়িত্ব, প্রশাসনের উচিত এসব শিক্ষার্থীকে আইডেন্টিফাই করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিকে একটি পুনর্মিলনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সবারই অভিযোগ — শিবিরের সমস্যা আমি কেন গুপ্ত রাজনীতির কথা তুললাম, ছাত্রদলের সমস্যা আমি কেন কমিটির কথা বলেছি, আর বামদের সমস্যা আমি কেন হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চাইলাম।
উমামা বলেন, আমি ঠিক করেছি এসবের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি এসব কার্যক্রম ডাকসুর জন্য করছি না, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এসব করছি।
১১৭ দিন আগে
শাহবাগের সমাবেশে দলে দলে জড়ো হচ্ছে ছাত্রদল
বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ছাত্রসমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।
সমাবেশটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা এই সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
শাহবাগ মোড় ও আশপাশের সড়কগুলো এখন ছাত্রদলকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম, যার কারণে ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ছাত্রদল ইতিমধ্যে শাহবাগ মোড়ে একটি বড় মঞ্চ স্থাপন করেছে এবং সমাবেশের জন্য লাউডস্পিকার বসিয়েছে।
স্থানটিতে কয়েকটি প্রজেক্টর ও বড় স্ক্রিনও বসানো হয়েছে। সমাবেশে আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে একটি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশটি শাহবাগে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও তারা শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য পূর্বেই অনুমতি পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: যেসব সড়কে আজ যান চলাচল সীমিত থাকবে
১২৩ দিন আগে
শিক্ষকদের ওপর হামলা: এবার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এবং ভবন তালাবদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় গত ১০ জুলাই থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ঠিক আগমুহূর্তে শিক্ষক সমিতির আহ্বানে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিভাগীয় শিক্ষক ড. কে এ এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জবিতে ছাত্রদলের হামলা, ৩ দবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
আলোচনায় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত তিনটি দাবির সঙ্গে আরও দুটি দাবি সংযুক্ত করে মোট ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো— আগামীকাল ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। যেসব অছাত্র জড়িত, তাদের ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা প্রতিরোধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। রাজনৈতিক ট্যাগ ও অপপ্রচার বন্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে দুঃখ প্রকাশ করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাতের মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাস দেয়। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা দিনের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখেন।
তবে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হবে এবং ভবন তালাবদ্ধ করা হবে। তবে ভবনে অবস্থিত বিভিন্ন বিভাগের চলমান ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয় বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
এদিকে, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ব্যাচভিত্তিক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও সমগ্র ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের ‘রাজনৈতিক ট্যাগ’ দিয়ে মানসিক হয়রানি করেছেন। বিশেষ করে বিভাগের দীর্ঘদিনের শ্রেণি প্রতিনিধি নন্দিনী ঘোষকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে অপপ্রচার চালানোয় শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং এই মিথ্যাচারের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে নিতে হবে বলেও দাবি করেন।
১৪৩ দিন আগে
জবির শিক্ষক-বাগছাস নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলা তদন্তে কমিটি গঠন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দুই শিক্ষকসহ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতার উপর শাখা ছাত্রদলের নেতকর্মীদের হামলার ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন) জনাব এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা।
একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের উপরও হামলা ও মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে আহত অবস্থায় ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
১৪৭ দিন আগে
ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন— ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি জানিয়েছেন, সমাবেশে ঢাকাসহ সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের তরুণ-তরুণীরা অংশ নেবেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে দলের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, সোমবার (২৬ তারিখ) এক সংবাদ সম্মেলনে জিলানি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সমাবেশে তরুণদের বিপুল সমাগম হয়েছে। খুলনা ও বগুড়ায়ও আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতে আমরা সমাজের সব স্তরের তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ঢাকার সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ অংশ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই সমাবেশ সফল করবে। সেখানে ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার-বঞ্চিত যুবকরা গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রধান দাবি উত্থাপন করবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে এই সমাবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল দেশের ১০টি বিভাগের তরুণদের নিয়ে চারটি সেমিনার ও চারটি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
৯ মে তারিখে চট্টগ্রাম থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয় এবং আজ (বুধবার) ঢাকায় তা শেষ হবে। এর মধ্যে খুলনা ও বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ করেছে দল তিনটি।
১৯০ দিন আগে
শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩টার দিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান তারা।
আরও পড়ুন: শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
সাম্য হত্যার বিচার, ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে শাহবাগ মোড়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এর ফলে শাহবাগ এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বৃষ্টির মধ্যে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ে।
অবরোধ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছিরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং অন্যান্য ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রবিবারও একই দাবিতে তারা দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন।
১৯৮ দিন আগে