ছাত্রদল
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ (মঙ্গলবার) থেকে কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সর্বদা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে।’
একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ’ সরকারকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাভিত্তিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদল সভাপতি।
পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ছাত্রদল তাদের পাশে আছে।’
তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আন্দোলনে ছাত্রদল সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ও সম্পৃক্ততা নেই, যাতে কেউ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
রাকিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ছাত্রদল কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না। আমরা চাই এই যৌক্তিক আন্দোলন একটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনুক। আমরাও চাই এই বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হোক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদেরও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, ফৌজদারি অপরাধও বটে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি)। কারণ, তারা মনে করে সীমিত সংখ্যক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লোক ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটার কোনো প্রয়োজন নেই।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলাম। এখন যে আন্দোলন চলছে তাতেও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদলের সমর্থনের কথা জানান নাসির।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল মনে করে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, তার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুব সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রতিহত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে তারা আশাবাদী।
নাছির বলেন, ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি না জানিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে কোটা বাতিল করেছেন।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের রায় তার পক্ষে নিয়ে গেছেন, তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়ও তিনি এখন বিচার বিভাগের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গত ১০ থেকে ১২ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ দিয়েছে।
নাছির বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকার যে গুম ও হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্যও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।
রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা কলেজের সকল নেতাদের আমি বলছি, আপনার কলেজের সহপাঠী আতিকুর রহমান রাসেলকে গুম করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনারাও তার অবস্থান জানতে চাইবেন।’
ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
রাকিব বলেন, কোনো অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল ভয় পায় না। ছাত্রদলের একজন নেতাকর্মীও ভয় পায় না। রাসেলের সন্ধান চাইতে রাস্তায় নামবে ছাত্রদল।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাসেল ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। রাসেলের পরিবারও খুব কঠিন সময় পার করছে।’
রাসেল নিখোঁজের বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেরি না করে রাসেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বকুল।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদারও তার প্রিয় ছেলেকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
রাসেলের বাবা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, 'আমি ১১ দিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলাম কারণ আমি খেতে বা পান করতে পারি না। আমার দুই ছেলে আছে, একজন বিদেশে থাকে, আরেকজন পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে। কিন্তু এখন আমরা তার অবস্থান জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জুন লালবাগ থানায় জিডি করি। কিন্তু এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। আমরা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
সরদার উল্লেখ করেন, ১১ দিন আগে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় রাসেল নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খাচ্ছে জানি না। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি জানি না আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে... রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
আংশিক কমিটি গঠনের প্রায় সাড়ে তিন মাসের পর ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।
আরও পড়ুন: ৪ মহানগর ও কেন্দ্রীয় যুবদল কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিএনপি
নতুন কমিটিতে রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি ও নাসির উদ্দিন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৪১ জনকে সহসভাপতি, একজনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ১১১ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
গত মার্চে রাকিবকে সভাপতি ও নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের সাত সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ-জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ নেতার রদবদল
আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নরসিংদী আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদের জন্মদিন পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে নাহিদকে। এ নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
এ ঘটনার একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ হাজতখানায় আসার পর একাধিক ছাত্রদল নেতা জন্মদিন পালন করতে সেখানে কেক নিয়ে হাজির হন। পরে তারা হাজতখানার ভেতরে বসে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।
এদিকে জন্মদিন পালনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে হাজতখানায় জন্মদিন পালনের বিষয়টি।
নরসিংদী আদালতের হাজতখানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জমান জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে নির্বাচন বর্জনের প্রচারণায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলসহ ১১ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ, হাজী বাহা উদ্দিন নোবেল, মো. জাকির হোসেন, মো. খন্দকার নজরুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. নুরুল আমিন পায়েল, মো. কায়কোবাদ হোসেন কবির, মো. লিটন হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার লিফলেট, পেট্রোলবোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য (গান পাউডার), ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি অবিস্ফোরিত চকলেটবোমা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কে এম মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণে আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানী হত্যা: অভিযুক্ত বাবুসহ ১২ জন রিমান্ডে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা সানোয়ার হোসেন বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা সাংবাদিকদের জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আমিমুল ইহছানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
এর আগে পৌর শহরের সিএন্ডবি মোড় এলাকা থেকে সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমিমুল ইহছান। ওই মামলায় অজ্ঞাতসহ আরও ১০০-১৫০ জন আসামি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান জোবায়ের হিমেল বলেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রতিদিন পুলিশের হাতে নেতা-কর্মীরা আটক হচ্ছে। তার নামে কোন মামলা নেই।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত সাপেক্ষে জানাবো।
শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় জেলা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার সহকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া (৩৯)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালায় তারা। এসব নাশকতা ও সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: ১২ জন গ্রেপ্তার
এরই ধারাবাহিকতায়, শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা ও ১৫টি মামলার পলাতক আসামি আবু তালেব মাসুম ও তার সহযোগী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশনায় ও মাসুমের পরিকল্পনা রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। মাসুম ২৮ অক্টোবর পল্টনে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে তারা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, মাসুম ও তার অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটির বেশি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় তালার সঙ্গে ‘অবরোধ’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য পরে সে তালা নিরাপত্তাকর্মীরা ভেঙে ফেলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
ছাত্রদল চবি শাখা সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিনের নেতৃত্বে সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তালা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় উপস্থিত ছিলেন।
পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, দেশ বাঁচানো, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এ কর্মসূচি পালন করেছে।
আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে সব ধরনের নিপীড়ন প্রতিহত করতে প্রস্তুত। সামনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করব আমরা।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদারের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনিক ভবনে এমনিতেই রাতে তালা দেওয়া থাকে। তারা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য চুপিচুপি এসে ছোট একটা তালা ঝুলিয়ে চলে গেছে। আমাদের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী এসে তা সরিয়ে ফেলে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
‘রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে’ লিখে কুবির প্রধান ফটকে ছাত্রদলের তালা!
বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনুষদের ৯টি গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
যে ৯টি গেটে তালা লাগানো হয়, সেগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের প্রবেশপথে, বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের ফটকে, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদ, কার্জন হলের পেছনের ফটকসহ কয়েকটি একাডেমিক ভবন।
এটি উল্লেখ করা যেতে পারে, দরজাগুলোতে তালা লাগানো হয়েছিল যা প্রায়ই বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: রমনা কালী মন্দির এলাকায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা
তালা লাগানোর পাশাপাশি অবরোধের সঙ্গে সংহতি জানাতে এসব গেটের চারপাশে ব্যানার ও পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
একটি ব্যানারে লেখা ছিল- ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ইউএনবিকে বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গণমানুষকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আওয়ামীপন্থী কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছে। আমরা শিগগিরই ক্যাম্পাসে আরও কর্মসূচি পালন করব।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী