নেতা
খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার নগরের খানজাহান আলী থানার শিরোমণি এলাকার লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ আনসার আলী (৪৩) দিঘলিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বলেন, শুক্রবার তিনি জুমআর নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তার শরীরে পরপর ৩ টি গুলি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত আনসার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হত্যা মামলার আসামি। তিনি দীর্ঘদিন খানজাহান আলী থানার শিরোমণি এলাকায় বসবাস করতেন।
ওসি জানান, নিহতের লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৮২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
খুলনায় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় পদযাত্রায় এসে বিএনপি নেতার মৃত্যু!
চুয়াডাঙ্গায় ১০ দফা দাবিতে শনিবার বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্যে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু।
আরও পড়ুন: সিলেটে অটোরিকশা চালকের লাথিতে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু!
জানা যায়, এদিন বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের সামনে পদযাত্রা চলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দলের নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নৈশপ্রহরীর মৃত্যু
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
৫০ তালগাছে কীটনাশক: আ.লীগ নেতা শাহরিয়ারকে তলব
রাজশাহীর বাগমারার বাইগাছা এলাকায় ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলার জন্য কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহরিয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘৫০ তালগাছে কীটনাশক’ শিরোনামে গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম আলোয় সম্পাদকীয় ছাপা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
বাংলা ভাষায় আদেশ ঘোষণা করেন বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি, যা চলতি বছর ভাষার মাসের প্রথম দিনে প্রথম বাংলায় দেয়া আদেশ।
রুলে ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলতে কীটনাশক প্রয়োগের জন্য কেন শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আদেশে আদালত বলেছেন, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তা যৌথভাবে সরেজমিন তদন্ত করবেন। তাঁরা উল্লেখিত গাছগুলোর ছবিসহ প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করবেন। প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের কপি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বরাবর পাঠাতে বলেছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টেলিফোন ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠাতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
আদেশে আদালত বলেন, খবরের উল্লেখিত ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সবুজ বনায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্যে অঙ্গীকারকে বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিচ্ছি।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়মিত মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই আমাদের মনোযোগের বাইরে থাকে। যেমন পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ও বজ্রপাতে মৃত্যু।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
প্রতিবছর এসব কারণে এত বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। এ নিয়ে সরকার বা নীতিনির্ধারকদেরও বলিষ্ঠ কিছু করতে দেখা যায় না।
নানান সময় প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও সেগুলোর কোনো সুফল মেলেনি, পুরোপুরি ব্যর্থই বলা যায়। বজ্রপাত নিরোধে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করেছেন, কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনাকাটা ও বসানোও হয়েছে।
লাখ লাখ তালবীজ সংগ্রহ ও তালগাছ রোপণের কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু দিন শেষে জনগণের অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই হয়নি। সেখানে সাধারণ মানুষেরাই স্বেচ্ছায় বছরের পর বছর ধরে তালবীজ রোপণ করে বরং বড় ভূমিকা রাখছেন।
এখন সেসব তাল গাছের ওপরও আসছে আঘাত। সম্প্রতি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাইগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় এক দশক আগে স্থানীয় এক বৃদ্ধসহ কয়েকজন ব্যক্তি সড়কের উভয় পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তাল বীজ বপন করেছিলেন।
সেসব তাল গাছ বড় হয়ে এখন ছায়া দিচ্ছে। একটি তাল বীজ গাছ হয়ে উঠতেই সময় লাগে এক দশক বা যুগের বেশি।
ফলে বোঝা যায়, অনেক নিষ্ঠা ও ধৈর্য নিয়ে পরিচর্যা করে তাল গাছগুলো বড় করে তুলেছেন বাইগাছার সেসব উদ্যোগী মানুষ। আর আমরা অবাক হলাম, সেই গাছগুলো নিধনে বাকল তুলে সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন শাহরিয়ার আলম নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রকৃতি ও গাছের প্রতি কী রকম নির্দয় হলে এমন কাজ করা যায়, সেটিই প্রকাশ পায় এ ঘটনায়।
এদিকে তালগাছ নিধনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আলম। সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য প্রথম আলোর প্রতিবেদককে অনুরোধও করেন তিনি।
তাল গাছের ছায়ার কারণে শাহরিয়ারের লাগানো আমগাছ ঠিকমতো বেড়ে উঠছিল না। ফলে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
এমন অমানবিক কাজের জন্য শাহরিয়ার আলমকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এছাড়া বন বিভাগের স্থানীয় দায়িত্বশীলদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, মরতে বসা তাল গাছগুলোকে সারিয়ে তোলার দ্রুত পদক্ষেপ নিন—যোগ করেন হাইকোর্ট।
আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন না।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন সরকারকে পালিয়ে যেতে বলছে। তারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন, সরকার পালানোর কোনো পথ খুঁজে পাবে না, এটা হাস্যকর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
ঐতিহাসিক রাজশাহী মাদরাসা মাঠে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দর্শকদের হাসি ও উল্লাসের মধ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় যাব। তুমি কি আমাদের আশ্রয় দেবে না?
যদি না হয়, ঠাকুরগাঁওয়ে তার একটি বাড়ি আছে এবং আমরা সেই বাড়িতে যাব,
কাদের বলেন, জনরোষ থেকে নিজেদের চামড়া বাঁচাতে বিএনপি নেতাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া লন্ডনে পালানোর আগে তারেক রহমান একটি বন্ডে সই করেছিলেন যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দণ্ডিত পলাতক এখন বিরোধী দলের নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এ দেশে জন্মেছেন এবং এ দেশেই মৃত্যুবরণ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চান।
তা হল অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়া।
আরও পড়ুন: বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরণ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরুর বাড়ির গেটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত দুইটার দিকে ফতুল্লার ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর শাহী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরু বলেন, ‘স্থানীয় সন্ত্রাসী লিমন, ইমরান ও চাঁদ সেলিমের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। রাতের অন্ধকারে তারা সদলবলে তার বাড়ির গেটে তালা মেরে হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নির্বাচনী সভায় তিনটি হাত বোমা বিস্ফোরণ
তিনি জানান, পুলিশ এসে বিস্ফোরিত হাত বোমার আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায় একই সঙ্গে গেইটের তালা ভেঙ্গে অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের কথাও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমার আলামাত সংগ্রহ করেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ভুক্তভোগী মিরু ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ: ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এ এই ঘটনা ঘটে।
রশিদ আহমদ (৩৬) ক্যাম্প-১৫ এর ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা ও হেড মাঝি (নেতা)।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, রাতে তিন জন দুর্বৃত্ত রশিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর ক্যাম্প-১৫ এ অবস্থান করছিলেন।
আহত অবস্থায় তাকে ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওলিউর রহমান বলেন, এমএসএফ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছি। ছুরিকাঘাতে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়া মৃতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
ফরিদপুরে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব (২৭) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রাকিব ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সহ-সভাপতি।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি না দিলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সোমবার (০২ জানুয়ারি) রাতে শোক প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফের যৌথ স্বাক্ষরিত ওই শোক বার্তায় দাবি করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোমবার বিকাল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের এ শোক বার্তার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ফরিদপুরের সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা যায়, রাকিবকে সোমবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ৪২৭৮৩/২৩ সিরিয়ালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বন্ধু পরিচয়ে আবির নামে এক তরুণ এসে ভর্তি করায়। ভর্তির জায়গায় ‘পুলিশ কেস’ সিল মারা ছিল।
ভর্তি করতে এসে আবির জানায়, বমির প্রবণতা থাকায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক নারী কর্মচারী জানান, ভর্তি হওয়ার সময় রাকিবুল আবিরকে বলেছিল, ‘মদের সাথে কি খাওয়ালি আমার বুক ও গলা জ্বলে যাচ্ছে। ’
এর পর থেকে আর আবিরকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আবিরের যে মোবাইল ফোন নম্বরটি দেয়া ছিল তাতে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মেডিকেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বমির কথা বলে রাকিবুলকে ভর্তি করা হলেও তার সমস্যা ছিল অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়া।
তাকে দ্রুত আইসিতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান বলেন, এটি একটি পুলিশ কেস, এ জন্য রাকিবুলের মৃত্যুর পর যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহরিয়ার বলেন, এ মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো তথ্য থানায় নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ ওরফে রিয়ান বলেন, আমার জানামতে রাকিবুল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। অ্যালকোহলজনিত মৃত্যুর ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩১
নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
বরিশালের বাবুগঞ্জে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফা বেগম(৩০) ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মিলন খানের স্ত্রী। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
মিলন খানের ভাই সবুজ খান জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে। মিলন খানের স্ত্রী বাঁধা দিলে তারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। স্ত্রীকে বাঁচাতে মিলন খান এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে মিলন গুরুতর আহত হয়। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত মিলন খানকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) ওয়াহিদুল ইসলাম,বিপিএম।
তিনি জানান,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম)হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রাইভেট না পড়ায় ফেল করানোর অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা
গ্রামে ফিরে যান, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করুন: যুবলীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের গ্রামে গিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘আমি যুবলীগের প্রতিটি কর্মী ও নেতাকে গ্রামে যেতে বলব এবং কোনও জমি যেন অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করুন।’
শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন বাংলাদেশ যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন,ইউক্রেন যুদ্ধ,নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়া উচিত। তাই,আমি এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারিতে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকদের ফসল তুলতে সাহায্য করেছেন।
তিনি যুবলীগ নেতাদেরও নিজের জমি চাষ করতে এবং অন্যদের জমিতে ফসল ফলাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘এখন আমাদেরকেও সেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যুবলীগের সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানান। যাতে তরুণরা এ ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে থাকে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য যুবকদের মধ্যেও এ বিষয়ে এমন মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।’
আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তাদের সমালোচনা করেছেন যারা আগে ভেবেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেছিলেন,‘আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেক মানুষ বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা ভেবেছিল... কিন্তু তাদের মুখে ছাই পড়ে গেছে।’
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলেও এখন অনেক নেতাই অর্থপাচার, লুণ্ঠন ও দুর্নীতির কথা বলছেন।
তিনি বলেন, তারেক জিয়াকে মানি লন্ডারিং মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের নেতা হত্যা, মানি লন্ডারিং, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় অভিযুক্ত তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা শোভনীয় নয়।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনও দেশ এমন কোনও ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় যিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং যিনি ম্যাট্রিক (ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায়) পাশ করতে ব্যর্থ হন। তবে সেদেশটি এগিয়ে যায় না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ধনী দেশগুলো ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে জাতীয় বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা এখন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
তিনি আরও বলেন, কোনও উন্নয়ন না হলে আমরা এত বড় বাজেট কিভাবে রাখতে পারি?
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল তাকে স্বাগত জানান।
এরপর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সমাবেশের সূচনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি একটি বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন করেন এবং সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি লোগো উন্মোচন করেন। পাশাপাশি যুবলীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে সুবর্ণজয়ন্তী ক্রেস্ট এবং বঙ্গবন্ধুর দু’টি পৃথক চিত্রকর্ম প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু, ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন মইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল (৪৪) হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি কুটিকে (২৪) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
কুটি সিলেট নগরের বড়বাজার গোয়াইপাড়া এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কুটিকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। কুটি বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ ছাড়াও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। অভিযুক্ত সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তবে তার দলীয় পদপদবি নেই।
রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত সোয়া আটটায় নগরের আম্বরখানা এলাকায় খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ খুনের পেছনে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। ওই রাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
ভাঙচুরের খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙচুরকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিকে, আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে কতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকালে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি