দরগাহ মহল্লা এলাকার রাজারগল্লিতে ওই ঘরের দরজা ভেঙে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার বাসিন্দা ও এসিআই ওষুধ কোম্পানিতে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রতিবেশী জানায়, শহিদুল ইসলাম প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নগরীর দরগাহ মহল্লা এলাকার রাজারগল্লির ৫৬নং লাইলি হাউসের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও তার ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া ছিলেন। তবে এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তান শহিদুলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান।
আরও পড়ুন: কুতুপালংয়ে ধান ক্ষেত থেকে রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার facebook sharing button
এদিকে, রবিবার কর্মস্থলে না যাওয়াতে এসিআই কোম্পানির লোকজন শহিদুলের ঘরে এসে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে প্রতিবেশী ও এসিআই কোম্পানির লোকজন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশে খবর দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে বিছানার ওপর থেকে শহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে শিশু সদনের পাশ থেকে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার এসআই সাত্তার বলেন, ‘৯৯৯-এ দেয়া কলের ভিত্তিতে এসে আমরা শহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু নাক দিয়ে সামান্য রক্ত বের হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শহিদুল স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে যান এবং ওই সময়ই মৃত্যুবরণ করেন। শহিদুলের মূল বাড়ি জামালপুর জেলায়। স্ত্রী ও স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় দিনমজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৩
এদিকে, সম্প্রতি সিলেট নগরের উত্তর কাজীটুলা এলাকা থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী আল মামুন (২৮) পলাতক রয়েছেন।
নিহত সৈয়দা তামান্না বেগম (১৯) বাবার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদি এলাকায় এবং স্বামী আল মামুনের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানায়। তারা স্বামী-স্ত্রী নগরীর উত্তর কাজীটুলা এলাকার ৪/১ নং বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খড়ের গাদা থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ গৃহবধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে তামান্নার ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখে বাড়িওয়ালা ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেন।