রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী দিনে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়। এতে বিগত দিনে গুম, খুন এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশা, একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমাদেরও প্রত্যাশা, সামনে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা সরকার গঠন করবে—বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব যে রাজনৈতিক দলই পাক না কেন, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অবশ্যই একটি কর্মসূচি থাকতে হবে; সেটি হলো—যারা নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে।’
‘যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠুভাবে এই বিচার করতে হবে। কারণ আমরা যদি আগামী দিনে অন্যায়ের বিচারগুলো করতে না পারি এবং অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যদি না হয়, তাহলে হয়তো-বা দেশে আবারও অন্যায় সংগঠিত হবে।’
বিএনপির এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে অব্যশই রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যে, বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, যাদের বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাগুলোর বিচার অবশ্যই আমরা করব।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
‘আশা রাখবেন, আগামীতে আপনারা হতাশ হবেন না।... আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি, তাহলে এই বাংলায় (নিপীড়নকারীদের) বিচার করতে অবশ্যই আমরা সক্ষম হব।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, তারা তার এই প্রস্তাবে দ্বিমত করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না: মুরাদ
যারা ধর্ম নিয়েন রাজনীতি করে তাদের বিষয়ে আলেম ওলামাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারণকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না।’
রবিবার (১৬ মার্চ) ধামরাইয়ের কালামপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় আলেম ওলামা, ইমাম ও খতিবদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলার ১২০টি কওমি মাদ্রাসা ও সাড়ে ৮০০ মসজিদের ইমাম ও খতিবরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, একটি দল পবিত্র ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে থানায় বিএনপির দুপক্ষের হাতাহাতি
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বিশ্বাস করে, মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শান্তি, ন্যায্যতা, মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুরাদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানূষের অনুভুতির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। বিএনপি শহীদ জিয়ার সেই নীতি ধারণ করে চলেছে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মো. ইলিয়াছ। উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি আশরাফ আলী, কালামপুর উলামা পরিষদের সভাপতি আবু সাঈদ জিহাদি, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা উসমান গণি, মুফতি ইউসুফ বিন সিরাজ, মুফতি মো. রাকিব, মাওলানা আবদুল আলিম, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা ফরহাদ, মো. ইবরাহিম. মুফতি মো. আরিফ প্রমুখ।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের আয়োজনে ইন্সটিটিউটের নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা, ইফতার ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমত হলেও পরস্পর সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।’
দেশে সবার জন্য সব ক্ষেত্রে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
‘এখন একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে গণতন্ত্রহীন দেশ হিসেবে। একেকটি দিন যাচ্ছে যেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই, জনগণের ফিডব্যাক নেই। জনগণের সমর্থন, প্রতিনিধিত্ব, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক অর্ডার (শৃঙ্খলা) ফিরিয়ে আনা যাবে না।’
ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি মনজারে খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সভাপতি প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ।
১ দিন আগে
সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
সংস্কার ও নির্বাচন কীভাবে হবে, জাতিসংঘ সেটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে আগামীতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে, পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামীর নির্বাচন।’
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকে বিএনপির হয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফে বলা হয়েছে যে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার… আপনারা বসে রিফর্ম (সংস্কার) কী করবেন, সেটা ঠিক করেন এবং নির্বাচন যা হবে, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী হবে। বাংলাদেশে যেন একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে—এটা তিনি আশা করেছেন।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখানে (বৈঠকে) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ছিলেন। মূলত এখানে যে সংস্কারের ব্যাপারগুলো, যেগুলো নিয়ে কমিশনগুলো করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা আমাদের আগের বক্তব্যই তুলে ধরেছি।’
‘আমরা একই কথা বলেছি আমরা। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি, সেই সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনী সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এরপর সংসদ গঠনের মাধ্যমে বাকি সংস্কারগুলো করা যাবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া—এটাই আমরা বলে এসেছি।’
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সময়সীমার কথা আপনারা বলেছেন কি না—প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওখানে টাইমফ্রেম নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নাই। কারণ এটা তো আমাদের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
‘আমরা সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা যা চাচ্ছে আমরা সব দিয়ে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা আমাদের টাইম ফ্রেমটা দিতে যাব কেন?’
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াসিন
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস প্রমুখ।
১ দিন আগে
জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে বিলম্ব করা চলবে না: ড. আসাদুজ্জামান
বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে কোনোভাবেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে দেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে কোনোভাবেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করা চলবে না, আর এটা আমরা হতেও দেব না।’
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ ইসলামের সভাপতিত্বে শনিবার (১৫ মার্চ) ফরিদপুরে বিএনপির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রিপন বলেন, কেউ কেউ বলছেন দেশে একটি গণপরিষদ হবে, গণপরিষদ করার দায়িত্ব কে দিয়েছে তাদের।
তিনি আরও বলেন, সংস্করের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার সুযোগ নেই। দেশি ও বিদেশি নানান ষড়যন্ত্র চলছে। অনির্বাচিত সরকার এদেশে মাথা গোজার চেষ্টা করছে—সেটা বিএনপি করতে দেবে না এদেশে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বলব সংস্কার বা গণপরিষদের নামে কোনো কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব এদেশে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে আছিয়া হত্যার বিচার-রায় কার্যকর দেখতে চাই: ডা. শফিকুর
তিনি আরও বলেন, হাসিনা গত ১৬ বছর ভোট করেনি বলেই বিদায় নিতে হয়েছে এভাবে, পালাতে হয়েছে তাকে। দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর যাতে ফিরিয়ে না আসে সে জন্য দরকার একটি সুন্দর নির্বাচন।
নেতা কর্মীর উদ্দেশে রিপন বলেন, দখল বাণিজ্য তখনই আসে যখন গণতন্ত্র থাকে না দেশে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। মানুষের ভালোবাসা না পেলে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়—এমন কাজ করা থেকে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপি নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা, বিএনপি নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মো. আজম খান, রশিদুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
বিএনপির বিশেষ এই বর্ধিত সভায় ফরিদপুর জেলা সহ বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলার দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ এবং ভুক্তভোগীদের জন্য আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে সারা দেশে সেল গঠন করেছে বিএনপি। দলটির ৮৪টি সাংগঠনিক জেলায় ‘নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেল’ নামের এই সেলগুলো কাজ করবে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে চরম ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি কোনোমতেই দেশবাসী মেনে নিতে পারছে না। বর্তমান শাসনকালে মানুষের প্রত্যাশা ছিল তৃণমূলে অতি দ্রুত আইনের শাসন বলবৎ হবে। কিন্তু প্রশাসনের শ্লথ ও ঢিলেঢালা আচরণের কারণে সমাজে দুষ্কৃতকারীরা নানাভাবেই আশকারা পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর দুঃশাসনে আমাদের অতি পরিচিত শান্তি ও সুস্থময় পরিপার্শ্বকে বিকৃত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের বাংলাদেশের সামাজিক সংহতিকে বিনষ্ট করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে সমাজকে পচা গলিত দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘অন্যের জমি দখল, লুট, টাকা পাচারের মহোৎসবের মধ্য দিয়ে নিজের সিংহাসন অটল রাখতে সব ধরনের নোংরামিকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার শাসনের সমসময়ে হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নারী, শিশু নির্যাতন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, রাষ্ট্র ও সমাজের এমনই বিস্তার ঘটানো হয়েছিল যাতে সভ্য, শিষ্ট, সজ্জন মানুষের বসবাস করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষকে লাঞ্ছিত করতে, দুর্দশায় ফেলতে তারা কোনো দ্বিধা করত না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীকে অবমাননা, অতিকথন ও অপপ্রচারের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল।’
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াসিন
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিগত সরকারের শাসনামলে যাবতীয় ভয়, হুমকি ও দুর্বিপাকের মধ্যেও দেশের নাগরিকবৃন্দকে জীবন-যাপন করতে হয়েছে। সেই রেশ ধরেই এখনো নারী-শিশু নির্যাতনকারীরা যেন সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে আছে। মাগুরায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণ করার পর কয়েক দিন চিকিৎসারত থেকে তার মৃত্যুবরণ সারা জাতিকে বিমূঢ় বেদনায় বেদনার্ত করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারা জাতির চোখ অশ্রুসজল। দীর্ঘ আওয়ামী দুঃশাসনে মানবিকতা, নৈতিকতা, ন্যায্যতা, ন্যায় বিচার অদৃশ্য করা হয়েছে। অপকর্মকারীরা অধিকাংশই ছিল শেখ হাসিনার দলের লোক। কারণ এরা জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাকেই বড় করে দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সমবেত ধ্বনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটি যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পেতে থাকবে। আইনের শাসনের শক্ত কাঠামো তৈরি করা হলেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’
‘প্রশাসন যোগ্য, দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও মানবিক না হলে সমাজে অন্যায়-অবিচার এবং খুন, জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকোপ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
তাই অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন বলবৎ করে সমাজে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ধর্ষণে নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অতি দ্রুত নিশ্চিত করা হোক। আমি শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তার পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে 'কৃত্রিম বিভাজন' সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে ইফতারে বসেছি। আমরা সবাই মিলে এই মুহূর্তটা উপভোগ করছি। আমরা যদি এভাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজ করি তাহলে সমস্যা কোথায়?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনে অন্যান্য দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে তাদের দল কোনো সমস্যা দেখছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কৃত্রিম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অভিযোগ ছুঁড়ে দিচ্ছে—এটা ঠিক নয়। এভাবে চলতে থাকলে ৫ আগস্ট আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি— তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিগত বছরগুলোতে এ ধরনের সমাবেশ ঘিরে স্বাভাবিক আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা এখন আর নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর, তার আগের বছর, এমনকি তার আগের বছরও আমরা উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই আশঙ্কা কেটে গেছে। এখন কোনো নিপীড়ন নেই এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাব। ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এ অবস্থা অর্জন করেছি। সেই অর্জনের সুফল আমরা ভোগ করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতার মাহফিলে তারা যেমন একসঙ্গে বসেছেন, তেমনি নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকার গঠনসহ ভবিষ্যতের সব কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
তিনি একটি উন্নত দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন ঘৃণা, হিংসা এবং ঈর্ষা কখনই জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে ৫ আগস্টের ত্যাগ ও সংগ্রাম যেন অর্থহীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে নিজ নিজ বিবেকের কাছে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, আলাপ-প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। আমরা ও দেশের জনগণ আশা করছি, সরকার শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা তাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন এবং তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একটি বিষয়ে স্পষ্টতা চাই- প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
৩ দিন আগে
মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারী দানবদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শিশুটির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের পাঠানো এক শোকবার্তায় এই দাবি জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, 'মাগুরায় একটি নিষ্পাপ শিশুকে কয়েকজন দানবের নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হলো।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শরীরের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে সে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সে লজ্জা ও অশ্রুতে ডুবিয়ে গেছেন আমাদের, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
মির্জা ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে এই 'দানবদের' দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
ছোট্ট শিশুটি মাগুরায় বড় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মারা যায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান ওই শিশুটি।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে মাগুরা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং পরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আর নেই
৩ দিন আগে
বিএনপির নতুন ভাইস-চেয়ারম্যান নার্গিস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াসিন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নার্গিস বেগম ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসিন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা যৌক্তিক: মির্জা আব্বাস
এতে বলা হয়, আজ (বুধবার) জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মিসেস নার্গিস বেগমকে এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসিনকে মনোনীত করা হয়েছে।
দলটির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, চলমান সাংগঠনিক পুনর্গঠনে এই দুই নেতাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে
নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা যৌক্তিক: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সংস্কারের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পেছানো হতে পারে বলে জনমনে যে ধারণার জন্ম হয়েছে তা ভিত্তিহীন নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের সংস্কার প্রস্তাবে আমি নতুন কিছু পাইনি, যা ইতোমধ্যে আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুতরাং সংস্কার ইস্যুকে নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতির ধারণা ভিত্তিহীন নয়।’
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব নিয়ে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সংশোধন করে সরকার সংস্কার উদ্যোগ সম্পন্ন করতে পারে এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
তিনি বলেন, 'সরকার এমনকি আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব সংশোধন করে জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাও দিতে পারে। সরকার বলেছে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কিন্তু অহেতুক বিলম্বের কারণ বুঝতে পারছি না।’
সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দেওয়ায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলেরও সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের তাজা রক্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন যখন ভোটের সময় এসেছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তাই করেছে। তিনি বলেন, 'আপনারা (কিছু রাজনৈতিক দল) কি একই কথা ভাবেন? এই বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই বাংলাদেশ জনগণের। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলুন, যাতে কোনো হিসাব-নিকাশ না করেই আমাদের কথা বলতে না হয়।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু লোভী রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, কোনো বাস্তব কারণে নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ভারত ভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। তারা যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
মির্জা আব্বাস বলেন, কোনো দল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’
তিনি বলেন, যারা দাবি করে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, তাদের ব্যাখ্যা করা উচিত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাদের কতজন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, এক মাসে আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আপনাদের কতজন শহীদ হয়েছে?’
বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের চেয়ে বেশি তুলে ধররা সাংবাদিকদের একটি অংশের সমালোচনাও করেন দলটির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দল, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবাররা সমন্বিতভাবে দলের বদনাম করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ‘আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এগুলোকে প্রতিহত করা।’
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, 'তারা (অপরাধীরা) অন্যায় করে, চাঁদাবাজি করে, অপকর্ম করে, তারপর এর জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে। কথায় বা কাজের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এখন বিএনপি-জামায়াতসহ সব দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ‘এই চাঁদাবাজরা কমবেশি সব দলেই অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে হয় দল থেকে বহিষ্কার করুন অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিতে দুর্বৃত্ত, অপরাধী ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, বিএনপিতে খারাপ লোকের কোনো স্থান হবে না—এটা মনে রাখবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
৪ দিন আগে