রাজনীতি
কাতার নয়, খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে: দূতাবাস
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে। এর আগে কাতার থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা ছিলো। তবে শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব না হওয়ায় এখন কাতারের আমিরের সহযোগিতায় জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকাস্থ কাতারের দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জার্মানি থেকে কাতারের সহযোগিতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে।’
তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছানোর সময় নিশ্চিত করেননি তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কখন ব্যবহার করা হবে, এ সিদ্ধান্ত বিএনপির উপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
২ ঘণ্টা আগে
গজারিয়ায় মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি গাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের মধ্যে স্বাধীন (২৮) ও সাইদুল (২৫)-এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতরা—শিরিনা বেগম (৪৬), দেলোয়ার (৪৯), মোস্তফা (৪৮), সুজন (২৩), আসিফ মীর (১৯) ও নয়ন (২৬)—স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় সারা দেশের ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন। মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কয়েকজন দোকানি জানান, বিকেল ৫টার দিকে মহিউদ্দিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাহারা মার্কেট এলাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের অফিসের সামনে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অপরদিকে উপজেলা যুবদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম আহমেদ ও হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মমিন মৃধার নেতৃত্বে কামরুজ্জামান রতনের সমর্থকরা সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
আলী হোসেন অভিযোগ করেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, ৬-৭ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।’
অন্যদিকে মমিন মৃধা দাবি করেন, ‘কামরুজ্জামান রতন ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন, তাই গজারিয়ার মানুষ আনন্দিত। আমরা আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় আলী হোসেনের অফিস থেকে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আমরা প্রতিহত করি।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মাসুদ ফারুক বলেন, ‘এটা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নয়। রতন ভাইয়ের মনোনয়ন পেয়ে সাধারণ মানুষ আনন্দ করেছে, আর তারা আওয়ামী দোসরদের প্রতিহত করেছে।’
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা ব্যারিকেট দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর সেতু বিকেলে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা বন্ধ করে রাখে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমে দেশি-বিদেশি চিকিসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আলোকে, সবকিছু ঠিক থাকলে আজকে মধ্যরাতে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে কাতার রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমরা লন্ডনে একটি নির্ধারিত হাসপাতাল ঠিক করেছি, সেখানে ইনশাআল্লাহ আমরা উনাকে নিয়ে যাব।
যুক্তরাজ্য গমনকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং দেশের বাইরের দুজন চিকিৎসক থাকবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিমানে যাত্রাপথে সৃষ্ট যেকোনো প্রতিকূলতার মধ্যে যাতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে মেডিকেল বোর্ডে সদস্য হিসেবে আরও চিকিৎসকরা তার সঙ্গে থাকবেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী কারা হবেন, তার তালিকার একটি কপি ইউএনবির হাতে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা ওই তালিকা থেকে জানা গেছে, চিকিৎসকসহ মোট ১৪ জনের একটি দল খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী। পাঁচজন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ আল মামুন।
এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্য হিসেবে থাকবে দুজন— হাসান শাহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিন মাহফুজ। আরও থাকবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদার রহমান এবং দুই গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারেন, তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাহিদ।
১ দিন আগে
মধ্যরাতে বা কাল সকালে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমে দেশি-বিদেশি চিকিসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আলোকে, সবকিছু ঠিক থাকলে আজকে মধ্যরাতে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে কাতার রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমরা লন্ডনে একটি নির্ধারিত হাসপাতাল ঠিক করেছি, সেখানে ইনশাআল্লাহ আমরা উনাকে নিয়ে যাব।
১ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপির দোয়া ও প্রার্থনা সভা শুক্রবার
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, ‘মহান দেশপ্রেমিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় আগামীকাল শুক্রবার প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিল, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা হবে। প্রতিটি মসজিদে মসজিদে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত হবে।’
তিনি বলেন, অসংখ্য নির্যাতনের মধ্যেও যার অটল মনোভাবকে দমানো যায়নি, তার নাম খালেদা জিয়া। তাকে নির্যাতন করে অসুস্থ করা হয়েছে। দেশবাসী দোয়া করছেন, তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচি ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং এতে ভার্চু্য়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, যখন ফিরে আসার, সেই সময়েই তিনি ফিরে আসবেন। তার মায়ের চিকিৎসা নিয়ে তিনি (তারেক রহমান) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সেই চিকিৎসা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, অনেক বিষয় রয়েছে। তিনি পরিবারেরও জ্যেষ্ঠ সন্তান। দেশ, মানুষ, রাজনীতি—সবকিছু চিন্তা করেই উপযুক্ত সময়ে তিনি (দেশে ফেরার) সিদ্ধান্ত নেবেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, তার অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
১ দিন আগে
নির্বাচন সামনে রেখে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ তথ্য সচিবের
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়াতে জেলা পর্যায়ে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রচার কৌশল নিবিড় ও জনস্পর্শী হতে হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জুম প্ল্যাটফর্মে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সভা আয়োজিত হয়।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৬৮ অফিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
তথ্য সচিব বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, এ নির্বাচনে অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে ইউনিক ও অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। জেলা তথ্য অফিসগুলো ইনটেন্সিভ পাবলিসিটি বা জনমত গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আজ থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার জন্য জেলা তথ্য অফিসারদের নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বা গ্রাম লেভেল পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে অবহিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে তথ্য অফিসাররা এ চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। এছাড়া গুজব ও ফ্যাক্ট চেকিং-এর জন্য পিআইবি'র নেতৃত্বে ‘বাংলা ফ্যাক্ট’-এর সঙ্গে তথ্য অফিসারদের সংযোগ স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তথ্য অফিসারদের একটি ইনোভেটিভ টিম হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন সচিব। একই সাথে তারা জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল জলিল বলেন, প্রচার কাজে অধিদপ্তরের ১০২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে ৩৪টি গান প্রস্তুত করা হয়েছে।
এগুলো আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশন করা হবে। গ্রামের হাট-বাজারে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি প্রদর্শন করা হবে। ভোট দিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রচার আরও আধুনিক ও হৃদয়গ্রাহী করা হচ্ছে। গণমুখী প্রচার কৌশলের ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং হ্যাঁ/না ভোটে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, যুগ্ম সচিব মাহফুজা আখতার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এবং সৈয়দ এ. মু’মেন বক্তব্য রাখেন।
১ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করল সরকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
৩ দিন আগে
খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন, গুজবে কান দেবেন না: ডা. জাহিদ
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া। অথবা বলা যায়, তিনি চিকিৎসা মেনটেইন করতে পারছেন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আজকে যুক্তরাজ্য থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ আসবেন। তারা দেখবেন। দেখার পর তিনি যদি ট্রান্সফারেবল হয়, যদি ট্রান্সফারের প্রয়োজন পড়ে, যদি মেডিকেল বোর্ড মনে করে, তখন তাকে যথাযথভাবে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, আপনাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং সেই সঙ্গে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে (খালেদা জিয়ার) পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কীভাবে তথ্য দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
সবার সহযোগিতা ছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে না উল্লেখ করে তিনি আবারও সবাইকে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকল ধর্মের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তার নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবশেষ গেল রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
৩ দিন আগে
দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি: তারেক রহমান
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশ-বিদেশের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
তারেক রহমান লিখেছেন, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।
তিনি আরও লিখেছেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তার নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবশেষ গেল রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। একইসঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৩ দিন আগে
ভেন্টিলেশন সাপোর্টে খালেদা জিয়া: আযম খান
শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রবিবার রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিং করে তিনি এ কথা জানান।
আযম খান বলেন, বেগম জিয়ার অবস্থা আবারও ক্রিটিক্যাল (সংকটজনক), গতকাল (রবিবার) রাত থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে। ফাইট (যুদ্ধ) করছেন তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য। এখনো অবস্থা ক্রিটিক্যাল আছে। বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে এখনো তিনি আসেন নাই। সারা জাতির কাছে দোয়া চাই, ম্যাডাম যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘বলা যায়, উনি (খালেদা জিয়া) ডিপ কন্ডিশনে। ডিপ কন্ডিশনের ব্যাখ্যাটা আমি দিতে চাই না। এটাকে আপনারা ভেন্টিলেশনে বলতে পারেন, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনেও বলতে পারেন। এই মুহূর্তে সারা জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলা নেই।’
‘ডাক্তাররা ক্লান্তিহীনভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর আগে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের ডাক্তাররা চিকিৎসায় ছিলেন। এখন চীনের ডাক্তাররাও ইনভলভ (যুক্ত) হয়েছেন। বাদবাকি আল্লাহ ভরসা।’
খালেদা জিয়া এখন সিসিইউ নাকি আইসিইউতে আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন—যা-ই বলি না কেন, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।’
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। একইসঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর পর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
৪ দিন আগে