বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মো. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
নতুন উপাচার্য মো. আবু তাহেরের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।
আরও পড়ুন: চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চবি সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী সম্পন্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রক্টরের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মোরশেদুল আলম ও অরূপ বড়ুয়া।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
পদত্যাগপত্রে ড. মোরশেদুল আলম উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষকের পদ ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একইদিন চবির পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া সহকারী প্রক্টর পদ এবং চাকসু কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি রবিবার সকালেই।’
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৯ জন শিক্ষক একযোগে গণপদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের যাত্রার শুরুতে কেন স্নাতক পর্যায়ের কোর্স পরিচালনা করছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, জেলাগুলোয় (যেসব জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছে) ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের তারা স্নাতক কোর্সগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যেতো একটা চ্যালেজিং টাইম। একটি ফুল সেটআপ নিয়ে সেখান থেকে রিসার্স ডেভেলাপম্যান্ট করুক।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগলোকে রেস্পেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পরামর্শ দেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন-ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে, তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজর অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময়তো করত। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখনতো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়ত চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি।’
৭ কলেজের মানে উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেনো করতে পারবে না, প্রশ্ন করেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষান্ত্রী বলেন, সে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে আছে, সে সমস্ত জেলাগুলোয় যে সরকারি কলেজগুলো আছে, তাদের অ্যাক্যাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করবে।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার এবং বিষণ্ণতার প্রভাবকসমূহ নিরূপণের বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘Prevalence of depression and its associated factors among undergraduate admission candidates in Bangladesh: Anation-wide cross-sectional study’ শিরোনামে একদল গবেষক বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ২০২১-২২ এইচএসসি সেশনের প্রায় ৫ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।
এ জরিপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ৩টি ক্যাটাগরিতে বিষণ্ণতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি কিউ-১ জার্নাল প্লস ওয়ান জি (ইম্পেক্ট ফ্যাক্টর: ৩.৭, ২০২২) এ গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ ভর্তি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এর মধ্যে মাঝারি বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ, অত্যধিক বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ এবং ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী মারাত্মক পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
তিনি বলেন, বিষণ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস, উভয় পক্ষেই প্রভাবক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বিষণ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে লিঙ্গ, ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার, পারিবারিক সমস্যা, গুরুতর অসুস্থতা, কোভিড আক্রান্ত, প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল, মানসিক সমস্যা।
অন্যদিকে, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস, শরীরচর্চা, পড়াশুনার সময়, ধর্মচর্চা, বিষণ্ণতা হ্রাস করতে ভুমিকা পালন করে। পারিবারিক আয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বিষণ্ণতার প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হলেও এদের প্রভাব খুব জোরালো নয়।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিষণ্ণতার সঙ্গে ধুমপানের অভ্যাস, বৈবাহিক অবস্থা, প্রেমের সম্পর্ক ও ধর্মবিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উঠে এসেছে এই গবেষনায়।
এ গবেষণার আরেক গবেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক প্রায় দ্বিগুণ। খুব সম্প্রতি কোনো প্রকার ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হওয়া এবং পারিবারিক সমস্যায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক যথাক্রমে ২ গুণ এবং ৩ গুণ।’
আরও পড়ুন: গবেষণায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এমএলএলডব্লিউএস’র চুক্তি
অপরদিকে, যাদের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ আছে তাদের মাঝে বিষণ্ণতার হার অধিক এবং ঝোঁক প্রায় দেড়গুণ। তবে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন এবং নিয়মিত শরীরচর্চাকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার তুলনামূলক কম এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝোঁক যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ এবং ২ গুণ কম।
বিষণ্ণতা হ্রাস করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সৎসঙ্গ এবং উত্তম পারিবারিক পরিবেশ ও বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে শরীরচর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শুধু দৈহিক সুস্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। শুধু ভালো একাডেমিক ফলাফল নয়, দৈহিক ও মানসিকভাবে বলিষ্ঠ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
গবেষণাটিতে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাফিউল হাসান ও আল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনমুন সরকার, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিলাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আখের আলী, চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় গাজীপুরের বশেমুরকৃবি
দেশের দ্বিতীয় সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় স্থান পেয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)।
সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াক কোয়ারেলি সায়মন্ডসে (কিউএস) বিশ্বসেরা টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র্যাংকিং-২০২৪’-এ তথ্য জানা যায়।
বশেমুরকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ড. আবু হাদী মো. আসাদুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৪’- শিরোনামে বিশ্বের টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং প্রকাশ করেছে কিউএস।
তালিকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) অবস্থান। এরপর আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক ও পরিবেশগত ইম্প্যাক্ট সূচকে শীর্ষ ১ হাজার এবং প্রশাসনিক দক্ষতা সূচকে শীর্ষ ৬৭২তম অবস্থানে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় অবস্থান করছে বশেমুরকৃবি (এশিয়াতে অবস্থান ৩৯০তম), যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।’
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া টাইমস হায়ার এডুকেশন- ২০২৩ র্যাংকিংয়েও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দু’বার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ সিমাগো র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান এবং ইউজিসি প্রণীত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা তৃতীয়বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর নতুন এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও মর্যাদাকে আরও সমুন্নীত ও সূদৃঢ় করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অসামান্য অর্জনের জন্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে, বিশেষ করে র্যাংকিং নিয়ে গঠিত বশেমুরকৃবি প্রমোশনাল টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
তিনি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি আরও সমুন্নত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে: ইউজিসি
উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রফেসর ইউনূসকে এই উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেন এবং তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। এর একাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
গত বছর প্রফেসর ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি ‘তিন শূন্য’ অর্থাৎ শূন্য নীট কার্বন নিঃস্বরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসা-ভিত্তিক একটি নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের তুলে ধরেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড একটি পরামর্শ-কেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষামূলক কমিটির মতো কাজ করবে যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো, বিষয়বস্তুভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য একাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া প্রিখোদকো, এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব রাশিয়ার সার্ভিস ফর দ্য প্রটেকশন অব ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস টু কনজ্যুমারস এন্ড মাইনরিটি শেয়ারহোল্ডারস এর প্রধান মিখাইল মামুতা।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই সভায় ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এন্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের এবং ইনস্টিটিউট অব ফার ইস্টার্ণ স্টাডিজ অব দ্য রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস এর পরিচালক ভাষাতত্ত্ব বিজ্ঞানে ডক্টরেট অধ্যাপক কিরিল বাবায়েভকে,আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সেক্রেটারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়াও সভায় অংশগ্রহণকারীরা ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি ও ইউনূস সেন্টারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভ টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক উন্নয়নের গ্যারান্টি হিসেবে সামাজিক ব্যবসার ধারণার প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
শিক্ষা ও গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) সেবা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউজিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিডিরেনের সেবা গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’- শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিডিরেন বিশ্বমানের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। এসব সেবাদানে বিডিরেন পেশাদারিত্ব বজায় রাখছে এবং ইউজিসির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে।
শিক্ষা ও গবেষণা এগিয়ে নিতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বিডিরেনের সেবা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি করোনাকালীন জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের জন্য বিডিরেনের সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ইউজিসি পরিচালক ওমর ফারুখ বিডিরেনের গুণগত সেবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সিইও বিডিরেনকে আহ্বান জানান।
এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা উপকৃত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিডিরেনের সেবা গ্রহণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনলাইনে পাঠদান করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
বিডিরেনের সিইও মোহাম্মদ তৌরিত বলেন, ‘রিসার্চ হ্যাভেন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিডিরেন এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে তারা নেটওয়ার্ক, ডেটা, হোস্টিং আইডেনটিটিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে।
ইউজিসির সহযোগিতায় বিডিরেনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিডিরেনের নেটওয়ার্কে নিজস্ব অর্থায়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্প্রসারণ করতে বিডিরেন কাজ করছে।
কর্মশালায় বিডিরেনের সিটিও এখলাস উদ্দিন আহমেদ বিডিরেন ট্রাস্টের কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।
ঢাকার ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, আইটি পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড় থেকে সাবেক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাহাড় থেকে মনির আহমেদ (৭৫) নামে সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের পেছনের পাহাড়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মৃত মনির আহমেদ চবির সাবেক নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।
জানা যায়, একই অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ রুদ্র প্রথমে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে সবাইকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে তিনি সেখানে বাঁশ কাটতে গিয়েছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি এখনও।
অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ রুদ্র বলেন, আমি অনুষদের পানির মোটর ছেড়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ঝোপ ফাঁকা। রাস্তা হয়ে আছে। তখন আমি একটু সামনে এগিয়ে আসতেই দেখি একজনের পা দেখা যাচ্ছে। পরে আমার সহকর্মী কাজল রুদ্রকে ডেকে আনি। লাশটাকে দেখতে মনির ভাইয়ের মতো লাগল, তাই আমরা ছবি তুলে ওনার মেয়েকে দেখাই। ছবি দেখে বাবাকে শনাক্ত করেন মেয়ে।
মৃত মনির আহমদের ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রহরী মো. তারেক মিয়া বলেন, আসরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। বাবার লাশ পাওয়া গেছে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ বাসায় জানিয়েছে। পরে আমি এসে বাবার লাশ দেখতে পাই।
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাটহাজারী থানা থেকে লোক এসে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ নিয়ে গেছে। পাহাড়ে তার লাশ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পোস্টমর্টেম না হলে তো কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ তুলতে এসে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
বগুড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপত্র তুলতে এসে বাস চাপায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী ফাইয়াদ আলম (২৭) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার লস্করীপাড়ার জহুরুল আলমের ছেলে। তিনি বগুড়ার পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কয়েকদিন আগে পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চিকিৎসকের
স্থানীয়রা জানান, ফাইয়াদ আলম শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে তিনি বের হয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
মহাসড়কে বগুড়ার বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় পৌঁছালে গাইবান্ধা থেকে বগুড়াগামী যাত্রীবাহী একটি বাস পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বাসচালক কিছুদূরে গিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস রেখে পালিয়ে যান।
হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাস এবং মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ কর্মীর
সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের ৮/১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানায়, খাবারের দোকানে বিজয় গ্রুপের অনুসারী মাহির চৌধুরীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সিক্সটি নাইনের অনুসারী আজমিরের। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
এ ঘটনার পর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সিক্সটি নাইনের অনুসারী আকিব জাবেদ বলেন, নজরুল ভাইয়ের হোটেলে খেতে গিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিজেদের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করছি৷
বিজয়ের অনুসারী সিয়াম বলেন, আমাদের এক কর্মী নজরুল ভাইয়ের দোকানে খেতে এলে আজমির নামে তাদের এক কর্মী ডাল ফেলে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আমরা ঘটনা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, খাবার হোটেল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আহত হওয়ার কোনো খবর পাইনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত ১০ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। সবাই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০