বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশন (প্রত্যয়) স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষকদের এ আন্দোলনের দিকে নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতির মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১ জুলাই থেকে শিক্ষকদের এ কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে।
শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে সেশনজটে পড়লে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন। সেই অধিকার তাদের আছে। অনেকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। এ আন্দোলনের মাধ্যমে তো এটা বোঝা যাচ্ছে যে, তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। এখনো সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়নি। তাদের কর্মসূচি শুরু হোক, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় কারা আসবে, সেটা সরকারের নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটার সঙ্গেই আছে। শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে জানাচ্ছেন, সরকারই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আবারও বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২৭
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা আবারও ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করলে পুলিশ তা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের পরে আগে স্থাপন করা শিবিরটি উচ্ছেদ করেছে কর্মকর্তারা।
ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিসট্যান্টট ভাইস চ্যান্সেলর রিক ব্রাজিয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবার রাতে বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তারা ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
ইউসিএলএ পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছেন এবং একজন কর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাদের ইউসিএলএ থেকে দূরে থাকতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল এবং তারপরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ব্রাজিয়েল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা এবং ফাইনাল বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে বারবার তাবু ও ছাউনি স্থাপন ও বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এর ফলে আশেপাশের চূড়ান্ত পরীক্ষা পরিচালনা ব্যাহত হয়।
পুলিশ বলছে, আন্দোলনকারীরা একটি ফোয়ারা, স্প্রে-পেইন্ট ইটের ওয়াকওয়েগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অগ্নি সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে, প্যাটিওর আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বৈদ্যুতিক ফিক্সচার থেকে তার ছিঁড়েছে এবং যানবাহন ভাঙচুর করেছে।
ব্রাজিয়েল জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন, এমন হামলাও হয়েছিল যার ফলে ছয়জন ইউসিএলএ পুলিশ আহত হয়েছে। পাশাপাশি একজন নিরাপত্তা প্রহরী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণও হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
বিবৃতিতে ব্রাজিয়েল বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে, সহিংস প্রতিবাদের এই কাজগুলো ঘৃণ্য এবং এটি চলতে পারে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদ শিবির গড়ে উঠেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বা এর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভের কারণে ইউসিএলএ বারবার উত্তাল হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এক পর্যায়ে, ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবিরে ইসরায়েলপন্থীরা পাল্টা আক্রমণ করেছিল। এতে পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিবিরটি উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনা ক্যাম্পাস পুলিশ প্রধানকে পুনরায় নিযুক্ত এবং একটি নতুন ক্যাম্পাস সুরক্ষা অফিস তৈরির দিকে পরিচালিত করে। পরে নতুন বিক্ষোভ শিবির স্থাপনের প্রচেষ্টাও ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়।
ইউসিএলএ সোমবারের প্রতিবাদটি শুরু হয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিজেন্টদের আসন্ন সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের ঠিক কয়েকদিন আগে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঝুলে যাওয়ায় আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে ব্লিঙ্কেন
চীনের পার্কে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে ছুরিকাঘাত
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক একটি পাবলিক পার্কে ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন।
পৃথক বিবৃতিতে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সোমবার (১০ জুন) ঘটা এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি চীন।
এক বিবৃতিতে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জনাথন ব্র্যান্ড বলেছেন, চীনের শিল্পনগরী জিলিনের একটি পার্কে বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফ্যাকাল্টি সদস্যের সঙ্গে ছিলেন ওই চার শিক্ষক। এমন সময় তাদের ওপর হামলা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকট নিরসনে চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসায় পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ছুরি হামলার ঘটনাটি জেনেছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
হামলাটি কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে না কি উদ্দেশ্যহীন, প্রাথমিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জেন ভিসার জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তারা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
এ ঘটনাটি পুরোপুরি চেপে গেছে চীন। সংবেদনশীল যেকোনো ঘটনা বা তথ্যের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখে দেশটির সরকার। ফলে চীনের সংবাদমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো খবর প্রকাশ হয়নি। তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের বরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট করা হয়েছে।।
বাণিজ্যযুদ্ধ, তাইওয়ান, দক্ষিন চীন সাগর ও ইউক্রেন ইস্যুর মতো বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা যখন ক্রমশঃ বাড়ছে, এর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটল।
আরও পড়ুন: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত: শি জিনপিং
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ভিসার বলেছেন, আইওয়ার এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশিদারত্বের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে ২০১৮ সাল থেকে কর্নেলের শিক্ষকরা বেইহুয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে ওপর দুই সপ্তাহের জন্য ক্লাস নেন।
প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালায় বেইহুয়া। এসব বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের এবং দেশটির অধ্যাপকরাই সেগুলো পড়ান। শিক্ষার্থীরা চাইলে চার বছরের কোর্সের অর্ধেক সময় কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এবং যৌথ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মো. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
নতুন উপাচার্য মো. আবু তাহেরের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।
আরও পড়ুন: চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চবি সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী সম্পন্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রক্টরের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মোরশেদুল আলম ও অরূপ বড়ুয়া।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
পদত্যাগপত্রে ড. মোরশেদুল আলম উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষকের পদ ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একইদিন চবির পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া সহকারী প্রক্টর পদ এবং চাকসু কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি রবিবার সকালেই।’
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৯ জন শিক্ষক একযোগে গণপদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের যাত্রার শুরুতে কেন স্নাতক পর্যায়ের কোর্স পরিচালনা করছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, জেলাগুলোয় (যেসব জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছে) ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের তারা স্নাতক কোর্সগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যেতো একটা চ্যালেজিং টাইম। একটি ফুল সেটআপ নিয়ে সেখান থেকে রিসার্স ডেভেলাপম্যান্ট করুক।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগলোকে রেস্পেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পরামর্শ দেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন-ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে, তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজর অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময়তো করত। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখনতো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়ত চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি।’
৭ কলেজের মানে উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেনো করতে পারবে না, প্রশ্ন করেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষান্ত্রী বলেন, সে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে আছে, সে সমস্ত জেলাগুলোয় যে সরকারি কলেজগুলো আছে, তাদের অ্যাক্যাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করবে।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার এবং বিষণ্ণতার প্রভাবকসমূহ নিরূপণের বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘Prevalence of depression and its associated factors among undergraduate admission candidates in Bangladesh: Anation-wide cross-sectional study’ শিরোনামে একদল গবেষক বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ২০২১-২২ এইচএসসি সেশনের প্রায় ৫ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।
এ জরিপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ৩টি ক্যাটাগরিতে বিষণ্ণতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি কিউ-১ জার্নাল প্লস ওয়ান জি (ইম্পেক্ট ফ্যাক্টর: ৩.৭, ২০২২) এ গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ ভর্তি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এর মধ্যে মাঝারি বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ, অত্যধিক বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ এবং ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী মারাত্মক পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
তিনি বলেন, বিষণ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস, উভয় পক্ষেই প্রভাবক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বিষণ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে লিঙ্গ, ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার, পারিবারিক সমস্যা, গুরুতর অসুস্থতা, কোভিড আক্রান্ত, প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল, মানসিক সমস্যা।
অন্যদিকে, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস, শরীরচর্চা, পড়াশুনার সময়, ধর্মচর্চা, বিষণ্ণতা হ্রাস করতে ভুমিকা পালন করে। পারিবারিক আয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বিষণ্ণতার প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হলেও এদের প্রভাব খুব জোরালো নয়।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিষণ্ণতার সঙ্গে ধুমপানের অভ্যাস, বৈবাহিক অবস্থা, প্রেমের সম্পর্ক ও ধর্মবিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উঠে এসেছে এই গবেষনায়।
এ গবেষণার আরেক গবেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক প্রায় দ্বিগুণ। খুব সম্প্রতি কোনো প্রকার ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হওয়া এবং পারিবারিক সমস্যায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক যথাক্রমে ২ গুণ এবং ৩ গুণ।’
আরও পড়ুন: গবেষণায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এমএলএলডব্লিউএস’র চুক্তি
অপরদিকে, যাদের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ আছে তাদের মাঝে বিষণ্ণতার হার অধিক এবং ঝোঁক প্রায় দেড়গুণ। তবে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন এবং নিয়মিত শরীরচর্চাকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার তুলনামূলক কম এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝোঁক যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ এবং ২ গুণ কম।
বিষণ্ণতা হ্রাস করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সৎসঙ্গ এবং উত্তম পারিবারিক পরিবেশ ও বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে শরীরচর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শুধু দৈহিক সুস্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। শুধু ভালো একাডেমিক ফলাফল নয়, দৈহিক ও মানসিকভাবে বলিষ্ঠ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
গবেষণাটিতে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাফিউল হাসান ও আল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনমুন সরকার, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিলাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আখের আলী, চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় গাজীপুরের বশেমুরকৃবি
দেশের দ্বিতীয় সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় স্থান পেয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)।
সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াক কোয়ারেলি সায়মন্ডসে (কিউএস) বিশ্বসেরা টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র্যাংকিং-২০২৪’-এ তথ্য জানা যায়।
বশেমুরকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ড. আবু হাদী মো. আসাদুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৪’- শিরোনামে বিশ্বের টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং প্রকাশ করেছে কিউএস।
তালিকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) অবস্থান। এরপর আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক ও পরিবেশগত ইম্প্যাক্ট সূচকে শীর্ষ ১ হাজার এবং প্রশাসনিক দক্ষতা সূচকে শীর্ষ ৬৭২তম অবস্থানে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় অবস্থান করছে বশেমুরকৃবি (এশিয়াতে অবস্থান ৩৯০তম), যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।’
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া টাইমস হায়ার এডুকেশন- ২০২৩ র্যাংকিংয়েও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দু’বার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ সিমাগো র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান এবং ইউজিসি প্রণীত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা তৃতীয়বার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর নতুন এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও মর্যাদাকে আরও সমুন্নীত ও সূদৃঢ় করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অসামান্য অর্জনের জন্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে, বিশেষ করে র্যাংকিং নিয়ে গঠিত বশেমুরকৃবি প্রমোশনাল টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
তিনি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি আরও সমুন্নত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে: ইউজিসি
উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রফেসর ইউনূসকে এই উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেন এবং তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। এর একাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
গত বছর প্রফেসর ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি ‘তিন শূন্য’ অর্থাৎ শূন্য নীট কার্বন নিঃস্বরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসা-ভিত্তিক একটি নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের তুলে ধরেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড একটি পরামর্শ-কেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষামূলক কমিটির মতো কাজ করবে যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো, বিষয়বস্তুভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য একাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া প্রিখোদকো, এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব রাশিয়ার সার্ভিস ফর দ্য প্রটেকশন অব ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস টু কনজ্যুমারস এন্ড মাইনরিটি শেয়ারহোল্ডারস এর প্রধান মিখাইল মামুতা।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই সভায় ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এন্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের এবং ইনস্টিটিউট অব ফার ইস্টার্ণ স্টাডিজ অব দ্য রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস এর পরিচালক ভাষাতত্ত্ব বিজ্ঞানে ডক্টরেট অধ্যাপক কিরিল বাবায়েভকে,আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সেক্রেটারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়াও সভায় অংশগ্রহণকারীরা ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি ও ইউনূস সেন্টারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভ টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক উন্নয়নের গ্যারান্টি হিসেবে সামাজিক ব্যবসার ধারণার প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস