মাছ ধরা
সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামী ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবন। এ সময় পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।
এছাড়া এবারের মওসুমে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির শনিবার শেষ দিন, তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করমজলে ভিড় করছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভান্ডার নামে পরিচিত। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণী বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালীবোটসহ সকল প্রকারের জেলে বাওয়ালি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
এছাড়া আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারবেনা জেলেরা। পাশাপাশি ঢুকতে পারবে না কোনো পর্যটকও।
এ সময়ের মধ্যে কোন নৌযানও চলাচল করতে পারবে না সুন্দরবনসহ কোনো পর্যটক স্পটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ১০০ দিন ও বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বন বিভাগ এ মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মওসুম তাই বনবিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সকল প্রকারের পাস পারমিট বন্ধ রাখা হবে।
বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সকল ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মওসুম চলছে, এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
এদের মধ্যে প্রধান বন্যপ্রাণী হলো- বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বন বিড়াল ও মেছ বাঘ।
এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রজননের ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।
এই সময় নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা বনের অভ্যন্তরে চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হবে। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
আর পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জিরোন পযেন্ট, নিল কমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।
সব মিলিয়ে পর্যটক ও জেলেদের মাছ আহরণ এই তিন মাস বন্ধ ঘোষণা করছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সে জন্য মওসুমের শেষ সময় দেশের দূর দূরন্ত থেকে পর্যটকরা করমজলে ভিড় করছে, আসছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
এ ব্যাপারে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং বনের গহীন মাছের ও বন্য প্রাণীর বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং পশু পাখির প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধের এই তিন মাস হরিণসহ সকল প্রকারের বন্যপ্রাণী শিকার ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
জাতীয়ভাবে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার অবসান হওয়ায় জেলেরা আবারও রবিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য জাল ও নৌকা তৈরিতে এখন ব্যস্ত জেলেরা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
ইলিশের অভয়ারণ্য বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী- এই ছয় জেলা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
অভয়ারণ্য এলাকাগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলে ৯০ কিলোমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় ২০ কিলোমিটার এবং হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে ৮২ কিলোমিটার।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে।
একক মাছের প্রজাতি হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দুই মাসের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
সিরাজগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহত কৃষক জামাল উদ্দিন (৩৮) একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুকুরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষ ওই পুকুরে মাছ ধরতে এলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উপভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে মাছ ধরতে বাধাদানকারী জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ জনকে জনকে আটক করে।
এদিকে আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিঠামইনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, নারীসহ আহত ৩০
কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন এবং যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ পরিবহন ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ’- বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে আটক ৩৮
সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ৩৮ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। রবিবার ভোরে বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকা থেকে ১৮টি ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
এসময় ওই সব ট্রলার থেকে ইলিশ ধরা জাল ছাড়াও কিছু নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়।
আটক জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া ধরায় ২৪ জেলে আটক
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিল। এসময় তারা বনের সংরক্ষিত কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় ট্রলারসহ জেলেদের দেখতে পায়। এসময় তারা ধাওয়া করে ১৮টি ট্রলারসহ ৩৮ জেলেকে আটক করে।
বনে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করার অপরাধে ওই জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ডিএফও জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে ভোলার লক্ষাধিক জেলে
মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ সংকট, তার ওপর হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার লক্ষাধিক জেলে।
শুক্রবার রাতে তেলের দাম বৃদ্ধি ঘোষণার পর শনিবার থেকেই অনেক জেলেই মাছ ধরতে যায়নি।
সদরের তুলাতুলি মাছঘাট এলাকায় দেখা গেছে, অনেক জেলে নদী থেকে নৌকা, ট্রলার ও জাল তুলে নিয়েছে। অনেকে আবার ঘাটে অলস সময় পার করছেন। এতে করে মাছের আড়ৎগুলোতে অনেকটা জেলে শূন্য ছিল।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
জেলেরা জানান, এমনিতেই নদীতে দিন রাত জাল ফেলেও তেমন একটা ইলিশ পাওয়া যায় না। দুই-চারটি পাওয়া গেলে তা দিয়ে খরচের টাকাও উঠে না। তার ওপর এখন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তাদের খরচ আরও বেড়ে গেল। তাই তারা নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
জেলে আমিনুল জানান, শুক্রবার বিকালে ৮৫০ টাকার ১০ লিটার ডিজেল কিনে নদীতে গেছেন। ফিরে এসে মাত্র ৫০০ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। পরদিন সকালে তেলের জন্য গেলে প্রতি লিটার তেল ১১৫ টাকা চাচ্ছে দেখে কন্টেইনার নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এই পরিস্থিতি কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।
জেলেরা জানান, তেল ও খাবারসহ কয়েক হাজার টাকার মালামাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে হয়। গুটি কয়েক ইলিশ পাওয়া গেলেও তা দিয়ে খরচের টাকাও ওঠে না।
আড়তদার মো. ইউনুছ জানান, তার আড়তে ১২টি জেলে ট্রলার মাছ বিক্রি করে। নদীতে মাছ কম থাকায় আগে থেকেই অর্ধেক ট্রলার নদীতে যায় না। এর মধ্যে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় শনিবার সকাল থেকে একটি ট্রলারও নদীতে যায়নি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
ভোলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৪৪ হাজার। এর মধ্যে সাগরে মাছ শিকারে যায় ৬৪ হাজার জেলে। তবে নিবন্ধিন ছাড়াও আরও প্রায় কয়েক হাজার জেলে রয়েছে।
ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে জেলেদের ওপর প্রভাব পড়বেই। কারণ তেলের ওপর নির্ভর করেই জেলেদের নদীতে যেতে হয়। তবে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে মাছের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
সরকারের নিষেধাজ্ঞা পর দীর্ঘদিন ৬৫ দিন পর সমুদ্রে মাছ শিকারে নেমেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপকূলের জেলেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পর ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে নেমে প্রথম দিনেই জেলেদের জালে প্রচুর পরিমানে মাছ ধরা পড়েছে। জাল ভর্তি ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে হাসি মুখে ফিরেছেন জেলেরা।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে বিএফডিসি ঘাটে পৌঁছানোর ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলেদের উল্লাস দেখা যায়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ ধরা শুরু
জেলে জব্বার মিয়া বলেন, একটা খেও দিছি যা পাইছি তাড়াতাড়ি করে ভালো দামের জন্য তাই নিয়াই প্রথম বাজার ধরলাম।
সরেজমিনে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দেখা গেছে, মৎস্য ঘাটে প্রায় ২৫টি মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। ওই ট্রলার থেকে ঘাট শ্রমিকরা মাছ উঠাচ্ছেন। অপরদিকে টল সেটে হাঁক ডাকে মাছ বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, প্রথম দিনে অন্তত ২৫টি মাছ ধরা ট্রলার ঘাটে এসেছে। জেলেরা বলছে ভালোই মাছ পাচ্ছে। দামও ভালো মিলছে।
আরও পড়ুন: তিন মাস বন্ধের পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু
বিএফডিসির মার্কেটিং অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, প্রথম দিনে বিএফডিসি মৎস্য বাজারে মোট ১১ হাজার ৮৬৯ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ৭৮০ কেজি ইলিশই বিক্রি হয়েছে। আর অন্যান্য চার হাজার ৮৯ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৮৪ হাজার ৪৬০ টাকা।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের ইলিশ ধরা শুরু
প্রজনন মৌসুমের কারণে ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রিতে সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশের ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন আবার শুরু হয়েছে।
গাইবান্ধায় মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হলেন চাচা-ভাতিজা
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিলে বুধবার গভীর রাতে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চাচা-ভাতিজা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরায় ১৪ জন ভারতীয় জেলে আটক
বাগেরহাট, ২২ অক্টোবর (ইউএনবি)- বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরার অপরাধে নৌবাহিনীর সদস্যরা আরও ১৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে।