হাছান মাহমুদ
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত: ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) যেমন অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি বুয়েট শিক্ষক সমিতির
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ড. হাছান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখে ছাত্রলীগ। এছাড়া এরশাদ এবং জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়েছিল, গণতন্ত্রকে বন্দী করেছিল সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যেও ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিই অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়। এটা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতি দুয়ার খুলেছে।
আরও পড়ুন: বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বলবো সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।
এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে হাছান বলেন, আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী, ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।
মন্ত্রী হাছান বলেন, রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা ভুলে গেছে, প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারো পেশা হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
অগ্নিসংযোগকারী ও 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের' রাজনীতিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়: হাছান মাহমুদ
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ও ‘রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে’ তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনীতিবিদ নয়। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
‘আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে’ এমন রাজনীতিবিদদের যারা আর্থিকভাবে সমর্থন করছে তাদের সমালোচনা করেন হাছান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘তারা এখনও সুযোগ খুঁজছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বার্ন ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা ভুটানকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, কলকাতায় ব্যর্থ চেষ্টার পর দগ্ধ ভুটানের এক নাগরিককে বাংলাদেশে সফলভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এ বিষয়ে।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: হাছান মাহমুদ
নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে, সেভাবে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতেও সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় এবং ভারতের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ আনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে এই সফরে চুক্তি হচ্ছে না। ভারত যেভাবে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা করেছে, ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটানের রাজার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভুটানকে আবার বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ইনিশিয়েটিভ) -এ যোগদানের জন্য এবং এয়ার-কানেক্টিভিটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-থিম্পু পথে এখন সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট আছে। এটি বাড়ানো প্রয়োজন, কারণ ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ। আমি কয়েকবার গেছি, বর্তমান রাজার বিয়ে উৎসবেও যোগ দিয়েছি। গত বছর তিনি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার সময় যাত্রাবিরতিতে আমি তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলাম।’
মানুষ যাতে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ভুটানকে জায়গা দেওয়া হবে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ দিন ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি পুনর্নবায়নের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
২৫-২৮ মার্চ সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন ভুটানের রাজা। এ দিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি পদ্মা সেতু, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
শেষদিন ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। ভুটানের রানী, পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা রাজার সফরসঙ্গী হিসেবে সফরে যোগ দিয়েছেন।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বিশ্বে উৎসব পার্বণে দ্রব্যমূল্য কমে আর আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখে। সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং এ অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণ যখন মোর্চা গড়ে তুলবে তখন তারা কোথায় যাবে -প্রশ্ন রাখেন হাছান মাহমুদ।
ওআইসি ও এডিএফে যোগদান ও ইউএই সফর
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে ব্রিফ করেন।
ড. হাছান জানান, পয়লা মার্চ থেকে তুরস্কে তিন দিনের আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরমে ১৯ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৭৩টি দেশের পররাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হতে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
আনতালিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথা জানান হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ৫ মার্চ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান ও ইসরায়েলকে বয়কট করার প্রস্তাব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
পাশাপাশি সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে হাছান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ দিয়েছে এবং সৌদিতে ১০ বিলিয়নসহ পুরো গালফ দেশগুলোতে ৫০ বিলিয়ন গাছ লাগানর উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশ নেবে। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
৮ ও ৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের ওপরও আলোকপাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএই'র রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্রটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহকে হস্তান্তর করেন তিনি। জানিয়ে তার সাথে
একই সঙ্গে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বৃদ্ধিকল্পে মাতারবাড়ি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএই'র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া ১১০ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে ইউএই'র বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন হাছান।
ইউএইর মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ইউএই'র সব এমিরেটে সব ট্রেডে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগ, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণ নিয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তুরস্কের স্থানীয় সময় রবিবার আনতালিয়ায় কূটনৈতিক ফোরামের তৃতীয় দিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় হাকান ফিদানকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন ফিদান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের বৃহত্তর ভুমিকা কামনা করেন।
বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে এবং এইভাবে জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে। যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তুর্কি হোপ স্কুল নিয়ে তুরস্ক উত্থাপিত বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় উভয়ই শিগগিরই তুর্কি হোপ স্কুল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।
আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেরত চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় নয়জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৭০ জন পররাষ্ট্রবিষয়ক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরাম আয়োজনের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেরিতে বিছানা ছাড়লেও বিদ্রোহের দিনে ঘটনা শুরুর বেশ আগে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাছান বলেন, ‘কেন তিনি সেদিন এত সকালে বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন? তার মানে তিনি বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ফোন কল রেকর্ড সরকার সংগ্রহ করেছে এবং জানে লন্ডনে তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটি সরকার জানে। ‘সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছে নির্বাচন হবে না এবং তারা চেয়েছিল যাতে সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটাররা এসেছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি না কি কালো পতাকা মিছিল ডেকেছে। অথচ বিএনপির নির্বাচন ভন্ডুলের চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুণনির্বাচিত করে বিএনপিকে ইতিমধ্যেই কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে যে বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারবার ধর্ণা দিয়েছিল, তারাও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে, শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। অর্থাৎ বিদেশিরাও বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের পর কার্যত এটিই আওয়ামী লীগের প্রথম সমাবেশ এবং এ সমাবেশ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পুণনির্বাচিত করার জন্য দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, 'ইঁদুর যেমন গর্ত থেকে উঁকি দেয় তেমনি বিএনপিও এখন গর্ত থেকে উঁকি দিচ্ছে। তারা আবার দেশে অশান্তি তৈরির অপচেষ্টা চালাবে। এ জন্য দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে সবসময় থাকবে।'
আরও পড়ুন: চরম হতাশা বিএনপিকে গ্রাস করেছে: হাছান মাহমুদ
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, আইনজীবী কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হান্নান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' কোনো বিবৃতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, 'ড. ইউনূস ইস্যুতে কিছু লোক বেশ কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। লবিস্টদের বিবৃতির কারণে বিনিয়োগে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস গত ১২ বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি স্রেফ আইনি বিষয়।’
ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারে এখানে কোনো পক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তার কর্মচারীরা মামলাটি দায়ের করেছেন। সরকার এখানে কোনো পক্ষ নয়। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কিছু শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস দাবি করেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চরম হতাশা বিএনপিকে গ্রাস করেছে: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বর্জন করা বড় ভুল ছিল।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশী বাজারের ঐতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবকুমার ইনস্টিটিউশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সারা বিশ্ব অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তারা (বিএনপি) হতাশ হয়েছে এবং তারা আবোল তাবোল কথা বলছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করেছে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছে এবং বলছে হুইসেল বাজিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এজন্য তারা স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে।
দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, কারো বাঁশি বাজিয়ে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলতে চাই, সরকার এ মামলায় কোনো পক্ষ নয়। তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মচারীরা এ মামলা করেছে।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
এর আগে ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি চিঠির বিষয়ে একজন টিভি সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা এ ধরনের কোনো চিঠি লিখে থাকলে তারা সরকারকে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন। সরকার কি তা করতে পারে? এটা কি যৌক্তিক?’
তবে ইউএনবি স্বাধীনভাবে চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ