হাছান মাহমুদ
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, সেখানে যারা কাদিয়ানীদের জলসাতে হামলা চালিয়েছে, তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। এদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি- জামায়াতের সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ও হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় দুজন মারা গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আসলে পুরো দেশে নানাভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পাঁয়তারার মধ্যে আছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পঞ্চগড়ের এ ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি করে, তারা আরও নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দুদিন পর গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য মূলত বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা দায়ী।
সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা এবং রোহিঙ্গা ক্যাস্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দাবি করেছে বিএনপি।
এ সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে চিকিৎসা, খাদ্য ও শিক্ষা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে আমাদের সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তনাধীন, এটি নাশকতা কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা; এগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে কারও চুলায় আগুন লাগলেও কয়েকদিন পর উনি বলবেন এটার জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়। এগুলো দুর্ঘটনা, তবে এ দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। এ দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শুধু ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব নয়। তিনি বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।
শুক্রবার চট্টগ্রামের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো দল নির্বাচন বর্জন করে বা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বা অগ্রহণযোগ্য করার দায়িত্ব তাদের।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী সরকার নির্বাচিত হোক। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। এবং অন্যদেরও একই কথা বলা হচ্ছে। আমরাও চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল দেশের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের এক বছর আগে বিদেশি প্রতিনিধিদলের সফর বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বেশি দর্শক আসা ভালো, তারা বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যেহেতু বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি, এটি স্বাভাবিক। এর ফলে আমাদের বাণিজ্য বহুমুখী হবে এবং আমরা আরও পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হব।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। “বিএনপি পাকিস্তানকে অনুসরণ করে, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতোই হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গোপনে দূতাবাসে আসে, আর নিমন্ত্রণ পেয়ে বৈঠকে এসেছে আ.লীগ: কাদের
একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। এমন একজনকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে, যিনি ঝুঁকি নিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। যার মধ্যে ভদ্রতা, নম্রতা ও রাজনৈতিক বিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না : তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংসদীয় দলের বৈঠক বসেছিল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। তখন রাষ্ট্রপতি পদের মনোনয়নের জন্য সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই ক্ষমতাবলে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অসত্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে দুদককে যে চাপ দেয়া হচ্ছিল, তা মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতুতে যে দুর্নীতি হয়নি, কানাডার আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। কানাডার আদালতে কিন্তু বিশ্বব্যাংক গিয়েছিল এবং বিশ্বব্যাংক সেখানে হেরে গিয়েছে। কানাডার আদালত রায় দিয়েছে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ গাল-গল্প ছাড়া কিছু না। কিন্তু তারপরেও দুদকের কমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অনেক চাপ ছিল। সেক্ষেত্রে তিনি দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে আ. লীগ: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যে জিততে পারবে না তা বুঝতে পেরেছে, আর সে কারণেই তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অজুহাত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত করতে চাই। এছাড়া তারা ২০১৪ সালের মতো তাণ্ডব ঘটানোর সুযোগ পাবে না। তারা চেষ্টা করলে দেশবাসী তাদের সমুদ্রে ফেলে দেবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ চায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে বিদ্যমান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, বিএনপি পাকিস্তানকে অনুসরণ করতে চায়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ৫০০ ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব আসনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। যাইহোক, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা প্রকল্পে অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে হওয়ায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সরকার কোনো ওসি, ইউএনও বা কনস্টেবলকে বদলি করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ছাত্রলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাছান মাহমুদ এ আশা প্রকাশ করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সব ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আগামী কর্মসূচির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা বিএনপির সমস্ত কর্মসূচির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবো, প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকবো এবং এই দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেবো না।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ
এর আগে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি ও কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিম বাংলায় দেখাতে পারে না। সেখানকার কেবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছর প্রতি কোটি টাকা দাবি করে। যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সমাবেশে ক্রমাগত সরকারকে পদত্যাগ করতে বলছে। কিন্তু এখন তাদের নিজস্ব সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। এতেই বোঝা যায় বিএনপির রাজনীতিবিদরা কতটা অগণতান্ত্রিক।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকার বা সংসদ তাদের এই পদত্যাগে প্রভাবিত হবে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সাতজন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবি গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে।
গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোড় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেমাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরও অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়োতন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। ফলে সেমাঠে কতো মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতটা ম্যানেজ করতে পেরেছিল তার চেয়ে বেশি লোক আমাদের ছোট আকারের, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এছাড়া আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।
মন্ত্রী বলেন, শনিবার মানুষ শঙ্কার মধ্যে ছিলো তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং সরকারিদল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে সরব উপস্থিতি কারণে তারা যে ভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। অথ্যাৎ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য যেভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। এরপরও তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত বড় ভেন্যু প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের অনুষ্ঠানে মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এছাড়া বিএনপির ১০ দফা দাবি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আরেকটি চক্রান্ত।
২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলের ডাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ওদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা আমি মনে করে এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির অভিযোজন ও প্রশমন নিয়ে এবারের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৭) ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করা ও তা পূরণের জন্য অভিযোজন ও প্রশমনের সুনির্দিষ্ট পন্থা এবারের জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক।
শুক্রবার জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের ষষ্ঠ দিন। মিশরের শারম-আল-শেখ শহরে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৭) প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানরত তথ্যমন্ত্রী ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে যে পরিমাণ অর্থ জমার পড়ার কথা ছিল, সেটি এখনো জমা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে সেই অর্থ সমবণ্টনের কথা ছিল, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি যেভাবে সমাধান করার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। এসব বিষষ নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
কয়েকটি সাইড ইভেন্টে যোগদান শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করছেন। যেটি প্যারিস ও কোপেনহেগেনে হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ না হলে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা বাড়তে থাকবে। চলমান কপ সম্মেলনে ক্রমবর্ধমান অভিযোজন চাহিদা সমাধানের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নির্গমণ হ্রাসের তাগিদ দিচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হবে। যাতে জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য থাকে। অভিযোজন অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হলে তা বাংলাদেশসহ দুর্বল দেশগুলোর অভিযোজন চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী প্রশমন প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে হবে।
এছাড়া উন্নত দেশগুলো; বিশেষ করে জি-২০ দেশগুলোকেও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানচ্ছি।
বাংলাদেশ থেকে আগত জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, শুক্রবার ১১ নভেম্বর জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের ষষ্ঠ দিনে, আজকে জাতিসংঘ কপ২৭ এর ডিকার্বনাইজেশন দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
আজকে মূলত বিভিন্ন সেক্টর থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ডিকার্বনাইজেশন এর ওপর আলোচনায় তেল, গ্যাস, স্টিল ও সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বর্তমানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও কিভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী কলকারখানার মধ্যে স্টিল ইন্ডাস্ট্রি একটি। মূলত স্টিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর জন্য বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হবে।
তেল ও গ্যাস ইন্ডাস্ট্রিতে এবং সার কারখানাগুলোতে কিভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও টেকনোলজি ট্রান্সফার, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং ফাইনান্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে তেল এবং গ্যাস ইন্ডাস্ট্রি থেকে মানবসৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।
তাছাড়া এবারের সম্মেলনে এই প্রথমবারের মতো তরুণ ও শিশুদের জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবিলা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের জন্য সম্মেলন কেন্দ্রে স্টল খোলা হয়েছে। এতে তরুণ ও শিশুরা আনুষ্ঠানিকভাবে জলবায়ু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলো।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, তরুণ ও শিশুদের জলবায়ু কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ফলে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগালে তো আর গোপন থাকে না: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ভোটের সময় ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘গোপন কক্ষ, গোপন কক্ষই। সেখানে মানুষ গোপনে ভোট দেবে। কিন্তু সেখানে যদি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় তাহলে তো সেটা গোপন থাকে না। এটা সাধারণ মানুষ ও আইনজ্ঞদের অভিমত।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এটা দেখে ও অন্যদের দেখায় তাহলে সেটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। কিন্ত সেটা গোপন কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এতে ভোটারের ভোটার হিসেবে অধিকার লংঘন হয় বলে আইনজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না আইনজ্ঞরা বলছেন। এটি সবার অভিমত।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে পারে তবে কে কোথায় ভোট দিচ্ছে সেটা দেখলে কি সেটা গোপন থাকলো?’ কে কোথায় ভোট দিচ্ছে যদি আপনারা বসে দেখেন তাহলে প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও অন্তত ১০টি পোর্টালে দেখেছি। সিসি ক্যামেরা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে ভোট বন্ধ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য আলাদাভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে আলোচনাও করেছি কয়েক দফায়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবেই শিল্পীদের ও শিল্পের সুরক্ষার জন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে আগে বাংলাদেশে টেলিভিশনগুলোর কোনো সিরিয়াল ছিল না। যার যেমন ইচ্ছা ক্যাবল অপারেটররা সেভাবে প্রদর্শন করতো। অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় চ্যানেলের পরে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানো হতো। কিন্তু সেখানে একটা শৃঙ্খলা আমরা আনতে পেরেছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতবর্ষে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয় আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে। কিন্তু তিন দশকেও তা সফলতা লাভ করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমরা পুরো ভারতবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। যা একটি মাইলফলক।
বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর লাগাম টেনে ধরার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা অচিরেই তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সচিবের অবসর: কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী
আপনারা জানেন যে, বিজ্ঞাপনচিত্র বানানো হয় বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে। অথচ আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী আছে, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছেন। অতীতে আমাদের দেশের নির্মাতারাই অনেক ভালো বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। যেগুলোকে শুধু পণ্যের বিজ্ঞাপন বলা যাবে না, এগুলো মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতো, মানুষের মধ্যে ভাবনার জন্ম দিতো, ত্রিশ বা দশ সেকেন্ডের মধ্যেই সেটিকে উপস্থাপন করা অনেক শেয়ানার, অনেক মুনশিয়ানার কাজ। সেটি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মার্তারা বানিয়েছেন। শিল্পীরা অভিনয় করে দেখিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এরপরেও ইদানীং আমরা একটি প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি যে সব বিজ্ঞাপন চিত্রই যতটা সম্ভব বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বানিয়ে আনা এবং বিদেশি বিজ্ঞাপন ডাবিং করে বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমরা সেটির লাগাম টেনে ধরতে চাই। সেজন্যই এরইমধ্যে আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আরও একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।
তাতে বলা আছে, বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানাতে হলে প্রতিটি শিল্পীপ্রতি ট্যাক্স-ভ্যাটের বাইরে সরকারকে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা প্রদর্শন করবেন, তাদেরকেও টাকা দিতে হবে। আর তা ডাবিং করা বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
কারণ বাইরে বানিয়ে এনে তা বাংলাদেশে ডাবিং করে, যেমন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর যে পণ্য-প্রদর্শন করার লাগাম টেনে ধরতে হবে।
উপমহাদেশের অনেক দেশে তা করা যায় না বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তা আমাদের দেশে কেন হবে? আমাদের দেশের শিল্পীরা অনেক মেধাবী, নির্মাতারাও মেধাবী। আমাদের দেশের শিল্প ও শিল্পী যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য আমরা এ পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এছাড়া বাংলাদেশে টেলিভিশনে গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি সিরিয়াল কিনে এনে-পঞ্চাশ কিংবা ত্রিশ বছর আগের-ডাবিং করে সম্প্রচার করা হয়। আমরা সেটার লাগাম টেনে ধরেছি। এ কাজ প্রথমে দুয়েকটি চ্যানেল শুরু করেছিল, পরে তা অনেকগুলো চ্যানেল করেছে। একটির বেশি (বিদেশি) সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। কিন্তু আমরা একেবারে বন্ধ করছি না, পৃথিবী এখন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চলছে। এখন আকাশ উন্মুক্ত। কাজেই এমন পরিস্থিতিতে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। ইতিমধ্যেই তা আমরা কার্যকর করেছি।
তিনি আরও জানান, আমি যখন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিই, তখন শিল্পীরাই এসে আমার কাছে এমন দাবি করেছিল। দ্রুততার সঙ্গে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এটা এজন্যই করেছি, যাতে আমাদের দেশে সিরিয়াল তৈরি হয়। অতীতে আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো টিভি সিরিয়াল তৈরি হয়েছে, যা মানুষ উন্মুখ হয়ে দেখতো। আমাদের ছোট বেলায় বা আমাদের কলেজ জীবনে আমরা সিরিয়াল উন্মুখ হয়ে দেখতাম। আমাদের সেই মানের শিল্পী আছে। যারা বানিয়েছিলেন, তারা এখনও বেঁচে আছেন।
কাজেই বিদেশি সিরিয়াল কেন দেখানো হবে?
আরও পড়ুন: বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা (এমপি) পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি থেকে নতুন একটা আওয়াজ দেয়া হচ্ছে, তারা যদি আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা দেয় সেক্ষেত্রে সংসদে তাদের যে দলীয় এমপিরা আছেন, তারা পদত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: হাছান মাহমুদ
এছাড়া পাঁচজন সংসদ সদস্য তাদের আছে। যদি তারা পদত্যাগ করেন, সেখানে উপ-নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিভাগীয় সম্মেলন হচ্ছে। তাদের এই সম্মেলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান তৈরি হবে। তাতেই সরকারের পতন হবে।
এ বিষয়ে আরেকজন সাংবাদিক আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো এরকম কথা আসলে গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে বলে আসছেন। নানা ধরনের সভা তারা গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে করেছেনও। এর আগেও তারা বিভাগীয় সমাবেশ করেছে, জেলা সমাবেশ করেছে, সেই সমস্ত সমাবেশে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে, নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পন্ড করেছে, এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে সরকার যেমন জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, জনগণ যদি প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলে আমাদের দলও জনগণের সঙ্গে থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
ক্লিনফিড না চলায় দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: হাছান মাহমুদ