আহ্বান
মধ্যপ্রাচ্য সংকট: সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলের ওপর ইরানের পাল্টা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সংঘাত দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বাংলাদেশের কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে বাস্তবতা উদ্ভূত হচ্ছে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নজর রাখতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে মন্ত্রিপরিষদ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সব সদস্যকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সংঘাতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সংঘাত দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকলে আমরা কীভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলা করব বা এসব পরিস্থিতি সামলাতে আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি রূপ নিলে বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে, সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর কর্তৃপক্ষকে এর প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।’
কোন কোন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, সবাইকে নিজ নিজ খাতসংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংকট তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। তাই সেক্ষেত্রে কী করা উচিত, তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য আবু তাহের বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চশিক্ষা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়েও কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে এবং কর্মপন্থা নির্ধারণে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
একই সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজারের কোনো এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি: শিল্পমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাসমূহ ও চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী এ সময় সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও টিমওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা ছিলেন।
শিল্প সচিব বলেন, সবাই কম-বেশি আনন্দের মধ্যে দিয়ে এবারের ঈদ উদযাপন করেছে। তাছাড়া এবারের ঈদ যাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন ছিল। সাধারণ জনগণকে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। এটি একটি পরিবারের মতো। এরকম পরিবেশ সাধারণত অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দেখা যায় না।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত "কর্মপরিকল্পনা ২০২৪-২০২৮" শীর্ষক পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম, পাশে আছি: শিল্পমন্ত্রী
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযানের ঘোষণা শিল্পমন্ত্রীর
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুদ্ধ রাজনীতি চর্চা করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
বিদেশি প্রভুদের তোষণ ও সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে শুদ্ধ রাজধানী করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘বিদেশি প্রভুদের তোষণ, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং নির্বাচন বানচালের সংবিধানবিরোধী অপরাজনীতি ছেড়ে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করুন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো বলেও মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে নিয়ে তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে দণ্ড: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অগ্রগতি জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার
সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আলুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলুর চাষ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাষাবাদে থাকা বর্তমান জাতগুলো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে ও ফলন কম। তাছাড়া বর্তমানে সরিষা, ভুট্টা ও বোরো আবাদ বৃদ্ধির কারণে আলুর আবাদ কম হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পারেরটং গ্রামে বিএডিসি আলু-১ বা সানশাইন জাতের আলুর মাঠ পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আলুর আবাদ কমে যাওয়ার ফলে বর্তমানে আলুতে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। এই অবস্থায়, নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো দিয়ে কম ফলনশীল জাতগুলো রিপ্লেস করতে পারলে কম জমিতেও আমাদের প্রয়োজনীয় আলু উৎপাদন করা যাবে এবং রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আলু বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশে ৪ দশমিক ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়। ফলন গড়ে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৩ টন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যমান পর্যটন অকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণে জাপানি বিনিয়োগ একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠককালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্ব বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার। জাপান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান আনন্দিত। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন শুরু করা যাবে। পাশাপাশি বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট ইতোমধ্যে জাপানের যাত্রীদের মধ্যে ইনফ্লাইট সেবা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটনে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে জাপান তা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, এভিয়েশনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে দুই দেশ একত্রে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানে ইফতার পার্টি না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী
গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য ঢাকা ও দিল্লির প্রতি গ্যারান্টি ও সালিশি ধারাসহ একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।
শনিবার(৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি কেবল অববাহিকাভিত্তিক চুক্তির ভিত্তিতেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় নাটোরে পানি ক্রমশ বাড়ছে
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইএফসির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, লেখক ও গবেষক সিরাজুদ্দীন সাথী, তমিজউদ্দীন আহমদ, আইএফসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. নাজমা আহমদ এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আজাদ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সই করা পানি চুক্তিতে নিশ্চয়তা ও আরবিট্রেশন ক্লজ রয়েছে।
ফলে সিন্ধু ও মহাকালী পানিচুক্তি পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সই করা গঙ্গার পানি চুক্তিতে শর্ত পূরণ করা হয়নি।
এই ত্রুটির কারণে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আশানুরূপ গড়ে ওঠেনি।আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা সামাল দিতে ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত
১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট ৪১ দিন পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশে একতরফা পানি প্রত্যাহার অব্যাহত থাকে এবং পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়।
পরে ১৯৭৭ সালে ৮০ শতাংশ পানির প্রাপ্যতার গ্যারান্টি ক্লজ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি সই হয়। কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবায়নের পরিবর্তে ১৯৮২ সালে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দিয়ে ৫ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরপর ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য আবারও ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে এসে এই চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই গঙ্গা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায়নি। চুক্তিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ না থাকায় এটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। চুক্তির এই দুর্বলতা নবায়নের সময় দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার প্রভাবে ভাঙছে নবগঙ্গা-মধুমতি
২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তা আজও করা হয়নি।
শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর কোনো পানি বাংলাদেশে ছাড়া হয় না। পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সামান্য পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে।
অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তীব্র বন্যা ও তীর ভাঙনের কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে এই নদীর উৎপত্তিস্থল। তাই নদীর প্রবাহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। এ পর্যন্ত তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার বেড়েছে।
এতে বলা হয়, স্বল্পমেয়াদি সুবিধার জন্য অদূরদর্শী বাঁধ দিয়ে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আগামী ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে পারে সরকার।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা আশা করছি আহ্বান করা দরপত্রে বেশ কিছু কোম্পানি অংশ নেবে।’
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, দু-একদিনের মধ্যে দরপত্র প্রকাশের জন্য তা স্থানীয় পত্রিকায় পাঠানো হবে।
তারা বলছে, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ও বিদেশে বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনের ওয়েবসাইটেও এটি প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া পরিকল্পনা ও পদক্ষেপটির অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানাতে আগামী ১১ মার্চ একটি সংবাদ সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে পেট্রোবাংলার।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, সরকার আগামী ৬ মাসের মধ্যে দরপত্র চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে। অনেক বিদেশি সংস্থা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং দরপত্রে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘দরপত্র চূড়ান্ত না করা পর্যন্ত কতগুলো সংস্থা দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসছে তা বলা মুশকিল।’
সরকার অফশোর দরপত্রের প্রচারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
এর আগে গত বছরের ২৬ জুলাই দেশের অফশোর এলাকায় হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে 'বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) ২০২৩' এর খসড়ায় অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা স্থগিত
দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনার আওতায় খসড়া মডেল পিএসসি ২০২৩-তে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে সেপ্টেম্বরে একটি দরপত্র প্রতিযোগিতা হতে পারে। তবে নির্বাচন খুব কাছাকাছি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটি থেমে যায়। এমতাবস্থায় এটি স্পষ্ট হতে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা ছিল।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মার্চ মাসে দরপত্র আহ্বানের জন্য জ্বালানি বিভাগের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে।
পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক ফারহানা শ্যারন জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দরপত্র আহ্বানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে অফশোর গভীর ও অগভীর পানির গ্যাস ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন মডেল পিএসসি প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের আওতায় আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণের সুযোগ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দামের সঙ্গে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়।
পেট্রোবাংলার এই কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ব্রেন্ট ক্রুডের ১০ শতাংশ দরে গ্যাসের দাম প্রস্তাব করতে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদে অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানে খসড়া অনুমোদন
ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম যদি ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলারে কেনাবেচা হয়, তাহলে প্রতি হাজার ঘনফুট (এমসিএফ)গ্যাসের দাম দাঁড়াবে সাড়ে সাত ডলার।
মডেল পিএসসি ২০২৩-এর নতুন বিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম সবসময় আন্তর্জাতিক তেলের দামের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সরকার ও পেট্রোবাংলাকে পিএসসির সর্বশেষ সংশোধনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি।
সরকারি সূত্র জানায়, দেশে মোট ৪৮টি ব্লক রয়েছে, যার মধ্যে ২৬টি দেশের অফশোরে অবস্থিত। ২৬টি অফশোর ব্লকের মধ্যে ১১টি অগভীর সমুদ্রের (এসএস) পানিতে এবং ১৫টি গভীর সমুদ্রের (ডিএস) জলসীমায় অবস্থিত।
অফশোর ব্লকগুলোর মধ্যে ২৪টি আইওসি’র জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং দুটি ব্লক এসএস-০৪ এবং এসএস-০৯ ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে- যেখানে সম্প্রতি খনন কাজ শুরু হয়েছে।
প্রায় ৯ বছর আগে সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও বাংলাদেশের অফশোর এলাকা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ২ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস ঘাটতি রেখে বিদেশ থেকে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অফশোর গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ প্রয়োজন: আইটিএফসি প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি