আহ্বান
সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের জন্য জার্মান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে জার্মানির হামবুর্গের অ্যাংলো-জার্মান ক্লাবে আয়োজিত 'বাংলাদেশ : সাসটেইনেবলিটি অব সীফুড সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স' শীর্ষক ব্যবসায়িক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাস, জার্মানি, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বাংলাদেশ এবং জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, জার্মানির মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, হামবুর্গে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ওয়াল্টার স্কট, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান (যুগ্মসচিব) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, জার্মান ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ম্যাথিয়াস কেলার, গ্লোবাল গ্যাপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মোলার, জার্মান-এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের কান্ট্রি কমিটির চেয়ারম্যান থমাস কনিং, জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি আব্বাস আলী চৌধুরী,সলিডারিডাড, বাংলাদেশ-এর স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্ট লিড মঈন উদ্দিন আহমেদসহ জার্মানির মৎস্য খাতের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান।
সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, জার্মানি অনেক প্রাচীন,উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। এ দেশের প্রযুক্তি, নীতি, গবেষণা অনেক সমৃদ্ধ। মৎস্য খাতে জার্মানি ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ খাতে দুই দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখন আমাদের গবেষণার ক্ষেত্র, সম্পদের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। সমুদ্র অঞ্চলে আমাদের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। এ জন্য আমরা সবসময় সমুদ্র সম্পদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উন্নত দেশকে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা, বিনিয়োগ ও একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।
জার্মান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। দুই দেশ মৎস্য খাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। মৎস্য খাতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের গবেষণা, অভিজ্ঞতা, মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন বাংলাদেশের কাজে লাগবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও সরকারের বিনিয়োগ উপযোগী নীতি রয়েছে । বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধাসহ সরকার সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। রপ্তানির পূর্বে প্রতিটি মাছ এখন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশের মাছের মান নিয়ে এখন আর বিদেশিদের অভিযোগ নেই। কারণ নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশ কোনো আপোষ করে না। মাছের মান নিশ্চিত করতে আগে কোনো আইন ছিল না। বর্তমান সরকার মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে। আইন অমান্য করলে জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এমনকি মাছের খাদ্যোর ব্যাপারেও বর্তমান সরকার অনেক সচেতন। বাংলাদেশের মাছকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সরকারের লক্ষ্য।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের মতো উন্নত করা। তার স্বপ্ন পূরণের আগেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করছেন। তার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনাকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের কথা ভাবছে না, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। একসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের নীতি, শুধু উন্নয়ন নয় বরং উন্নয়ন অবশ্যই টেকসই হতে হবে।
বাংলাদেশে শিগগিরই আন্তর্জাতিক সীফুড মেলা আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে এ খাত সংশ্লিষ্ট জার্মান গবেষক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সীফুড মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব পরিহার করে জাতীয় উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের সদস্যদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ পরিহার করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এলাকায় কোনো গ্রুপিং ও আন্তঃদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। সবাইকে কাজ করতে হবে। আমি মনোনয়ন দেব। যারা এলাকায় কাজ করতে চান, তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় ভিডিও কলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের দেখাশোনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, সরকারের অসংখ্য প্রকল্পের মাধ্যমে নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে, তিনি পার্টির লোকদের এই ভাতাগুলো সরাসরি সুবিধাভোগীরা পাচ্ছেন কিনা তা পরীক্ষা করতে বলেছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দলকে আরও গতিশীল করতে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন হাসিনা।
তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি এ ধরনের সহিংসতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য সারাদেশের আ.লীগ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি দলের নেতাদেরকে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে গাছ লাগাতে বলেন।
নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি আ.লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সবার নিরাপদ যাত্রা কামনা করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ বাড়াতে দলের সব সদস্যকে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ১৯৭৭ সালের গণহত্যার অপরাধী ও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ঝুঁকি-অবহিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যা বহুমাত্রিক দুর্বলতাকে বিবেচনা করে, লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করে, সামাজিক সুরক্ষাকে শক্তিশালী করে এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি’স) মাধ্যমে রেয়াতি ঋণের প্রসার ঘটায়।’
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে (ইকোসক) ‘উন্নয়ন সহযোগিতা: দীর্ঘমেয়াদী সহনশীলতা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তার পূর্ব-রেকর্ড করা মূল বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন যে একত্রে কাজ করে এবং এমডিবি-এর সম্পদ ও দক্ষতার ব্যবহার করে, আগামী প্রজন্মের জন্য আরও সহনশীল এবং সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরির দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এমডিবি-এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগণকে সহায়তা করে একটি সমৃদ্ধ এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে একসঙ্গে কাজ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি এখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে - প্রথমে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্ময়কর প্রভাবের কারণে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের সহনশীলতা তৈরি করতে এবং বহুমাত্রিক সংকট মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে এটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হয় যে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি’র) গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন যে এমডিবি’র থেকে অর্থায়ন বৈশ্বিক সমস্যাগুলো এবং অগ্রিম নীতিগুলো মোকাবিলা করার জন্য বহু-দলীয় সংলাপকে উৎসাহিত করবে যা ২০১৫ এর আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডায় নির্দিষ্ট করা ম্যান্ডেট অনুসারে এসডিজি অর্জনে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করবে৷
তিনি বলেন, ‘এমডিবিগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং প্রযুক্তির প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এগুলো টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও জ্ঞান প্রদানের জন্য এবং তাদের সক্ষমতা তৈরিতে এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য এমডিবিগুলো অনন্যভাবে অবস্থান করছে।
‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সহনশীলতা তৈরির দিকে কাজ করার সময়, আমাদের অবশ্যই তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা অন্বেষণ করার ক্ষমতা স্বীকার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক বৈষম্য, ডিজিটাল বিভাজন এবং উন্নয়ন বিভাজন। টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সহনশীলতা তৈরিতে ফোকাস করা উচিত।’
তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে এমডিবি’র সুদের হার ও সার্ভিস চার্জ বাড়ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্ত অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি এমডিবি’কে একটি ঋণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ঠিক করার আহ্বান জানান যা আর্থিকভাবে কার্যকর এবং দুর্বল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতাও রয়েছে।
‘আমাদের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চূড়ান্ত রূপকল্প নিয়ে ।’
কিন্তু, তিনি বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের উন্নয়ন যাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোকে সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই।
বুধবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সকল অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্খিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘ-মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সরকার 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০' নামে একটি ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা এবং 'বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩' প্রণয়ণ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আওয়াজ তোলার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশেষ করে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন এবং এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে ‘ওয়াটার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: ভ্যালিউইং ওয়াটার, ওয়াটার-এনার্জি-ফুড নেক্সাস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইকোনমিক অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সংলাপে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং ‘ওয়াটার সল্যুশনস ফর ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন: লেসনস টু স্কেল আপ ইমপ্যাক্টফুল ডেলিভারি’ শিরোনামের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।
এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্লেনারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ রয়েছে এবং এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েক শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩-সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম লন্ডনে প্রথবারের মতো বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত রেমিট্যান্স মেলায় মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রবাসিদের পাঠানো অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোনো কোনো মহল বিভিন্ন মাধ্যমে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা উল্লেখ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১ তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।’
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
কোনো ধরনের অপ্রপচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বৈধ পথে বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি প্রবাসিদের আহ্বান জানান এবং চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধ পথে যুক্তরাজ্য থেকে অর্থ পাঠানোর পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা বৈধ উপায়ে আরও বেশি অর্থ দেশে পাঠালে এই অবস্থান ভবিষ্যতে উন্নীত হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এসব বিবেচনার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা ও সিআইপি মর্যাদাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।’
হাইকমিশনার আশা করেন রেমিট্যান্স মেলা প্রবাসিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আরও উৎসাহিত করবে। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় যে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছেন তার প্রশংসা করে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে তাদের এই গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুবিথধার কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। ফ্রান্সের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীরা এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ- সুবিধা দিচ্ছে।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ওইসিডি আয়োজিত ‘প্রমোটিং এন্ড ইনাব্লিং রিসপনসিবল বিজনেস কনডাক্টর ইন দ্য গ্লোবাল ইকনোমিক’- শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল মিটিং এ যোগদান করে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ফ্রান্সের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে টিপু মুনশী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, লেদার, মেডিকেল পণ্য, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, এর অনেকগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলোতেও বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ফ্রান্সে অবস্থিত বিজনেজ কমিউনিটি আয়োজিত অপর এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে এবং ফ্রান্সে অবস্থিত সকল প্রবাসীকে রেমিটেন্স প্রোপার চ্যানেলে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোন জটিলতা সরকার গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করবে। এসময় ইউরো-বাংলা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরির ফরেন অ্যান্ড ট্রেড মিনিস্টার পিটার এসজিজার্টো এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী হাঙ্গেরিতে পড়া লেখার জন্য বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা সহজ করার আহ্বান জানান। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ডাবল ট্যাক্সেশন পরিহারে চুক্তি সইয়ের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।
ফ্রান্সে ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মিটিং এ বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্য দু'জন হলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম, এমপি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় মার্কেট বেজ ইকনোমিক প্রিন্সিপাল, ওপেন, ফ্রি, ফেয়ার, রুলবেজ, মাল্টিলেটারেল ট্রেডিং সিস্টেম এবং সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়ে।
উল্লেখ্য, দু'দিনব্যাপী এ মিটিং এ ২৫টি দেশের মন্ত্রী, ইউএন বডি, ইইউ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
জলাভূমি পুনরুদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
উপকূলীয় ও মিঠা পানির জলাভূমি-যেমন ম্যানগ্রোভ সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির ৪০ শতাংশের অবাসস্থল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে এই জলাভূমি দূষিত ও ক্রমাবনতি হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব জলাভূমি দিবসে জাতিসংঘ এই বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনরুদ্ধার করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। যা বনের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা জাতিসংঘের
জলাভূমি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রায় ছয় শতাংশ জুড়ে রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য সরবরাহ, পর্যটন এবং চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের জীবিকার জন্য জলাভূমির ওপর নির্ভর করে। অগভীর জল এবং প্রচুর উদ্ভিদে ভরা জলাভূমি পোকামাকড় থেকে হাঁস, হরিণ আরও অনেক প্রজাতিকে খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই উভয় ক্ষেত্রেই জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণস্বরূপ, এই জলাভূমি পানি নিয়ন্ত্রণ এবং বন্যার প্রভাব কমানোর মতো প্রয়োজনীয় বাস্তুতন্ত্র পরিষেবা দিচ্ছে।
এছাড়া পিটল্যান্ড, একটি বিশেষ ধরনের উদ্ভিজ্জ জলাভূমি, বনের তুলনায় দ্বিগুণ কার্বন সঞ্চয় করে।
যাইহোক, ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) অনুসারে, গত ২০০ বছরে কৃষিজমি বা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য জলাভূমি নিষ্কাশন করা হয়েছে।
১৯৭০ ও ২০১৫ এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী সমস্ত জলাভূমির প্রায় ৩৫ শতাংশ অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং ২০০০ সাল থেকে ক্ষতির হার ত্বরান্বিত হচ্ছে।
ইউএনইপি বলেছে, জলবায়ু-সম্পর্কিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে, বর্তমান উপকূলীয় জলাভূমির প্রায় ২০ থেকে ৯০ শতাংশ এই শতাব্দীর শেষে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য ভূমি এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের তুলনায় জলাভূমিগুলি বেশি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ইউএনইপি’র মেরিন অ্যান্ড ফ্রেশওয়াটার শাখার প্রধান লেটিসিয়া কারভালহো সরকারকে এমন নীতি এবং ভর্তুকি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা বন উজাড় এবং জলাভূমির অবক্ষয়কে উৎসাহিত করে। এর পাশাপাশি তিনি জরুরী ভিত্তিতে জলাভূমি পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘একই সময়ে, পিটল্যান্ডের মতো অগ্রাধিকারমূলক বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগের নির্দেশনা ও পরিচালনা করতে হবে।
সম্প্রতি, সরকার জলাভূমি রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
ডিসেম্বরে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে দেশগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে এই গ্রহের ভূমি, উপকূলীয় অঞ্চল এবং অভ্যন্তরীণ পানির এক তৃতীয়াংশ রক্ষার জন্য একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
জলাভূমি পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ সারা বিশ্বে গতিশীল হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, দ্রুত নগরায়ণ এবং বন্যা সহ জলবায়ুর তীব্র বিপদের মুখে চীন ‘স্পঞ্জ শহর ধারণাটি বিকাশ করছে।
উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ‘সবুজ’ ছাদ, নির্মিত জলাভূমি এবং ফুটপাথ, যা বৃষ্টির পানি ধরে ধীর গতিতে ফিল্টার করে।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশকে প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ও আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, খাদ্য ও কৃষি উপকরণকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) জার্মানির বার্লিনে ‘১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’- মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (জিএফএফএ) শেষ দিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দোষ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের জন্য আমি উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি উন্নত, টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে এবং কৃষকেরা উন্নত জীবন পাবেন। কিন্তু জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কপ২৬, কপ২৭ ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে দেয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আমি অনুরোধ করছি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ও কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী বৈশ্বিক ক্ষুধা নিরসন (জিরো হাঙ্গার) করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুধায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় চার কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ কোটি বেশি। বর্তমানে বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। প্রজাতি বিলুপ্তি, কোভিড ১৯, আর যুদ্ধ; খাদ্যসংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কীভাবে ক্রাইসিস-প্রুফ খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ুসহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা বাড়ান যায়- এই চারটি বিষয়কে সম্মেলনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 'ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশন: এ ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্স টু মাল্টিপল ক্রাইসেস' শিরোনামে এ সম্মেলনে বিগত চার দিনে অংশগ্রহণকারী দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি ‘যৌথ ইশতেহার’ (কমিউনিক) ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বর্তমান সংসদের ২১তম অধিবেশনে ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল আশার কেন্দ্র হলো মহান জাতীয় সংসদ।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, তাই জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী চক্রান্ত রোধ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, এটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং ২০২২ সালের ২৫ জুন, উদ্বোধন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এতে সরাসরি উপকৃত হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাল্টি-লেন টানেলের দক্ষিণাঞ্চলীয় টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।’
শিগগিরই টানেলটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে বলেও তিনি আশাবাদী।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ট্রেন চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
২০২২ সালকে চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাতি ও সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতির গতি কমিয়ে দিয়েছে।’
হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য পেনশন চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা