আহ্বান
দেশের মানুষকে কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীসহ সকল রাজনৈতিক দলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আবেদন... আমি মনে করি পুরো জাতির এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ভয়ানক শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমানের (যাদু মিয়া) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, 'গতকাল (সোমবার) এই সরকার যা করেছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনো দেখিনি। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কখনো হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর হামলা করতে দেখিনি। এটা আমরা কখনো ভাবতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও না।’আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান নৃশংসতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে তাদের তথাকথিত শক্তি এবং আমলা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতি বাংলাদেশের ঋণের সুদের হার আরও কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেইজিংভিত্তিক এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ, নদী খনন ও জলবায়ু খাতে অর্থায়ন বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে এআইআইবি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ঋণদাতা এআইআইবি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ঋণের সুদ আরও কমানোর জন্য এআইআইবিকে অনুরোধ করেছেন।’
জবাবে এআইআইবির কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ এআইআইবির সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে অন্যতম। সুদের হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ব্যাংকটি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও বলেছেন, চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করতে মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কাজ করছে।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি নিজ দেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, লিউ উল্লেখ করেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে সেখানে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি মিয়ানমার সরকারেরও (এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা) বাস্তবায়নের মতো অবস্থা নেই। সেখানে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকারে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সমর্থন করায় তারা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী চীনের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। সমাধানের অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক ও উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, 'এটি (আমার পক্ষ থেকে) চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়া (রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে) একটি বিশেষ বার্তা।’
তিনি মন্ত্রীকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
জিডিসির সমাপনী অধিবেশনে ডিজিটাল রূপান্তরে বিমসটেকের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
এই অঞ্চলে অর্থবহ ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, আন্তঃসীমান্ত তথ্য প্রবাহ এবং উন্নয়নমুখী উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (২৩ জুন) ঢাকায় দুই দিনব্যাপী 'রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি)'র সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সরকার ও বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ বিমসটেক মহাসচিবের
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জিডিসি সম্পর্কিত চলমান আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর সহজতর করার জন্য অভিন্ন উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত ও প্রচার করা এই আলোচনার লক্ষ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা জিডিসি গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ডিজিটাল কূটনীতিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর জাতিসংঘে 'জিরো ডিজিটাল ডিভাইড' বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) উত্থাপিত প্রস্তাবের কথা স্মরণ করেন। তিনি ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি এবং ইনোভেশন বিষয়ে গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ার করা বেশ কয়েকটি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম ও মান মেনে একটি তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
বৈঠকের সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন পরবর্তী বিমসটেক চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আঞ্চলিক পরামর্শের মাধ্যমে সৃষ্ট গতিকে এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, তিনি ডিজিটাল সাক্ষরতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির মানব-কেন্দ্রিক প্রয়োগের প্রচারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
শামসুল আরেফিন তার বক্তব্যে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময়ের জন্য 'বিমসটেক সেন্টার অব এক্সিলেন্সি' প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস সবার জন্য উন্মুক্ত, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘের উদ্যোগকে ঘিরে আঞ্চলিক আলোচনা সভা আয়োজনে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিছিয়ে পড়াদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাসহ আগামী বছরগুলোতে জিডিসি বাস্তবায়নে দেশগুলোকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক ভেরানজা করুনারত্নে, বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন) মাহিশিনি কোলন এবং বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর ইউনিফাইড ভয়েসেস অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ও ইউএন সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪-এর নির্বাহী সমন্বয়ক এ এইচ এম বজলুর রহমান।
দুই দিনের এই আয়োজনে পাঁচটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জিডিসির পাঁচটি মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কিত অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করে।
কারিগরি আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ ও এমইএ) ফাইয়াজ মুরশীদ কাজী।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনে কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে যাচ্ছে: মহাসচিব
শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এ আহ্বান জানান।
৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মযোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিক্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে, তাদের কর্মক্ষেত্রের উপযোগী শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগে দক্ষ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জেলার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবকাঠামো ও নতুন বিভাগ না খোলারও পরামর্শ দেন।
অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলামে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা, শিক্ষকদের দিয়ে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময় করা, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও সফলভাবে এপিএ বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
নিম্নমানের অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প-কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজারে মানহীন অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের সরবরাহ রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
রবিবার (২ জুন) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ডিজাস্টার অ্যান্ড এক্সপ্লোশন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যেকোনো ভবন বা কারখানা নির্মাণের সময় অগ্নি নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মানহীন ফায়ার সেফটি সরঞ্জাম কারা বাজারে আনছে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য ইসাবসহ এই খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অগ্নি নিরাপত্তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
তিনি বলেন, অনেকে বাড়ি নির্মাণে দামি উপকরণ ব্যবহার করেন কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার জন্য কোনো খরচ করেন না। সম্পদ ও জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে ফায়ার সেইফটি এবং সিকিউরিটির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ফায়ার সেইফটির প্রয়োজনীয়তা, যন্ত্রপাতির বাজার ও চাহিদা, আমদানি নির্ভরতা, স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করার কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইসাবসহ ফায়ার সেইফটি ইকুইপমেন্ট শিল্পের অংশীজনদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নকল ও মানহীন সরঞ্জাম বাজারজাতকারীদের তথ্য স্ট্যান্ডিং কমিটিকে সরবরাহের আহ্বান জানান কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. নিয়াজ আলী চিশতি।
বিষয়টি নিয়ে ইসাবের উদ্যোগে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এফবিসিসিআই ও বিএসটিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ইসাব এবং সহযোগী সংগঠনগুলো নকল পণ্য রোধে আরও কঠোর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এনবিআরসহ সব অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনের কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় পর্যায়ে ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্টের উৎপাদন শুরুর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়াও নকল ও মানহীন যন্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতন করা, মানহীন পণ্য আমদানি নিরুৎসাহীতকরণ, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক ফায়ার কোড বা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির ব্যয় হ্রাস, ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ সাজসজ্জায় নিরুৎসাহিতকরণ, ফায়ার সেইফটি শিল্প এবং এই খাতের ট্রেডিং হাউজের জন্য অভিন্ন কাস্টমস ডিউটি নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি কনসালটেন্সি সার্ভিসের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া, পাঠ্যক্রমে অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়কে আরও গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব, মো. আবুল হাশেম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবু নাইম মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন কমান্ডার ফয়সালুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে এফবিসিসিআইর আহ্বান
ডিজিটাল যুগের সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের একটি মূল লক্ষ্য হলো- উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো, ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল বিভাজন দূর করে নিরাপদ সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আসুন এই আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবসে ডিজিটাল যুগ থেকে সব দেশের মানুষ যাতে লাভবান হতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি আমরা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তারা জীবনকে আরও ভালোভাবে পরিবর্তন করতে যোগাযোগ সরঞ্জামের শক্তি উদযাপন করেছেন।
এবারের প্রতিপাদ্য টেকসই উন্নয়ন ও এসডিজি অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবনের মূল ভূমিকা তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসকদের তাদের রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি এখন মৌলিক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা এবং টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য।
আরও পড়ুন: সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা জরুরি: গুতেরেস
তিনি বলেন, এসব উদ্ভাবন শুধু ধনী দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। উন্নয়নশীল অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের ধাক্কাও বহন করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এই চ্যালেঞ্জগুলো কমাতে সহায়তা করতে পারলেও তারা প্রায়শই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়।
গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক সমর্থন ও সমন্বয়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ‘এটি আইটিইউ-এর এআই ফর গুড’ উদ্যোগেরও চেতনা, এআই সম্পর্কিত আমার উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যা এআই প্রযুক্তি সকলের উপকার নিশ্চিত করতে সক্ষম করে তোলা দায়িত্বশীল শাসন কাঠামোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে ‘সামিট অব দ্য ফিউচারে’ তিনি বলেন, মানবকল্যাণের জন্য শক্তি হিসেবে প্রযুক্তি সুরক্ষার লক্ষ্যে দেশগুলো একটি ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’র বিষয়ে একমত হবে।
গুতেরেস বলেন, 'এসডিজিকে সমৃদ্ধ করতে এবং কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রশাসনকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এটি একটি অনন্য সুযোগ হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি: গুতেরেস
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে তদারকি বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে তদারকি বাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি
সোমবার (৬ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাক্ষাৎ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মসিউর রহমান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার ও রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে এবং যোগ্য নাগরিক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি ক্যাম্পাসে বিদ্যমান শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক কর্মসূচি চালুর পরামর্শ দেন।
উপাচার্য এ বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মধ্যপ্রাচ্য সংকট: সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলের ওপর ইরানের পাল্টা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সংঘাত দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বাংলাদেশের কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে বাস্তবতা উদ্ভূত হচ্ছে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নজর রাখতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে মন্ত্রিপরিষদ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সব সদস্যকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সংঘাতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সংঘাত দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকলে আমরা কীভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলা করব বা এসব পরিস্থিতি সামলাতে আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি রূপ নিলে বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে, সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর কর্তৃপক্ষকে এর প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।’
কোন কোন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, সবাইকে নিজ নিজ খাতসংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংকট তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। তাই সেক্ষেত্রে কী করা উচিত, তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা