পরিস্থিতি
আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
উজানের ঢল ও বর্ষণে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার পানিতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার স্থানীয় ওয়াপদা বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড় থেকে ময়নাল সরকারের কবরস্থান পর্যন্ত তীব্র ভাঙনে কবলে পড়েছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিস, শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল, জালালপুর, কৈজুড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ও বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্য়াটার) নাজমুল হাসান বলেন, ‘যমুনায় পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নজর রাখছেন।’
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনায় আবারও পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি
বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭২৯ পরিবার।
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে পাট, আউশ ধান ও আমন বীজতলাসহ আড়াই হাজার হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।
পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনিবার ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বাড়লেও বিপৎসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষ শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বড় আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: চলমান বন্যায় ১৫টি জেলার ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগমন্ত্রী
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জের ৯টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।
এই ২৯ ইউনিয়নে পানিবন্দি রয়েছে ৬৭ হাজার ৭২৯টি পরিবার।
তবে স্থানীয়দের দাবি বাস্তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি। পানিবন্দি এসব মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, ফুলছড়িতে ২৩টি, সদরে ২৪টি, সাদুল্যাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ৬টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘চলমান বন্যায় ৪ উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাকসবজি পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাবে।’
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, ‘এ পর্যন্ত সদরসহ চার উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ টন জিআর চাল (প্রাকৃতিক দুর্যোগ), ১০ লাখ টাকা জিআর নগদ চারটি উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৬৫ টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভূগাই ও কংশ নদীতে পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভোগান্তি এখনো কমেনি তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষের।
কয়েক দিন ধরে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় আরও কমে তা ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
গত বুধবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে স্বল্প বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা, কালমাটি, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি-ঘরে এখনো পানি রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি।
এদিকে নদীর চর ও নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা জেগে উঠলেও জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
কিছুটা উঁচু বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এখনো অনেক বাড়িতে নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নিকট কালনী কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বাড়ছে।
জেলার ৬টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলাগুলো হলো- নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল ও মাধবপুর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্র জানায়, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা কমছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৫০ জন অবস্থান করছে। ১১৬ আশ্রয় কেন্দ্রর মধ্যে ৮টি চালু আছে। এর বেশিরভাগই নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ২১ জুন (ইউএনবি)-পর্যন্ত ৫১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ৫৭ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৮১ কোটি টাকা।
অপরদিকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সওজের অধীন পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের আধা কিলোমিটার বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়েই চলছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ির শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, বিকাল ৩টায় দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি সামান্য কমে এখন বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীসহ অন্যান্য নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। অনেকেই কলার গাছের ভেলা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করছে।
ডুবে গেছে বাদাম,পাটখেত,ভুট্টা,মরিচ ও শাক সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে ঢাকা থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ৫০০ টন চাল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওয়েস্ট রিজিওন) এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম উলিপুরের বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, একদিকে বন্যা আবার আর একদিকে নদী ভাঙন এ জেলার জন্য দুর্ভাগ্য। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর সবই ভাঙনপ্রবণ। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ। নদী ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিরসনে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় তা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। কারণ বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেত্রকোণা জেলার নদীসংলগ্ন কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় সিসিকের হটলাইন নম্বর চালু
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু-খোয়াই নদী সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বাড়তে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ডে এখনো পানি রয়েছে। ওইসব এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনো ত্রাণ সেবা অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ দিন টানা বর্ষণ না হলে সুরমা নদীর পানি আরও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গত সোমবার সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠেছিল এবং ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
কাউন্সিলররা জানিয়েছে, সিসিকের বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নেওয়া মানুষ অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে সিসিকের পক্ষ থেকে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবারসহ ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিলেট মহানগরীর প্রায় ২৮টি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে বেশকয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। সেখানে নিয়মিত রান্না করা খাবার ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, ধীরে কমছে নদীর পানি
গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেট নগরীসহ ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। শনিবার পানি বাড়লেও রবিবার থেকে কমতে শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
রবিবার (২ জুন) সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে সামান্য (১ সে.মি.) নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিন দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ থেকে ১ সে. মি. কমে ১০ দশমিক ৭৯ সে. মি. নিচে নেমে এসেছে। টানাবৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে বলে জানায় পাউবো।
সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্নভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: নগরীর ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা দেখা দেয়। তবে বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। তাছাড়া বন্যার ঝুঁকিতে আছে এমন সব ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনগুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়ছে।
সাজলু লস্কর বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে আনুমানিক চার হাজার পরিবার বন্যাকবলিত আছে।
সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ ৮টি উপজেলার বন্যাকবলিত ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ জন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের জাফলং এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ১১৩ মিলিমিটার। তাছাড়া অন্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কম ছিল বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: ধীরগতিতে হলেও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা
সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে।
পানি যত কমছে, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ভেসে উঠছে। নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি, যানবাহন, দোকানের মালামাল এবং ভেঙে গেছে সড়ক, ভেসে গেছে মাছের ঘের।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকালে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল দিকে তা কমে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: বিজিবির উদ্ধারকাজ ও খাবার বিতরণ
এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। যেসব এলাকার উচুঁ স্থান ও ঘর-বাড়ি থেকে পানি কমে গেলেও জলাবদ্ধতার কারণে বানের কাদা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে এবং পানিবাহিত রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে।
পাউবোর তথ্যমতে, উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৬৩ মেট্রিকটন জিআর চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ কেজি ওজনের ২০০টি বিশেষ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এই উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও ৫ হাজারপ্যাকেট শুকনো খাবার ১০ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ, শিশু খাদ্য ক্রয়ের নিমিত্ত ৫ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয়ের নিমিত্ত ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা চেয়ে পত্র দিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জামাল খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ সমন্বয়ে গঠিত টিম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, সড়ক, ব্রিজ-কালভার্টের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি, গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, কোম্পানীগঞ্জ পাহাড়ি ঢলের পানি শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে মানুষকে উদ্ধার ও সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে নদী ও খালের পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও সেতুগুলোকে সংস্কার করে যানবাহন লাচল উপযোগী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: নগরীর ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত
সিলেটের ৭ উপজেলায় বন্যা, সাড়ে ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি