পরিস্থিতি
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল নয়: জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন,‘শিগগিরই পূর্ণ মাত্রায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা খুবই কঠিন হবে। মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সেখানে সহিংসতা বন্ধ,বন্দীদের মুক্তি এবং সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: বেইজিংয়ের প্রচেষ্টার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে ঢাকা
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে,তবে তা তাদের পূর্ণ মাত্রায় স্বদেশে প্রত্যাবাসন নয়।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে একজনও রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এ পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রত্যাবাসন অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।’
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের শিগগিরই প্রত্যাবাসন করা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে এবং তারা বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও উদারতার প্রশংসা করে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার পরিচালনায় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
কর্ম সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ
তিন দিনের ছুটির পর কর্মসপ্তাহ শুরু হওয়ায় সোমবার ঢাকা মহানগরী এবং অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) -এর কর্মকর্তারা বলছেন, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সকাল থেকে ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় তাদের আরও বেশি লোডশেডিং করতে হবে।
ফলস্বরূপ, ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়। এই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। সারা দিন ন্যূনতম পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা দীর্ঘ লোডশেডিং করতে হয়।
এছাড়া ছুটির দিনে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী শিল্প এলাকাসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ৫০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, আজ সকাল থেকে তার কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগরীতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ১৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১১৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। গরম আবহাওয়ায় মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে’।
সপ্তাহের শেষে এবং ছুটির দিনে লোডশেডিং ছিল প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং ডিপিডিসি এলাকায় চাহিদা ছিল ১৪০০ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসি’র প্রধান নির্বাহী স্বীকার করেছেন যে ডিপিডিসির পরিষেবা দেয়া কিছু এলাকায় গ্রাহকরা দিনে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন থাকছেন।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই… আমরা যা পাই তা সরবরাহ করি।
ডিপিডিসি ঢাকা শহরের মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং নারায়ণগঞ্জের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেনানিবাস এবং বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালসহ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্থাপনা (কেপিআই) ডিপিডিসি এলাকায় অবস্থিত।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী তার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ক্ষেত্র বিশেষে ডেসকো এলাকার গ্রাহকদের সারাদিনে পাঁচ ঘন্টার বেশি লোডশেডিং পোহাতে হয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছুটির শেষ তিন দিনের তুলনায় আজ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি।
ডেসকো ঢাকা শহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং টঙ্গী শিল্প কেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিতরণ করে।
কাউসার উল্লেখ করেন, ডেসকোর সরবরাহ অঞ্চলের দৈনিক ১০৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়। গরমের কারণে ঢাকা শহরে বিদ্যুত সরবরাহের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে শিশুদের মানববন্ধন
কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্কুল ছাত্র স্বপ্নীলের ওপর ছিনতাইকারীর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় শিশুরা। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর আয়োজিত এ সমাবেশে শিশুরা তাদের বক্তব্যে জানান, কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে বখাটেদের উৎপাত ও কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা। তাই স্কুলে ও প্রাইভেট কোচিং এ যেতেও ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অভিভাকরা বলেন,কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। যার কারণে শিশুরা সকালে এবং বিকালে প্রাইভেট কিংবা কোচিংএ যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির অবনতির কারণে এখন মিয়ানমার থেকে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আরও ভালোভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্থাগুলো ভালোভাবে প্রস্তুত। বিজিবিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা মনে করি না যে ২০১৭ সালের মতো দেশত্যাগের কোনো ঘটনা ঘটবে। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছে যে মিয়ানমারে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে বাকি রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে পাড়ি দেবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়।
শাহরিয়ার বলেন, আমরা সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল ছোড়ার পর দেশটিকে দুইবার সতর্ক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে তলব করে এবং এর একদিন আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার আইসিসি ও আইসিজের বিচারের বাইরে নয়: শাহরিয়ার আলম
খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দাবি করেছেন, গতমাসের চেয়ে চলতি মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে।
শনিবার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঝুঁকিতে পড়েছে। এটি বিশ্বের জ্বালানি খাতে ব্যাপকভাবে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:সৌরবিদ্যুতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা শুল্ক ও জমি: নসরুল হামিদ
বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরি ও জ্বালানি সচিব হাবিবুর রহমান।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় জনগণকে আরও ধৈর্যশীল হওয়ার আহ্বান পুর্নব্যক্ত করে নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশে দৈনিক ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং হতো।
তিনি আরও বলেন, সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেল অয়েল কোম্পানির পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। সেগুলো থেকে দেশের গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে।
তিনি বিদ্যুত পাওয়াকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের সংকট বেশিদিন থাকবে না: নসরুল হামিদ
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বুধবার পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে উপজেলার ১৩ ইউপি ও একটি পৌরসভাসহ নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে এ অঞ্চলের বহু রাস্তাঘাট, প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক মৎস্য খামার।
ছাতক-সিলেট সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়ক পথে ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু যান চলাচল করলেও গত বুধবার সকাল থেকে ছাতকের সঙ্গে জেলা সদরসহ দেশের সব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ১৮০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত বুধবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা চৈলা নদী, পিয়াইন নদী ও সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বর্ষণ ও সীমান্ত এলাকা মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধির ফলে পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সড়ক বন্যা প্লাবিত হওয়ায় ১৮টি সড়ক ও উপজেলা সদরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় খেয়ে না খেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় দুর্ভোগে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চীনে ফিরতে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনা টিকা ও চীনে ফেরার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং।
সোমবার চীনের ক্ষমতাসীন দল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষেে এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না এলামনাই (এবকা) আয়োজিত সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইয়ান এ কথা বলেন।
চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যাপারে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কাজ করছে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের শিক্ষার্থীই এ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে: চীনা উপরাষ্ট্রদূত
ইয়ান হুয়ালং বলেন, এখনই অন্য কোন দেশের শিক্ষার্থীদেরকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এটি কেবল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নয়, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য শিক্ষার্থীরাও ফিরতে পারছে না। কেউই চীনে যেতে পারছে না। করোনা যেভাবে আঘাত করছে তাতে আমি খুব দ্রুতই এ অবস্থার পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছি না। এমন মহামারি এর আগে আমরা কখনো দেখিনি। কাজেই প্রতিটি দেশই ব্যাপক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। চীন ও চীনা দূতাবাস কাজ করছে। যখনই ভালো সময় আসবে চীনা টিকা ও চীনে ফেরার ব্যাপারে বাংলাদেশি বন্ধুরা ও শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।
এবকার প্রেসিডেন্ট ও চীনে নিযুক্ত সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, পুরো বিশ্ব দরবারেই পদ্ধতিগত নানা অগ্রগতি অর্জন করেছে চীন। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও চীন দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন লক্ষ্য করলে দেখবেন চীন এখন ২০৪৯ সালের মধ্যে বিশ্বে একটি ‘মডারেটলি ডেভেলপড’ দেশের মর্যাদা অর্জন করতে চায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
চীন সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই সফলতার পেছনের গোপন শক্তি হলো পরিস্থিতির সঙ্গে সমন্বয় করে তারা বারবার নানা সংস্কার করেছে। তারা সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করে বলেই এতো দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, চীন ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কীভাবে ভেতর থেকে বদলে গেছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সব যুগেই সম্পর্ক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ যখন বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন, বিশেষ করে ১৩৯৩ সাল থেকে শুরু করে ১৪০৮ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে চীন ব্যাপক বদলে গেছে। চীন সার্বিকভাবেই বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। আর যখন একটি দেশ অর্থনীতিতে শক্তিশালী হয়, তখন সেই দেশ সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এবকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাইনুল ইসলাম, এবকার যুগ্ম-সম্পাদক ও ওরিয়ন ডেন্টাল অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকার হেড অব অপারেশনস মো. আবু কাউসার স্বপন এবং এবকার সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাস্ট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ড. নাজমুস সাকিব।
সমাপনী বক্তব্যে এবকার প্রেসিডেন্ট মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন দল সিপিসি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিপিসি অসামান্য অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের এক নম্বর বন্ধু চীন।
ইউরোপ, আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো: কাদের
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, বাংলাদেশের করোনভাইরাস পরিস্থিতি ইউরোপ ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশের চেয়ে ভালো।