বঙ্গবন্ধু
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে জিয়ারত করেছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গবন্ধু ও অন্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ দুপুরে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে যোগ দেন।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী সেতু পার হয়ে বেশ কয়েকবার টুঙ্গিপাড়ায় তার পৈতৃক বাড়িতে যান।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সকালে গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু কর্নার' উদ্বোধন করবেন এবং 'এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি' অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বহুমুখী পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শনিবার বিকালে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তির পক্ষে অদম্য কণ্ঠস্বর ছিলেন বঙ্গবন্ধু: বক্তারা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বদাই শান্তির পক্ষে অদম্য কণ্ঠস্বর ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর এমন ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তির ধারণা এবং ন্যায়বিচার ও সাম্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা তার জীবদ্দশায় যতটা প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের বিশ্বেও তেমনটাই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে 'বঙ্গবন্ধু: এ চ্যাম্পিয়ন অব ওয়ার্ল্ড পিস' শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)।
বক্তারা বলেন, দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু সবসময় উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক ছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এগুলোকে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আজীবন নিপীড়ন ও শোষণ থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য সোচ্চার ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, তার আদর্শ ও নীতি বিশ্বের নিপীড়িত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য সবসময় প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন পাচ্ছেন ৫ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
সেমিনারে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শাহরিয়ার আলম এবং বিশ্ব শান্তি পরিষদ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
সেমিনারে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এম আশিক রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিআইআইএসএ ‘র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও স্বাধীনতাপদক প্রাপ্ত কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমি রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম সরকার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও সমাপনী বক্তব্য দেন।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কূটনৈতিক মিশন, গণমাধ্যম, গবেষক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন থিংকট্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে মেহনতি মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’
এই ভাষণ বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু জানতেন শোষিত নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজে সাম্যতা আসবে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।’
বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানোর আহ্বান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকI
তিনি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ যে অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেশে-বিদেশে তুলে ধরার জন্যও তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ২ মে থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে: বিএমডি
শনিবার (২৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস সিটিতে সপ্তম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ প্রবাসীদের ও নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানো আমাদের সবার কর্তব্য।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
টোকিওতে বৈশাখী মেলায় সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই
জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ২৩তম বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যালে সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই।
গত ২১ এপ্রিল তোশিমা সিটির ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় বাংলাদেশ থেকে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি গ্রাফিকস নোবেল জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে প্রকাশিত 'ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু' বইটি নিয়ে অংশ নেয়।
বইটির লেখক, প্রকাশক ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম এই মেলায় ছিলেন।
তিনি বলেন, জাপানের ১৭তম আন্তর্জাতিক মাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড আসরে ব্রোঞ্জ পুরস্কার প্রাপ্ত এই বইটির বাংলা, ইংরেজি এবং জাপানিস ভার্সন এই মেলার স্টলে বিক্রি করা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক জাপানি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা জানার জন্য জাপানিজ ভাষায় বইটি কিনেছেন। জাপানিজ ভাষাতেই বইটির বিক্রি বেশি হয়েছে।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাপানে বসবাসরত তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের পরিবারের সদস্যদের জন্য বইটি সংগ্রহ করেন বলে জানান তিনি।
সকালে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিনামূল্যে বইটি বিতরণ করেন।
এ সময় এম ই চৌধুরী শামীম জানান, বইটির ব্যাপারে জাপানিজরাও প্রচুর আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই বইটি আগামী মাস থেকে জাপানের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে।
লেখক আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ বইটিতে আমরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।’
দিনব্যাপী এই মেলায় জাপানে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাঙালি সমবেত হন।
মেলায় বাঙালিদের নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশন করা হয়। মেলাটি ঘিরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহামেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি মেয়র মিয়ুকি তাকাগিওয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিভাগের সচিব ইয়াসুহিরো শিনতো, জাপান-বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিরোয়ুকি সাকুরাই।
এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে এই কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পরে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার হাতে বইটি তুলে দেন এর লেখক এম ই চৌধুরী শামীম।
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরবর্তীতে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়। প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়।
মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
ভুটানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ভুটানের জংখা ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) ভুটানের থিম্পুস্থ জিচেনখার মিলনায়তনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুটান সফররত বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে দণ্ড: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অগ্রগতি জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার
ভুটানের প্রিন্সেস ডেচেন ইয়াংজোম ওয়াংচুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ ভুটানিজ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভুটানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজের (সিবিএস) কমিশনার ও ভুটানের প্রখ্যাত লেখক দাশো কর্মা উড়ার নেতৃত্বে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি জংখা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
অনূদিত গ্রন্থটি থিম্পুর পিটি প্রিন্টিং থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ইয়ন্তেন ফুন্টশো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়েনপো শেরিং, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, ভুটানে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূ্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়।
অনুষ্ঠানে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ বাংলাদেশি ও ভুটানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রন্থটির সারমর্ম উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বীরদের সাহসিকতার প্রতি সজীব ওয়াজেদের সম্মান
স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন পোস্টে সজীব ওয়াজেদ পাঁচ দশক আগে ২৬ মার্চের ঐতিহাসিক রাতের কথা স্মরণ করেন, যেদিন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৫৩ বছর আগে আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মধ্য রাতে পাকবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার আগেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’
সেই ভয়াল রাতে ওয়্যারলেসে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ বার্তার কথা তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ, ‘এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।... পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।’
বঙ্গবন্ধুর ডাককে হৃদয়ে ধারণ করা বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের সংকল্প ও সাহসিকতার কথা, মাত্র নয় মাসে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধে তাদের বিজয়ের কথা স্মরণ করেন সজীব ওয়াজেদ।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন এবং মাত্র ৯ মাসেই বিজয় অর্জন করেছিলেন। আজ স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাকে।’
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরুন: রাষ্ট্রদূত ইমরান
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান।
রবিবার (১৭ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ এর আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কর্মাস) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি।আরও পড়ুন: জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পরে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লায় বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাঁচ হাজার বছর আগে উন্মেষ ঘটা বাঙালি জাতি কখনো স্বাধীন ছিল না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সুগন্ধা ভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রথম অফিস পরিদর্শন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে, মুক্তি আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাকে প্রায় ভুলতে বসা বাঙালিকে পলে পলে আন্দোলিত করে জাগিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে মন্ত্র শেখালেন- বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। তারপর হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো তার ডাকে এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা পেয়েছে। সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা।
গাজায় নিহত হাজার হাজার শিশুর কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের জাতীয় শিশু দিবসটিকে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত হাজার শিশুর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর থেকে সেখানে ৩২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।
এ সময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষায়তন ‘মনু মিয়ার স্কুলের’ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'জিম্মি নাবিক ও জাহাজ বিষয়ে সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর