বঙ্গবন্ধু
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ মে) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্বে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে তার বিশ্ব শান্তির দূত হয়ে ওঠার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল মুক্ত করে ক্ষান্ত হননি, দেশ বা বিদেশে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেছেন, সেখানেই তিনি প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। এ কারণেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ জুলিও কুরি আন্তর্জাতিক শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে।
১৯৭৩ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি এবং গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে এক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং কাউন্সেলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা। এরপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান তুলে ধরে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবিস্বরণীয় ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
২৩ মে বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় দিন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় দেশ-বিদেশে শান্তিকামী জনগণকে সমর্থন করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বিশ্ব শান্তি ও স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করে।
তিনি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত শান্তিপূর্ণ বিশ্ব এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (ইকনোমিক) মো. মেহেদি হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের ওপর আলোকপাত করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সারি ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) মো. মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানের টোকিওতে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মের কমিক বই 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' এর দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটিতে ছবি ও বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিশু ও কিশোররা বইটি পড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেমন জানতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কমিক বই আর হয়নি। এই কমিক বই তিন ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের পাশাপাশি জাপানি তরুণদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়া ইংরেজি পাঠকদেরও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই বই থেকে অ্যানিমেশন মুভি হলে তা আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই মাঙ্গা কমিক বই প্রকাশ করা একটি দারুণ ব্যাপার। এর ফলে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বাংলা রেডিও বিভাগের প্রধান শিখা মুরাকামি, বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম, বইটির সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও'র আকাসাকা প্যালেসে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোনের হাতে বইটি তুলে দেন বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম ও বইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্কলার্স বাংলাদেশের সোসাইটির উপদেষ্টা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এ সময় পাঁচ পর্বে প্রকাশিতব্য বইটির বাকি চার পর্বের প্রকাশ ও প্রকাশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা, সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা, শাইন পার্টনারস করপোরেশনের সিএফও ইয়েমতো এআই, লেখক ও অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, তথ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার কাদের সেলিম।
গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স।
প্রকাশনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও ম্যাক্স গ্রুপ।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি সৃজনশীল এবং সুপরিচিত ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
জাপানি আর্ট ফর্ম 'মাঙ্গা' চিত্রকলার একটি ব্যতিক্রমী ধারা, যা নিজ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে পাশ্চাত্য ধারা বা অন্য কোনো ফর্মের সম্পৃক্ততাও নেই। জাপানি কমিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফর্মটি জাপানি চিত্র ও প্রকাশনা শিল্পে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। অভিযান কাহিনি থেকে ফ্যান্টাসি, শিশুপাঠ থেকে বরণীয় ব্যক্তিত্বের জীবনী, লোককথা থেকে শুরু করে আধুনিক বাস্তব ও পরাবাস্তববাদী উপন্যাস, ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমাঞ্চ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে রহস্যভেদী কাহিনি সবই অল্পকথায় এবং অসনাতন ছবিতে মাঙ্গায় মূর্ত হয়ে থাকে।
‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটি মাঙ্গা ফর্মে বাংলা, ইংরেজী এবং জাপানি ভাষায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিত্রশিল্পের এই ফর্মটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়াস পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন সুপাঠ্য আকারে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার টুঙ্গিপাড়ায় প্রয়াত নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে যখন বিউগল বেজে উঠেছিল।
সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এবং স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতির মোটর শোভাযাত্রা সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা ও মোনাজাত করেন।
পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে রাষ্ট্রপতি সই করেন।
পরে রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ড. রেবেকা সুলতানা, ছেলে মোহাম্মদ আরশাদ আদনান রনি, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিকটাত্মীয়, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সফরকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
সোমবার বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
মুজিবনগর দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে ও জাপানে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চীন ও জাপানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ দেখে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভর্তুকি মূল্যে ৩টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেশার বিতরণ করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এখন আর কৃষকরা গরু দিয়ে হাল চাষ ও মাড়াই করেন না। তারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাল চাষ ও মাড়াই করছেন। এজন্য বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী হাকালুকি হাওরে কৃষকের উৎপাদিত বোরো ধান দেখতে যান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ফরেন সার্ভিস দিবস ২০২৩ উদযাপিত
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের স্বার্থ সম্মুন্নত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম।
সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদেশের মাটিতে অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশি কূটনীতিকগণ দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে যে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি কূটনীতিকগণের জন্য দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত এবং নতুন প্রজন্মের কূটনীতিকদের জন্য দেশ সেবার বিশেষ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কূটনীতিকগণের গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিদেশের মাটিতে কূটনৈতিক সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে, জীবন, জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এ দেশের কূটনীতিকদের দেশ, দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অমূল্য জাতীয় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গবন্ধু ও তার ভাষণ নিয়ে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিটি ভাষণে বাংলাদেশকে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই, এই ভাষণগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।’
বাংলাদেশ সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণ জয়ন্তী) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের ঠিক আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
দুটি বইয়ের একটি হল বঙ্গবন্ধুর সংসদে দেওয়া ভাষণের সংকলন এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে পালিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আইন প্রণেতাদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য, জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এর জনগণকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশকে বোঝার, বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি জানার সুযোগ পাবে (বইটিতে)।’
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি এ ব্যাপারে স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান কারণ এতে সকল স্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ (গণপরিষদ) গঠন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত যে বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটিকে সমগ্র বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এর কারণ হলো সংবিধানে প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সে নির্বাচনে সাতটি আসন ছাড়া সবকটিতেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কার্য উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি চিত্রকলা (গ্রাফিক্স নোবেল জাপানিজ ‘মাঙ্গা’ ফর্মে) একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু’ নামের বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বইটি যৌথভাবে লিখেছেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম এবং শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। বইটি প্রকাশ করেছে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি ধরন হচ্ছে ‘মাঙ্গা’।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম এ মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবিতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্মের কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। মূল প্রবন্ধ উপাস্থপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, এম ই চৌধুরী শামীম ও ইওয়ামোটো কেইটা যৌথভাবে রচনা করেছেন শিশু-কিশোরদের উপযোগী বই ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদানের ফলে বাংলাদেশ যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে সে কথাও বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলম বলেন, বাংলা, ইংরেজি ও জাপানি-এই তিন ভাষায় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। জাপানের জনপ্রিয় মাঙ্গা ফর্মে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশের ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি-ভিত্তিক সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম সার্ক লেখক ও সাহিত্যের ফাউন্ডেশন ৬৩তম সাহিত্য উৎসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শতাধিক শীর্ষস্থানীয় গবেষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হাই-প্রোফাইল সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে, ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত অজিত কোর বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর জনগণের কাছে পরিচিত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং আমেরিকার নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং-এর মতো, বঙ্গবন্ধুকে অশুভ শক্তি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারেনি। তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয় যখন তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া জেলখানার ডায়েরি এবং নোটবুক প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়।
ফোসওয়াল উল্লেখ করেছেন যে ট্রিলজির একটি রাজনৈতিক দলিল এবং একটি মানবিক সনদ রয়েছে যা প্রেম ও সহানুভূতির সঙ্গে লেখা, একজন ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছেন এবং তার জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন।
তার বক্তৃতায়, ফোসওয়াল অজিত কোর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিবার স্বাধীনতা দিবস সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে এবং এটি ফোসওয়াল -এর জন্য তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানোর জন্য একটি মহান সম্মান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন এবং তার জনগণকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করেছিলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুসারে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিন্ন এবং অনন্য ছিল। কারণ, এটি ছিল 'মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা' সংরক্ষণের জন্য যা শুধুমাত্র নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ব্যতিক্রমী একটি প্রতিযোগিতা। বিদেশি সাতটি ভাষায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থান করা হয়েছে। এই ভাষণ উৎসবের বিজয়ীদের পুরস্কার ও বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের।
প্রতিযোগিতার বিদেশি ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, স্পানিশ, ফরাসি, জাপানিজ, চাইনিজ,হিন্দি ও আরবি।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে সমবেত হন।
৭ মার্চ এর ভাষণ ৭টি বিদেশি ভাষায় উপস্থাপনকারী শিশুদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের শিশুরা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে গেলেন; আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি আজকে চলে যাবো। কিন্তু, এ স্মৃতি কোনোদিন ভুলব না। আমি ১৪ মাস ফরিদপুর কারাগারে জেল খেটেছিলাম; আর এখান থেকেই আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলাম।’
কাদের বলেন, ‘তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস, তবে দুর্নীতিকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে সন্ত্রাসীকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে খাদ্যে ভেজাল দেয়াকে ঘৃণা করো, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করো।
জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই উৎসবে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন,ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী