পদক্ষেপ
সবার জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল। একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের কোনও স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিস: লেসন লার্ন্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুডস’ ঘোষণার ব্যাপারে জোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তার বক্তব্যে তিনি দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১ এর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পায়, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে ড. মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার অগ্রগতির অভাব দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তো, ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো-লয়জাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও বক্তব্য রাখেন।
এ অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং বেসরকারি অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, এওএসইডি, বিডব্লিউওটি, জাগো নারী, গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন এবং এসডিএ-কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘রিভাইটালাইজিং সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসিস ফর ক্রিয়েটিং মোর অ্যাকসেসিবিলিটি টু ড্রিংকিং ওয়াটার’ শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকালে তিনি মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে জি-২০ দেশগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ঢাকার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রবণতা কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জি-২০ দেশগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ এবং বাস্তবায়নের উপায় বের করার জন্য জি-২০ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে(জি-২০এফএমএম) এ কথা বলেন মোমেন।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
জলাভূমি পুনরুদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
উপকূলীয় ও মিঠা পানির জলাভূমি-যেমন ম্যানগ্রোভ সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির ৪০ শতাংশের অবাসস্থল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে এই জলাভূমি দূষিত ও ক্রমাবনতি হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব জলাভূমি দিবসে জাতিসংঘ এই বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনরুদ্ধার করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। যা বনের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা জাতিসংঘের
জলাভূমি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রায় ছয় শতাংশ জুড়ে রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য সরবরাহ, পর্যটন এবং চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের জীবিকার জন্য জলাভূমির ওপর নির্ভর করে। অগভীর জল এবং প্রচুর উদ্ভিদে ভরা জলাভূমি পোকামাকড় থেকে হাঁস, হরিণ আরও অনেক প্রজাতিকে খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই উভয় ক্ষেত্রেই জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণস্বরূপ, এই জলাভূমি পানি নিয়ন্ত্রণ এবং বন্যার প্রভাব কমানোর মতো প্রয়োজনীয় বাস্তুতন্ত্র পরিষেবা দিচ্ছে।
এছাড়া পিটল্যান্ড, একটি বিশেষ ধরনের উদ্ভিজ্জ জলাভূমি, বনের তুলনায় দ্বিগুণ কার্বন সঞ্চয় করে।
যাইহোক, ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) অনুসারে, গত ২০০ বছরে কৃষিজমি বা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য জলাভূমি নিষ্কাশন করা হয়েছে।
১৯৭০ ও ২০১৫ এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী সমস্ত জলাভূমির প্রায় ৩৫ শতাংশ অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং ২০০০ সাল থেকে ক্ষতির হার ত্বরান্বিত হচ্ছে।
ইউএনইপি বলেছে, জলবায়ু-সম্পর্কিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে, বর্তমান উপকূলীয় জলাভূমির প্রায় ২০ থেকে ৯০ শতাংশ এই শতাব্দীর শেষে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য ভূমি এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের তুলনায় জলাভূমিগুলি বেশি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ইউএনইপি’র মেরিন অ্যান্ড ফ্রেশওয়াটার শাখার প্রধান লেটিসিয়া কারভালহো সরকারকে এমন নীতি এবং ভর্তুকি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা বন উজাড় এবং জলাভূমির অবক্ষয়কে উৎসাহিত করে। এর পাশাপাশি তিনি জরুরী ভিত্তিতে জলাভূমি পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘একই সময়ে, পিটল্যান্ডের মতো অগ্রাধিকারমূলক বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগের নির্দেশনা ও পরিচালনা করতে হবে।
সম্প্রতি, সরকার জলাভূমি রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
ডিসেম্বরে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে দেশগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে এই গ্রহের ভূমি, উপকূলীয় অঞ্চল এবং অভ্যন্তরীণ পানির এক তৃতীয়াংশ রক্ষার জন্য একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
জলাভূমি পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ সারা বিশ্বে গতিশীল হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, দ্রুত নগরায়ণ এবং বন্যা সহ জলবায়ুর তীব্র বিপদের মুখে চীন ‘স্পঞ্জ শহর ধারণাটি বিকাশ করছে।
উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ‘সবুজ’ ছাদ, নির্মিত জলাভূমি এবং ফুটপাথ, যা বৃষ্টির পানি ধরে ধীর গতিতে ফিল্টার করে।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশকে প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে আমরা একটি আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশনসহ সব পক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন।
এছাড়া বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আগামী রবিবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন।
বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়-
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে।
২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাক্টররা তা ঢেকে রাখবে।
৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণকাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয়, সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।
৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।
৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।
৭. যেসব উটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।
৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।
এই নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আবেদনের পর তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে-বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ুদূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ুদূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিক হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লিতেও করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারো কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর বায়ুদূষণে এক নম্বরে আছে, অথচ কেউ কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এ বিষয়ে বলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
৮৮ কারারক্ষী নিয়োগে জালিয়াতি: দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
সারাদেশের কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এক মাসের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইজি প্রিজন্সকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্য একজনের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত জহিরুলকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরির ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!
শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন।
কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন।
এরইমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টির তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।
এর মধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
রিটে কারারক্ষী পদে আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর পদে চাকরি করা অন্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কেন পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশনা দেয়া হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপমহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, কারারক্ষী হিসেবে চাকরিরত জহিরুল ইসলাম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুইশ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের জাল-জালিয়াতি বা একজনের স্থলে আরেকজন শারীরিকভাবে কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসে।
এ বিষয়টি যখন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তখন ওনারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলো তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে ২০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিন জন পাওয়া গেছে, তারা প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে কর্মরত।
আবার অনেকে রয়েছেন তারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, যেটা ওনার প্রকৃত ঠিকানা নয়। আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতি করেছেন। এগুলো ধরা পড়ার পরে এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ধরনের জালিয়াতি ফৌজদারি অপরাধ।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি
ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘ড্রয়িং রুমের আলোচনার মতই ফেসবুক মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহার ভয়ংকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয় এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়া ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠককালে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ ফেসবুকের একটি বড় বাজার উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ইন্টারনেটসহ শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় ফেসবুকের বাংলাদেশে এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বার্সেলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা এখন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারছি।
মোস্তাফা জব্বার ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাহির থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর ১৬৫টি ভাষায় ফেসবুক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতি ফেসবুকের বিরল সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন।
সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যে কোনো বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে, আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি।
তিনি ফেসবুক কর্তৃক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস ব্যক্ত করেন। ইতোমধ্যে ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে বলে দিয়া মন্ত্রীকে অবহিত করেন। যে কোনো আইন করার সময় স্টেকহোল্ডার, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি- সবার বক্তব্য নেয়া উচিত। বিটিআরসি ওটিটি গাইডলাইন তৈরিতে এটি করায় ফেসবুক প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরে মন্ত্রী ফেসবুক প্রতিনিধিকে তার লেখা বইয়ের একটি সেট ও মুজিব জন্মশতবর্ষের ডাকটিকিট অ্যালবাম উপহার প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
ইরানের জনগণের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের সমর্থন বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমোর মতে, ইরানিরা মাহসা আমিনির হত্যার নিন্দা জানাতে রাস্তায় নেমেছে।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার অবরুদ্ধ করার পর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার ইরানিদের জন্য যথাযথ ইন্টারনেট পরিষেবা বাড়ানোর লাইসেন্স জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
গত সপ্তাহে ‘অনুপযুক্ত হিজাব’ পরিধানের জন্য ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী আমিনিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় এবং এরপরেই তিনি কোমায় চলে যান। শুক্রবার তিনি মারা যাওয়ার পর ইরানের রাস্তায় এবং সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তেহরানভিত্তিক বিদেশি কূটনীতিকরা ও ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো দাবি করছে যে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার অবরুদ্ধ বা সীমিত করেছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রীর উপসচিব ওয়ালি আদেয়েমোকে উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: ‘যেহেতু সাহসী ইরানিরা মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য তার সমর্থনকে বৃদ্ধি করছে।’
তিনি দাবি করেন যে ইরানিদের আবদ্ধ করে রাখার সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে আরও বেশি সশস্ত্র হয়ে উঠতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভ এবং মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার ইরানের নৈতিক পুলিশ এবং ছয় ইরানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইরান মানবাধিকার (আইএইচআর) সংস্থা দাবি করেছে যে বিক্ষোভ চলাকালীন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে কমপক্ষে ৩১ জন নাগরিকের প্রাণ গেছে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
নৌচলাচল নিশ্চিতে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সুস্থ ও সচল রাখতে হলে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে বলে মনে করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নাব্যতা না থাকায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বেশ কিছু ড্রেজার সংগ্রহ করছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে পদক্ষেপ আর দেখা যায়নি। ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলত। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নয়, অন্যান্য নদী খননে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারাবছর নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণির রুট হিসেবে উন্নত করলে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে, বড় ধরনের সাফল্য আসবে, এটি একটি বড় প্রকল্প চলমান চ্যালেঞ্জ। নিচের দিকে অনেক খনন হয়েছে, মুখ খুলে দিতে পারলে সাফল্য আসবে।বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব, আইডব্লিউএম 'র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নদী খননের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের বিষয়টি উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার বা দল নৌপথ খননে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বেড়ে গেছে। নৌপথে পণ্য পরিবহনে খরচ কম। অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্য বজায় থাকলে সমুদ্রবন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব: বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ বিষয়ক আলোচনা শুক্রবার
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রকৃত বাস্তবতা এবং বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি প্রশমনের প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা তুলে ধরা হবে ‘বিল্ডিং অন দ্যা আউটকামস অব কপ২৬: প্রায়োরিটি ক্লাইমেট অ্যাকশনস এহেড অব কপ২৭’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে। শুক্রবার এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের অংশীদারিত্বে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) আয়োজিত এই ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে জলবায়ু অংশীদারিত্ব জোরদার করার উপায় নিয়েও আলোচনা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিএডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, এর উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজান আর খান এবং এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড রিসার্চ সিস্টেম-এর ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসালটেন্ট ড. হাসিব মো. ইরফানউল্লাহ ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যোগ দেবেন।
ইউএনবি’র পরিচালক নাহার খান ওয়েবিনারটি পরিচালনা করবেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউএনবি ফেসবুক পেজ এবং এর ইউটিউব চ্যানেলে এর প্রিমিয়ার হবে।
যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে গত ৩১ অক্টোবর -১৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ২৬ তম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ২৬)অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনের ফলে প্যারিস চুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোর প্রতি পদক্ষেপ নিতে সবদল একত্র হয়েছে।
কপ২৬ এর সভাপতি হিসেবে, যুক্তরাজ্য বলেছে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ করতে হবে। কারণ তারা গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তিটি নিশ্চিত করার জন্য আগামী মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে এবং পরিকল্পনাগুলোকে কাজে পরিণত করবে।
চারটি লক্ষ্য সামনে রেখে যুক্তরাজ্য সভাপতিত্ব করবে। সেগুলো হলো- কার্বন নির্গমন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা; জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিত করা; অর্থ সরবরাহ করা এবং একসঙ্গে কাজ করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সভাপতিত্বের সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা।
ইউএনএফসিসি-এর কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (কপ২৭) এর ২৭তম অধিবেশন এই বছরের নভেম্বরে মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে দেশ: টিআরএনবি ওয়েবিনারে বক্তারা
বাংলাদেশে করোনার প্রভাব নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ
নতুন আইন পাশের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিজেদের দখলকে সুরক্ষিত করার জন্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাশিয়া। এই আইনের মাধ্যমে মস্কো ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন পাবে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমারা।
রাশিয়ার এই নতুন আইন কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে এই আইনটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের জন্য একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। কেননা এর একদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে পুতিন ডিক্রিতে স্বাক্ষর করার পরপরই সাঁজোয়া বাহিনীর কনভয়কে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল জুড়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তবে তারা রাশিয়ান কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার, সেনা মোতায়েনের নির্দেশ
এদিকে, রুশ কর্মকর্তারা এখনও বিদ্রোহী অধ্যূষিত পূর্বাঞ্চলে কোনো সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেননি। তবে ডনেটস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্য ভ্লাদিস্লাভ ব্রিগ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ান সেন্যরা ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থান নিয়েছে।
বিদ্রোহী অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার পুতিনের এই সিদ্ধান্ত প্রায় আট বছরের পুরনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতকে উস্কে দেয়া হবে। আট বছর আগের সংঘাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয় এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস নামের শিল্প কেন্দ্রকে ধ্বংস করা হয়।
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার অধিগ্রহণের কয়েক সপ্তাহ পরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর বিরুদ্ধে সেনা ও অস্ত্র দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে যে খসড়া বিল দ্রুত পাশের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোতে সেনা মোতায়েন সহ সামরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে পুতিনকে আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে রাতে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমরা কাউকে বা কিছুকে ভয় করি না। আমরা কারো কাছে ঋণী নই। এবং আমরা কাউকে কিছু দেব না।’
ইউক্রেনের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভে এই টুইটে বলেছেন, ‘ক্রেমলিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব আগ্রাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’ মস্কোর এই পদক্ষেপকে ‘নতুন বার্লিন প্রাচীর’ হিসাবে বর্ণনা করে এবং পশ্চিমাদের দ্রুত রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থা - হিসেবে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারে।
অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও বলেছে তারা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে