পদক্ষেপ
‘জুলাই সনদকে’ সংবিধানের মূল নীতির স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের নিন্দা রিজভীর
সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে জুলাই সনদ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই সনদের অনেক বিষয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু কেন এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ করা হবে?’
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আব্দুল কুদ্দুসের সুস্থতা কামনা করে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নামাজের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এই মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার সারা দেশে এবং সব সময় অব্যাহত থাকবে। ‘সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির কিছু নয়। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে যখন প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কার করা উচিত এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা উচিত।
রিজভী বলেন, ‘এটাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সংস্কার আগে করতে হবে এবং এটি (জুলাই সনদ) সংবিধানের মৌলিক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এই দাবি বিভ্রান্তিকর। এটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কেন আপনারা এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন?’
বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পরিবর্তে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
পড়ুন: শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান খালেদার
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। ‘আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজাটি আবার খুলতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল কখনও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেনি এবং বাস্তবে সর্বদা এটিকে সমর্থন করেছে। ‘আপনি সংস্কারের নামে যে বিষয়গুলোর কথা বলছেন, তার অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১-দফা সংস্কার রূপরেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করে আসছে - ন্যায়বিচার, সাম্য, আইনের শাসন এবং প্রকৃত গণতন্ত্র। ‘এই লড়াই রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য। যখন সেই মালিকানা অস্বীকার করা হয়, তখন এটি ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেয়।’
রিজভী উল্লেখ করেন, জনগণের সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ‘সেই জবাবদিহিতা এখন নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন এবং সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে গঠিত হয়েছে— আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা সকলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে চলেছি। কিন্তু এটাও সত্য যে আমরা যদি দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখতে এবং শুনতে শুরু করি—তাহলে জনগণ আমাদেরও ছাড় দেবে না।’
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। ‘মানুষ যদি খাবার কিনে খেতে না পারে, তাহলে এটি দুর্ভিক্ষের স্পষ্ট লক্ষণ। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়—তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— তখন পতিত ফ্যাসিস্টরা আনন্দে হাততালি দেবে।
পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার চাইলে, আওয়ামী লীগের যেসব সহযোগী দেশ ছেড়ে বিপুল অর্থ পাচার করে পালিয়ে গেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারে।
‘অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থার কারণে কারখানা বন্ধ করা উচিত নয়। এটি কেবল একটি বক্তব্যই নয় - মানুষ এখন গুরুত্ব সহকারে ভাবছে যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয় কিনা,’ সতর্ক করেন রিজভী।
১৪৭ দিন আগে
নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
একইসাথে বিপুল মানুষের যাতায়াতে গণপরিবহনের সংকট মোকাবিলায় এবার ঈদের লম্বা ছুটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত, স্বস্তিদ্বায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্র্যাব মিলনায়তনে ‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা উত্তোরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সড়কে বাড়তি চাপ কমাতে ও ফিটনেসবিহীন সিটিবাসে পোশাক শ্রমিকদের যাত্রা বন্ধে ২৪ মার্চের মধ্যে তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে ধাপে ধাপে বাড়ি পাঠানো নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করবেন। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি মানুষের যাতায়াত হতে পারে, যার ৭৫ শতাংশ সড়কপথে, ১৭ শতাংশ নৌপথে এবং ৮ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত হবে।
পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা, সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ও দুর্ঘটনারোধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে মতে, বিগত ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত এবং ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। বিগত ৯ বছরে শুধু ঈদুল ফিতরে দুই হাজার ৩৭৭টি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৭১৪ জন নিহত এবং সাত হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছেন।
এবারের ঈদে দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন, পুলিশ ও বিআরটিএ’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
৮৩ শতাংশ কোচ ও ৬০ শতাংশ লোকোমোটিভ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ৮২ শতাংশ রেলক্রসিং অরক্ষিত উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করে হয়রারিমুক্ত রেলসেবা প্রদানের দাবি জানান আলোচনার সভার বক্তারা।
এ সময়ে নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ঘাট ও নৌবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রী হয়রানি, খেয়া পারাপারে, বন্দরের যাত্রী পারাপারে বেসরকারি ইজারাদারদের লুটপাটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি উঠে আসে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, সরকারের পরিকল্পনার গলদে নানান অব্যবস্থাপনায় যাত্রী দুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর দায় অন্যায়ভাবে মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মালিক সমিতি কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। এবারের ঈদযাত্রায় শ্রমিক ফেডারেশন যাত্রীসাধারণের পাশে থাকবে, যেকোনো অভিযোগ সাথে সাথে আমলে নেবে।
বিআরটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে বিআরটিএ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ৬৪ জেলায় ভিজিলেন্স টিম তৎপরতা চালাবে। যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ভিজিলেন্স টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনারোধে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বিআরটিএ প্রাণপন চেষ্টা চালাবে। যাত্রী সচেতনতা, পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে ডাকাতিতে জড়িত ১৪৪৩ জন ডাকাতকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তিন হাজার ৯০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। ঈদে যাত্রাপথে হাইওয়ে পুলিশের হটলাইন নম্বর সাথে রাখুন। আমাদের কল করার ১৫ মিনিটের মধ্যে সাড়া মিলবে। তিনি প্রবাসীদের ঈদে লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে বাড়ি যেতে হাইওয়ে পুলিশের সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান।
২৬৩ দিন আগে
বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধানমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিনিময় হার নির্ধারণ
রেমিট্যান্স আহরণে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ১২৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রস-কারেন্সি লেনদেনের জন্য, গণনা করা হার এই সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
ডাটা মনিটরিং সিস্টেম
বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে বাজারের তথ্য নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণের জন্য একটি ড্যাশবোর্ড চালু করা হয়েছে।
বর্তমান সংকট দূর করা এবং ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাইকেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্মকর্তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলমান ডলারের বাজারে অস্থিরতার জন্য বেশ কয়েকটি আন্তঃসম্পর্কিত কারণকে চিহ্নিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এর একটি বড় কারণ হলো অর্থবছর শেষে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া। ডিসেম্বরে প্রায়ই ঋণ পরিশোধ এবং অন্যান্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা বৃদ্ধি পায়, যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
আইএমএফ’র নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক ডলার বিক্রির স্থগিতাদেশ এটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সরবরাহ সীমিত হয়েছে। এতেই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নিম্নমানের হওয়ায় বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকিং পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এটি ইউপিএএস (ইউসেন্স পেয়েবল অ্যাট সাইট) ক্রেডিট লেটার ইস্যু করা, পেমেন্টের পরিপক্কতা স্থগিত করা এবং অফশোর ব্যাংকিং ঋণের প্রবাহ বজায় রাখাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আরোপের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাটি এই অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রেমিট্যান্স আহরণে উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা। তাদের একচেটিয়া চর্চা বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা চলমান অস্থিরতার জন্য দায়ী।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার প্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহের অসামঞ্জস্যতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যা ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
৩৪০ দিন আগে
শূন্য পৌনে ৫ লাখ পদ: নিয়োগের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৭৩০০১টি পথ শূন্য রয়েছে। এসব পদ পূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী বর্তমানে সরকারের অনুমোদিত শূন্য পদের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩০০১টি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৮৮টি শূন্য পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
বিপিএসসি শুধু প্রথম শ্রেণি নন-ক্যাডার এবং সীমিত পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ করে। সরকার থেকে অনুমোদিত অন্যান্য পদগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীনস্ত দপ্তর/সংস্থা/কর্পোরেশন/কোম্পানি থেকে পূরণ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’
মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোতে অনুমোদিত শূন্য পদগুলো বিধি মোতাবেক পূরণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।
শূন্যপদ পূরণে ইতোমধ্যে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব তথ্য ওয়ার্ড ফাইলসহ চিঠি পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৬৮ দিন আগে
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন প্রধান
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে কমিশন প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংস্কারে অবদান রাখতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড: প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রদূত
জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকা সমন্বয় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কমিশন প্রধান বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান বদিউল আলম মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচন সংস্কার কমিশন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং তাদের পরামর্শ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
৩৯৬ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তার সরকার সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না কিন্তু তারা বাংলাদেশ বা অন্য দেশের যেখানেই আসুক না কেন। আমি এখানকার মতো আগেও প্রকাশ্যে এ কথা বলেছি।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বাংলাদেশকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি বা বিদেশি- কারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
আনুমানিক ৮ লাখ বাংলাদেশি এখন মালয়েশিয়ায় বসবাস ও কাজ করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ অভিবাসী হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে পেরে 'অত্যন্ত আনন্দিত', কারণ তারা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চেনেন।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং পূর্ববর্তী সরকারের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথাও বলেন।
তারা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকস্থলে যাওয়ার জন্য একই গাড়িতে উঠেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ- এই তিনটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহায়তা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের 'সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার' হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপন করা হয়।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর এবং টেকসই বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী 'কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ'র ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, দুর্নীতি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে তারা আপস করে না।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে অতি সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন এবং গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি কয়েক ঘণ্টা কাটান।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হাই টি-এর আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে সই করেন বলে ইউএনবিকে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধনী বেশ কয়েকটি কোম্পানিসহ মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং এখন শিক্ষাসহ আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।
সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: পুরোনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব আনন্দিত: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর ইউনূস
৪২৭ দিন আগে
মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: ডিএনসিসির সিইও
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচির প্রথম দিনে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একসঙ্গে জনসচেতনতা ও মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলমান উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি কাজ করছে। এই সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তাই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একসঙ্গে মশা নিধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিএনসিসির মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে মাঠে আছে বিএনসিসি, স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা। সবার সম্পৃক্ততায় এই কার্যক্রম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’
মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাড়িতেই জমে থাকা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। আমাদের কর্মীরা বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে ও ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীরা কাজ করতে পারে না৷ তাই নিজেদের বাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর জুড়েই চলেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ সব মানুষকে সম্পৃক্ত করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে৷ শুরুতে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক করা হবে। পরে যদি অবহেলার কারণে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকি করত। বর্তমানে অনেক কাউন্সিলররা অনুপস্থিত। তাই কার্যক্রম তদারকি যেন ব্যহত না হয় সেজন্য ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারকি টিম করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে মেরুল বাড্ডা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে জনসচেতনতামূলক র্যালি করেন। র্যালি শেষে কয়েকটি বাড়িতে পরিদর্শন করেন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়নও উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক।
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
৪৪২ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় এ বিষয়ে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব।’
তিনি বলেন, এটি ছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। আমরা মূলত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক আমাদের একটি বড় ধরনের সমস্যা, মাদক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? মাদকের নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য জরুরি। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। যাতে মাদকদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত-ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন আজকে কিন্তু অবৈধ ও বৈধ সর্বস্ত জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হবে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য।
তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি, পূজাটা খুব ভালোভাবে হয়ে যাবে। কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের একটু সমস্যা আছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপগুলো কি, সেটা আপনারা অনগ্রাউন্ড দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৪৫৮ দিন আগে
নৈরাজ্য-লুটপাট বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও লুটপাট বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৭ আগস্ট) পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।
নতুন আইজিপিকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির দিকে পুলিশকে মনোযোগী হতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশে ব্যাপক রদবদল, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে
পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য যাতে চেইন অব কমান্ড মেনে উচ্চ মনোবল ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত দিয়ে পলায়ন ঠেকাতে জনসহযোগিতা চায় বিজিবি
৪৮৫ দিন আগে
‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ’
ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ-এ ‘কমিউনিটি বেসড হেলথকেয়ার: রোড টু অ্যাচিভ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি বহুমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্বাস্থ্যের সামাজিক মানদণ্ডের উন্নতির সঙ্গে এই উদ্যোগগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যা প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও রোগনির্ণয়, নিয়মিত টিকাদান, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রয়োজনে উন্নত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের ব্যাপক উপকার করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, যিনি সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ধারণা দিয়েছিলেন।
৫১১ দিন আগে