পদক্ষেপ
‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ’
ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ-এ ‘কমিউনিটি বেসড হেলথকেয়ার: রোড টু অ্যাচিভ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি বহুমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্বাস্থ্যের সামাজিক মানদণ্ডের উন্নতির সঙ্গে এই উদ্যোগগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যা প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও রোগনির্ণয়, নিয়মিত টিকাদান, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রয়োজনে উন্নত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের ব্যাপক উপকার করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, যিনি সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ধারণা দিয়েছিলেন।
যমুনা নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় ডব্লিউএফপির আগাম পদক্ষেপ
যমুনা নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় আগাম পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
শুক্রবার ডব্লিউএফপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর আসন্ন বন্যার প্রভাব প্রশমিত করতেই এই পদক্ষেপ।
এটি এখন পর্যন্ত ডব্লিউএফপির সবচেয়ে বড় আগাম পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে ডব্লিউএফপি'র সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
নদীর তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি)।
যমুনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ডব্লিউএফপি ও এর অংশীদাররা, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা), ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সহায়তা বিভাগ (ইসিএইচও), সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) এবং জার্মানি ও আয়ারল্যান্ড সমর্থিত অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) -ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিক্রিয়া মন্ত্রণালয়সহ একাধিক দাতা মিলে প্রাক-অর্থায়নে সর্বকালের বৃহত্তম মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
এই সহায়তায় যা যা অন্তর্ভুক্ত-
• আগাম সহায়তা: বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণের চার দিন আগে ৮১ হাজারেরও বেশি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
• আগাম অ্যান্টিসিপেটরি শক রেসপন্সিভ সোশ্যাল প্রটেকশন: বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগে বন্যাকবলিত অঞ্চলে বসবাসরত ৮ হাজার ১০০ জনেরও বেশি সরকারি সামাজিক সুরক্ষা সহায়তা গ্রহীতা দুটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার (এমসিবিপি ও ইজিপিপি) অধীনে সহায়তা পেয়েছিলেন। এটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা বিনিয়োগ থেকে পাওয়া অর্থনৈতিক ও পুষ্টিকর অর্জনকে রক্ষা করে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ১ হাজার পরিবারকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হবে।
এছাড়াও ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার বন্যা বিমার আওতাভুক্ত।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোম স্ক্যালপেল্লি বলেন, ‘আমরা আমাদের দাতাদের সমর্থনের জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যাদের কারণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই আসন্ন বিপর্যয়ের মুখে দ্রুত এবং কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে। অরক্ষিত অবস্থানে থাকা পরিবারগুলো যেন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা পায় সেজন্য আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে ডব্লিউএফপির অন্যতম পদক্ষেপ হলো আগাম প্রস্তুতি। বন্যার পানি বিপজ্জনক অবস্থায় যাওয়ার আগেই জীবন ও জীবিকা রক্ষা, সম্পত্তির ক্ষতি রোধ এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা কমানো ডব্লিউএফপির লক্ষ্য।
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জামালপুরসহ যমুনা নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি জেলাকে কেন্দ্র করে কাজ করছে ডব্লিউএফপি। এই অঞ্চলগুলো এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতিতে আছে। প্রায় ৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ বন্যাদুর্গত অবস্থায় আছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়াও খাবার ও নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে তারা।
ডোম স্ক্যালপেল্লি বিবৃতিতে আরও বলেন, বন্যাদুর্গতদের তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহের জন্য নয় বরং তারা যেন ভবিষ্যতেও বন্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে পারে এবং পূর্বপ্রস্তুতিকে গুরুত্ব দেয় সেজন্য আমাদের এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় অংশীদার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে এই প্রচেষ্টাগুলো টেকসই ও কার্যকর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বিস্তৃত ও সফল কর্মসূচির জন্য প্রত্যাশিত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ডব্লিউএফপি। আসন্ন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বজায় রেখে সে অনুযায়ী নিজ কার্যক্রম চালিয়ে নেবে সংস্থাটি।
এই কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ডব্লিউএফপি ১৩.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল ঘাটতিতে পড়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় দাতা সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ডব্লিউএফপি’র রেশন আংশিক বাড়ছে
১৫ বছরে বাংলাদেশের 'ব্যাপক সাফল্যের' প্রশংসা ডব্লিউএফপি’র
এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বাগত জানায়, তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হলি সি টু বাংলাদেশের অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডাল আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করি।’
জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন আর্চবিশপ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য আর নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই।
তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এ কথা জানান।
জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল ব্যবহার করবেন না। ছোট মাছ ধরবেন না। নিজের সন্তানের মতো মাছ বড় করতে হবে। কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে। এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। রাঙামাটির বর্তমান ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারটি সংস্কার করে আধুনিক ও উন্নত মানের ফিস ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এসময় কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
জেলেদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যাতে বংশ পরম্পরায় কাপ্তাই লেকের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
সোমালিয়ান জলদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহতে কর্মরত নাটোরের জয় মাহমুদের পরিবারের প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে উৎকন্ঠায়। অর্ডিনারি নাবিক হিসাবে কর্মরত জয় মাহমুদের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর গ্রামে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটিকে জিম্মি করে জলদস্যুরা। জিম্মি করা হয় জয়সহ জাহাজের ২৩ জনকে। জলদস্যুদের কবলে পড়ার মুহূর্তে জয় তার চাচাতো ভাই মারুফকে জানিয়েছিলে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা। তবে বাবা-মাকে জানাতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু চাপা থাকেনি সে কথা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পায় পরিবার। একমাত্র ছেলের বন্দিদশার কথা শোনার পর থেকে বাবা জিয়াউর রহমান ও মা আবিদা বেগমের চোখে ঘুম নেই। তারা চান তাদের সন্তানসহ জাহাজের সবাইকে উদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, নাটোরের জয় মাহমুদ গত বছরের ২৯ নভেম্বর জাহাজটিতে যোগদান করে। জাহাজে জিম্মি ২৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১১ জন, নোয়াখালীর ২ জন। এছাড়া নাটোর, নওগাঁ, ফরিদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, নেত্রকোণা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও খুলনার নাবিক রয়েছেন।
নিয়োগের সময় ও জটিলতা কমাতে পদক্ষেপ নিন: পিএসসিকে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি নিয়োগে জটিলতা ও প্রক্রিয়াকরণে দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ পেশ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি কমিশনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে পিএসসি চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে তাদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে জনগণের সেবার মনোভাব নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কর্ম কমিশনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাছাই প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কিত বিষয়াদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পিএসসির কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে পিএসসি আরও গতিশীল হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
একই সঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছরের পুরোনো গাড়িগুলো পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। আরেকটি চ্যালেঞ্জ, যেটি আমি করতে পারিনি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প যখন শেষ হয়ে যায়, সেই প্রকল্পের গাড়িগুলো পরিবহন পুলে এসে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলো এসে পৌঁছায়নি। এবার আমরা খুবই কঠোর পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আইএমইডি থেকে আমরা জানব কতগুলো প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্প কবে শেষ হয়েছে, গাড়িগুলো কোথায় আছে, সেই গাড়িগুলো আমাদের পরিবহন পুলে জমা দিতে হবে। বিষয়টি এবার আমরা খুব শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ক্যাডার বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ক্যাডার বৈষম্যের বিষয়গুলো আমরা এরই মধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। সামনের দিন এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমরা চাইব বৈষম্য যাতে শূন্যতে আসে। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্গানোগ্রাম যুগোপযোগী নয়- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা অর্গানোগ্রামগুলো পরিবর্তন করছি। এগুলো পরিবর্তন করতে হলে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ৪-৫ জন করে অতিরিক্ত সচিব আছেন। কিন্তু সেখানে হয়তো পদ আছে দুটি। তাই সেখানে আমাদের বেশি করে পদায়ন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আমরা এবার প্রথম দিকেই মন্ত্রণালয়গুলোকে আহ্বান জানাব বাস্তবতার নিরিখে তারা যাতে আমাদের কাছে তাদের অর্গানোগ্রামে কী পরিবর্তন দরকার যুগোপযোগী করে সেটি যাতে বাস্তবভিত্তিক হয়, সেভাবে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অর্গানোগ্রামটাকে আপডেট করব।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সেটি করতে পারলে আমরা তখন প্রোপার অ্যাসেসমেন্টটা করতে পারব, কোন জায়গায় কত লোক লাগবে এটা আমরা প্রথমে শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
এ উপলক্ষে টেলিকম অপারেটরদের জরুরি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মোবাইল, টাওয়ার-কো, এনটিটিএন, আইএসপি, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ প্রভৃতি অপারেটরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সাইট, পপ, হাব-সাইটসহ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণসহ স্ব-স্ব টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক মনিটরিয়ের ব্যবস্থাকরণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে পোর্টেবল ও ডিজেল জেনারেটরের নেটওয়ার্ক সচল রাখার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজনীয় মোবাইল বিটিএসের ব্যবস্থাকরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সকল টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রণয়নসহ সার্বিকভাবে সব কার্যক্রম সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণের জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
বিটিআরসির মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও দিক নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ