ভারত
প্রধানমন্ত্রী চান তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চান ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক, কারণ এটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ভারতকেই অগ্রাধিকার দেব। ভারতের হাতে তিস্তা নদীর পানি রয়েছে। সুতরাং তাদের প্রকল্পটি করা উচিত এবং তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে এখানে যা প্রয়োজন তা দেবে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, চীন তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করেছে। এদিকে ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করবে।
তিনি বলেন, ভারতের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হওয়ার পর সরকার বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
ভারতে দোতলা বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১৮
ভারতের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে দুধবহনকারী ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বুধবার (১০ জুলাই) ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার জানান, উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়েছেন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। বাসটি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার থেকে রাজধানী নয়া দিল্লি যাচ্ছিল।
কুমার বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: আসামের বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৮
সরকারি কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ রাঠি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটি সম্ভবত দ্রুত গতিতে ছিল। সেই সময় দুধের ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুটি গাড়িই উল্টে যায়। এতে বাসের একপাশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। যার ফলে যাত্রীরা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন। টেলিভিশনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় মৃতদেহগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গাড়ি চালানো, সঠিকভাবে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ না করা। এছাড়া যানবাহনগুলো পুরোনো হওয়ার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
গত মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৫ ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা
ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ২৭
উত্তর ভারতের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও প্রায় ১৫০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসা কর্মকর্তা উমেশ ত্রিপাঠি।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভোলে বাবা নামের এক ধর্মীয় নেতার সঙ্গে তার অনুসারীরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার সময় হুড়োহুড়িতে অনেকে পদদলিত হয়।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিড়ের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই অনুষ্ঠানে ঠিক কত মানুষ জমায়েত হয়েছিল, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি তারা।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ভারতে নতুন কিছু নয়। অল্প জায়গায় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ায় প্রায়ই দেশটিতে এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ঘরছাড়া হয়েছে।
বন্যায় ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী আসাম রাজ্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী এ রাজ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট দ্বীপে চারদিন ধরে আটকে থাকার পর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আসামের ওপর দিয়ে ১২৮০ কিলোমিটার ধরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদের পানি উপচে দুপাড়ে ব্যপক প্লাবনের সৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে নদের দুপাড় এবং এর মাঝে থাকা ২ হাজারের বেশি দ্বীপের বাসিন্দারা আগেভাগেই বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় নারী নিহত
আসামের বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রাণীরাও বন্যার হাত থেকে রেহাই পেতে উঁচু জমিতে গিয়ে উঠছে। পার্কটিতে প্রায় আড়াই হাজার এক শিংওয়ালা গন্ডার রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, পার্ক রেঞ্জাররা প্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বক্ষণ তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে, আসামের পাশের রাজ্য চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের চাংলাং জেলার একটি স্কুল থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এ ছাড়াও, সিকিম, মণিপুর ও মেঘালয় রাজ্যে প্রবল বন্যায় রাস্তা ভেসে গেছে, ভেঙে পড়েছে সেতু।
ভারতের সরকারি হিসাব অনুসারে, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পূর্বের ছয়টি রাজ্যে ৮০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
ঢাকায় সফররত ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি সোমবার সেনা সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করায় জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামানকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
এ সময় তারা দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও জোরদারে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেনাপ্রধান তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে ভারতীয় নৌবাহিনীর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত ৩০ জুন ঢাকায় আসে।
প্রতিনিধি দলটি ৫ জুলাই ভারতে ফিরে যাবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন সেনাপ্রধানের
রেল করিডোর ও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতকে রেল করিডোর এবং সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এইঅভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) কখনোই বাংলাদেশের জনগণকে সত্য কথা বলেনি। তারা সব সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সই করা সমঝোতা স্মারকের অর্থ হলো- এগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করবে।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো- সরকার যে রেল করিডোর দিচ্ছে তা বাংলাদেশের কোনো কাজে আসবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের রেললাইনের জন্য আমাদের জমি ব্যবহার করবে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। তারা (ভারত) আকাশ, স্থল ও নৌপথে অংশীদারিত্ব দিয়েছে। অংশীদারিত্ব ও কানেক্টিভিটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কী পেল? সেটাই মূল প্রশ্ন। আমারা কিছুই অর্জন করিনি।’
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখনো তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সমঝোতা স্মারক নিয়ে সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। বরং অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে অন্যের মুখাপেক্ষী করার ষড়যন্ত্র করছে।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন পদপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব কাঠামো ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আইনের শাসনের অভাবে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ‘আর্থিক অনটনের কারণে মানুষও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শপথ নিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দল সব সময় যে কোনো ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও কারাগারে আটকে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়ে এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু মূলধারার গণমাধ্যমেও ভুল তথ্য চলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা এ নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যুক্ত হয়েছেন সেই অপপ্রচারে। রবিবার তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো একেবারেই অসত্য এবং ডাহা মিথ্যা কথা। সমঝোতা স্মারকের সবগুলো ধারা উনি হয়তো পড়েননি বা যারা অপপ্রচার করেছে তারাও পড়েননি। সব ধারা না পড়ে খণ্ডিতভাবে এগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনোভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।’
‘বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে- রেড ট্রাফিক তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল, সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীনে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এটা বলে না যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে। নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে।’
‘তারা এটাও বলে না যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।’
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।’
আরও পড়ুন: তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
‘গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন- একথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তার হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।’
বিএনপির রাজনীতি ‘নতজানু’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গ বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। ভারতকে গ্যাস দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।’
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।