জ্বালানি
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।
সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
শিবগঞ্জের ৭ লাখ মানুষের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ
জ্বালানির জন্য তহবিলের ঘাটতির কারণে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা। সাত লাখ বাসিন্দার অত্যাবশ্যকীয় জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্বাস্থ্যসেবায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আর এই সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতাল কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বজনদের।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত
অ্যাম্বুলেন্স সেবার অনুপস্থিতি স্থানীয় রোগী ও স্বজনরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো যারা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা বহন করতে পারে না।
যারা আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে থাকেন শুধু্ তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না। অন্যান্য জরুরি পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের বহন করতে হচ্ছে স্বচ্ছল বাসিন্দাদেরও।
আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা এই হাসপাতালেই সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ১০০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন ৪০০ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় একটি পেট্রোল স্টেশনে ১৪ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি বাবদ। যার ফলে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রশিদ সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
তহবিল আসার পর শিগগিরই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্মার্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে এবং ক্লিন এনার্জি সলিউশনে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার (এসপিজিএম) ইনস্টল করে লোকসান কমাতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের নিজস্ব জলবায়ু প্রশমন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি হল এসপিজিএম ইনস্টল করা।
এডিবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বছরে প্রায় ৪ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গিনটিং বলেছেন, ‘এই প্রকল্প গ্যাস বাঁচাতে সাহায্য করবে; গ্যাসের অপচয় রোধ করা; গ্যাসের নিরাপদ ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতনতা তৈরি করা; রাজস্ব প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং বিল তৈরি, সংগ্রহ ও নিরীক্ষণের খরচ কমিয়ে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নয়ন করে।’
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও অবদান রাখবে। যেমনটি ২০২১ সালের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের আপডেট করা হয়েছে।’
প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপান্তরমূলক এবং আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ায়।
এর মধ্যে রয়েছে উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেমন ইউনিফাইড মিটারিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত স্মার্ট মিটার এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের ব্যবহারের প্রচার।
১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি সহগামী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এডিবি সরকারকে তার স্বল্প-কার্বন জ্বালানি রূপান্তর এবং গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য মিথেন লিকেজ ক্ষতি হ্রাস পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী ক্লিন এনার্জি সলিউশনের উপর প্রাক-সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন তৈরি করা এবং কার্বন ক্রেডিট ব্যবহারসহ ভবিষ্যতের প্রকল্প অর্থায়নের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি অভিগম্যতার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং এডিবির পরিচালিত রিপাবলিক অব কোরিয়া ই-এশিয়া এবং নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ড থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থায়ন সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
কয়লা-এলএনজি'র ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকার: সিপিডি
কয়লা ও এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে সরকার পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরের বিপরীত পথে চলতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছে থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমান পরিবর্তন' শীর্ষক ত্রৈমাসিক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সহযোগী গবেষক হেলেন মশিয়াত প্রীতি।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে খারাপ উৎস, বাংলাদেশে এর ব্যবহার বাড়ছে কারণ সরকার জ্বালানি রূপান্তরের বিপরীত দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কয়লা নির্ভরতা কমানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কয়লার ব্যবহার ও কয়লার জন্য ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে লোডশেডিং অব্যাহত ছিল। ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের ত্রুটির কারণে লোডশেডিং বাড়ছে। জ্বালানি খাতে অনেক বিল বকেয়া রয়েছে। জ্বালানি আমদানির অসম্ভাব্যতাও আমি দেখতে পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন পরিহার করে সরকার এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকছে এবং এলএনজি অবকাঠামো উন্নয়ন বাড়ছে। এর ফলে ঋণ ও বিল পরিশোধে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে বলে জানান ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বলেন, 'দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা করা হচ্ছে না। গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ এলএনজি আমদানির জন্য ঋণ নেওয়া হচ্ছে। সরকারের ৪৬টি কূপ খননের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে, যা পূরণ করতে হবে।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসঙ্গে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহী হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ গুরুতর স্বাস্থ্য উদ্বেগের কারণ: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘দক্ষতা বৃদ্ধি না করলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না। প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি না করলে বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য গ্রাহকদের ওপর চাপ বাড়াবে।’
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে লাভজনক হলেও গত তিন মাসে এর অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।
অন্যদিকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রতিনিয়ত মার্কিন ডলার অপচয় হচ্ছে। এক ডলার সঞ্চয় রাখার লড়াইয়ে এলএনজি ও কয়লা আমদানিতে ডলার খরচ হচ্ছে।
সিপিডি বলছে, বাংলাদেশে গ্যাস থেকে কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে কার্বন নিঃসরণও বেড়েছে। গত ১১ বছরে তা বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। বায়ুদূষণের কারণে মানুষের আয়ু কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের নির্ধারিত ৭ সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ সফরে উভয় দেশ খাদ্য, সার, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের পর থেকে সারা বিশ্বে যে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে তা আমরা তুলে ধরব।’
রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক ৭ সেপ্টেম্বর
এর আগে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সফরকালে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেদিন এখানে আসবেন সেদিন আমাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার আছে। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যুও আছে।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মূলত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইওআরএ (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন) কাউন্সিলের ২২তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ল্যাভরভের গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফরটি বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ টেলিফোনে কথা বলেন ও উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
টেলিফোনে আলাপকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সময় জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, মোমেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে: বক্তারা
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে, তার ২০গুণ বেশি অর্থায়ন জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে করছে বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক।
২০১৬ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণের জন্য ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। তাই জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ ক্যাম্পেইনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি বাংলাদেশি তরুণদের
অ্যাকশনএইডের পরিচালিত সমীক্ষার তথ্য বলছে, বাণিজ্যিক কৃষিতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছে ৩৭০ বিলিয়ন ডলার, এটিও জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। জলবায়ু সংকট সৃষ্টির পেছনে অর্থায়নকারী শীর্ষ ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এইচএসবিসি, সিটিগ্রুপ, জেপি মর্গান চেসসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্যাংক।
সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের শীর্ষ ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে অর্থায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপে এইচএসবিসি, বিএনপি পারিবাস, সোসাইটি জেনারেল, বার্কলেস; আমেরিকায় সিটি ব্যাংক, জেপি মরগান চেজ, ব্যাংক অব আমেরিকা; এশিয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, চায়না সিআইটিআইসি ব্যাংক, ব্যাংক অব চায়না এবং মিতসুবিশি ইউএফজে ফিন্যান্সিয়াল।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, গ্লোবাল সাউথের বাণিজ্যিক কৃষির অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বায়ের ২০১৬ সাল থেকে ২০ দশমিক ৬ বিলিয়ন অর্থায়ন পেয়েছে।
‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সমাধানের চেয়ে আমরা দ্রুত সমস্যা তৈরি করছি। সমস্যা সমাধান ও নীতি কার্যকর করতে আমাদের একটি সামগ্রিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের কোনও সুস্পষ্ট নেট শূন্য গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নেই, যেটি স্থাপন করা প্রয়োজন এবং টেকসই সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের সমাধানের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না, আমাদেরই সঠিক পথ খুঁজে বের করতে হবে।
আইসিসিসিএডির পরিচালক ড. সালেমুল হক বলেন, সরকারকে আমাদের বিশ্বের দূষণকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্বে কিছু সরকার আছে, যারা দূষণকারীদের পক্ষে কথা বলে। ধনী ব্যক্তিরা সমস্যা তৈরি করছে এবং দরিদ্র মানুষ তার পরিণাম ভোগ করছে। জলবায়ু অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রত্যেককে সোচ্চার হতে হবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে কীভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জলবায়ু সংকটের মূল চালক। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, জবাবদিহি ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সুন্দর পৃথীবির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের দায়িত্বের সঙ্গে অর্থায়ন করতে বলি। আমাদের অবশ্যই ন্যায়বিচার চাইতে হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকি থেকে সরে এসে বিকল্প টেকসই রুটের জন্য তা কাজে লাগাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা ভালো যে সরকার নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে, কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য যদি হয় জীবাশ্ম জ্বালানি হ্রাস, তাহলে আমাদেরও একটি হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সাবেক পরিচালক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত বলেন, আমাদের বাসযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্যাংকগুলো টেকসই রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন৷ অর্থ যেমন জলবায়ু সংকটে ইন্ধন জোগাচ্ছে, তেমনি নিয়ন্ত্রকদের উচিত টেকসই ও নবায়নযোগ্য বিনিয়োগের দিকে ব্যাংকগুলোকে ধাবিত করা।
প্যানেল আলোচনায় আনোয়ার ফারুক, সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার; শুভাশীষ বড়ুয়া, হেড অব ইমপ্যাক্ট বিজনেস, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ; ড. আতিক রহমান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেন্টার অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ; সামিয়া চৌধুরী, সিইও, এমটিবি ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট আলচকরা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোকে অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণ কার্যক্রমের জন্য প্রকল্প এবং করপোরেট অর্থায়ন বন্ধ করার এবং অন্যান্য সব জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ক্ষতিকারক বাণিজ্যিক কৃষি কার্যক্রমের অর্থায়ন দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
এতে আরোও সুপারিশ করা হয় যে- ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই কমিউনিটির অধিকার রক্ষার জন্য উপযোগী পলিসি গ্রহণ করতে হবে করতে হবে।
প্রতিবেদনে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারকে অবশ্যই ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়।
পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষিতে অধিক বিনিয়োগ ও গুরত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার বিষয়েও আরেকটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকও সই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় দেশটির বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা।
কৃষির উদ্দেশ্য হলো উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এখনও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়া, মন্ত্রীরা জ্বালানিও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপরও জোর দেন।
৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট-এশিয়া সামিটে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাকার্তা সফর করছেন।
তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলম্বিয়ায় হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ আগস্ট) দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রধান শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী সরকার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করেছে। ফলে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠছে এবং দেশে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর সরকার বলছে, গ্যাসোলিন ভর্তুকি বাবদ বছরে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়।
তারা বলেছে, জাতীয় তেল কোম্পানি ইকোপেট্রোলকে ঋণ পরিশোধের জন্য ভর্তুকি বাদ দিতে হবে এবং সামাজিক কর্মসূচির জন্য আরও তহবিল খালি করতে হবে। ইকোপেট্রোল দেশটির বেশিরভাগ জ্বালানি উৎপাদন করে।
দারিদ্র্য হ্রাস করার এবং দেশের অবশিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পরেই পেট্রোর প্রশাসনের ওপর জনগণের অসন্তোষ বেড়েছে এবং বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, পেট্রোর প্রশাসন দেশের গ্রামীণ অংশে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং কলম্বিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটির অর্থনীতি মাত্র এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলম্বিয়ার সুপারমার্কেটের জন্য হিমায়িত খাবার এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনকারী একটি ছোট কোম্পানির ম্যানেজার আলেজান্দ্রা মেন্ডোজা বলেছেন, ‘এই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা ব্যবসা-বিরোধী।’
তিনি তার কোম্পানির হলুদ জ্যাকেট পরে সোমবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।
মেন্ডোজা বলেন, ‘আমাদের খরচ এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে এবং পেট্রলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি মাসে আমাদের বাজেট সামঞ্জস্য করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
কলম্বিয়ায় গ্যাসোলিনের দাম গত বছরের আগস্ট মাসে ৯ হাজার পেসো প্রতি গ্যালন (২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার) থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি (৩ দশমিক ৪০ ডলার) হয়েছে, কারণ কলম্বিয়ার সরকার প্রতি মাসে ভর্তুকি কমিয়েছে।
কলম্বিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বছরের শেষ নাগাদ গ্যাসোলিনের দাম গ্যালন প্রতি ১৬ হাজার পেসো বা প্রায় ৪ ডলার করতে চান। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান গ্যাসের দামের সমান। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ন্যূনতম মজুরি কলম্বিয়ার ন্যূনতম মজুরির চেয়ে চার গুণ বেশি। কলম্বিয়ার ন্যূনতম মজুরি মাসে ২৮০ ডলার।
গত জুলাই মাসে মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবরে মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের পর ডিজেলের জন্য ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করা হবে এবং আগামী বছরের শেষে ডিজেল জ্বালানির দাম দ্বিগুণ হবে।
অথচ, কলম্বিয়ার বেশিরভাগ পণ্যবাহী ট্রাক চালাতে ডিজেল ব্যবহৃত হয়।
পেট্রোর সরকারের যুক্তি, দেশের পেট্রোলে ভর্তুকি দেওয়ায় বেশিরভাগ ধনী কলম্বিয়ানরা উপকৃত হয়েছে, যারা যানবাহনের মালিক।
তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কিছু গ্রুপের সঙ্গে তিনি গ্যাসোলিনের দাম নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।
গত শনিবার পেট্রোর প্রশাসন দেশের ট্যাক্সি ড্রাইভার ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে।
তবে কলম্বিয়ার বিরোধী দলের সদস্যরা বলছেন, সরকারের জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ডেলিভারি কর্মী, চালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ইতোমধ্যে তারা মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সংগ্রাম করছে।
কংগ্রেসওম্যান জেনিফার পেড্রাজা সোমবারের বিক্ষোভ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিলেন।
জেনিফার বলেন, সরকার পেট্রল ও ডিজেলের উপর কম বিক্রয় কর ধার্য করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ প্রশাসনকে একটি ভিন্ন পেট্রল নীতি নিয়ে আলোচনা করতে বলছে।’
তিনি আরও বলেন, কলম্বিয়ার জাতীয় তেল কোম্পানির ‘সবার জন্য পেট্রল সাশ্রয়ী করতে আগ্রহী হওয়ার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: মাদাগাস্কারে ইন্ডিয়ান ওশান আইল্যান্ড গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্টেডিয়াম বিধ্বস্ত, নিহত ১২
সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে একমত মোদি-শি জিনপিং
জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানি খাতের জন্য আগামী দুই বছর ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে এবং এ কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে।’
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: বঙ্গবন্ধুর দর্শন’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।
আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশ গ্যাস সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোলা থেকে অব্যবহৃত গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসব এবং বিশাল ভূগর্ভস্থ গ্যাস পাইপলাইনগুলোকে প্রতিস্থাপন করব।’
তিনি আরও বলেন, পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন সরকারের লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
প্রতিমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি করে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শিল্পক্ষেত্রে আর গ্যাস সংকট থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছি এবং আরও তিনটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সইয়ের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, সেইসঙ্গে স্টোরেজ ও আনলোডিং ক্ষমতা বাড়াতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য আরও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। অথচ দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমান গ্যাস সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অনুসন্ধান কাজ যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, অবিলম্বে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি দেওয়ান সুলতান আহমেদ বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণে তৎপর হয়। কিন্তু কোনো অর্থ ছাড়াই কতদিন ধরে এই অবৈধ গ্রাহকরা এ ধরনের গ্যাস ব্যবহার করছেন তা তারা কখনই প্রকাশ করে না।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগের পরও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অগ্রগতি নেই। তাই কী কী শূন্যতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।
ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে অনেক ব্যবসায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ফাইল মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। কিন্তু ফাইলগুলো যথাযথ গতিতে চলে না। এমনকি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো কোনো ফাইল এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
১ আগস্ট থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার তিন দফা দাবি মেনে না নিলে ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহনসহ সব ধরনের কাজ বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ট্যাংকলরি মালিকরা।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ইকোনোমিক লাইফ (ব্যবহারের আয়ুকাল) ৫০ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ, জ্বালানি তেল বিক্রির উপর প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গেজেট প্রকাশের জন্য তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে ইতোমধ্যে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা হতাশ। তাই আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, তেল ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতারা আশা করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা বিষয়টি বিবেচনা করে এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন।
এর ব্যত্যয় হলে ১ আগস্ট থেকে সকল জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন কাজ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেটা তারা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেনসহ সংগঠনগুলোর স্থানীয় নেতারা এবং বিভিন্ন জ্বালানি তেল ডিপোর মালিকরা।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী