ইসি
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইসির
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং বির্তকিত ভূমিকার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে তাদের প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠি দিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসি হলেন- আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম।
ইসি জানায়, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
ভবিষ্যতের জন্য নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রেখে যেতে চাই: ইসি
নির্বাচনের সময় অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রাখতে চান বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
শনিবার বিকালে জিলা স্কুলের মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি উপজেলার (সদর, চিরিরবন্দর ও খানসামা) প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভোটের সময় কোনো প্রিজাইডিং অফিসার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতার আহমেদ, জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচনে বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ ইসির
নির্বাচনে বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেব। যেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সাংবাদিকদের অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোট গ্রহণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি হাবিব বলেন, আমার আস্থা ও বিশ্বাস আসন্ন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। নিশ্চিত থাকেন একটা ভালো নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে বলেছি যেকোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া কেউ যদি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ জমা দিলে প্রত্যেকটা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। পরিষ্কারভাবে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ সবাইকে বলেছি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- ৭ উপজেলার ৭৯ জন প্রার্থী, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে শুনানি শেষে ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বুধবার নির্বাচন ভবনে তলব করে ইসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন,চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিলেও কমিশন সন্তুষ্ট হয়নি।
এছাড়া বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল হাফিজ মল্লিক ইসিতে এসে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, কমিশনের শুনানিতে সংসদ সদস্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
প্রার্থী নয়, অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি
প্রার্থী দেখে নয়, বরং অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীই অপরাধ করুক না কেন, দলমত নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
শনিবার জেলার প্রশাসকের সন্মেলনকক্ষে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীভাবে তাদের কাজ করে তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে যা যা করতে হয় স্থানীয় প্রশাসন তাই করবে।
কোনোভাবেই ভোটররা যেন অসন্তুষ্ট না হয় এবং তাদের মধ্যে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ: ইসি হাবিব
গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে উদ্ধারের ৫ দিন পর মারা গেছে শিশুটি
উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কুণ্ঠাবোধ করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেভাবে উপজেলাও হবে। কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে নিচে নামার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আওতায় কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেটি সবাই দেখবে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের মতো দলীয় প্রার্থী থাকছে না এবং দলীয় প্রতীকও নেই। আশা করছি ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। এবং নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা এবারও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া- নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। যেখানেই কোনো অনিয়ম হবে, কারচুপি বা অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে কেউ চায় না নির্বাচন খারাপ হোক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিভিন্ন বক্তব্যে বিষয়টি উল্লেখও করেছেন। ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার সব করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া যে কোনো স্থান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রমও সম্পন্ন করতে পারবেন তারা।
শুক্রবার(৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রার্থীরা অনলাইনে পছন্দমতো প্রচলিত কার্যকর উপায়ে জামানত জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটির মেয়র নির্বাচিত তাহসিন বাহার
প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে প্রার্থীর সময় বাঁচবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য www.ecs.gov.bd লিংকে (মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদান) বা https://onss.ecs.gov.bd/ সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে হলে প্রথমত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই ও মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ যাচাই-বাছাই করা হয়। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর যে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেই নম্বরে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে, যা সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর রিটার্নিং অফিসার অনলাইনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র প্রাপ্তি স্বীকার, নিশ্চিতকরণ, বাছাই/যাচাই-বাছাই, আপিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পাদন করবেন। প্রদত্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রার্থী যে কোনো সময় তাদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন; পাশাপাশি মোবাইলে মেসেজ পাবেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
প্রার্থীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফেসবুক পেজ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজ ও নিচের লিংকে ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে- https://youtu.be/hcImF47SkO8?si=eloeoZ1rI_liBs_G
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
পৌরসভা নির্বাচনসহ আরও ২৩১টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ইসি সচিব জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
২১ আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ও ৫২টিতে ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে: ইসির পরিসংখ্যান
রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ হলেও নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ২১টি আসনে ৬০ শতাংশের বেশি এবং কমপক্ষে ৫২টি আসনে ৩০ শতাংশেরও কম ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য থেকে এ চিত্র দেখা গেছে।
যেখানে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যে আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন।
সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পায় এবং জাতীয় পার্টি পায় মাত্র ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২টি আসনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
এদিকে, ময়মনসিংহ-৩ আসনের নির্বাচনের ফল স্থগিত করা হয়েছে।
দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, কারণ নওগাঁ-২ আসনের বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন এর আগে নির্বাচন স্থগিত করে।
৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে এমন পাঁচটি আসন হলো: গোপালগঞ্জ-৩ (৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ; শেখ হাসিনা), গোপালগঞ্জ-২ (৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (৭৬ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ বি তাজুল ইসলাম), চট্টগ্রাম-৬ (৭৩ দশমিক ২৪ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী) এবং সিরাজগঞ্জ-১ (৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ; আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়)।
নওগাঁ-১, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৪, বরিশাল-১, জামালপুর-১, ময়মনসিংহ-১০, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, মাদারীপুর-১, কুমিল্লা-৭, কুমিল্লা-৮, ফেনী-২, নোয়াখালী-৬, চট্টগ্রাম-৭ ও বান্দরবান আসনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকে শেখ ফজলুল করিম সেলিম সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট।
জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট এবং রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদার পেয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৩ ভোট।
ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন সর্বনিম্ন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
৪০ হাজারেরও কম ভোট পেয়েও জয়ী প্রার্থীরা হলেন: চাঁদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান (৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট), নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল (৩৯ হাজার ৩২১ ভোট) এবং ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার (৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট)।
ঢাকা-১৫ (১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ), ঢাকা-১৭ (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), ঢাকা-৮ (১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ), সিলেট-১ (১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং ঢাকা-১৬ (১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ) - এই ৫টি আসনে ২০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েও বিজয়ী হয়েছেন।
জিএম কাদের রংপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুজিবুল হক।
যে সব আসনে ২০-২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, কুড়িগ্রাম-৩, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৩, বগুড়া-২, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, রাজশাহী-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৫, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, গাজীপুর-২, সিলেট-৫, সিলেট-৬, হবিগঞ্জ-১, চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর-৪, নোয়াখালী-৩, নোয়াখালী-৪, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৩, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৫ ও কক্সবাজার-১।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১টি আসনের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
নতুন ১ কোটি ৫৪ লাখ নতুন ভোটারসহ সারা দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়,মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ৮৪৯ জন।
আরও পড়ুন: সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হওয়ায় বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ। দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১১ লাখ এবং নবম জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১০ লাখ।
এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১৪৮টি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা