ইসি
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, অতীতে কেউ কি ভোট দিতে পারতেন? তারা (সরকার) আবার সেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার অনেক চাপ আছে, কারণ বিদেশিরা বলছে আগের মতো ভোট এবার গ্রহণযোগ্য হবে না...তাই তারা নতুন কৌশল নিচ্ছে। সর্বশেষ কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে।’
শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে ইসির চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিবকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠান।
আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান ইসি গত বছর গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করেছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ নেয়নি।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ইসি) কেন এমন চিঠি পাঠিয়ে অস্থির হচ্ছেন? আপনারা ভদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করেন এবং বেতন নেন।’
পূর্ববর্তী কমিশন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বর্তমান ইসিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা না করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা এসব কথা বলে নিজেদের ছোট করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘শুধু জাতীয় নির্বাচনে নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাই অযথা এই চর্চা (আলোচনা করা) না করে আসল কথায় আসুন। আসল কথা হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: এতিম ও ইসলামিক স্কলারদের ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করে, বিএনপির মতো নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।’
আহসান হাবিব খান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ।
অভিযুক্ত নির্মলেন্দু দে সুমন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৯নং ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দে’র ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। এরই মধ্যে বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নং কক্ষে প্রবেশ করে নির্মলেন্দু দে সুমন গোপনকক্ষ থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যায় চলে যায়। গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা কর্ণপাত করেনি ওই যুবলীগ নেতা। পরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি উদ্ধার করে কেন্দ্রে ফেরত দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ইউপি নির্বাচন: এমপি বেলালের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
জেকেজি চেয়ারপার্সন সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
বাংলাদেশে এখন ১১ কোটি ৯১ লাখ ভোটার: ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, গত বছর কিছু নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর দেশে ভোটার সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে।
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইসি।
ইসির ফ্যাক্টশিট অনুযায়ী, দেশের ভোটার তালিকায় মোট ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
মোট সংখ্যার পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন।
এছাড়া হালনাগাদ তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে ৮৩৭ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অপ্রত্যাশিত: সিইসি
নির্বাচনের জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ কিনবে ইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য রাষ্ট্রায়াত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) থেকে প্রায় ৭০০ মেট্টিক টন কাগজ কিনবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কেএমপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইসি মিল থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছে। ইসি ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো ইসিকে কাগজ দেয়া হবে।
জানা গেছে, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য তিন রঙের কাগজ প্রয়োজন হয়। সাধারণত হলুদ, নীল ও গোলাপী রঙের কাগজ দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে থাকে। তবে, এ বছর ইসির চাহিদা অনুযায়ী রঙিন কাগজ দেবে কেপিএম।
শুধু নির্বাচন কমিশন নয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে থাকে।
এছাড়াও, সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা পাঠ্যবইয়ে কেপিএম-এর কাগজ ব্যবহার করছে।
কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কেপিএম গত ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থাকে উচ্চ মানের কাগজ সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিলে ফের কাগজ উৎপাদন শুরু
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
শনিবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কমিশনার বলেন, বাজেট সংকটের কারণে আগামী নির্বাচনে সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘কিছু নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম আংশিকভাবে ব্যবহার করা হবে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এমন প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
তিনি বলেন, বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর আগের মতো সমালোচনা হকবে না।
কমিশনার আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কোনও সুযোগ নেই।
ফরিপুর বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু সংকটের কথা শোনা গেছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা কোন ভোটে দেখতে চায়না ইসি। তাই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধীরগতির কারণ পর্যালোচনাও করবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফিঙ্গার প্রিন্টের সমস্যা কম ছিল। তবে নানা কারণে নির্বাচনে ভোট কাস্টিং এ ধীরগতি কম ছিল। ইভিএম এ ভোট সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে নির্বাচন কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা ভোটের দিনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ইসিকে অবহিত করেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো তুলতে গিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়া, ইভিএম ত্রুটি ধরা পড়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটাররা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি ইভিএমে। অনেকের হাতের ছাপ না মিলায় রংপুরে ভোটগ্রহণ ধীরগতি হয়েছে। আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও অংশ নেন এই সভায়।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
ইভিএম পাস না হলে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোটগ্রহণ হবে: কমিশনার রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পটি জানুয়ারির মাঝামাঝি পাস না হলে, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমের নতুন স্কিম জানুয়ারির মাঝামাঝি পাস না হলে, এই মেশিনগুলো ১৫০টি (সংসদীয়) আসনে ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্ষেত্রে, ইসিকে ব্যালট পেপারে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।’
রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এর আগে ১৫০টি আসনে ইভিএম সংগ্রহ ও ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল। সেই প্রস্তাব এখনও পাস হয়নি।
ইসি কমিশনার বলেন, ইভিএম প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে প্রকল্পের তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সময়মতো আসে, তাহলে ভালো। না হলে আমাদের যা আছে তাই করব। আমাদের ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার ক্ষমতা আছে।’
তিনি জানান, তারা এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়) সঙ্গে কথা বলেননি এবং এটা নিয়মও নয়। ইসি সচিবালয়ে আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এটা অব্যাহত রাখতে চায়।
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ধীরগতিতে ভোট চলছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন থাকায় সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলতে পারে বলেও জানান তিনি।
বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ভোট বিলম্বের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা ইসি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোট দেয়ার কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি, তবে কেন্দ্রের সকল ভোটারকে রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে নতুন করে সংলাপ সম্ভব নয়: সিইসি
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন কারণ ইতোমধ্যেই ভোটকেন্দ্রে এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
রসিক নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকে ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন জানান, মেয়র পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম।, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান ও লতিফুর রহমান।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রথম রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোনো চাপ নেই: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি