আদিবাসী
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২তম অধিবেশনের প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ করেছে ফোরামটি।
অধিবেশন চলাকালে ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সুশীল সমাজের সদস্য এবং অন্যন্য ব্যক্তিবর্গও এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অধিবেশন শেষে ফোরামটি এ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্যকে স্বাগত জানায়।
একইসঙ্গে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নারীর মর্যাদাবিষয়ক কমিশনে সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
আদিবাসীদের সমর্থন করতে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান আইন প্রণেতা
সংসদে তথাকথিত আদিবাসী ভয়েস তৈরির সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের নেতৃত্ব থেকে একজন সিনিয়র আইনপ্রণেতা বিভক্ত হয়েছেন।
ভয়েস তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
একটি নির্বাচিত দল যাকে সংসদে আদিবাসীদের স্বার্থের ওকালতি করার জন্য অভিযুক্ত করা হবে কিন্তু আইনে ভোট দেওয়া হবে না।
রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির শ্যাডো অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জুলিয়ান লিজার, যাতে তিনি ভয়েস তৈরির পক্ষে ওকালতি করতে পারেন। ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে লিজার সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে বাধ্য ছিলেন।
লিজার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভয়েসের সময় এসেছে।’ ‘আমি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলো থেকে টানা একটি জাতীয় কণ্ঠে বিশ্বাস করি এবং আমি এই বছর যে গণভোট করা হচ্ছে তাকে সমর্থন করব।’
সিনিয়র আইন প্রণেতারা ভয়েস-এ পার্টি লাইন অনুসরণ করার জন্য বিরোধী দলের নেতা পিটার ডাটনের সমালোচনা করা হয়েছিল।
আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী কেন ওয়াট, ভূমিকাটি পূরণ করার জন্য প্রথম আদিবাসী আইন প্রণেতা ভয়েসের বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য গত সপ্তাহে লিবারেল পার্টি র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার আসন হারান ওয়াট।
লিজার বলেছিলেন যে তিনি নেতা হিসাবে ডাটনের সমর্থক রয়েছেন।
লিজার বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্বেষ বা তিক্ততা ছাড়াই পদত্যাগ করছি। আমি একজন অনুগত লিবারেল রয়েছি। পিটার ডাটনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
লিজার আরও বলেন, ‘ফ্রন্ট বেঞ্চার হিসাবে আজ আমার পদত্যাগ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নয়। এটি বিশ্বাসের দড়ি দিয়ে বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করা এবং আমি যা তার অংশ।’
উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে টোরেস স্ট্রেট দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা মূল ভূখণ্ডের আদিবাসী জনসংখ্যা থেকে সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা। দুটি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান জনসংখ্যার তিন দশমিক দুই শতাংশ এবং তারা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জাতিগোষ্ঠী।
ভয়েস মূলত ২০১৭ সালে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীর আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
দিনাজপুরে মেসির চাকায় পিষ্ট হয়ে আদিবাসী শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মেসি গাড়ির (ট্রাক্টর) চাকায় পিষ্ট হয়ে এক আদিবাসী শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিন্যাগাড়ী আদিবাসী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শতাব্দী মুরমু (৩) ওই গ্রামের কন্জিলিউস মুর্মুর ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন দাস গুপ্ত এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বড় বোনের সাইকেলে চড়ে রানীগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাটি বহনকারী মেসির চাকায় পিষ্ট হয়। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইকেল চালক নিহত
দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ
দিনাজপুরে পিকনিকের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে ছাগলের অদ্ভুত ২ বাচ্চা!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় একটি ছাগল অদ্ভুত দুইটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। রবিবার (০৬ নভেম্বর) নারগুন ইউনিয়নের ছোট খোচাবাড়ি হাটপাড়ায় এ অদ্ভূত ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই এলাকার এক আদিবাসীর বাড়িতে পালিত একটি ছাগল তিনটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাচ্চা তিনটির মধ্যে দুইটি বাচ্চা অদ্ভুত। অন্য বাচ্চাটি সুস্থ ও স্বাভাবিক। ছাগলের বাচ্চাগুলো দেখতে দলে দলে লোক ছুটে যাচ্ছে ওই বাড়িতে।
ছাগলটির তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চার চার পা ও দুই কান থাকলেও নেই নাক,দুটি চোখ একসাথে ও মাথায় একটি লাল বলের মতো টিউমার। আরেকটির চার পা ও দুই কান আছে, কিন্তু নাক ও জিহ্বা অস্বাভাবিক। দুইটি বাচ্চারই জিহ্বা বের হয়ে আছে।
আরও পড়ুন : ছাগলের সাথে বসবাস আম্পানে বিধ্বস্ত খাদিজার
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে তাদের এলাকায় ছাগলের এমন বাচ্চা আগে কখনো দেখেননি। বাচ্চা দুটি খেতে পারছে না।
ভয়কে পেছনে ফেলে চট্টগ্রামে আদিবাসীর সাজে হাজির দুর্গা!
গত বছরের সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষত ও আতঙ্ককে জয় করে বন্দরনগরীর হিন্দু সম্প্রদায় এ বছর ধুমধাম ও সৃজনশীল থিমের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে।
শহরজুড়ে ২৮২টি মণ্ডপের মধ্যে একটি মণ্ডপ সবচেয়ে বেশি ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। আদিবাসী নারীর সাজে এখানে আবির্ভূত হয়েছেন দেবী দুর্গা।
দক্ষিণ নালাপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদ তার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনে এই অনন্য থিম নিয়ে এসেছে। ‘পার্বণ’ (উৎসব) নামের মণ্ডপটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে।
দুর্গা ও তার চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের পোশাকে দেশীয় সংস্কৃতির উদযাপন দৃশ্যমান হয়ে ওঠেছে। পুরো মণ্ডপটি বাঁশ, বাঁশের কারুকাজ করা দেয়াল এবং আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন থেকে অনুপ্রাণিত অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
থিম পরিকল্পনাকারী রাজিব বিশ্বাস রাজা বলেন, এবার পূজার থিমের নাম হচ্ছে পার্বণ। আদিবাসীদের জীবনধারা ও কর্মযজ্ঞ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। বাঁশ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজা মণ্ডপকে। মণ্ডপে প্রায় ১৪ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ভাবনা ও সৃজনে রয়েছেন বিশ্বজিৎ আইচ। পাঁচ মাস আগে থেকে আমরা এই কাজ শুরু করেছিলাম। দিন-রাত কাজ চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি দর্শনার্থীদেরও কাছে আমাদের এই আয়োজন দৃষ্টিনন্দন হবে।
দুর্গা নিজেও মাথায় আদীবাসীদের মুকুট পরেছেন, বাঁশের তৈরি অলঙ্কার এবং তার শাড়ির মোটিফও দেশীয় ঐতিহ্য থেকে বেছে নেয়া হয়েছে। দেব-দেবী ছাড়াও অন্যান্য চরিত্র ছিল উপজাতীয় পুরুষ, মহিলা এবং শিশু। এদেরও উপজাতিদের পোশাক 'পিনন হাদি' পরানো হয়েছে। পূজা মন্ডপে বাদ্যযন্ত্রসহ নাচের মাধ্যমে উদযাপন করা হচ্ছে এ 'পার্বণ'।
দুর্গার নান্দনিক ও আদিম রূপের আভাস পেতে ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীরা মণ্ডপে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
এ বছর চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় মোট দুই হাজার ৬২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে চট্টগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন।
বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
ব্রাজিলের একটি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর শেষ সদস্য মারা গেছেন। বিশ্বের এই নিঃসঙ্গতম ব্যক্তি ‘গর্তের মানুষ’ নামে পরিচিত ছিলেন।
গভীর গর্ত খনন করার জন্য তিনি ‘ম্যান অব হোল’ বা ‘গর্তের মানুষ’ নামে পরিচিত। গর্ত খুড়ে তিনি প্রাণীদের ফাঁদে ফেলতেন যেটিকে প্রাণীগুলো লুকানোর জায়গা মনে করতো।
লোকটির নাম জানা যায়নি, বিগত ২৬ বছর ধরে তিনি একা বসবাস করে আসছিলেন।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গত ২৩ আগস্ট কুঁড়েঘরের ঘরের বাইরে একটি হ্যামক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো আক্রমণ বা আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
১৯৯৫ সালে এই আদিবাসীর ছয় সদস্য মারা যাওয়ার পর তিনিই একমাত্র বেঁচে ছিলেন। বলিভিয়া সীমান্ত এলাকার রন্ডোনিয়া রাজ্যের তানুরুতে এই আদিবাসীরা বসবাস করে আসছিলেন।
মনে করা হয়, ১৯৭০ দশকের শুরুতে রেঞ্জাররা তাদের ভূমি সম্প্রসারণের জন্য এই উপজাতির অধিকাংশ মানুষকে হত্যা করে।
ধারণা করা হচ্ছে ‘ম্যান অব দ্যা হোল’ ৬০ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কর্মকর্তার বলছে, ওই এলাকায় কারও অনুপ্রবেশের কিংবা তার ঘরে বিরক্ত করার চিহ্ন নেই। তবে পুলিশ তদন্তের জন্য তার লাশটি নিয়ে গেছে।
ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ভূমির অধিকার আছে, সুতরাং যারা সেই ভূমি কেড়ে নিতে চায় তারা তাদের হত্যা করে।
পড়ুন:বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
ব্রাজিলের আদিবাসী বিষয়ক সংস্থা ফুনাই’র প্রতিনিধি ১৯৯৬ সাল থেকে তার নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করতো।
ফুনাই’র সদস্য ২০০৮ সালে জঙ্গলে তার মুখোমুখি হলে একটি ছবি সংগ্রহ করেছিল। ফুটেজে দেখা
যায় সে কুড়াল সদৃশ্য কিছু একটা নিয়ে গাছে উঠছিল।
এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। কিন্তু ফুনাই প্রতিনিধিরা গভীর গর্ত খুড়ে তৈরি করা তার কুঁড়েঘরে গিয়েছিল।
এর মূলে কিছু সূচারু জিনিস আছে যেগুলোকে প্রাণী শিকারের ফাঁদ মনে করা হয়। যখন
বহিরাগতরা তার দিকে আসত তখন এটি সে লুকানোর জন্য ব্যবহার করতো।
তার কুঁড়েঘরের আশপাশে এমন প্রমাণ মেলে যে সেখানে তিনি ভূট্টা, পেঁপে ও কলার মতো ফলমূল চাষ করতেন।
ব্রাজিলে ২৪০ টি আদিবাসী গোষ্ঠী আছে। যাদের অনেকে হুমকির মধ্যে রয়েছে। কারণ অবৈধ খনি শ্রমিক, কাঠুরে এবং কৃষকরা তাদের ভূখন্ড দখল করে নিয়েছে। সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করছে, আদিবাসীদের অধিকারের জন্য একটি গোষ্ঠী লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
ব্রাজিলে ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেছেন নরেন্দ্রনাথ মুন্ডা, গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আদিবাসী মুন্ডা পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত নরেন্দ্রনাথ মুন্ডা মারা গেছেন। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নরেন্দ্রনাথ মুন্ডা উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তিখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-বংশীপুর গ্রামের নুর হোসেন ও শ্রীফলাকাটি গ্রামের নুর মোহাম্মদ।
এর আগে শুক্রবার সকালে শ্যামনগরের ধুমঘাটে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি দখলে নিতে হামলা চালায় শ্রীফলাকাটি গ্রামের রাশেদুল ইসলাম ও ইবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে বংশীপুর এলাকার দুই শতাধিক সন্ত্রাসী। এসময় গুরুতর আহত হন রিনা মুন্ডা (৩৫), সুলতা মুন্ডা (৪০), বিলাশী মুন্ডা (৩৬) ও নরেন্দ্রনাথ মুন্ডা (৭০)। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় মুন্ডাদের বাড়িতে।
এদিকে, এ হামলার ঘটনায় শনিবার সকালে ফণীন্দ্র মুন্ডা বাদি হয়ে ৩০ জন জ্ঞাতসহ অজ্ঞাত আরও ১৬০/১৭০ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, ধুমঘাট গ্রামে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের আট বিঘা জমির জবর দখল নিতে শুক্রবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে শ্রীফলকাটি গ্রামের এবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, দখল পেতে বাঁধা দেয়ায় মুন্ডাদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এতে বিলাসী মুন্ডা, রিনা মুন্ডা, সুলতা মুন্ডা ও নরেন্দ্র মুন্ডা মারাত্মক আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নরেন্দ্র মুন্ডা শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেলে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ট্রাকচাপায় সাতক্ষীরায় আখ ব্যবসায়ী নিহত
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’র শপথ গ্রহণ
ভারতের সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার দেশটির সংসদের সেন্ট্রাল হলে একটি মনোমুগ্ধকর ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে শপথ পাঠ করান।
মুর্মু তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা এবং একজন আদিবাসী হওয়ার পরেও আমি এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পেরে; সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। এটি প্রমাণ করে যে একজন দরিদ্রও ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিই আমাদের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রীরা এবং আইনপ্রণেতারা সংসদে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এর আগে ৬৪ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম আদিবাসী রাজনীতিবিদ হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন। মুর্মুর প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
সোমবার ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির ভোটাধিকার প্রয়োগে যোগ্য চার হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
কে এই মুর্মু?
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্মু ১৯৭৯ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি পরবর্তীকালে পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওডিশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং তারপর একজন বিধায়ক নির্বাচিত হন।
দুই মেয়াদের বিধায়ক ২০০০ সালে ওডিশা সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৫ বছর পরে মুর্মু প্রতিবেশি পূর্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী ও দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার স্বামী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এবং তার দুই ছেলের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন প্রথম আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম উপজাতীয় হিসেবে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন। মুর্মুর প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ২৫ জুলাই মুর্মু বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান রাম নাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শপথ নেবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির ভোটাধিকার প্রয়োগে যোগ্য চার হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন।
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
কে এই মুর্মু?
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্মু ১৯৭৯ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি পরবর্তীকালে পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওডিশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং তারপর একজন বিধায়ক নির্বাচিত হন।
দুই মেয়াদের বিধায়ক ২০০০ সালে ওডিশা সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৫ বছর পরে মুর্মু প্রতিবেশি পূর্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী ও দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার স্বামী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এবং তার দুই ছেলের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক আদিবাসী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া সোনাতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চিত্ত মার্ডি (৩৩) ঝিলিম ইউনিয়নের বিল বৈঠা এলাকার মহাদেব মার্ডির ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে যায় বনলতা এক্সপ্রেস। সোয়া ৬টার দিকে বড় পুকুরিয়া সোনাতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে কারখানার শ্রমিক নিহত