সুরক্ষা
সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন ৯সদস্যের জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা, হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে। ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ণ করে তার অধীনে একটি শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও গৃহ সংস্থানের অধিকার পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সকল গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদাহরণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালত কতৃর্ক দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে সুচিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
আনিসুল হক জানান, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনকে সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছে; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চাহিদ মোতাবেক আইনটিকে আরও শ্রমবান্ধব করার কাজ করছে। কোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ওই কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিকদের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে।
এছাড়া, কারখানার আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম অনলাইন করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে শ্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বর্তমানে অনেক কমেছে।
হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, অধস্তন আদালতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে খুব অল্প সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে জাপানী প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আইনমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
সেইসঙ্গে জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হলি আর্টিসান মামলায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের পাশে থাকার জন্য জাপানি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, এখনো বলছি, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে যাওয়ার আগে এর অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা করা হবে। এর আগেও আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে যাতে আইনটির বিষয়ে এমন মনে না হয় যে, এটা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা করা। উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে দেয়া হয়, সে ব্যবস্থাই থাকবে এতে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য ১২তম ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বাকস্বাধীনতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখেন এবং তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখা হয়; যা বহু গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে রাখা হয়নি। তাই কেউ যদি এমন দুশ্চিন্তা বা কল্পনা করেন যে, শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সময় এমন একটি আইন হবে, যেখানে জনগণের বাকস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, সেটা ঠিক নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারও যদি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এগুলো তো স্পষ্ট।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা
মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
শিশুদের সুরক্ষায় সমাজসেবা কর্মীবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি সরকারের
বাংলাদেশ সরকার ছয় হাজার নতুন সামাজিক কর্মী নিয়োগ করে তিন হাজার জনবল থেকে ৯ হাজার জনবলে উন্নীত করবে।
সাড়ে চার লাখ শিশুর ওপর চালানো জাতীয় পারিবারিক জরিপে দেখা যায়, ১৫ বছরের কম বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু নিয়মিত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। জরিপের এই ফলাফলের পরপরই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আসলো।
সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা বিষয়ক জাতীয় সিম্পোজিয়াম’-এ শিশু সুরক্ষা পরিষেবা জোরদার
করা এবং সমাজকর্মীদের সংখ্যা ২০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
ইউনিসেফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিম্পোজিয়ামটি উদ্বোধন করেন। এবং একটি ভিডিও বার্তায় শিশু সুরক্ষা পরিষেবাগুলোকে কমিউনিটি পর্যায়ে সহলভ্য করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল একটি পেশাদার সামাজিক পরিষেবা কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা। আর শিশু হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ১০৯৮। যাতে কোনো শিশু পিছনে পড়ে না থাকে সেজন্য শিশু সুরক্ষা ভাতা, স্বেচ্ছাসেবক, কিশোর শিশু এবং সম্প্রদায়ের লোকদের জড়িত সম্প্রদায়-ভিত্তিক বিস্তৃত পরিষেবাগুলোর মতো শিশু সুরক্ষা পরিষেবাগুলোর সরবরাহ বাড়ায়।’
বাংলাদেশে ত্রিশ লাখেরও বেশি শিশু শিশুশ্রমে আটকে আছে। এর মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত।
প্রতি পাঁচজন শিশুর একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে না। প্রায় অর্ধেক শিশুর জন্ম নিবন্ধন নেই।
আরও পড়ুন: সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
এক লাখেরও বেশি শিশু প্রাতিষ্ঠানিক যত্ন ও পারিবারিক সহায়তা বঞ্চিত। প্রতি দুই কন্যাশিশুর মধ্যে একজনের শিশু অবস্থায় বিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও লাখ লাখ শিশু রাস্তায় বাস করে।
‘সমাজকর্মীরা সমাজের গভীরে পৌঁছায় যেখানে শিশুদের তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, আরও বেশি শিশুকে জটিল পেশাগত যত্ন থেকে উপকৃত হতে সমাজকর্মীদের সংখ্যায় এই
অকল্পনীয় বৃদ্ধির জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
আজকের উচ্চ পর্যায়ের শিশু সুরক্ষা সিম্পোজিয়ামের আলোচনায় প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার ও চাহিদা এবং শিশু সুরক্ষা আইনি কাঠামোর বিষয়ে সরকার, সুশীল সমাজ, বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমাজসেবা
কর্মশক্তি, ঝুঁকি এবং হস্তক্ষেপের প্রাথমিক সনাক্তকরণ বিষয়ে একমত হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে শিশুদের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা সরকারের’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের অনুষ্ঠান শিশুদের সহিংসতা, অপব্যবহার এবং শোষণ থেকে, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ। ইইউ বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও সুপ্রিম কমিটি অন চাইল্ড রাইটস এর সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে যৌথভাবে একটি বিস্তৃত জাতীয় শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এছাড়া দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।
সোমবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বরং আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। এছাড়া ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, গোপনে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে।
এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষায় ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দিবোই না।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আছে: আইনমন্ত্রী
বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে কার্পণ্য করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
নারী অধিকারের সুরক্ষা, প্রচারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নারীর অধিকার রক্ষা ও প্রচারের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান বিশ্বের সকল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। যাদের ধৈর্য, ত্যাগ এবং প্রচেষ্টার ফলে মানবজাতির অগ্রগতি হয়েছে এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলা সম্ভব করেছে। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন না করে কোনো সমাজ বা জাতি সফল হতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নারীরা জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এই দিনে, আমরা দেশজুড়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার প্রচার চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করছি।
আরও পড়ুন: নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
‘সুরক্ষা’ অ্যাপের পাঁচ প্রকৌশলীকে সম্মানিত করল আইইবি
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে একটি উল্লেখযোগ্য প্লাটফরম হচ্ছে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ। এই অ্যাপ নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৫ প্রকৌশলীকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
এই পাঁচজন হলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার এবং সুরক্ষা কোর টিম মেম্বার প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী মো. গোলাম মাহবুব, প্রকৌশলী এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রকৌশলী আবুল্লাহ আল রহমান এবং প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ বিন ছালাম।
আইইবি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার সন্ধ্যায় আইইবি কাউন্সিল হলে (নতুন ভবনের ২য় তলা) সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (প্রশাসন এন্ড এসএনডব্লিউ) প্রকৌশলী মো. মুসলিম উদ্দিন এবং আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (একাডেমিক ও এইচআরডি) প্রকৌশলী হাবিব আহমদ হালিম (মুরাদ)।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার।
আরও পড়ুন: ৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের নতুন স্বাস্থ্য বীমা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান।
আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করে দেশের অর্থ যেমন তারা বাঁচিয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের ভোগান্তিও অনেকটা লাঘব করেছেন। সংবর্ধিত প্রকৌশলীরা দেশের সম্পদ বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সাথে তাদেরকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই অ্যাপ তৈরির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার আইসিটি ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সংবর্ধিত প্রকৌশলীদের তিনি সম্মুখ সারীর যোদ্ধা বলে অভিহিত করেন। বিপুল জনগোষ্টীকে সুরক্ষা অ্যাপের আওতায় এনে সুশৃঙ্খলভাবে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে যুগান্তকারী সিস্টেম উদ্ভাবন করায় তাদের প্রতি সম্মান ও ধন্যবাদ জানান। এটি শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি'র জন্য।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করা আইসিটি সেক্টরের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ ও অর্জন। এটা
কম্পিউটার প্রকৌশলীদের কারিগরী দক্ষতা ও অবদানের ফসল। কিন্তু দেশে পেশাগতভাবে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা সব থেকে অবহেলিত
একই সাথে তিনি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বিসিএস চাকরিতে আইসিটি ক্যাডার তৈরির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কাজ করছে অপো
শ্রমিকদের সুরক্ষায় ১৮.৬৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকার: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান জানিয়েছেন, শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিবেচনায় সরকার শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সাড়ে ২১ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৮ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৩তম সভায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে তাঁর বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে করোনা মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য এক বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকার একশ’র বেশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১ এর অধীনে সরকার বেকারত্ব, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা এবং মাতৃত্ব বীমা প্রবর্তনের জন্য কাজ করছে। তিনি আইএলও এর গভর্নিং বডিতে পেশ করা বাংলাদেশে শ্রমমানের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত রোডম্যাপের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যূন্যতম মজুরীর বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
আরও পড়ুন:শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ শ্রম প্রতিমন্ত্রীরপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে
শ্রম প্রতিমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে আইএলও প্রস্তাবিত কর্ম-পরিকল্পনার প্রশংসা করে তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেন- ১. আইএলও এর প্রস্তাবিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সহায়তা করার জন্য অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা বিশেষ করে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এমন দেশগুলোতে। ২. কম খরচে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রণয়ন করা বিশেষ করে অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শ্রমিকের জন্য এবং ৩. আইএলও এর প্রস্তাবিত কর্ম-পরিকল্পনাকে জাতীয় পর্যায়ে চলমান কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করতে হবে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্মসচিব মো. হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন। ১ নভেম্বর শুরু হওয়া ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে আইএলও-এর গভর্নিং বডির এ সভা ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন:কারখানা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিশুর পাশাপাশি আপনারও সুস্থ থাকা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে শিশুরা করোনার ভয়ানক সংক্রমণের বাইরে থাকলেও এখন ধীরে ধীরে শিশুদের সংক্রমণের হার বাড়ছে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যে কোনও রোগের বেলাতেই শিশুদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে অনেক দিন ধরে ঘরে থাকার কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগতে পারে আপনার শিশু। তাই করোনা থেকে আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকা জরুরি।
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আপনার করণীয়
শিশুর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করুন
অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় কনুইয়ে মুখ গুজা এবং মাস্ক ব্যবহার করার মত প্রাথমিক বাধ্যতামুলক স্বাস্থ্যবিধিগুলো খুব সহজ ভাষায় শিশুদেরকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। বাইরে থেকে আগত কোনও লোকদের সংস্পর্শ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
পরিবারের কোনও সদস্যের সর্দি, কাশি, জ্বর হলে তাদের কাছে যাওয়া থেকে শিশুদের বিরত রাখুন। এমনকি নিজেরও এরকম কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দূরত্ব বজার রাখুন।
সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে তাদেরকে শিক্ষা দিন। এ সময়ে শিশুদের হালকা সর্দি-কাশি, জ্বর, পেট ব্যথা ইত্যাদি হালকাভাবে নেবেন না। শিশুকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করুন।
আরও পড়ুন: কিভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে ইংরেজিতে বলা রপ্ত করবেন?
ঘরের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন
এ সময়ে যেহেতু ঘরের ভেতরেই বেশি থাকা হচ্ছে সেহেতু ঘরের যে জায়গাগুলোতে মানুষের সংস্পর্শ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সে জায়গাগুলো স্যানিটাইজ করুন। বিশেষত দরজার নব, চেয়ার-টেবিল, বিভিন্ন ফার্নিচারের হাতল, বিছানা এবং অবশ্যই রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন।
শিশুর ব্যবহৃত বালিশের কাভার, বিছানার চাদর সপ্তাহে অন্তত দু’বার বদলে দিন। মাস্কের পাশাপাশি শিশুকে হাতে নিয়মিত একটি পরিষ্কার কাপড় ও একটি ছোট্ট পকেট হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। নিয়মিত পরনের কাপড় ধুয়ে দিন। তাছাড়া হঠাৎ ময়লা হয়ে গেলে সাথে সাথে কাপড় বদলে দিন।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
শিশুকে ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারে উৎসাহ দিন
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শিশুদের বিভিন্ন ভীড় থেকে বিরত রাখার কারণে তারা ঘরে বন্দি হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের সময়গুলোর সদ্ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট একটা উপযুক্ত উপায়। স্কুল বন্ধের সাথে শিশুর পড়াশোনা যেন বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্যে অনলাইন পড়াশোনায় আপনার শিশুকে নিয়ে সময় কাটান।
প্রযুক্তির প্রতিনিয় প্রসারের ফলে পাঠ্যক্রমের প্রতিটি বিষয় এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে অধ্যয়ন করা যায়। অনলাইন পাঠের বড় সুবিধা হলো- এখানে শিশু কোন চাপ অনুভব করবে না বরং নিজেই আনন্দ নিয়ে শিখবে। এছাড়া শুধু পড়াশোনাই নয়, ইন্টারনেট শিশুদের জন্য বিনোদনের এক বিশাল সংগ্রহশালা। এখন ঘরে বসেই অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমগুলোতে একজন খেলোয়ার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের খেলোয়ারদের সাথে প্রতিযোগীতা করতে পারছে।
এতে করে এই করোনার সময়ে আপনার শিশুকে খেলাধুলার জন্য বাইরে না যেতে জোর করতে হবে না। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার শিশু যেন খারাপ কোনও সাইট বা গেমের প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে। এর জন্য ইন্টারনেটের আপত্তিজনক সাইটগুলো ব্লক করে রাখবেন।
এছাড়া ইন্টারনেট আপনার শিশুর মেধা ও মননকে উন্নত করার জন্য এক গতিশীল মাধ্যম যা তার স্বভাবিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
করোনা সম্পর্কিত গুজবে কান না দিয়ে সঠিক খবর জানুন। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর খবরগুলো নিয়ে নিজেদের ভেতর আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকুন। সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো নিয়ে বেশি কথা বলুন।
কোথায় কোথায় কত মানুষ সংক্রমণ থেকে কত দ্রুত সেড়ে উঠেছে তা নিয়ে আলাপ করুন। এতে শিশুদের মনে ভীতির সঞ্চার ঘটবে না। শিশুরা প্রায় সব সময়ই বড়দের অনুকরণ করার চেষ্টা করে।
তাই নিজেরা করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাদের সামনে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করুন। আপনি যেভাবে আপনার শিশুকে সতর্ক করছেন খেয়াল ঠিক সেভাবেই ও আপনাকে অথবা অন্যদের সতর্ক করছে কিনা। এভাবে ব্যাপারটাকে খেলার ছলে শিক্ষা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন
শেষ কথা
সর্বোপরি করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা রক্ষার্থে দেহ ও মন, দুটোকেই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। শিশুদের শরীরের জন্য প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার দেয়া আর মনকে ঠিক রাখতে করোনার সংক্রমণের তথ্যগুলো ইতিবাচক ভাবে সরবরাহ করুন।
ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জনপ্রিয় অ্যাপ লাইকি সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ তৈরিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলা এবং আপত্তিজনক বিষয় ছড়িয়ে দেয়া হয় এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের লাইকি কমিউনিটি নীতিমালা সম্পর্কে জানাতে কনটেন্ট নির্মাতা ও সেলিব্রেটিদের কাছে ভিডিও তৈরির এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লাইকি যে ইতিবাচক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিচ্ছে সে সম্পর্কে অবহিত করতে লাইকি সম্প্রতি ‘#ভালোরজন্যজানো’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও ইনফ্লুয়েন্সাররা নিরাপদ ও সুস্থ ধারার অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য কনটেন্ট পোস্ট করার নিয়ম ও সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর ভিডিও তৈরি করেন। এদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি, অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি কনসালটেন্ট রিজভী আরেফিন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা সমাজে প্রচলিত যোগাযোগের যে কোনও মাধ্যমের প্রভাব কেমন তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীরা এটি কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটার ওপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োচিত এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। লাইকি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষ চাইলে এ প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে অনেক শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্ট ও কন্টেন্ট নির্মাতা রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের ব্যপারে টয়া বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই লাইকিতে সক্রিয়। ফলোয়ারদেরকে আনন্দিত করবে এমন মজাদার, আনন্দদায়ক ও বিনোদনমূলক অনেক দিক আমি এই প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পেয়েছি। আমরা মানুষকে উপভোগ্য এবং দায়িত্বশীল উপায়ে লাইকিসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
গত কয়েক মাস ধরে লাইকি আপত্তিকর কন্টেন্ট ফিল্টার করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, এর ব্যবহারকারীদেরও সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে, যেনো এর মাধ্যমে অন্যরা তাদের মেধার বিকাশে অনুপ্রেরণা পায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে লাইকি তাদের রাজস্ব উদ্ভাবনে এবং প্ল্যাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ও অবৈধ কন্টেন্ট মুছে ফেলতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুন:বিনিয়োগ করে আসছে। যথাযথ নিয়ম মেনে রিপোর্ট করা কন্টেন্টগুলোর ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট টিম নিরলস কাজ করছে। আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে লাইকি কঠোর নীতিমালা মেনে চলে। এ কারণেই লাইকি যখনই অশ্লীল, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা, ফ্যাসিজম, কাউকে বুলি করে বা ঘৃণামূলক বক্তৃতাকে উত্সাহিত করে এমন কোনো কন্টেন্ট খুঁজে পায়, তখনই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এমনকি ব্যবহারকারীরাও [email protected]– এ অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিওতে রিপোর্ট করে প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারেন। এছাড়াও, লাইকিতে জালিয়াতির তথ্য, অশ্লীল লিঙ্ক, জুয়া এবং অন্যান্য সময়ে নেতিবাচক ক্রিয়াকলাপ রিয়েল-টাইমে তদারকি করার জন্য একটি কমপ্লিট সিকিউরিটি মেকানিজম রয়েছে।
বাংলাদেশে লাইকির হেড অব অপারেশনস জয় বলেন, “প্রথমেই, আমরা প্রত্যেককে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যা তাদের সুপ্ত প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের বিকাশে সহায়তা করবে। আমাদের নীতি এবং নৈতিকতার মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত হয় এমন কোনও কিছুই লাইকি’তে উৎসাহিত করা হয় না। এই বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে মোট ৪২ হাজার ৭৫১ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ লাখ ভিডিও বিভিন্ন ধরণের পেনাল্টির সম্মুখীন হয়। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘন হয় এমন যেকোনো ক্ষেত্রে লাইকি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার মানসিকতা পোষণ করে।’