প্রবৃদ্ধি
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সকল শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানিতে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন:রপ্তানিতে সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও অক্টোবরে তৈরি পোশাকে আয় বেড়েছে
২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস চীন। দেশটি ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ ভাগ। একই সময়ে, ইইউ ভারত থেকে তিন দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউ এর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ ভাগ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ ভাগ এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ ভাগ।
আরও পড়ুন: ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ: শ্রিংলা
ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ক সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা মঙ্গলবার বলেছেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি গত এক দশকে দুই দেশের অর্জন এবং দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ওপর আলোচনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই বিশেষ এবং চিরন্তন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর যে অতন্ত ইতিবাচক ফল আনবে তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ওপর বিশেষ বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে সাবেক দুই পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইসিডব্লিউএর ডিজি বিজয় ঠাকুর সিং স্বগত বক্তব্য দেন।
শ্রিংলা সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন যা উভয় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, এটি দুই দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই ঘনিষ্ঠ ও অনন্য সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি উভয় দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক নীতির সাথে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় মোদি
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যৌথ অঙ্গীকার। যার মাধ্যমে আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারি’।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নয়াদিল্লিতে সাক্ষাতের সময় এটি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ বলেও মোদি জানান।
এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা), আপনার পরিবার এবং বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে শুভেচ্ছা হিসেবে ঈদ মোবারক জানাতে পেরে আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির মাকে ১০০ গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বঙ্গোপসাগরকে সংযোগ সেতুতে রূপান্তরের আহ্বান মোদির
বাজেট ২০২২-২৩: রেমিটেন্সের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি শিগগিরই ফিরবে, প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রীর
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিটেন্স পাঠানোয় প্রণোদনার হার আড়াই শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে রেমিটেন্সের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি শিগগিরই ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশে।
তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিটেন্স থেকে আয় কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী
বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে বলে জানান তিনি।
পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন ডলার রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে রেমিটেন্স পাঠানো ব্যক্তিদের উপার্জনের নথি জমা দেয়ার বাধ্যতামূলক বিধান প্রত্যাহার করেছে সরকার। এর ফলে সাম্প্রতিক মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ আবারও বাড়তে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা
দেশের অর্থনীতির কোনো খাতেই নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি নেই: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির কোনো খাতেই নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি নেই।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির হিসাব আপনিও খুব সহজে পাবেন। দেশে কোনো মুদ্রাস্ফীতি নেই এবং বিনিময় হারও স্থিতিশীল আছে। যখন বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স কঠিন সময় পার করেছে তখন আমাদের রেমিটেন্স ১৫ শতাংশ বেড়েছে।’
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুটি সভার ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ দুই সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গত ১০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে: অর্থমন্ত্রী
মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের রেভিনিউ জেনারেশন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানি ও আইটি খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) রেমিটেন্স ধরা হয় না। তবে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে এটা হিসাব করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো হলো অর্থনীতির ক্ষেত্রে...। যদি এখানে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি থাকত তাহলে তা দেশের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হতো।’
আরও পড়ুন: আগামী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৬৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে: অর্থমন্ত্রী
১৫ বছরে এভিয়েশন খাতে প্রবৃদ্ধি হবে তিনগুণ: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।
বৃহস্পতিবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যশোর-চট্টগ্রাম এবং যশোর-কক্সবাজার রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে যশোর বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এরপর প্রতিমন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৃথক আরেকটি অনুষ্ঠানে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর- চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: 'হাওর ভিত্তিক পর্যটন' উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত ১০ বছরে যাত্রী এবং কার্গো পরিবহন প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল প্রবৃদ্ধির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে এর উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন খাত ধারাবাহিক ভাবে বিকশিত হয়ে উন্নীত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাড়ছে দেশের আকাশ পথে সংযোগের পরিধি। সারাদেশে বিমান পরিবহণ অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপদ ও সুষ্ঠু বিমান চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। দেশের সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলমান রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ। এই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ক্রমে যশোর বিমানবন্দরকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে। দেশের কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে কার্গো উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এর ফলে যশোরের ফুল ও কৃষি পণ্য রপ্তানি হবে বিভিন্ন দেশে।
আরও পড়ুন: পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের আন্তরিকতায় দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সবচেয়ে ভাল পরিবেশ বিরাজ করায় বেসরকারি উদ্যোগতারা বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন, স্বস্তি বোধ করছেন। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি আমাদের দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সও ব্যবসায় ভাল করছে। তাদের সেবার মাধ্যমে অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা। দিনে দিনে তারা আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে তাদের গন্তব্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। বাড়ছে তাদের ব্যবসার পরিধি।ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স বিভিন্ন জেলার মধ্যে আকাশ পথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য নতুন নতুন রুট চালু করার কার্যক্রম গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাহবুব আলী বলেন, আকাশ পথে এই যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে মানুষের সহজ ও আরাদায়ক ভ্রমণের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি তা আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারেও ভূমিকা রাখবে, এই অঞ্চলের এবং সংশ্লিষ্ট গন্তব্যের পর্যটন শিল্পকেও উজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির এই উদ্ভাবনী ধারণার জন্য আমি ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি তাদের এই উদ্যোগের সার্বিক সাফল্য কামনা করি। আমি আশা করি ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসায় সফলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে যশোরের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, আনোয়ারুল আজিম আনার, মো. নাসির উদ্দিন, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শাফকাত আলী, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ।
দুর্নীতিবাজ আত্মীয়কেও প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিচ্ছেন না: প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দুর্নীতিবাজ আত্মীয়-স্বজনকেও প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিচ্ছেন না। দুর্নীতি না থাকলে দেশের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়তো। দুর্নীতি একটি বড় সামাজিক সমস্যা। সরকার দুর্নীতিকে উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘এলডিসির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:সাকিবের অনন্য রেকর্ড, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পথে দুর্নীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ২০২৬ পরবর্তী সময়ে শুল্কমুক্ত রপ্তানি অব্যাহত রাখতে সরকার সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আটটি দেশের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে যে বাড়তি টাকা দিতে হবে সেই সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এবছর ১৯ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে জিডিপি ৩ শতাংশ বাড়বে। এলডিসি উত্তরণের জন্য নির্ধারিত ৩টি মানদণ্ড পর পর দু‘বার বাংলাদেশ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে যা বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ৪২ শতাংশ হয়েছে মর্মে কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। তাদের সমীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি অনেক বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের প্রক্ষেপণগুলো বাস্তবসম্মত নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম কর্তৃক অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা না করে শুধু কোভিড রেসপন্স প্ল্যান করার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তা সংবিধান বিরোধী।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পথ প্রদর্শক ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া চ্যাম্পিয়ান হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস.এম. মোর্শেদ, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয়, সাংবাদিক উম্মান নাহার আজমী এবং সাংবাদিক আবদুর রহিম হারমাছি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
দারিদ্র্য হার কমাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চায় সরকার
দেশের দারিদ্র্য হার কমাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যেই আগামী বাজেট বাস্তবায়নের চিন্তা করছে সরকার।
আগামী বাজেটের এক নথি পর্যালোচনায় জানা যায়, দেশের দারিদ্র্যতা ও অসমতা দূর করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্যই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাজেট: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না দেয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্তদের আরও বেশি করে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। এর পাশাপাশি, দেশে ও বিদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্রঋণ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বাজেট সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যায়, এসব খাতে সরকার আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে। সরকারের এখন অন্যতম চেষ্টাই হচ্ছে আরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ও সার্বিক উন্নয়ন সাধন করা।
আরও পড়ুন: বাজেটে দরিদ্র ও বেকাররা ব্যাপকভাবে অবহেলিত: বিএনপি
দেশের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি, রপ্তানি বৃদ্ধি, ব্যবসা বান্ধব কর ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক খাতকে পুনর্গঠন এবং জনগণের কাছ থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
এবারের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্তরায়গুলো দূর করা।
আরও পড়ুন: বাজেটে জীবন, জীবিকার সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই: সিপিডি
এর পাশাপাশি সরকার দেশের বড়-বড় প্রকল্প সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সঠিক সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির টেকসই উর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে চায়।
এসকল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো - পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি পাওয়া প্ল্যান্ট এবং ঢাকা মেট্রোরেল।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মাঝেই জীবন এবং জীবিকা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিতে ওঠার লক্ষ্যে সরকার আসন্ন অর্থবছরে গতানুগতিক বাজেটের থেকে একটু ভিন্ন ধারার বাজেট আনতে চলেছে।
কোভিডের বছরেও দেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বসেরাদের অন্যতম: তথ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারির ২০২০ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তা বিশ্বে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর অন্যতম বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
দেশে ব্যবসার সক্ষমতা উন্নয়নে এডিবির অনুদান
দেশের ব্যবসায় প্রতিযোগিতায় উন্নতি ও আন্তআঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের জ্ঞানভিত্তিক কাজে পাঁচ লাখ ডলার অনুদানের অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।