ভ্যানচালক
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এঘটনায় ভ্যানের আরও দুই যাত্রী আহত হয়েছেন।শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নাজমুল হোসেন (৩০) উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামের মো.সাকিম শেখের ছেলে।
আহতেরা হলেন- একই এলাকার মো. দবির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন এবং মো. মজনুর ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২০)। তারা পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ভ্যানটিকে পিছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যান চালক মারা যান। আহত দুইজন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং নিহতের লাশ হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত রায় বলেন, 'নিহতের লাশ ও আহত ব্যক্তিরা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে আছেন। চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে লাশটি ময়নাতদন্ত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়কে ঝরল শিশুর প্রাণ
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
দিনাজপুরে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুর সদরে এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কমলপুরের বকুলতলা এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত তসলিম উদ্দিন (৩৮) ওই এলাকার চাঁন্দাহার গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা জানান, স্থানীয় ধর্মীয় জলসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ভ্যানচালক তসলিম উদ্দিন। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়েনি। এসময় লাশের পকেটে চোলাই মদ ভর্তি একটি বোতল পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকেও মৃত্যর বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজ ডায়েরি করতে এসে থানায় মিলল স্ত্রীর লাশ
তামাবিলে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
শার্শায় ভ্যানচালককে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
যশোরের শার্শায় মনির হোসেন (৩২) নামে এক ভ্যানচালককের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বেড়ী নারায়ণপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের আমবাগান থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মনির হোসেন বেড়ে নারায়ণপুর গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মনির হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় পিটিয়ে হত্যা করে মনির হোসেনের লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শার্শা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম আকিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে একটি আম বাগান থেকে নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চবি ক্যাম্পাসের বাসা থেকে প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৭ দিন পর ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের সাত দিন পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ভ্যানচালক ফকির চাঁনের (৩২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে অটোভ্যান ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভ্যানচালক ফকির চাঁন উপজেলার গাবগাছি গ্রামের হজরত প্রামানিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলো- উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের বলরাম চন্দ্র রাজবংশীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশী (৩৫) এবং কামারখন্দ উপজেলার ভারাঙ্গা গ্রামের মৃত বেলার হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম।
সামিউল আলম জানান, ১৭ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে অটোভ্যান নিয়ে ফকির চাঁন কাজের জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
তবে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজমিলুর রহমান ফেসবুকে নিখোঁজ সংবাদের সূত্র ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় একটি মিসিং ডায়রি করেন।
এরপর পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে এবং নিখোঁজের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশীকে আটক করে।
এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রীফলগাঁতী গ্রামে রেললাইনের পাশে নিপিয়ার ঘাসের মধ্য থেকে ভ্যানচালক ফকির চাঁনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সঞ্জীত চন্দ্র রাজবংশী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলকুচি কড়ইতলা মোড় থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ৪ দিকে উল্লাপাড়া থেকে মাছ আনার কথা বলে ফকির চাঁনের ভ্যানটি ভাড়া করে এবং উল্লাপাড়ার ঘাটিনা ব্রিজ এলাকায় নির্জন স্থানে ভ্যানটি থামাতে বলে।
এ সময় ভ্যানচালক ভ্যান থামিয়ে নামার পর তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নেপিয়ার ঘাসের মধ্যে ফেলে অটোভ্যান ও ভ্যানচালক ফকির চাঁনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে কামারখন্দ উপজেলার মো. রহিম নামের এক ব্যক্তির কাছে চোরাই ভ্যানটি বিক্রয় করে। পুলিশের অভিযানে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তারসহ অটোভ্যান ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রডটি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে যাত্রীবাহী বাস ও ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোতালেব হোসেন (৫২) জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, সোমবার দুপুরে কাজ শেষে ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান নিয়ে জীবননগর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মোতালেব হোসেন। এসময় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মসজিদের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের যুবক নিহত
হাজারীবাগে কুরিয়ার সার্ভিসের ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ১
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভ্যানচালকের মৃত্যু
মাগুরার শ্রীপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তখলপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ভ্যানচালক চঞ্চল মোল্লার বাড়ি ওই গ্রামে।
আরও পড়ুন: চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর চঞ্চল তার ভ্যান গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দারিয়াপুর নিয়ে যায়। সেখানে বুধবার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রীটন সরকার জানান, এ ব্যপারে শ্রীপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
রাজশাহীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
মিস্ত্রিকে উদ্ধারে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ ভ্যানচালকের মৃত্যু
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এক মিস্ত্রিকে উদ্ধারে সদ্যনির্মিত সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের নওখৈড় গ্রামে বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওখৈর গ্রামের বাকুপাড়ার তাহেরের ছেলে আব্দুল মাবুদ (৩৫) এবং একই গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮)।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৩ ভাই নিহত
স্হানীয়রা জানান, নওখৈর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশী মহিরুদ্দিনের সদ্য নির্মিত সেমিপাকা বাড়ির সেফটি ট্যাংকের সাটার খুলতে ভেতরে নামেন হেড মিস্ত্রি আলতাফ হোসেন।
এ সময় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে চিৎকার করতে শুরু করলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবেশী দুই ভ্যানচালক তাকে উদ্ধার করতে যান।
তারা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামলে দুই ভ্যানচালক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে উদ্ধার করে সৈয়দপুরের ৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংকে দমবন্ধ হয়ে ২ শ্রমিকের করুণ মৃত্যু!
তিনজনকে পরীক্ষার পর আব্দুল মাবুদ এবং সাইদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক ব্যবস্থা নির্মাণ মিস্ত্রি আলতাফ হোসেনকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে। তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে দুই ভ্যান চালকের মৃত্যুর খবরে তাদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা করেনি কোন পক্ষ। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মেডিকেলে চান্স পাওয়া মেয়ের ভর্তির খরচের চিন্তায় ভ্যানচালক বাবা
নিজস্ব জমি জমা না থাকায় একমাত্র সম্বল রিক্শাভ্যান চালিয়ে তিন সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে এগিয়ে চলেছেন আফতাবর রহমান। কিন্তু তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তাই যা আয় করেন তা দিয়ে সাধের সঙ্গে সাধ্যের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না।
তাঁর একমাত্র ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়াশোনা করছে। এবার আল্পনা আক্তার নামে তার এক মেয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
আফতাবর রহমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ধারিয়া বেলসাড়া গ্রামে। ভিটেমাটি আর একটি ভ্যান ছাড়া তার আর কোনো সহায় সম্পদ নেই।
একমাত্র ছেলে মুন্না আলী বাংলা বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন কয়েক বছর যাবত। সে এখন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এদিকে মেয়ে আলপনা আক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া আফতাবর রহমান তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে পাত্রস্থ করেছেন,আর সবার ছোট মেয়েটি পড়ছে উচ্চ মাধ্যমিকে।
এতদিন একমাত্র ছেলের পড়ালেখার খরচ জুগিয়ে আসছেন রিকশা ভ্যান চালিয়ে। এবার মেয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শুনে খরচের চিন্তায় পড়েছেন তিনি। কারণ সংসারের খরচ যোগাতে প্রতিদিন রিক্সা ভ্যান চালানো ছাড়া আর কোন পথ নেই তার।
কথার ফাকে আফতাবর রহমান জানান, ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে আর মেয়ে দুটোকে পড়াচ্ছি। ছেলে মুন্না আলীর ঢাবিতে ভর্তির সময় ২৫ শতক আবাদী জমির মধ্যে ৫ শতক জমি বিক্রি করে ভর্তির খরচ বহন করি। পরবর্তীতে তার পড়ালেখা খরচ যোগাতে গিয়ে অবশিষ্ট ২০ শতক জমিও বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে ৩-৪ হাজার টাকা ঢাকায় ছেলেকে পাঠানো, অন্য দুই মেয়ের পড়ালেখা খরচ এবং সাংসারিক ব্যয় বহনের একমাত্র মাধ্যম আমার ভ্যান গাড়িটি। একদিন ভ্যান নিয়ে বের না হলে সংসারে চুলায় তার হাড়ি উঠে না।
আরও পড়ুন: মেডিকেলে চান্স পাওয়া জেলে পল্লীর মেয়ে মারুফার পাশে র্যাব-৬
তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই সন্তান পড়াশোনার সময় শিক্ষাবৃত্তি পায় ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে।
এ শিক্ষাবৃত্তির টাকা তার পরিবারের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করেছে। মেয়েকে ভর্তি করানোর টাকা যোগাড় করতে ইতোমধ্যে তিনি তার নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন। একদিকে ভর্তির টাকা অন্যদিকে মাসে মাসে খরচের টাকা কোথা থেকে আসবে সেই চিন্তায় অস্থির তিনি। ভ্যান চালিয়ে আগের মত আর আয় হয়না। থ্রি-হুইলার ও অটোচার্জারের ভিড়ে ভ্যান গাড়ির ভাড়া পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে।
সদ্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আলপনা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তিনি বলেন, বাবা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। চিকিৎসক হয়ে বাবা-মাসহ অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। বাবার স্বপ্ন পুরণে সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভ্যানচালক বাবার মেয়ে আলপনা মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, এটা অবশ্যই গর্বের। মেয়েটির ভর্তির জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা মীম ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন!
শেষ হলো মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত
রাজধানীতে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. মামুন (৩৫) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে। পেশায় ভ্যানচালক মামুন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহতের চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামুন আবুল হোটেলের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। একটি দ্রুতগামী ইট বোঝাই ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে সে রাস্তায় পড়ে যায় বলে জানান তিনি।
আহত মামুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে শনিবার ভোর ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় জজ কোর্টের পেশকার নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ংওয়ান কর্মকর্তার মৃত্যু
খুলনায় ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালকের মৃত্যু
খুলনার কয়রায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইমরান হোসেন (১৯) উপজেলার পায়রাতোলার আইট গ্রামের আব্দুল জব্বার গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বজনকে ছুরিকাঘাত
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কয়রা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খেজুর বাগ মসজিদের পাশে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ভ্যানচালক ইমরানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।