ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চল পাপুয়া প্রদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই এই ভূকম্পনটি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা।
সংস্থাটি জানায়, আজ জাকার্তার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১১ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ইয়ালিমো রিজেন্সি থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের ৭৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
আরও পড়ুন: ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা
ভূমিকম্পের কম্পনে বড় ধরনের ঢেউ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা না থাকায় কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রাদেশিক আবহাওয়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্যারোলিন সিনহুয়াকে বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর কর্মকর্তারা পাননি।
ইন্দোনেশিয়া, একটি দ্বীপপুঞ্জ, ভূমিকম্পের সক্রিয় ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ এর উপর অবস্থিত, এটি ভূমিকম্পের জন্য সংবেদনশীল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বেশকিছু বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একটি জেলে পাড়ার ওপর ভুমিকম্পের প্রভাব পড়ে।
উত্তর জিওলা প্রদেশের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা জো ইউ-জিন বলেন, (ভূমিকম্পের পর) স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় ৮০টি কল পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ২০০টিরও বেশি কল করেছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় চুংচিওং প্রদেশে ৩৮টি এবং রাজধানী সিউলে ৭টি কল রেকর্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্দেহজনক মৃত্যু সত্ত্বেও ফ্লু’র টিকা দেয়া চালিয়ে যাবে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনের আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক থাকতে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পরিবহন নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
তবে এ ভূমিকম্পে কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রভাবিত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা কমিশন। ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেও কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয় বুয়ানে। সেটির গভীরতা ছিল অন্তত ৮ কিলোমিটার।
দেশটির ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পে বুয়ান ও এর পাশের শহর ইকসানে ক্ষয়ক্ষতির ৮টি ছোটবড় ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে বাড়ি ও একটি গুদামের দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়।
৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার (২ জুন) দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিএমডি সিসমিক সেন্টার থেকে ৪৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ঢাকা, রাঙামাটি, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি জেলা কেঁপে ওঠে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ ও ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
শনিবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (রাজউক অংশ) উদ্যোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কার্যক্রমের পরিধি বাড়ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের: গণপূর্তমন্ত্রী
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার হতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ।
সেমিনারে বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ভূমিকম্প দুর্যোগ ঝুঁকির বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
রবিবার (২ জুন) বিকাল ৫টায় সেমিনারটি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের জনবিরল অংশে মঙ্গলবার ভোরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। হিমশীতল আবহাওয়ার আবহাওয়ার মধ্যে এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন এবং ১২০টিরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধসে পড়েছে।
চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টার কিছু পরে আকসু প্রিফেকচারের উচতুরপান কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রায় ২০০ উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ওয়েইবোতে উল্লেখ করেছে, আহত ৬ জনের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর ও ৪ জনের সামান্য। এছাড়া ৪৭টি বাড়ি ধসে পড়েছে, ৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু কৃষি কাঠামো ধসে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭ মাত্রার এবং ভূমিকম্প সক্রিয় তিয়ান শান পর্বতমালায় আঘাত হানে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গত শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ১ মাত্রার এবং ১৯৭৮ সালে মঙ্গলবার ভোরের দিকে আঘাত হানা স্থান থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) উত্তরে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ইশিকাওয়া ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলোর একটির রিখটার স্কেলের পাঠ ছিল ৭ দশমিক ৬।
সংস্থাটি ইশিকাওয়া অঞ্চলের জন্য বড় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তবে হোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশের জন্য নিম্ন স্তরের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তা পাঠান তিনি।
এতে শেখ হাসিনা বলেন, 'চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধুপ্রতীম চীনা জনগণের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট শির নিবিড় তত্বাবধানে চীন সফলভাবে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং শিগগিরই গানসু প্রদেশের জনগণের জীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা’
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অচিরেই বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ করা জরুরি। গত ২০-২৫ বছরে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরিতে প্রচুর অর্থ খরচ করা হলেও প্রস্তুতিতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে গলদ আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই এক্ষেত্রে বড় বাধা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি রোধে করণীয় নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
মেহেদী আহমেদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে সবাই আমলা। সেখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ার বা জিওলোজিস্ট নেই। আমলারা দক্ষ জনবলের কথা আমলে নিই না। রাজউকে এখনও অনিয়ম রয়ে গেছে। এখানে দুর্নীর্তি হচ্ছে, টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বিগত সময়ে যে দুনীর্তি হয়েছে আজ তা সংশোধন করা কঠিন। ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেমের (ইসিপিএস) মাধ্যমে রাজউকের নকশার অনুমোদন শুরু করা ইতিবাচক। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ঢাকা শহরে ২১ লাখ ভবনের মধ্যে অকুপেন্সি সনদ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭০-৮০টিকে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেও ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নগরের ৬৫ শতাংশ ভবনই দুর্বল মাটির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। যা ভবন নিরাপত্তা ঝুঁকির অন্যতম কারণ। ভবন নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না তা নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। নির্মাণ শেষে বিল্ডিংয়ের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট পেতেও বেশ কষ্ট হয়। এমনকি নকশা অনুমোদন ও বিল্ডিং কোড মানার ক্ষেত্রে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। ভবন নির্মাণের অনিয়মের সঙ্গে ভবন মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত।
চৌধুরী কিরণ আরও বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, দেশের সব জায়গায় ভবন নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যতক্ষণ পর্যন্ত ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, তবে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। ভবন মালিকের ক্যাপাসিটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ দফা সুপারিশ করেন। যথা-
১) বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা
২) ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহশীলতা নির্দেশিকা মানতে বাধ্য করা
৩) ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা চিহ্নিত করে এগুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করা
৪) ভবন নির্মাণে সব উপকরণ পরীক্ষার জন্য রিসার্চ, ট্রেনিং ও টেস্টিং ল্যাবরটরি স্থাপন নিশ্চিত করা
৫) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো
৬) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জানানো
৭) প্রতি তিন মাস পরপর ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সমন্বয় ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং মহড়া নিশ্চিত করা
৮) ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় রোধে ভবনের অনুমোদিত নকশা অনলাইনে দেওয়া
৯) বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা
১০) রাজধানীর প্রতি ওয়ার্ডে আরবান রেসকিউ টিম তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষিত করা।
‘ভবন মালিকদের দায়িত্বশীলতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে’- শীর্ষক ছায়া সংসদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার অনির্বাণ ও স্থপতি সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় গাজীপুরের বশেমুরকৃবি
ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম।
এদিন সকালে ভূমিকম্পের সময় তিনি তার ঘরের জানালা থেকে লাফ দেন। যার ফলে তার পায়ের আঙুলে আঘাত লাগে।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ছাত্র পায়ের আঙুলে চোট পেয়ে ঢামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া, সূর্যসেন হল ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের রিডিং রুমের দরজার কাঁচও ভূমিকম্পে কেঁপে কেঁপে ওঠে। এসব ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে কক্ষ থেকে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হলের দেয়ালে ফাটল
ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হলের দেয়ালে ফাটল
ভূমিকম্পের ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিনটি আবাসিক হলের বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল কুমিল্লার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে বলে জানা গেছে।
তীব্র কম্পনে হলগুলো কাঁপতে শুরু করলে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে আসে। পরে হলের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের বিভিন্ন কক্ষ ও সংযোগস্থলে চিড় দেখা দিয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এসএম শহিদুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, যেসব ফাটল দেখা দিয়েছে সেসব একভবনের সঙ্গে আরেক ভবনের সংযোগস্থলে। কিন্তু কোনো বিম বা রড ঢালাই যেখানে দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনো ফাটল তৈরি হয়নি। তাই এখানে ভয়ের কিছুই নেই। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
দেশে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প
ঢাকায় ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত