ভিসা
গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে যৌথভাবে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ ও ভিসা।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারাজ ব্যবহারকারীরা নিরাপদ পেমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি ক্রেডিট এবং প্রিপেইড কার্ডে উপভোগ করতে পারবেন আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও অফার।
ডিজিটাইজেশনের এই যুগে মানুষ দিন দিন ই-কমার্সের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই বিভিন্ন সুবিধা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘ভিসার সঙ্গে এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডটি নিয়ে কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করে অনলাইন কেনাকাটার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলা। আশা করছি, এটির মাধ্যমে গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুন্দর হবে।’
ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু বলেন, ‘দারাজ ও ভিসার গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও উন্নত করতে একসঙ্গে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডটি প্রস্তাব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই কার্ডটি ফিজিকাল ও ডিজিটাল উভয় ফর্মেই পাওয়া যাবে, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। এছাড়াও, মার্চেন্টরা এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন, যা তাদের ব্যবসা প্রসারে সাহায্য করবে।’
দারাজ, ভিসা এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে অতি শিগগিরই এই কার্ডটি চালু হতে যাচ্ছে, যা শুধু গ্রাহকদের নিরাপদ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত লেনদেন সুবিধাই নিশ্চিত করবে না, পাশাপাশি তাদের বিশেষ ছাড়, ক্যাশব্যাক অফার এবং বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ অনুষ্ঠানের অংশ হতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই: দ. কোরিয়া দূতাবাস
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস বাংলাদেশের সকল ভিসা আবেদনকারীদের উদ্দেশে ফের বলেছে যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় (ভিসা ফি ছাড়া) কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই।
দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা সকল আবেদনকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বৃহস্পতিবার দূতাবাস এক বার্তায় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বা কোনও কোরিয়ান ব্যক্তি কখনই ভিসা সংক্রান্ত কোনও উদ্দেশ্যে অর্থ চাইবে না।
দূতাবাস জানায়, ‘কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের সঙ্গে অধিভুক্ত হওয়ার দাবি করে এবং ভিসা পরিষেবা বা সহায়তার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের অনুরোধ করে এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিষয়ে দয়া করে সতর্ক থাকুন।’
দূতাবাস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা বার্তায় জানায়, এগুলো প্রকৃত আবেদনকারীদের থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য করা কোনো প্রতারণামূলক স্কিম হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি কোন সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা ব্যক্তিদের সম্মুখীন হন, অনুগ্রহ করে অবিলম্বে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে রিপোর্ট করুন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
রোমানিয়ার ভিসা পাচ্ছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি
চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে রোমানিয়া।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছর রোমানিয়ার কনস্যুলারদের একটি দল তিন মাস ঢাকায় অবস্থান করে প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ ভিসা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া নাবিকদের রোমানিয়ায় নেয়ার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমওএফএ) মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, মিশনটি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়ে তাকে আরেকটি কনস্যুলার মিশন পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছেন।।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর রোমানিয়া বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের সুবিধার্থে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
সেহেলী বলেন, ঢাকায় রোমানিয়ার কনস্যুলার মিশন পরিচালনার সব ব্যবস্থা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করছে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আলোচনা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য অভিন্ন। উভয় দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিগুণ কর এড়ানোর চুক্তি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে।
প্রতিমন্ত্রী ৩ ফেব্রুয়ারি প্রিটোরিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যান্ডিথ মাশেগো ডলামিনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার বিজনেস ইউনিটি সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সংগঠনটি বাংলাদেশি চেম্বারগুলোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পারস্পরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী সম্ভাবনার মূল্যায়ন ও ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন চেম্বারের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা বিজনেস কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলামিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেভাবে আবেদন করবেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ভূমধ্যসাগর ঘেরা এক দ্বীপদেশ মাল্টা। সিসিলি ও উত্তর আফ্রিকার উপকূলের মধ্যবর্তী এই দক্ষিণ ইউরোপীয় অঞ্চলটি বুকে ধারণ করে আছে রোমান, মুরস, ফরাসি ও ব্রিটিশ শাসকদের কিংবদন্তি। জীবনধারণের উপযুক্ত জায়গা হিসেবেও প্রসিদ্ধ দেশ এটি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশটি তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রচুর জনবল নিচ্ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরিণতি স্বরূপ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মত এখানেও বিভিন্ন সেক্টরে দেখা দিয়েছে কর্মী সংকট। ফলে বাংলাদেশের জন্য খুলে গেছে এক অপার সম্ভাবনা দ্বার।
বাংলাদেশিদের জন্য আরও সুখবর হচ্ছে- এই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাজধানীতে অস্থায়ী ভাবে চালু হয়েছে মাল্টা কনসুলেট। এর অর্থ- মাল্টার ভিসার জন্য আগের মতো আর ভারতমুখী হতে হবে না। চলুন, কীভাবে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা জেনে নেয়া যাক।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম: কীভাবে পাবেন মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা বা ইনভেস্টর ভিসা?
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সমাচার
দ্বীপদেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য চাকরি ভিসার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। বাংলাদেশে মাল্টার কোনো হাইকমিশন না থাকায় বাংলাদেশিদেরকে ভারতের ভিএফএস(ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিস) গ্লোবালের শরণাপন্ন হতে হতো ভিসা পাওয়ার জন্য। সেখানে আবেদনসহ ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হতো। এটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা নিজেরাই আবেদন করেন। আর যারা বিভিন্ন এজেন্সির সহায়তা নেন তাদের গুণতে হতো প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকা।
এই ভিসার আবেদনটি আবেদনকারির নিয়োগকর্তা বা প্রত্যাশিত নিয়োগকর্তা দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। ন্যূনতম ১৮ বছর ও সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের মধ্যে এই জব ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এই ওয়ার্ক পারমিট একবার ইস্যু হলে, ভিসাধারী শুধুমাত্র একজন নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনেই কাজ করতে পারেন। একই লাইসেন্স ব্যবহার করে তিনি অন্য কোনো নিয়োগকর্তার সঙ্গে বা একাধিক কাজ করতে পারেন না।
এই কর্মসংস্থান লাইসেন্সগুলো বছর বছর নবায়ন করতে হয়। এই ভিসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। আর মাল্টায় কাজের জন্য তাদের স্থানীয় মাল্টীয় ভাষা জানতে হয় না; ইংরেজি দিয়েই কাজ চালানো যায়। ঢাকায় ভিসা কনসুলেট চালু হওয়ায় মাল্টাগামী জনসাধারণের আর দালালদের খপ্পরে পড়ে লাখ লাখ টাকা খোয়াতে হবে না।
আরো পড়ুন: দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ আবেদনকারী স্বাক্ষরসহ যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র
→ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে সদ্য তোলা ৬ কপি রঙিন ছবি (৩৫ মিলিমিটার/৪৫ মিলিমিটার)।
→ মাল্টায় থাকার পর থেকে শুরু করে ন্যূনতম তিন মাস অতিরিক্ত সময়ের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টের কমপক্ষে তিনটি ফাঁকা পৃষ্ঠা প্রয়োজন। মুলত পুরো পাসপোর্টই আসল ও অনুলিপিসহ দিতে হবে। পুরানো পাসপোর্ট থাকলে সেটিও সরবরাহ করতে হবে।
→ বিদেশী ভ্রমণের জন্য চিকিৎসা বীমা। বীমা যেন আবেদনকারীর ন্যূনতম ৩০ হাজার ইউরো বা তার সমতুল্য সমস্ত ঝুঁকির (দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, জরুরী চিকিৎসা, স্থানান্তর ইত্যাদি) কভার করতে পারে। এখানে বীমার বৈধতার সময়কাল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং তা যেন মাল্টায় ভ্রমণের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৯১ দিন কভার করতে পারে।
→ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র/কভারিং লেটার, যেখানে আবেদনকারীর পেশাগত অবস্থা এবং মালটায় কি কাজ করা হবে তার কাজের বিবরণ থাকবে। আমন্ত্রণপত্রটিতে অবশ্যই অনুমোদিত ব্যক্তির স্বাক্ষর, নাম এবং পদবি উল্লেখ থাকতে হবে। স্বাক্ষরিত কর্মসংস্থান চুক্তিটির ম্যাল্টিজ নোটারি পাবলিক দ্বারা প্রত্যয়িত কপি লাগবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি ডিকলারেশন লেটার সংযুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
→ আইডেন্টিটি পত্র। এটি আবেদনকারি যে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য অনুরোধ করেছেন তার স্বীকারক্তি। এখানে আবেদনকারির দক্ষতা/যোগ্যতা; মুক্ত পেশাজীবীদের জন্য বোর্ড সদস্যতার প্রমাণ; অথবা ডাক্তারদের ক্ষেত্রে মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের চিঠি ফটোকপিসহ আসল কপি জমা দিতে হবে।
→ বাসস্থানের প্রমাণ। হোটেল বুকিং/স্বাক্ষরিত ইজারা চুক্তি/প্রমাণের ঘোষণাপত্র যে কোন একটির স্বাক্ষরিত কপি এবং হোস্ট/মালিকের আইডি কার্ডের ফটোকপি। সঙ্গে ম্যাল্টিজ পাবলিক নোটারি দ্বারা প্রত্যয়িত কপি লাগবে।
→ ইউরো পাস ফরমেটে আবেদনকারির স্বাক্ষরিত সিভি, যেখানে রেফারেন্সসহ কমপক্ষে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
→ পিসিসি(পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ)। এটি আবেদনকারি দেশের কোনো অপরাধ না করে বৈধভাবে মাল্টা যাচ্ছেন তার প্রমাণপত্র।
আরো পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
মাল্টার জব ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদনের উপায়
সমস্ত নথি ক্রমানুসারে প্রস্তুত হয়ে গেলে ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। এই ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে ভালোভাবে পুরণ করে সহায়ক কাগজপত্রগুলো একসঙ্গে করে একটি ফাইল প্রস্তুত করতে হবে। এই ফাইলটি ভিসা কনসুলেটে জমা দিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে।
ভিএফএস গ্লোবালে আবেদনকারিদের আবেদনের পর ইমেল ও ফোনের মাধ্যমে একটি ট্র্যাকিং কোড পাঠানো হয়। এই ট্র্যাকিং কোড দিয়ে ভিসার সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানা যায়। এর জন্য আবেদনকারির শেষ নামসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্র দ্বারা সরবরাহকৃত চালান/রশিদে উপস্থিত রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি
একটি একক পারমিটের আবেদনের জন্য খরচ ২৮০ দশমিক ৫০ ইউরো বা প্রায় ২৮ হাজার ২০৬ বাংলাদেশি টাকা, যেটি আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে দিতে হয়। যে কোনো ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে এই টাকা জমা দেয়া যাবে। এছাড়া ব্যাংকে গিয়েও টাকা জমা দেয়া যাবে। ব্যাংক থেকে একটি জমা রশিদ সরবরাহ করা হবে। সেটি আবেদনপত্রের সঙ্গে দেয়ার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনপত্র কোথায় জমা দিবেন
প্রয়োজনীয় সংযুক্তিগুলো সব একসঙ্গে করে আবেদন ফর্মের সঙ্গে এক ফাইলে জমা করতে হবে। তারপর চলে যেতে হবে ঢাকার মাল্টা কনসুলেট অফিসে। তারা আবেদনপ্রাপ্তি স্বীকার করে একটি টোকেন দিবে, যেখানে ভিসা প্রদানের তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই টোকেন দেখিয়ে নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট-ভিসা সংগ্রহ করা যাবে।
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রক্রিয়াকরণের সময় তিন থেকে সাড়ে তিন মাস। এটি অনেক সময় চার মাস পর্যন্ত হতে পারে। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পাসপোর্টে একটি স্টিকার ভিসা যুক্ত করে দেয়া হয়। এটিই মালটার ভিসা; মূলত মাল্টার কোনো ই-ভিসা ইস্যু হয় না। ভিসা সংগ্রহের জন্য আবেদনকারিকে নিজেকেই উপস্থিত হতে হবে।
কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার পক্ষ থেকে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাওয়ার অব এটর্নি দিতে হবে। অতঃপর সেই মনোনীত প্রতিনিধি তার হয়ে তার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। চূড়ান্তভাবে মালটার মাটিতে পা রাখতে রাখতে সর্বমোট ছয় থেকে সাত মাস সময় লেগে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: আসিয়ান দেশগুলোর জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণনীতি পুনরায় চালু ইন্দোনেশিয়ার
ভিসার মেয়াদ কত দিনের
মাল্টায় কাজের জন্য অনুমিত এই ভিসার মেয়াদ দুই বছর। সময়টি প্রয়োজনে বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে এই মেয়াদ বৃদ্ধিটা নির্ভর করবে নিয়োগকারির সাথে কর্মচারির চুক্তির উপর।
শেষাংশ
পূর্বে বাংলাদেশে ভিসা প্রসেসিং-এর ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে অনেকেরই মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আটকে ছিলো। এবার তারা এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। এর জন্য ভিএফএস সেন্টার থেকে ইমেইলকৃত ট্র্যাকিং নাম্বারটি ব্যবহার করে দিয়ে ভিসা স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট নিতে হবে। এরপর তার প্রিন্ট কপি নিয়ে তার সঙ্গে ভিসা আবেদনের সময় যে কাগজপত্র দেয়া হয়েছিলো তার এক সেট কপি সঙ্গে নিতে হবে। তারপর ঢাকা কনসুলেট অফিসে গেলেই দেয়া হবে মাল্টার জব ভিসা।
মালটায় সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজের সুযোগ রয়েছে, যেটা সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইমারত শ্রমিক হিসেবে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে মাল্টায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সবদিক থেকে মাল্টা সরকারের এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য একদিকে যেমন বেশ লোভনীয়, অন্যদিকে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের জন্যও এক দারুণ সম্ভাবনা।
আরো পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে ভিসার জন্য চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে পদদলিত হয়ে অজিত কুমার (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর খুলশী থানাধীন ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুই দিন ধরে এই কেন্দ্রের সামনে ভিসা প্রত্যাশী মানুষের প্রচন্ড ভিড় লেগে আছে। সোমবার বিকালে বৃষ্টির মধ্যে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয় ওই বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চেয়েছিলেন।
সিএমপি’র খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মৃত অজিত কুমারের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৯
সিভিল সার্জনের ভুল সিজারে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মলদোভায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে রাজি হয়েছেন।
শনিবার ইউএনবিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ব্যাচে ২৮ বাংলাদেশি শ্রমিককে মলদোভিয়ান ভিসা দেয়া হয়েছে।
তারা একটি অ্যালুমিনিয়াম উইন্ডো তৈরির কারখানায় কাজ করবে এবং আরও ৪০জন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মোমেন।
এক দশকেরও বেশি আগে মলদোভা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম: কীভাবে পাবেন মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা বা ইনভেস্টর ভিসা?
মালয়েশিয়া শুধু একটি সুন্দর দেশই নয়, উন্মুক্ত অর্থনীতির পটভূমিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক অপার সম্ভাবনারও জায়গা। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) ভিসা যুক্তিযুক্তভাবে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামটি চালু হয়েছিল ২০০২ সালে। এটি মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা বা মালয়েশিয়ান ইনভেস্টর ভিসা নামেও পরিচিত। এরপর থেকে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বিনিয়োগকারিদের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নামও। সমূহ সুযোগ-সুবিধার কারণে অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশিদের প্রিয় গন্তব্য মালয়েশিয়া। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের মতো দেশের প্রতিবেশী হওয়াতে দেশটি আন্তর্জাতিক ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে অধীষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এই এমএমটুএইচ প্রকল্প আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে দেশটিকে| এমএমটুএইচ ভিসার নানা দিক নিয়েই এবারের নিবন্ধ।
মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) ভিসা প্রকল্প
এমএমটুএইচ ভিসা মালয়েশিয়াকে বিদেশিদের কাছে বসবাসের অনুকূল স্থান হিসেবে প্রচারের জন্য একটি সরকারি উদ্যোগ। মালয়েশিয়ান পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবর্তিত এই স্কিমটি সারা বিশ্ব থেকে সফল আবেদনকারীদের জন্য একটি নবায়নযোগ্য মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা দিয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচারিত এই প্রোগ্রামে যোগ্য বিদেশিরা সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য মালয়েশিয়াতে থাকার অনুমতি পান। তবে এটি কিন্তু কোনো স্থায়ী বসবাসের অনুমতি নয়। তবে এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার যাওয়া-আসা করে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভিসা নবায়ন করা যাবে।
মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা, এমএমটুএইচ ভিসার সুযোগ-সুবিধা
এই ভিসা প্রাপ্ত বিদেশিরা তাদের ওপর নির্ভরশীল অর্থাৎ সন্তান ও বাবা-মাকে সঙ্গে আনতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তানের বয়স ২১ বছরের কম হতে হবে। এর ওপরে হলে তার জন্য আলাদা ভিসা পেতে হবে।
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের এমএমটুএইচ ভিসাধারীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। এটি অবশ্য সেইসব ভিসাধারীদের জন্য, যাদের নির্দিষ্ট কিছু অনুমোদিত সেক্টরে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। এমএমটুএইচ ধারকরা মালয়েশিয়ায় ব্যবসা স্থাপন ও বিনিয়োগ করার অনুমতি পাবেন। তারা অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো একই প্রবিধানের অধীন হবেন। কিন্তু ব্যবসার দৈনন্দিন পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত হতে গেলে তাদেরকে অবশ্যই তাদের ভিসাকে ওয়ার্ক পারমিটে পরিবর্তন করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
এই ভিসাধারীদের মালয়েশিয়া থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর কর দিতে হবে কিন্তু আয়ের উৎস যদি অন্য দেশ হয় সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকার তার ওপর কর আরোপ করবে না। এমনকি বিদেশি আয় বিশেষ করে পেনশনের বেলায় যদি বিদেশে কর ধার্য হয়ে থাকে, তখন মালয়েশিয়ার সরকার সেই আয় কর মুক্ত করে দেবে। এক্ষেত্রে সেই দেশটির সঙ্গে মালয়েশিয়ার দ্বৈত কর চুক্তি থাকতে হবে এবং ভিসাধারীকে নিজেকে মালয়েশিয়ার বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ করতে হবে।
প্রত্যেক সফল ভিসাপ্রাপ্তরা মালয়েশিয়ায় সম্পত্তি কিনতে পারবেন। সমস্ত বেচা-কেনার কার্যক্রম সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং অনুমোদিত নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভেতরে হতে হবে। যেমন 'মালয় রিজার্ভ'-এর জমিগুলো বিদেশিরা কিনতে পারবেন না।
মালয়েশিয়ান ইনভেস্টর ভিসা, এমএমটুএইচ ভিসা কাদের জন্য
৫০ বছর বয়সের নিচের আবেদনকারী
→ যাদের সম্পদের মূল্য ন্যূনতম পাঁচ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার) এবং তিন লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৭২ হাজার মার্কিন ডলার) ফিক্স্ড ডিপোজিট করা আছে । এক বছর ফান্ডটি গচ্ছিত রাখার পর বাড়ি কেনা, চিকিৎসা বীমা বা শিশুদের শিক্ষার খরচের জন্য এখান থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পর্যন্ত তোলা যাবে। দুই বছর পর এই ফিক্সড ডিপোজিটের অংশ প্রত্যাহার করতে তাদের গাড়ি কেনার অনুদান ব্যবহার করতে পারবেন।
→ যারা তাদের অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় বছর থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ে সর্বনিম্ন এক লাখ ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ব্যালেন্স বজায় রাখতে পারবেন
→ যাদের মাসিক আয় কমপক্ষে ৪০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৯ হাজার ৫১৩ মার্কিন ডলার) বা তার সমতূল্য হতে হবে
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী আবেদনকারী
→ যাদের সম্পদের মূল্য তিন লাখ ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৮৪ হাজার মার্কিন ডলার) এবং তারা এক লাখ ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৩৬ হাজার মার্কিন ডলার) ফিক্স্ড ডিপোজিট করা আছে। এক বছর পর তারা বাড়ি কেনা, চিকিৎসা বীমা বা শিশুদের শিক্ষার খরচের জন্য এখান থেকে ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পর্যন্ত তুলতে পারবেন। ৫০ বছরের নিচের বয়সের আবেদনকারীদের মত এরাও দুই বছর পর তাদের ফিক্সড ডিপোজিটের অংশ প্রত্যাহার করতে তাদের গাড়ি কেনার অনুদান ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
→ যারা মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন নিজেদের অ্যাকাউন্টে নূন্যতম এক লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ব্যালেন্স বজায় রাখতে পারবেন
→ যাদের মাসিক আয় ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা তার বেশি। আবেদনকারী অবসরপ্রাপ্ত হলে, তাকে অবশ্যই তার দেশের সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত পেনশনের পরিমাণ প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের সমতুল্য হতে হবে।
সকল আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য শর্তাবলী
সমস্ত আবেদনকারীদের তাদের ভিসা আবেদনের সমর্থনে একটি মালয়েশিয়ান স্পন্সর প্রয়োজন হবে। এছাড়াও, ভিসা ইস্যু করার আগে তাদের দুই হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৪৮০ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত একটি ব্যক্তিগত বন্ড রাখতে হবে। আবেদনকারী যদি একজন এজেন্টকে ব্যবহার করেন তাহলে এক্ষেত্রে এজেন্ট স্পন্সর হয়ে যাবে। আর এজেন্টকে আবেদনকারীর জন্য ব্যক্তিগত বন্ড রাখতে হবে।
আবেদনকারী এবং তাদের নির্ভরশীলদের অবশ্যই মালয়েশিয়ায় বৈধ যে কোনো বীমা কোম্পানি থেকে চিকিৎসা বীমা করা থাকতে হবে। এটি বার্ধক্য পীড়িত আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। সমস্ত আবেদনকারী এবং তাদের নির্ভরশীলদের মালয়েশিয়ার যে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা নিবন্ধিত ক্লিনিক থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনের চিঠি জারি হওয়ার পরে এই উভয় শর্ত পূরণ করা হয়।
এমএমটুএইচ ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রথমেই আবেদনপত্রের সঙ্গে একটি কভার লেটার প্রস্তুত করতে হবে।
→ জীবন বৃত্তান্তের অনুলিপি
আইএম ১২ নামে সোশ্যাল ভিজিট পাস ফর্মের তিনটি কপি। একটি আসল কপি এবং দুটি ফটোকপি কপি। আবেদনকারীকে অবশ্যই তিন কপিই পৃথকভাবে পূর্ণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
→ চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
→ পাসপোর্ট বা স্ট্যাম্পসহ ভ্রমণ নথির সম্পূর্ণ কপি
→ গুড কন্ডাক্ট লেটার: আবেদনকারীর দেশ থেকে তার জন্য একটি ভালো আচরণের চিঠি নিতে হবে যেটি পুলিশ প্রতিবেদন বা দূতাবাস থেকে নেয়া যেতে পারে।
→ চিকিৎসা অবস্থার স্ব-ঘোষণা: একটি সম্পূর্ণ স্ব-ঘোষণা ফর্ম, যেখানে অংশগ্রহণকারীর চিকিৎসার ইতিহাস ও শর্তগুলো উল্লেখ করা থাকবে।
→ বিবাহের সনদপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি (বিবাহিত হলে)
→ জন্ম সনদপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি (শিশুদের ক্ষেত্রে)
→ ব্যাংক স্টেটমেন্টের সার্টিফাইড কপি: আয়ের প্রমাণ নিশ্চিত করতে প্রাসঙ্গিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ এবং আর্থিক নথিপত্র। এখানে সাম্প্রতিক ৩ মাসের পে স্লিপ এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আরো কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন থাকতে পারে। তাই আবেদনের জন্য সমস্ত চূড়ান্ত চাহিদাগুলো সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা এমএমটুএইচ এজেন্সির থেকে চেক করিনে নেয়া উচিত।
এমএমটুএইচ ভিসার আবেদন পদ্ধতি
আবেদনের জন্য পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পেশাদার এজেন্সির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো- তারা স্পন্সরের কাজটা করে দিবে। সমস্ত এমএমটুএইচ আবেদনকারীদের অবশ্যই মালয়েশিয়ার জাতীয় স্পন্সর থাকতে হবে। দুই হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের ব্যক্তিগত বন্ডের অর্থটি অবশ্যই আসতে হবে এই স্পন্সর থেকে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য এজেন্সির চার্জে তারতম্য হয়। সাধারণত প্রায় আট থেকে ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (এক হাজার ৯০০ থেকে ২৪ হাজার মার্কিন ডলার) হয়ে থাকে। এছাড়া এজেন্সি ছাড়া সরাসরি অনলাইনেও আবেদন করা যেতে পারে।
আবেদন সফলভাবে করার পর অনুমোদিত হলে একটি শর্ত অনুমোদনের চিঠি বা ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক ভিসা অনুমোদনপত্র (ই-ভিএএল) দেয়া হবে। এটি আসতে চার বা পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এটি বিদেশিদের বৈধভাবে মালয়েশিয়া ভ্রমণের অনুমতি দেয়। মালয়েশিয়ার যাবার পর আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কোথাও কোনো ঘাটতি বা কোনটি অনুপস্থিত আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ছয় মাস সময় নেয়া হয়।
এমএমটুএইচ ইনভেস্টর ভিসা করতে কত টাকা লাগবে
ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ ডিউটি স্ট্যাম্প অফিসে একটি নিরাপত্তা বন্ড এবং একটি ব্যক্তিগত বন্ড দিতে হয়। নিরাপত্তা বন্ড মাত্র ১০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (২.৪০ মার্কিন ডলার) এবং আর ব্যক্তিগত বন্ড সেই দুই হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। এছাড়া ভিসা ইস্যু করার জন্য অল্প কিছু নামমাত্র অর্থ দিতে হয়। এমএমটুএইচ’র অধীনে সোশ্যাল পাসের জন্য প্রতি বছর ৯০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (২১ মার্কিন ডলার) দিতে হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
পরিশেষে
শেষ কথা হলো মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা বা মালয়েশিয়ান ইনভেস্টর ভিসা অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং নাগরিকের জন্য সৌভাগ্যের দাঁড় উন্মোচন করতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করলে যোগ্য ব্যক্তিরা মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম ভিসা প্রোগ্রামে সুযোগ পেতে পারেন। মালয়েশিয়ান সরকার তার সীমানার মধ্যে নতুন ব্যবসার সহজলভ্যতা এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার সুদূরপ্রসারি প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। স্বল্প আয়কর এবং সহজসাধ্য স্থানীয় ব্যবসায়িক আইনের মাধ্যমে এই এমএমটুএইচ ভিসা প্রোগ্রামটি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনাময় উদ্যোগ নেয়ার জায়গা প্রশস্ত করছে। এতে করে একদিকে যেমন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার প্রসার ঘটবে, অন্যদিকে অর্থনীতি শ্রীবৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জনশক্তি পরিণত হবে জনসম্পদে।
দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ দেশটিতে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য দশ বছর মেয়াদী অভিবাসী ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করছে।
টিএটি নিউজ জানায়, এছাড়াও এর আরেকটি সুবিধার দিক হলো দশ বছর মেয়াদী ভিসাধারীরা ভ্রমণকালে থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম শ্রেণির সেবা পাবেন এবং পুনপ্রবেশের অনুমতি দরকার হবে না।
দশ বছর মেয়াদী ভিসার জন্য কারা যোগ্য?
. বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তি যার সম্পদের পরিমাণ এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার, দুই বছরের মধ্যে ব্যক্তিগত আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বা এর চেয়ে বেশি এবং পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা এর বেশি বিনিয়োগ থাইল্যান্ডে আছে।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডে তিমির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাডুবে নিহত ২, নিখোঁজ ৩
. অবসরপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিক যিনি বছরে ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন।
. থাইল্যান্ডের কর্মজীবী মানুষ, যার পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বিগত দুই বছরে বার্ষিক আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এবং আইনগতভাবে নিবন্ধিত কোম্পানির বিগত তিন বছরের আয় কমপক্ষে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
. পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসহ নির্দিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা সম্পন্ন অভিজ্ঞ পেশাজীবী যার বার্ষিক ব্যক্তিগত আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
. এলটিআর ভিসাধারীর স্ত্রী ও ২০ বছরের কম বয়সী সন্তান-সন্তানাদির সর্বোচ্চ চারজন এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
থাইল্যান্ডের এলটিআর ভিসার কতিপয় সুবিধা-
. ১০ বছর মেয়াদী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ
. প্রতি নব্বই দিনের পরিবর্তে বছরে একবার ইমিগ্রেশনকে অভিবাসন তথ্য জানানো।
. থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম শ্রেণির সেবা
. একাধিক ভ্রমণে অনুমতি
. থাইল্যান্ডের কাজের সুযোগ(ডিজিটাল কাজের অনুমতি)
. সর্বোচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আয়ের কর কমিয়ে ১৭ শতাংশ নির্ধারণ।
. চার থাই নাগরিক সমান একজন বিদেশি কর্মচারীর অনুপাত থেকে অব্যাহতি।
থাই এলটিআর ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্য: https://ltr.boi.go.th/index.html
আরও পড়ুন:৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
শুধু প্রবেশাধিকার নয়; সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভিসা মানে কাজের সুব্যবস্থা এবং পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুবিধা। চাকরি, বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা, শিক্ষা এবং জীবনধারণের জন্য আদর্শ গন্তব্য হয়ে ওঠার সুদূরপ্রসারী প্রকল্প নিয়ে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।
বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের জনসাধারণ দেশটিতে প্রবেশ করে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে সফল হচ্ছে। সেই সুযোগ-সুবিধা এবার যেন আরও বিস্তৃত হলো বিশ্ব জুড়ে মেধাবী শ্রেণির জন্য। ২০২২ এর ৩ অক্টোবর থেকে ইউএইর গোল্ডেন ভিসার ক্যাটাগরি আরও বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি নতুনভাবে ইউএই গ্রিন ভিসা চালু হচ্ছে।
সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টিকারি ইউএই ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা
ইউএই গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প
এই ভিসার মাধ্যমে মেধা সম্পন্ন বিদেশিরা ১০ বছর পর্যন্ত ইউএইতে বসবাস, চাকরি ও অধ্যয়ন করতে পারেন। এই রেসিডেন্সি প্রকল্পটি পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং এ ভিসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে বাছাই করা হয়। এবার এর আওতাভুক্ত হবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ। নতুন বিভাগ সম্প্রসারণের জন্য বাড়বে আবেদনকারী মেধা শ্রেণি। নতুন সংযোজনের মধ্যে রয়েছে পেশাদার, বিশেষজ্ঞ এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভাধর শ্রেণি।
নতুন প্রকল্পে পর্যটক, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, চাকরিপ্রার্থী, বন্ধুবান্ধব এবং দেশে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ইউএইর বাসিন্দাদের আত্মীয়দের থাকার জন্য অতিরিক্ত প্রবেশের অনুমতি যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
ইউএই গোল্ডেন ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা
→ ছয় মাসের মধ্যে একাধিকবার ইউএইতে এন্ট্রির অনুমতি থাকে। এরপর রেসিডেন্সি পারমিট ইস্যু করা হয়
→ আবাসিক ভিসা ১০ বছরের জন্য বৈধ এবং পুনঃনবায়নযোগ্য
→ যেকোনো সময় ধরে ইউএইর বাইরে থাকা যায়; এমনকি এতে ভিসা বাতিলও হয় না
→ স্বামী/স্ত্রী ও যে কোনো বয়সের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করা যায়
→ যে কোনো সংখ্যক গৃহকর্মীকে স্পনসর করা যায়
→ গোল্ডেন ভিসাধারী মারা গেলে ভিসার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের লোকেরা ইউএইতে থাকতে পারেন|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
ইউএই গোল্ডেন ভিসা লাভের যোগ্যতা
বিশ্বের সেরা প্রতিভাদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ইউএই ছয়টি নতুন বিভাগ যুক্ত করেছে এই ভিসা প্রকল্পে।
১০ বছর মেয়াদী ভিসার এই নতুন বিভাগগুলো বর্তমানে ট্রায়াল করা হচ্ছে এবং আগামী ৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে। গোল্ডেন ভিসা সম্প্রসারিত প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী বিভাগগুলো হলো- পেশাদার, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, মানবিক ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিত্ব, ডাক্তার ও নার্স এবং ফ্রন্টলাইন হিরো।
পেশাদার কর্মকর্তা
শিক্ষা, আইন, বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন শাখায় পেশাদার চাকরিজীবীরা এই ক্যাটাগরিতে পড়বেন। এখানে শর্ত হলো-
→ ব্যক্তির অবশ্যই ইউএইর সঙ একটি বৈধ কর্মসংস্থান চুক্তি থাকতে হবে
→ মানবসম্পদ ও আমিরাতের শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী ব্যক্তিকে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হতে হবে
→ ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য হতে হবে
→ ব্যক্তির মাসিক বেতন ৩০ হাজার আমিরাতি দিরহাম (নূন্যতম ৮,১৬৭ মার্কিন ডলার) হতে হবে|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের জন্য কার্ডে ও অনলাইনে ভিসা ফি প্রদানের সুযোগ আনল যুক্তরাজ্য
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী
→ নূন্যতম ২ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে, অথবা
→ স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ক্রয় করা কোন সম্পত্তি থাকতে হবে, অথবা
→ অনুমোদিত স্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তালিকা থেকে এক বা একাধিক ২ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম মূল্যের কমপ্লিট বা অফ-প্ল্যান সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে|
সফল উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তাগণ তাদের কোম্পানিকে ইউএইতে নিবন্ধিত করলে এই ভিসা পেতে পারেন। তবে সে জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই ১ মিলিয়ন বা তার বেশি বার্ষিক আয় সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) বিভাগের অধীনে পড়তে হবে। অধিকন্তু, উদ্যোক্তাদের জন্য গোল্ডেন রেসিডেন্সও পাওয়া যেতে পারে, যদি-
→ ব্যক্তিটি একজন প্রতিষ্ঠাতা বা পূর্ববর্তী উদ্যোক্তা প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বিক্রিত প্রকল্পটির মূল্য কমপক্ষে ৭ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম (প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে হবে
→ প্রকল্প বা ধারণার জন্য অর্থনীতি মন্ত্রণালয় বা উপযুক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন|
আরও পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
ব্যতিক্রমী প্রতিভা সম্পন্ন
শিল্প, সংস্কৃতি, ডিজিটাল প্রযুক্তি খেলাধুলা, উদ্ভাবন, ওষুধ, আইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিরা এই ভিসায় আবেদন করার যোগ্য। ১০ বছরের এই ভিসাটির জন্য শুধুমাত্র তাদের মেধা যাচাই করা হবে। কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অবস্থা, মাসিক বেতন বা পেশাগত অবস্থার নয়। তবে এর জন্য স্থানীয় সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
বিশেষজ্ঞদের জন্য
চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা ও প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন শাখায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উচ্চ দক্ষ কর্মীরা এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত।
বিজ্ঞানী বা গবেষক
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল, প্রযুক্তি, জীবন বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এর জন্য তাদেরকে অবশ্যই এমিরেটস সায়েন্টিস্ট কাউন্সিলের সুপারিশ লাভ করতে হবে।
অসামান্য মেধাসম্পন্ন স্নাতক শিক্ষার্থী
ইউএইর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ স্কোর প্রাপ্ত বিদেশি শিক্ষার্থীরা ১০ বছরের ভিসাটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তদুপরি, বিশ্বের ১০০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থী এবং স্নাতকরাও এই ভিসা প্রকল্পের আওতায় পড়বেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ এফওসি: দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের আহ্বান বাংলাদেশের
মানবিক ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিত্ব
→ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার বিশিষ্ট সদস্যরা
→ জনসাধারণের কল্যাণার্থে নিয়জিত সমিতির সেরা সদস্যরা
→ মানবিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পুরস্কারপ্রাপ্তরা
→ বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক এবং মানবিক প্রচেষ্টার স্পন্সর
ডাক্তার, নার্সদের এবং ফ্রন্টলাইন হিরো
ইউএই প্রতিরক্ষার প্রথম লাইনের ডাক্তার ও নার্সদের তাদের প্রচেষ্টা এবং ত্যাগের স্বীকৃতিতে দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি দিচ্ছে। ইউএইর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার লাইসেন্সপ্রাপ্ত সমস্ত ডাক্তাররা আইসিএ’র (ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ) গোল্ডেন রেসিডেন্সি পরিষেবার মাধ্যমে জুলাই ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২-এর মধ্যে গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। করোনা মহামারির সময় জীবন বাজী রেখে কাজ করা নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও এখন মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার যোগ্য। আইসিএ’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ইউএই জুড়ে স্থাপিত সাতটি কেন্দ্র যে ডাক্তার এবং নার্সদের পরিশ্রমের ফসল, তারা ব্যক্তিগতভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রিন ভিসা
ইউএই গ্রিন ভিসা প্রকল্প
এটি ইউএইর কাজ এবং রেসিডেন্সি পারমিট থেকে ভিন্ন একটি নতুন ভিসা ক্যাটাগরি। এর মাধ্যমে উচ্চ দক্ষ ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, শীর্ষ ফলাফলধারী শিক্ষার্থী ও স্নাতকদের ইউএইর কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি ছাড়াই নিজস্ব স্পন্সরে ইউএইতে বসবাসের অনুমতি দেবে। এটি মূলত ইউএই সরকারের ব্যতিক্রমী প্রতিভা আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচেষ্টার একটি অংশ।
ইউএই গ্রিন ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা
গোল্ডেন ভিসার পাশাপাশি ইউএই গ্রিন ভিসাতে কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নতি বাস্তবায়িত হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন পাঁচ বছরের আবাসিক সুবিধা, যা মূলত প্রতিভাধর, দক্ষ পেশাদার, ফ্রিল্যান্সার, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ। তাদের জন্য সব ধরনের আবাসিক চাহিদাগুলোকে সহজতর করার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও উন্মুক্ত করা হচ্ছে। বসবাসের অনুমতি বাতিল বা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পরিবারের লোকদের দেশে থাকার জন্য দীর্ঘ নমনীয় গ্রেস পিরিয়ডসহ আরও সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
নতুন প্রকল্প ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধার পরিধি আরও প্রসারিত করেছে। একজন বাসিন্দা এখন সহজেই তাদের তাদের স্ত্রী-সন্তানদের ইউএইতে আনতে পারেন। উপরন্তু শিশুদের বয়স আগে ১৮ বছর থাকলেও এখন ২৫ বছর করা হয়েছে। অবিবাহিত মেয়েদের জন্য কোনো বয়সসীমা নেই। মেধাবী শিশুদের তাদের বয়স নির্বিশেষে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়। গ্রিন রেসিডেন্স ধারককে তার অতি নিকটস্থ আত্মীয়দের নিয়ে আসার অনুমতি দেয়া হবে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্যদের বসবাসের সময়কাল ভিসাধারীর মতোই হবে।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ইউএই গ্রিন ভিসা লাভের যোগ্যতা
দক্ষ কর্মী
যে কোনো কাজে দক্ষ কর্মীদের জন্য এই ভিসা কোন স্পন্সর বা নিয়োগকর্তা ছাড়াই পাঁচ বছরের আবাসিক সময়কাল প্রদান করে।
→ আবেদনকারীদের একটি বৈধ কর্মসংস্থান চুক্তি থাকতে হবে
→ মানব সম্পদ ও আমিরাত মন্ত্রণালয় অনুযায়ী ব্যক্তিকে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি হতে হবে
→ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য হওয়া বাঞ্ছনীয়
→ আবেদনকারীর বেতন নূন্যতম ১৫ হাজার আমিরাতি দিরহাম (৪,০৮৩.৭৪ মার্কিন ডলার) হতে হবে
ফ্রিল্যান্সার
→ ফ্রিল্যান্সিং এবং স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন রেসিডেন্স ইউএইতে স্পন্সর বা নিয়োগকর্তার প্রয়োজন ছাড়াই পাঁচ বছরের বসবাসের ব্যবস্থা করে
→ মানব সম্পদ ও আমিরাত মন্ত্রণালয় থেকে ব্যক্তিকে ফ্রিল্যান্স বা স্ব-কর্মসংস্থানের অনুমতি প্রাপ্ত হতে হবে
→ ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক ডিগ্রি বা বিশেষ ডিপ্লোমা
→ বিগত দুই বছরে স্ব-কর্মসংস্থান থেকে বার্ষিক আয় কমপক্ষে তিন দশমিক ছয় লাখ আমিরাতি দিরহাম (৯,৮০০ মার্কিন ডলার), অথবা আবেদনকারীকে দেশে থাকার সময় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণ করতে সক্ষম হতে হবে|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
বিনিয়োগকারী বা অংশীদার
→ বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য এই ভিসা বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ বছরের বসবাসের ব্যবস্থা করে।
→ ব্যক্তির বিনিয়োগের অনুমোদন এবং কমপক্ষে এক মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম বিনিয়োগের প্রমাণপত্র লাগবে
→ যদি বিনিয়োগকারীর একাধিক লাইসেন্স থাকে, তাহলে মোট বিনিয়োগকৃত মূলধন গণনা করা হবে। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
জব এক্সপ্লোরেশন ভিসা
এই ভিসা মূলত তরুণ প্রতিভা এবং দক্ষ পেশাদারদের দেশে উপলব্ধ চাকরির সুযোগ অন্বেষণের জন্য আকৃষ্ট করার এক মহৎ উদ্যোগ। ভিসার জন্য স্পন্সরের প্রয়োজন নেই, তবে ব্যক্তিকে অবশ্যই-
→ মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয় অনুসারে প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি হতে হবে
→ বিশ্বের সেরা ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক করা থাকতে হবে
→ স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতার নিচে গ্রহণযোগ্য নয়|
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে ভিসা দেয়ায় রোমানিয়াকে ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রিমোট ওয়ার্ক ভিসা
দুবাইয়ের এক বছরের ভিসা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়াল ওয়ার্কিং প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউপি) নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থাটি ভিসাধারীদের ইউএইর বাইরে থেকে দুবাইতে স্থানান্তরিত করতে এবং আইনত তাদের বর্তমান কোম্পানি বা সংস্থার জন্য দূর থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়। এটি বিদেশি নাগরিকদের নিজস্ব খরচে ইউএইতে প্রবেশ করতে এবং ভিসার সঙ্গে সম্পৃক্ত শর্তাবলী অনুসারে কাজ করার অনুমতি দেয়।
এক বছরের ভিসাটি বিশেষভাবে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য অবস্থান-স্বাধীন ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। দুবাইতে বসবাসের জন্য আবেদন যদি ইউএই দ্বারা অনুমোদিত হয়, তাহলে পরিবারকেও সঙ্গে আনা যাবে। সেক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো-
→ বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এক বছরের একটি বৈধ চুক্তিসহ কর্মসংস্থানের প্রমাণ লাগবে
→ প্রতি মাসে উপার্জিত বেতন ন্যূনতম পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার হতে হবে। এর জন্য বিগত মাসের বেতন স্লিপ এবং আগের তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
→ কোম্পানির মালিক হলে, এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কোম্পানির মালিকানার প্রমাণ লাগবে
→ উদ্যোক্তার মাসিক গড় আয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার হতে হবে। এর জন্য পূর্ববর্তী তিন মাসের জন্য কোম্পানির অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভিসা সংগ্রহের আহ্বান
পরিশেষে
কর্মক্ষেত্র হিসেবে সেরা গন্তব্য হওয়ায় বাংলাদেশিদের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা প্রাপ্তি বরাবরই আকর্ষণীয় ছিল। এখন গোল্ডেন ভিসার নতুন ক্যাটাগরি ও গ্রিন ভিসার মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিরা এখন নিমেষেই অতি প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো অর্জন করে নিতে পারবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের এই মহান উদ্যোগ অচিরেই উন্নত সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধশালী অবকাঠামোর অধিকারি হয়ে ওঠার দৃষ্টান্তমূলক নকশা।