আত্মসাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’- নামে একটি ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে
গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে উপজেলার নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় এনজিওটির কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় সেখান থেকে পাঁচটি ভুয়া পাশ বই, ৯টি লোন রেজিস্টার খাতা,চারটি মোবাইল ফোন এবং ছয়টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সদর উপজেলার কৃষনগেবিন্দপুর হাসানুজ্জামান জেন্টু এবং মাঠকর্মী শহিদুল ইসলাম, সাইরন কেথা ও বদিউর রহমান। তাদের সবার বাড়ি নামোজগন্নাথপুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সোমবার দুপুরে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রতারক চক্রটি নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজার এলাকায় ‘পদ্মা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। এরপর গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দেয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ অধিক মুনাফার আশায় সেখানে টাকা বিনিয়োগ করে। এক পর্যায়ে গ্রাহকদের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাত করে এই প্রতারক চক্রটি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ছায়া তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রবিবার রাত ১০টার দিকে নামোজগন্নাথপুর দোভাগি বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল এনজিওটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
বরগুনার এমপির বিরুদ্ধে টিআর কাবিখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে টেস্ট রিলিফ (টিআর) কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুদকে করা স্থানীয় এক বাসিন্দার আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার পাথরঘাটা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার টিআর কাবিখা প্রজেক্টের বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাটের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
দুদকের চেয়ারম্যান, দুদকের কমিশনার (তদন্ত), বরগুনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
গত বছরে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কাজ না করেই কোটি টাকার টিআরের বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ’- শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদে বলা হয়, বরগুনার পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ না করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও কাজ না করেই টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে। তবে জেলার বামনা উপজেলায় টিআরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংবাদে আরও বলা হয়, বরগুনা-২ আসনের (পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনা) সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুকূলে ২০২০-২১ অর্থবছরে পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলায় চার ধাপে টিআর প্রকল্পে দুই কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার ৮০৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিন উপজেলায় প্রকল্পের সংখ্যা ৩২৩টি। এর মধ্যে পাথরঘাটা ও বেতাগীর বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ প্রকল্পে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এর দায় নিতে নারাজ সাংসদ শওকত হাসানুর।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ হয়েছে কি না, তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিষয়। এখানে তার কোনো বিষয় নেই।
এ খবরের সূত্র ধরে গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনগণের প্রতিনিধি আমাদের উন্নয়নের টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন না করে নিজে ব্যক্তিগতভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেন।
কিন্তু অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় তিনি দুদককে ৭ নভেম্বর আইনি নোটিশ দেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে সুলতান আহম্মেদ হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে দুদকে দেয়া অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী মো.কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, রাজধানীতে আটক ২
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের পরিচয়- মাহবুবুল হাসান (৫০) ও মাহমুদ করিম (৩৬)।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক (স্টাফ অফিসার, মিডিয়া) বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিনগরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুবুল স্বীকার করেছে যে এই চক্রটি বিদেশি কোম্পানির ভুয়া নিয়োগপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দরিদ্র ও বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা করত। তারা ২০০০ সাল থেকে অনেকজনকে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, এই চক্রটি গত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দালালদের মাধ্যমে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। একজনকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা এবং ইউরোপে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা নেয়।
আরও পড়ুন: ২ স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক
কিন্তু তারা কাউকে বিদেশে পাঠাতে এবং প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কোনো ট্রাভেল এজেন্সির কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
এএসপি ফারজানা বলেন, মানব পাচার চক্রটি এর আগে কিছু লোককে উচ্চ বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। এসব ব্যক্তিরা চক্রের বিদেশি সহযোগীদের হাতে আটক ছিল এবং সেখানে চাকরি না পেয়ে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতিত হচ্ছিল।
তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বাতিলে আসলাম চৌধুরীর আবেদন খারিজ
বেসরকারি একটি ব্যাংকের ৩২৫ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর করা আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদালত মামলাটি বাতিল চেয়ে আসলাম চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলার বিচার চলতে কোন বাধা নেই।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী ও দুই ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন-আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
জানা যায়, আসামিরা আগ্রাবাদ শাখার এবি ব্যাংক থেকে ৩২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ঢাকার উপপরিচালক মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আদলতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ৬ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকার উৎখাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন আসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জোটবদ্ধ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর কারণে বাজার লাগামছাড়া: হাইকোর্ট
৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জিপিও’র ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত
চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও) থেকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আরও দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগেও দুজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া এ ঘটনায় ২২ জনকে বদলি করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—সহকারী পোস্ট মাস্টার টিআই সাইফুল ইসলাম, সহকারী পোস্ট মাস্টার নিপুল তাপস বড়ুয়া, নুর মোহাম্মদ ও সরোয়ার আলম।
জিপিও পোস্ট মাস্টার জেনারেল ড. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিপিওতে নামে-বেনামে হিসাব খুলে গত পাঁচ বছরে গ্রাহকের প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। চক্রটি একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের তথ্য দিয়ে জিপিওতে হিসাব খোলে। এ ধরনের ১০টি হিসাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে। এ ঘটনায় ২০২০ সালে জিপিও সহকারী পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদ ও সরোয়ার আলমকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাসপোর্ট বানাতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
জিপিও সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে জিপিওতে আমানত থাকা গ্রাহকের প্রায় ৩০ কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে। এসব ঘটনায় সর্বশেষ গত বুধবার সহকারী পোস্ট মাস্টার টি আই সাইফুল ইসলাম ও সহকারী পোস্ট মাস্টার নিপুল তাপস বড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে সহকারী পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদ ও সরোয়ার আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় আরও ২২ জনকে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম জিপিওর ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম, শামীম, ওয়াহিদুল আলম, মশহুদা বেগম, আহমেদ নুর ও তসলিমা বেগম নার্গিস।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
মাগুরায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় ভিজিএফের চাল আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী মিয়াসহ তিনজনের নামে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. লাল্টু মিয়া বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন নহাটা বাজারের চালের ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দে।এদিকে একই অভিযোগে নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মঞ্জুর রহমান নামে অপর এক চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৯০০ কেজি ভিজিএফের চালসহ আটক ১
থানা-পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার নহাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ, অসহায় ব্যক্তির জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ওই চাল তাঁদের মধ্যে বিতরণ না করে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ইউপির চেয়ারম্যান আলী মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন নহাটা গ্রামে চাল ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার দে ও তাঁর ভাই সমীর কুমার দের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২২ বস্তা চাল (১ হাজার ১০০ কেজি) উদ্ধার করেন।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নহাটা বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী মঞ্জুর রহমানের গুদামে অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ২৭ বস্তা চাল উদ্ধার করেন ইউএনও মো. শাহিন হোসেন। এ সময় মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন নহাটা ইউপির সচিব আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভিজিএফের ২৯ বস্তা চাল জব্দ
তবে চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আলী মিয়া বলেন, ‘মেম্বারদের (ইউপি সদস্য) উপস্থিতিতে ৩২২ বস্তা চাল এক হাজার ৬২৭ জন দুস্থ লোকের মধ্যে তিন দিন ধরে বিতরণ করেছি। মাস্টার রোলে সদস্যদের স্বাক্ষর আছে। ভিজিএফের চালে গন্ধ থাকে। তাই গরিব মানুষ ওই চাল খেতে চান না, ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। উদ্ধার হওয়া চালের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও সাহেব আমার কাছে ভিজিএফের ৩০০টি কার্ড দাবি করেন। কিন্তু তালিকা চূড়ান্ত হওয়ায় তাঁকে কোনো কার্ড দিতে পারিনি। তাই আমার ওপর তাঁর রাগ ছিল।’
কার্ড চাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউএনও মো. শাহিন হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকেরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁরা কিছু কার্ড চেয়েছিলেন। তাঁরা রাজনীতি করেন। এ জন্য তাঁদের কার্ডের দরকার হয়। আমি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি। এর সঙ্গে ভিজিএফের ওই চাল উদ্ধার বা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরীকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা মামলাটি রেকর্ড করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। কমিশন মামলা তদন্ত করবে।’
কেমিকো ফার্মাসিটিক্যালসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ডাক্তার, চিকিৎসক সহকারী ও ওষুধ ব্যবসায়ীসহ মানিকগঞ্জের অন্তত ৭০ জন বিনিয়োগকারী এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন । লাভের টাকা দুরের কথা এখন আসল টাকাও না পাওয়ার হতাশায় দিন যাপন করছেন তারা। ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকজন ভুক্তভোগী এসব কথা জানান।
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় থানায় জিডি
এদেরই একজন ভুক্তভোগী মানিকগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক ডা. রঞ্জিত কুমার মন্ডল। ২০০৩ সালে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কেমিকো ফার্মাসিটিক্যালসের ‘ডাক্তার বিনিয়োগ স্কীম’-এ এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। লাখে ওই কোম্পানির কাছ থেকে তিনি মুনাফা পেতেন ১৬৬৭ টাকা। ২০০৫ সালে ওই কোম্পানিতে তার বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৪ লাখে। ২০১২ সালে তার মোট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩০ লাখে।
ডা. রঞ্জিত কুমার মন্ডলের মত জেলার অন্তত ৩০ জন চিকিৎসকসহ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের প্রায় সাত কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানে। গত দুই বছর ধরে কোম্পানি তাদেরকে লভ্যাংশ প্রদান করছে না। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ আত্মসাতের মামলার রায় ৫ অক্টোবর
বিনিয়োগকারী ডা.বিকাশ চন্দ্র তরফদার জানান, ওই প্রতিষ্ঠানে তার নিজের ও তার স্ত্রীর ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। প্রথম দিকে আমাদেরকে তারা লভ্যাংশ ঠিকমত দিলেও গত দুই বছর ধরে তারা আমাদের লভাংশ্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর তারা আমাদের বিনিয়োগের টাকাও দিচ্ছে না।
ভুক্তভোগী ডা. ওসমান গনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে তার ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা থেকে ৬০ লাখ টাকা করেও বিনিয়োগ রয়েছে অনেকের। অর্থ আদায়ের দাবিতে পাঁচ মাস আগে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসা অন্যান্য ভুক্তভোগীরা জানান, ওষুধ কোম্পানি হিসেবে এই কোম্পানির সুনাম রয়েছে। ওমক্সে, কেফিন, কেসল্ড ওষুদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ওই কোম্পানির রয়েছে আরও সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। তারা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ওই কোম্পানির উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নি।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
সংবাদ সম্মেলনে ডা. রঞ্জিত কুমার মন্ডল ছাড়াও ডা. বিকাশ চন্দ্র তরফদার, ডা. নরেন্দ্র কুমার রায়, ডা. মো. ওসমান গনি, ওষুধ ব্যবসায়ী পঙ্কজ কুমার, তোফায়েল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় থানায় জিডি
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হওয়া খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের সন্ধান মেলেনি মঙ্গলবারও। এই বিষয়ে খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরী ও দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ। এছাড়া প্রকাশ কুমার যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সিভিল সার্জন নিয়াজ মাহমুদ জানান, প্রকাশকে হাসপাতালে আসার জন্য তার ঠিকানা বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকাশের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, রাত সাড়ে ১১ টায় প্রকাশের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় জিডি করেছেন খুলনা সিভিল সার্জন। সেখানে করোনা টেস্টের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাত করায় প্রকাশকে অভিযুক্ত করা হয়। সকালেই জিডির বিষয়টি দুদককে জানানো হয়।
দুদক খুলনা উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। অভিযোগটি ঢাকা অফিসকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
জিডি সূত্রে জানা গেছে, পলাতক প্রকাশ কুমার দাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার এগারোখান ঘোড়ানাচ এলাকার মৃত সুরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। খুলনায় তার ঠিকানা মুজগুন্নী আবাসিকের ১০ নং সড়কের ১২৮ নম্বর বাড়ি। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় গিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার স্ত্রী মাধবী রানী দাস খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্ট।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ আত্মসাতের মামলার রায় ৫ অক্টোবর
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য পাঁচ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
এর আগে গত ২৯ আগস্ট একই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এ মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
২০২০ সালের ১৩ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা: নির্দোষ দাবি ৭ আসামির
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এই সাত আসামি হলেন-ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এরপর তারা লিখিত বক্তব্য দেবেন বলেও আদালতকে জানান। পরে আদালত তাদের লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এদিন জেরা শেষ হওয়ায় আদালত আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।