কাজ
যারা জনকল্যাণে নীরবে কাজ করে তাদের সম্মান জানাই: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা নীরবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের খুঁজে বের করে ও সম্মান জানাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেক নিবেদিতপ্রাণ মানুষ রয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, আপনারা এমন নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের খুঁজে বের করুন, যারা নিজেদের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কখনও প্রচারে আসতে পারে না বা প্রচারে আসতে চায় না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই ভালো বিষয় হবে যদি সবাই নিজস্ব উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করার চেষ্টা করে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা যায়। তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে (ভালো কাজের স্বীকৃতি দেখে) অনেক মানুষ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ চলতি বছরের ৫ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন হবে। আশা করা হচ্ছে আগামী অক্টোবর থেকে পুরোদমে এই টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে। এটি দেশের বিমান অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরপর শুরু হবে পুরোনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে স্থানান্তরে অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের কাজ।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সিভিলসহ সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু যা বাকী রয়েছে তা নির্ধারিত সময় অর্থাৎ আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হবে। এরপর টার্মিনালটি বুঝে নিবে বেবিচক।
তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী আগামী ৫ এপ্রিল তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত। ৬ এপ্রিল থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। বেবিচকের ব্যবস্থাপনায় আগামী অক্টোবর থেকে টার্মিনালটি পুরোদমে চালু করতে কাজ চলছে। এজন্য অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সপার (ওআরএটি) বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিবেরেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা একাধিক যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া আইনমন্ত্রী মামলা জট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এরপর আইনমন্ত্রী তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালতভবন ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলা জট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়ায়) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পটিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- উপপরিদর্শক সঞ্জয় ঘোষ ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. জিয়াউল হক জিয়া।
এর আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে একই অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পটিয়ায় নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই ওসি (তদন্ত)সহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই ও এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থেকে ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমানসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদেরকেও দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সরকার আন্তর্জাতিক সংকটে পড়বে: তৈমুর
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে অত্যন্ত আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন।’
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকালে দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে এই চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০০ সালে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
বাইরের কেউ যেন বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা না দেয়: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার যে কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী তা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন। এরপর রবিবার যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের কথা রাখে।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সরকার পতন তো দূরের কথা, বিএনপি নিজেদের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে চিন্তিত।’
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস বা সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ সজাগ রয়েছে।
দলের কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আস্থা নেই। কালো পতাকা নিয়ে আন্দোলন করা সম্ভব নয় বলেও জানান কাদের। ‘এটি একটি শোক মিছিলে পরিণত হয়।’
আরও পড়ুন: গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের দায়িত্বের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবনের সুনাম বাড়ানোর কথা আমাদের ভাবতে হবে কারণ এর দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আপনারা সবাই বঙ্গভবনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আপনারাও বঙ্গভবনের প্রতিনিধি।’
বুধবার সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি বঙ্গভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আপনার (বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের) প্রতিটি কর্মকাণ্ড সেবামুখী হওয়া উচিত যাতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারে।
বঙ্গভবনের ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক ও আলোকিত জনপ্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, মনে রাখবেন সব আইন জনগণের কল্যাণের জন্য প্রণীত হয়।
বঙ্গভবনকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কর্মরত প্রতিটি কর্মীর কঠোর শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা মিশে আছে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ইতিহাস শুধু গৌরব ও মর্যাদারই নয়, কিছু জঘন্য অপরাধেরও সাক্ষী। খুনি চক্রের সদস্যরা এই বঙ্গভবনে বসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল।’
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয় থেকে তার আদর্শকে মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ভূমিকা রাখতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিয়েছে।
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ বঙ্গভবনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক নেতারা ক্ষণে ক্ষণে যে দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়; বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে, সেটি দেশবিরোধী কাজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। অতীতেও আমরাই সমাধান করেছি। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে বলতে পারে। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে যে তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সেটাও তারা বলুক। কিন্তু বিদেশিদের কাছে গিয়ে আমাদের বিষয়াদি নিয়ে ধর্ণা দেওয়া দেশবিরোধী কাজ।’
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশিদের মধ্যস্থতা নিয়ে বিএনপির প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ আমাদের। এই দেশের মালিক দেশের জনগণ। এ দেশের সরকার নির্বাচিত করার, সরকারকে বিদায় দেওয়ার দায়িত্ব কিংবা ক্ষমতা বা এখতিয়ার শুধু এ দেশের জনগণের।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি এটা বলে থাকে, তাহলে এটা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দুই পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় একজন সফল রাষ্ট্রপতির বিদায় এবং নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সফলভাবে তার দুটি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতি ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মর্যাদার সঙ্গে অবসরে গেলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
নমনীয় কাজের সময়সূচি সবার জন্য লাভজনক: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
নমনীয় কর্মঘণ্টা যখন কর্মচারী এবং পরিবারকে আরও ভাল কর্ম-জীবনের ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করে, তখন তা অর্থনীতি এবং ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার(আইএলও) ইনওয়ার্ক-এর প্রধান ফিলিপ মার্কাডেন্ট ‘পৃথিবীজুড়ে কাজের সময় এবং কর্ম-জীবনের ভারসাম্য’-বিষয়ে বলেছেন, কর্মঘণ্টা এবং অবস্থার আশেপাশের সমস্যাগুলো আজ বিশ্বের বেশিরভাগ শ্রমবাজার সংস্কার এবং বিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’
‘কর্ম ঘন্টার সংখ্যা, সেগুলো যেভাবে সংগঠিত হয় এবং বিশ্রামের সময়কালের প্রাপ্যতা শুধুমাত্র কাজের মানকেই নয়, কর্মক্ষেত্রের বাইরের জীবনকেও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’
কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের ওপর প্রথম পরিচালিত এই গবেষণাটি ব্যবসা এবং তাদের কর্মীদের কর্মক্ষমতার ওপর কাজের সময় এবং সময়সূচির প্রভাবগুলো পরীক্ষা করে।
কোভিডের আগে এবং চলাকালীন সময়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। যে সমস্ত কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কাজ করছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তির এক পঞ্চমাংশ প্রতি সপ্তাহে খণ্ডকালীন ভিত্তিক সময়ে ৩৫ ঘন্টারও কম কাজ করছে।
প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক জন মেসেঞ্জার বলেছেন, ‘তথাকথিত 'মহান পদত্যাগ' ঘটনাটি মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে সামাজিক এবং শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোর অগ্রভাগে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।’
প্রতিবেদনটি বিভিন্ন কাজের সময়সূচি এবং কাজের-জীবনের ভারসাম্যের ওপর তাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে, যার মধ্যে স্থানান্তর, কলে থাকার ব্যবস্থা, সংকুচিত ঘন্টা এবং ঘন্টা-গড় সূচিসমূহ রয়েছে।
মেসেঞ্জার বলেছেন যে উদ্ভাবনী কাজের সময় ব্যবস্থা, যেমন কোভিড সংকটের সময় প্রবর্তিত, বৃহত্তর উৎপাদনশীলতা এবং উন্নত কর্ম-জীবনের ভারসাম্যসহ দুর্দান্ত সুবিধা আনতে পারে।
আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি দেখায় যে আমরা যদি কোভিড সংকটের কিছু শিক্ষা প্রয়োগ করি এবং কাজের সময়গুলো কীভাবে গঠন করা হয়, সেইসঙ্গে তাদের সামগ্রিক দৈর্ঘ্যের দিকে খুব যত্ন সহকারে দেখি, আমরা উভয় ব্যবসার উন্নতি এবং একটি সন্তোষজনক কর্মক্ষমতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য (সকলের জন্য) তৈরি করতে পারি।’
কোভিড সঙ্কটের ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী নতুন প্রমাণও দিয়েছে। এতে দেখা যায় যে শ্রমিকরা কীভাবে, কোথায় এবং কখন কাজ করে সে সম্পর্কে আরও নমনীয়তা দেয়া এবং তাদের উল্লেখযোগ্য উৎপাদনশীলতা লাভের সঙ্গে ব্যবসা উভয়ের জন্যই ইতিবাচক হতে পারে।’
বিপরীতভাবে, নমনীয়তা সীমাবদ্ধ করার ফলে উচ্চ কর্মীদের চলে যাওয়াসহ যথেষ্ট খরচ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রচুর পরিমাণে প্রমাণ রয়েছে যে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নীতিগুলো এন্টারপ্রাইজগুলোতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে, এই যুক্তিকে সমর্থন করে যে এই ধরনের নীতিগুলো নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়ের জন্যই একটি 'লাভজনক’।
এতে বলা হয়েছে, আইন ও প্রবিধান যা কাজের ঘন্টা এবং বিধিবদ্ধ বিশ্রামের সময়সীমার একটি উচ্চ সীমা নির্ধারণ করে। সমাজের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: আইএলওর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার নির্বাচিত বাংলাদেশ
কাজের সময় অনুসারে, দেশগুলোকে মহামারি যুগের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করা উচিত। যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বল্প-সময়ের কাজের স্কিমগুলো, যা কেবল চাকরিই বাঁচায়নি বরং ক্রয় ক্ষমতাও বাড়িয়েছে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবগুলোকে উপশম করতে সহায়তা করেছে।
এটি অনেক দেশে কাজের ঘন্টার সংখ্যা কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যকে উন্নীত করার জন্য একটি জননীতি পরিবর্তনের পক্ষেও সমর্থন করে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনটি কর্মসংস্থান বজায় রাখতে এবং কর্মীদের আরও এজেন্সি দেয়ার জন্য টেলিওয়ার্কিংকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ