ঈদ
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী খট খট শব্দে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছে তাঁত শ্রমিকেরা। দিনরাত তাঁতের মাকুর শব্দে মুখরিত তাঁত এলাকা।
বর্তমানে বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁতমালিকরা।
জানা যায়, পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁত কারখানায় তৈরি হচ্ছে বেনারসি, সিল্ক, রেশমী, কটন, জামদানি ও কাতান শাড়ি।
এতে আধুনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাহারি নকশা এবং বিভিন্ন সাইজের গামছা ও লুঙ্গিও তৈরি হচ্ছে।
বিশেষ করে জেলার তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁতপল্লীতে বাহারী নকশার শাড়ি তৈরি জমে উঠেছে।
এছাড়া বৈশাখের আবহে শাড়িতে ঢাক-ঢোল ও ইলিশসহ বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিকাড়া ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী তাঁত-বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা শুরু
তবে স্থানীয় তাঁত মালিকেরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কাপড়ের বাজার তেমন জমে ওঠেনি। এমনকি উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রং ও সুতার বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।
এদিকে এ জেলায় তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।
প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা-পার্বণে কাপড়ের চাহিদা বাড়ে। এ কারণে তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই ফরিয়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে।
এনায়েতপুরের শাড়ি তৈরির অনেক ব্যবসায়ী জানান, শাড়ি তৈরির জন্য নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে গজ হিসেবে সাদা কাপড় কিনে আনা হয়। পরে ওই কাপড়ে প্রিন্টিংয়ের কাজ করে বাজারে তোলা হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়তি আয় করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। এজন্য দিনপ্রতি নির্ধারিত পারিশ্রমিকও পেয়ে থাকি এবং এ পারিশ্রমিক এখন বাড়তি আয় বলেও দাবি করেন।
বৈশাখের শাড়ি ও তাঁত ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে পহেলা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত চলে প্রিন্টিংয়ের কাজ। ঢাকার গাউছিয়া, ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের করটিয়া, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও পাবনার আতাইকুলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কারখানা থেকে শাড়ি নিয়ে যায়।
বর্তমানে বাজারে বৈশাখী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন, রং ও অন্যান্য খরচ শেষে শাড়িপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে।
তাঁত মালিকরা বলছেন, বর্তমানে করোনা না থাকায় আবারো তাঁতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন লোকসানের মুখে থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অধিকাংশ তাঁত মালিক।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে নতুন করে কাজ শুরু করলেও রং-সুতা সহ সব উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক।
সরকার কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিলেও বস্ত্র শিল্পে ভর্তুকির এখনও কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’: মন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে বন্যায় তাঁত শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি
শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির নাচ মানেই বাড়তি আয়োজন, বাড়তি আকর্ষণ এবং ভিন্নমাত্রা। ঈদের বিশেষ পর্বেও সেই চেষ্টাটি রয়েছে।
এবারের নাচটিতে ব্যাপক আয়োজনে তুলে ধরা হয়েছে তিনটি ধারাকে। তাই এটিকে বলা যায় একটি ত্রিমাত্রিক নৃত্য।
নাচটি পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতিমান নৃত্যজুটি শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা। তাদের সঙ্গে ছিলেন দেড় শতাধিক নৃত্য ও অভিনয় শিল্পী।
শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপার পরিচালনায় বর্ণিল এই নৃত্যে প্রতিটি শিল্পীই ছিলো আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত।
আরও পড়ুন: ঈদে আসছে শাকিব-বুবলি জুটির ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’
ঈদ উপলক্ষে চাঁদপুর-সিলেট রুটে বিশেষ ট্রেন
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদপুর-সিলেট রুটে যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল সিকদার জানান, ঈদের আগে ৪ দিন এবং পরে ৫ দিন আট বগি বিশিষ্ট ট্রেনটি চলবে।
তিনি আরও বলেন,‘আমাদের অনুরোধে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রথম চাঁদপুর-সিলেট রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত আদেশের অনুলিপি পেয়েছি।’
স্টেশন মাস্টার জানান, অন্যান্য ট্রেনের মতো সব স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি এর মধ্য দিয়ে চাঁদপুর রেলওয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ৭ এপ্রিল
৭৩ বছর পর ট্রেন যাচ্ছে মোংলা সমুদ্র বন্দরে
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
সম্প্রতি ঈদ ফেস্টিভ্যাল শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনটি ২৩শে মার্চ থেকে আগামী ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্স এবং আরও আকর্ষণীয় অফার।
এছাড়াও, ক্যাম্পেইন চলাকালিন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।
ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে এই ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল ও লাইফবয় এর মত ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর- ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমো- এর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।
আরও পড়ুন: ‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
এছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক; এবং নন কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া'স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।
ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের পুরো মাস জুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
ঈদে আসছে শাকিব-বুবলি জুটির ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’
মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কয়েকদিন ধরেই ভিন্ন আলোচনায় রয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। এরমধ্যে তার প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘লিডার : আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমার মুক্তির ঘোষণা এলো।
শাকিব খান নিজেই তার ফেসবুক পেজে সিনেমাটি এক পোস্টার ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে এই খবর জানান।জানা যায় আসন্ন রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি।
২০২২ সালে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে।সিনেমাটি প্রসঙ্গে পরিচালক তপু খান ইউএনবিকে বলেন, ‘শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ যেমন আনন্দের, তেমনি ভয় কাজ করে। কারণ তার ভক্তদের সবসময় বড় প্রত্যাশা থাকে তাকে ঘিরে, সেই চ্যালেঞ্জটা পরিচালক হিসেবে নিতে হয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস, দর্শকরা হতাশ হবে না।’
বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ এর কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল।বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন- মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, এল আর সীমান্ত, সুব্রতসহ অনেকে।
ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্ব পেয়েছে টিওটি ফিল্মস।
আরও পড়ুন: শাকিব খান ডিবিতে, ধর্ষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে দিলেন লিখিত অভিযোগ
শাকিব খানের ‘জান্নাত’-এ দুর্বৃত্তদের হানা
বিরতির পর ফিরছেন আরফিন রুমি ও জীবন
অনেকদিন আলোচনা ও গান থেকে দূরে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী আরফিন রুমি। তবে সেই বিরতির শেষ হয়েছে সম্প্রতি। আবারও নিজের গণ্ডিতে ফিরেছেন তিনি। গত ঈদের পর নতুন আরও একটি গান প্রকাশ হবে এই তারকার।
আরিফিন রুমির জন্য ‘খুব আদরে’ গানটি লিখেছেন জনপ্রিয় গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন। এতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন আতিয়া আনিসা। সিডি চয়েজের ব্যানারে এটি প্রকাশ হবে ২৬ জুলাই।
‘খুব আদরে’র মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন মাসুদ রানা অনিক। এতে মডেল হয়েছেন আরফিন রুমি ও সামিহা আক্তার।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে আরফিন রুমি বললেন, ‘জীবন ভাইয়ের কথায় আমার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান রয়েছে। অনেকদিন পর আমাদের জুটির নতুন গান আসছে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রোতারা দারুণ একটি গান পেতে যাচ্ছেন। আমাদের এক হয়ে ফেরাটা নতুন কিছু নিয়ে আসবে আশা করি।’
অন্যদিকে গান নিয়ে রবিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পীর জুটি জনপ্রিয়তা পেলে শ্রোতাদের প্রত্যাশাও বেড়ে যায়। কিন্তু অনেকদিন আমাদের একসঙ্গে কাজ হয়নি। সেই বিরতি শেষ হচ্ছে নতুন এই গান দিয়ে। এছাড়া ভক্তদের আবদার পূরণ করার সুযোগও হলো। বাকিটা গানটি প্রকাশের পর বোঝা যাবে।’
উল্লেখ্য, রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় আরফিন রুমি জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’, ‘সহে না যাতনা’, ‘প্রতিদিন দেখি তোমায়’, ‘এতটা ভালোবাসি তোমায়’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
সঙ্গীত পরিচালক আলম খানের প্রতি শিল্পকলা একাডেমির শ্রদ্ধা
ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা চার দিনের ছুটি শেষে বুধবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৯ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বন্দরে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে এই সময়ে বন্দরে আমদানি-রপ্তানিকার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে বুধবার সকাল থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে।
আরও পড়ুন: জরাজীর্ণ রাস্তা: শেওলা স্থলবন্দরে ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাহত
মেহজাবিন 'আ্যম্বুলেন্স চালক'!
বিভিন্ন চরিত্রে নিরিক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন মেহজাবিন চৌধুরী। তবে টিকে থাকতে এটি সময়ের দাবী। তাই এই তারকা সেই পথেই হাঁটছেন। এবার ঈদেও একাধিক ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সেগুলোর একটি 'আ্যম্বুলেন্স গার্ল'।রেবেকা সুলতানা কেয়ার গল্পে 'আ্যম্বুলেন্স গার্ল'-এর রচনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। পরিচালক অনন্য ইমন। এতে মেহজাবিন ছাড়াও অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। নাটকটি প্রচারিত হবে ১৩ জুলাই (বুধবার) রাত ৮টা থেকে আরটিভিতে।নির্মাতা ইমন বলেন, ‘নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নুসরাত প্রতিনিয়ত চারপাশের সঙ্গে যুদ্ধ করে যায়। কারণ, সে একজন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চায়। এমনই এক মানবিক বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা ছিল এই নাটকে।’নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, নুসরাতের বাবা রহমান সাহেব অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ছিলেন। অথচ বাবা নিজে যেদিন স্ট্রোক করেছিলেন সেদিন কিশোরী নুসরাত সঠিক সময়ে তার বাবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেনি। পুরো ঘটনায় নুসরাতের মনে দাগ কেটে যায় আর মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় সে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
কলকাতার সিনেমায় সিয়াম, আগস্টে শুটিং
পদ্মা সেতুর কারণে বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড়
ঈদের ছুটিতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ষাট গম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাট জেলার সব দর্শনীয় স্থান।
রবিবার বাংলাদেশে পালিত হয়েছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভিড় করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছে শিশুরা। বিনোদন পার্কগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করেছে।
মঙ্গলবার ষাট গম্বুজ মসজিদ, হযরত পীর খানজাহান মাজার, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্টে সাম্প্রতিক পরিদর্শনের সময় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী দেখা গেছে। কেউ কেউ তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন স্মৃতি হিসেবে আনন্দের মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করতে আবার কেউ কেউ করেছেন ভিডিও।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে তিন দিনে ১১ কোটি টাকা টোল আদায়
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। ৬০০ বছরেরও বেশি আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
যদিও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যটি সারা বছরই দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে, তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সংখ্যা থাকে বেশি। অনেকেই এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পর্যটকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও মাজার শরিফ, খাঞ্জেলি দিঘি, মোহাম্মদ তাহেরের মাজার, জিন্দাপীরের মাজার, একগম্বুজ মসজিদ, বিবি বেগনীর মসজিদ, পচা দিঘি, চুনখোলা মসজিদ ও সিংরা মসজিদেও পর্যটকদের ভিড় ছিল।
ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখতে ভিড় জমায় এখানে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড
এছাড়া অযোধ্যা মঠ, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্ট, বাগেরবাজার পৌরসভা পার্ক, চুলকাঠি, চন্দ্রমহল পার্কও ছিল দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত।
ঈদে সড়কের অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও যানজট হয়নি: কাদের
এবারের ঈদে সড়কের অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও যানজট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এবার ঈদে সড়কের অবস্থা সব জায়গায় ভালো ছিলো। সড়কের জন্য কোথাও যানজট হয়নি। যেটা হয়েছে সেটা কিছু ব্যবস্থাপনার ত্রুটি বা সমন্বয়ের অভাবে হয়েছে। একটা রুটে সমস্যা বেশি হয়েছে সেটি হলো উত্তরাঞ্চল। কিন্তু সেটি হওয়ার কথা ছিলো না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়কে মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবকিছু একসঙ্গে হয় না। যারা সমালোচনা করেন, বড় বড় কথা বলে তাদের একটা কাজ দেখান। যে কাজটা বাংলাদেশের মানুষের এই যে যানবাহন চলাচল সুবিধা করে দিয়েছে। কোথাও তাদের কোন দৃশ্যমান কিছু নেই। সামনে মেট্রোরেল দেখবেন, কর্ণফুলী টানেল দেখবেন।
আরও পড়ুন: কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়ন ঠেকাতে পারবে না: কাদের
সরকারের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজনীয় ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু এলাও করা হয়েছিল, আবার কিছু কিছু আদেশ লঙ্ঘন করেও হাইওয়েতে এসেছে। মোটরসাইকেলের কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হয় এবং ছোট ছোট যে যানগুলো তিন চাকার ইজিবাইক, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল এবং আগামী বছরের শেষের দিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এটা (এক্সপ্রেসওয়ে) আগে ধীরগতি ছিল এখন গতি বেড়েছে। আমরা অর্থায়নের সমস্যাটা দূর করেছি।
পদ্মা সেতু নিংমাণের ফলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে: কাদের
আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি