জাপান
জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী হচ্ছে জাপান। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়া অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সচিবালয়ে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও দক্ষ নেগোসিয়েশনের সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টার্ডি গ্রুপ কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছে এখানে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী জাপান। জাপান-বাংলাদেশ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট(ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করছে জাপান।
এছাড়া বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার প্রথম সরকারি সফরে এসে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ সংক্রান্ত তৎপরতা চলমান দেখে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটাই তার প্রথম সফর এবং বর্তমান পরিস্থিতি তিনি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত
জাপানে শিনজো আবের হত্যায় ইয়ামাগামিকে অভিযুক্ত দেশটির আইনজীবীদের
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যায় তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে (৪২) অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। শুক্রবার বিচারের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারাতে একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলি লেগে মারা যান আবে। তাকে গুলি করার অভিযোগে অবিলম্বে তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ
এরপর ইয়ামাগামিকে প্রায় ছয় মাসের জন্য ওসাকার একটি মানসিক মূল্যায়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ইয়ামাগামি নারায় পুলিশ হেফাজতে ফিরে এসেছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইয়ামাগামির মানসিক মূল্যায়নের ফলাফলে জানা গেছে তিনি বিচারের উপযুক্ত।
এছাড়া নারা জেলা আদালতে ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন যে, একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কারণে তিনি আবেকে হত্যা করেন।
তার দেয়া বিবৃতিতে এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন, তিনি (আবে) বিদ্বেষ তৈরি করেছিলেন। যার কারণে তার মাকে ইউনিফিকেশন চার্চে অনেক বড় অংকের টাকা দিতে হয়। যার ফলে তার পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়; যা তার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
তার আইনজীবীদের একজন মাসাকি ফুরুকাওয়া বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ওসাকায় তার মানসিক মূল্যায়নের সময় ইয়ামাগামি সুস্থ ছিলেন। সেসময় কেবল তার বোন এবং তিনজন আইনজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়।
ফুরুয়া বলেছেন, মামলার জটিলতার কারণে তার বিচার শুরু হতে অন্তত কয়েক মাস সময় লাগবে।
পুলিশ ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে অস্ত্র উৎপাদন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন এবং ভবনগুলোর ক্ষতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।
তবে কিছু জাপানি ইয়ামাগামির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যারা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইউনিফিকেশন চার্চের অনুসারীদের সন্তান। অনুগামীদের বড় দান করার জন্য চাপ দেয়ার জন্য এটি পরিচিত এবং জাপানে এটি একটি ধর্ম বলে বিবেচিত হয়।
হাজার হাজার মানুষ ইয়ামাগামির লঘু শাস্তির জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনেকে তার আত্মীয়দের বা আটক কেন্দ্রে কেয়ার প্যাকেজ পাঠিয়েছে।
এই মামলার তদন্তের ফলে আবের শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গির্জার মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা নিবিড় সম্পর্কের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে।
কারণ আবের দাদা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি ১৯৬০-এর দশকে রক্ষণশীল ও বিরোধীদের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থের জন্য জাপানে এই চার্চের শিকড় বিস্তৃত করতে সাহায্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান
শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন মোদি
প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রতি জাপানি সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে ১৫ হাজার কি.মি. পাড়ি দিয়ে রোহান এখন হিলিতে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাপান তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী যা এক ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
এছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে দেশটি ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম আগামী ১২ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যা মানুষদের ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সরকার পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বাগত জানাবে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) এর সহযোগিতায় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজন
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উন্নীত করতে দেশটির সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মূল প্লাটফর্ম।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ এবং সারা বিশ্বের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শক্তিশালী ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়
জাপান ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক মতবিনিময় করেছে।
সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু এটি আমাদের প্রথম বৈঠক, তাই আমরা মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বঙ্গভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার প্রমাণপত্র পেশ করেন।
তিনি তার প্রমাণপত্র জমা দেয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমি ২০২২ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব শুরু করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। কেননা এ বছর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।’
বাংলাদেশে আসার আগে তিনি জেনেছেন যে, অনেক জাপানি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে ৫০ বছর ধরে এদেশের উন্নয়নে জড়িত এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগের (বিআইজি-বি) অধীনে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য অনেক মেগা প্রকল্প চলছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমি অনুভব করছি যে জাপানি ব্যবসায়িক মহলের পক্ষ থেকে এই দেশে ব্যবসা করতে আগ্রহীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি জাপানি কোম্পানিগুলোর কথা শুনে ও সমর্থন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি
রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২: কোস্টারিকার কাছে জাপানের হার, স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম
কোস্টারিকার কাছে জাপানের হারে স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম হয়েছে। কেশার ফুলার ৮১তম মিনিটে জাপানের বিপক্ষে গোল করে কোস্টারিকাকে ১-০ ব্যবধানে জয় এনে দেয়। বিশ্বকাপের গ্রুপ ই-তে দু’টি খেলার পর উভয় দলই তিন পয়েন্ট নিয়েছিল।
জাপান বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফুলার একটি রক্ষণাত্মক ত্রুটির সুযোগ নিয়েছিলেন এবং জাপানের গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার লাফানোর আঙুলের ঠিক ১৮ মিটার দূর থেকে জালে আঘাত করেন।
আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে রবিবারের ম্যাচটি কৌশলগত এবং অনেকটাই দুর্বল ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে গোলে একটি শটও দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভালো ছিল জাপানের চাপে ছিল কোস্টারিকা বিপর্যস্থ না হওয়া পর্যন্ত।
শেষ মিনিটে বেশ কয়েকটি আকস্মিক আক্রমণ রুখে দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কোস্টারিকার গোলকিপার কিলর নাভাস।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
গ্রুপ ‘ই’ তে স্পেনের সঙ্গে জাপানের একটি খেলা বাকি আছে। আর কোস্টারিকা তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে। জয়ের সঙ্গে জাপান তার উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মানিকে ২-১ গোলে বিপর্যস্ত করে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে পারত। কোস্টারিকা তার প্রথম খেলায় স্পেনের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল এবং টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল।
জাপান কর্নার শট এবং মাঠ দখলে রাখতে পেরেছিল কিন্তু জালে বল গড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে যা ইতোমধ্যে চারটি ০-০ ড্র দেখেছে। কৌশলগত অচলাবস্থায় কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে জাপানের একটি গোল করা রিতসু ডোয়ান, ডান দিক থেকে ক্রস কাটতে চেয়ে শুরুতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে হয়েছিল।
জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো দেখতে কোস্টারিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খেলোয়াড় সবসময় বাম দিকে তার গতি ব্যবহার করার চেষ্টা করে।
পুরো প্রথমার্ধের চেয়ে বিরতির পর প্রথম দুই মিনিটে বেশি অ্যাকশন ছিল।
হিডেমাসা মরিতা প্রথম মিনিটে নাভাসকে একটি ব্লিস্টারিং শটের মুখোমুখি হন এবং তাকুমা আসানো এক মিনিট পরে আরেকটি আক্রমন রুখে দিতে বাধ্য করেন।
জাপানের আক্রমণাত্মক খেলা সত্ত্বেও আগের রক্ষণাত্মক ত্রুটির জন্য দলটিকে মূল্য দিতে হয়েছিল। যা ড্র এবং একটি মূল্যবান পয়েন্টের দিকে এগিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল।
জাপানকে এবার সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গেল। এর আগে তিনবার নকআউট পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে প্রতিবারই হেরেছে রাউন্ড অফ ১৬ -এ। কোস্টারিকা ২০১৪ সালে ব্রাজিলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল।
জাপান বিশ্বকাপ নাও জিততে পারে, কিন্তু ম্যাচের পরে ভক্তদের এবং খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম পরিচ্ছন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে তারা বাহবা পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে জাপানের প্রথম অভিষেক হয়। এবার জাপানি দলের কর্মকর্তারা আরব, জাপানি এবং ইংরেজিতে ধন্যবাদ-সম্ভাষণসহ আট হাজার ট্র্যাশ ব্যাগ নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: মেসির গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাপান দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এই সফরের মাধ্যমে তা আরও গভীর হবে।’
মোমেন বলেন, জাপান বিস্তৃত সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী। আমরা একে অপরকে পছন্দ করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৯ নভেম্বর টোকিওর উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক নির্বাচন সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অবশ্যই কেউ তাকে এইভাবে অবহিত করেছে, তিনি যেভাবে শুনেছেন সেভাবে বলেছেন।
মোমেন বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) সাদাসিধাভাবে এ কথা বলেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন ভালো বন্ধু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এ বিপর্যয়ের গল্প একের পর এক রচিত হচ্ছে। কারণ জাপানের সামুরাই আর্মি গ্রুপ ই-তে প্রথম খেলায় জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে।
প্রথমার্ধে জার্মানি আধিপত্য বিস্তার করে বেশ কয়েকটি বল জাপানি গোলে নিক্ষেপ করে। ডেভিড রাউমকে গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার ফাউল জার্মানি তাদের পেনাল্টি দেয়। যা ইল্কে গুন্ডোগান আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রূপান্তরিত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকদের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য ছিল, কারণ জাপান প্রচণ্ডভাবে লড়াই করে এবং ৭৫তম মিনিটে বিকল্প রিতসু দোনের মাধ্যমে নিজেদেরকে সমতা এনে দেয়।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ: জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান
৮৩তম মিনিটে নিকো স্লোটারবেকের ভুলের পর সত্যিকার অনুশোচনার মধ্যে জার্মানি-ভিত্তিক টাকুমা আসানো জয়সূচক গোলটি করে জাপানকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেয়।
দৃঢ় রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্স এবং শুইচি গোন্ডার কিছু দুর্দান্ত গোলকিপিং নিশ্চিত করেছে জাপান গ্রুপ ই ওপেনারে তিন পয়েন্ট পায়।
মূল ভূমিকায় যারা-
ইল্কে গুন্দোগান: জার্মান গোলরক্ষক, গুন্ডোগানের বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল, যা জাপানি রক্ষণভাগ বাদ দিয়েছিল। ভুলগুলো তাকে বার বার পীড়িত করছিল।
জামাল মুসিয়ালা: উদীয়মান তারকা দুর্দান্ত ছিল এবং তার দুর্দান্ত পায়ের জাদুকরি খেলার মাধ্যমে ঝলক দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গুনফলের অভাব ছিল ।
তাকুমা আসানো: প্রাক্তন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড যখন বদলি খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এবং সামুরাই ব্লু-এর হয়ে জয়সূচক গোলটি শেষ করেছিলেন তখন খেলার চিত্র বদলে যায়।
হিরোকি সাকাই: অভিজ্ঞ ফুলব্যাক দুর্দান্তভাবে খেলেছে এবং ডান দিকে একটি হুমকি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তার দলের জন্য মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি।
শুইচি গোন্ডা: জাপানের এক নম্বর খেলোয়ার। তার শট-স্টপিংয়ের মাধ্যমে সংশোধন করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে খেলাটি জাপানের ইতিহাসের পক্ষে যাবে।
ফলাফল
গ্রুপ ই-তে জাপান শীর্ষে আছে। আর জার্মানি নীচে। কারণ স্পেন এবং কোস্টারিকা এখনও খেলতে পারেনি। জাপানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ই-তে জার্মানির প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২৮ নভেম্বর স্পেনের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে জার্মানি। আর ২৭ নভেম্বর জাপান খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: রোনালদোর গায়ে দেখা যাবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: গোলশূন্য ড্র ডেনমার্ক-তিউনিসিয়ার
নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’: বিএনপি
বাংলাদেশের গত সাধারণ নির্বাচনের সময় ‘রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি’ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ সত্য’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত (নির্বাচন সম্পর্কে)যা বলেছেন তা একেবারেই সত্য।
তিনি বলেন, সরকার এখন ভিয়েনা কনভেনশনের কথা বলছে যা কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য করতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
‘আপনারা(সরকার) যখন মানুষকে হত্যা করেন, তাদের গুম করেন, রাতে দিনের ভোট দেন এবং ভোট না দিয়ে নিজেকে সরকার ঘোষণা করেন, তখন ভিয়েনা কনভেনশন কোথায় দাঁড়ায়?’ -ফখরুল প্রশ্ন করেন।
এর আগে সোমবার, জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ -এর উদাহরণ সম্পর্কে শুনেছেন এবং কিছু পুলিশ আগের রাতে ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে’ – যা তিনি অন্য কোনো দেশে শোনেননি।
‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ কখনই পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান আশা করে যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে তা দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ খুলেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়... এই দিনে ও যুগে কেউ কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়ে খেয়াল খুশি মতো কিছু করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার বা উত্তর কোরিয়ার মতো ‘অবরুদ্ধ’ দেশ নয় যে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি (বাংলাদেশ) মোটামুটি একটি স্বাধীন দেশ। যারা আমাদের (উন্নয়ন) অংশীদার এবং যারা এখানে বিনিয়োগ করে এবং দেশকে আর্থিক সহায়তা দেয় তারা এটা (নির্বাচন) সম্পর্কে কথা বলতে পারে।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্ররোচিত করছে বলে সরকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এর মানে হচ্ছে, ‘বিএনপি দেশের জনগণের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেদিকে নজর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল