রাশিয়া
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এমভি আনকা স্কাই নামে ভ্যানুয়াটি পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে ৩৩৯ প্যাকেজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
এমভি আনকা স্কাই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনেভেয়ার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার অপারেশন (শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ এপ্রিল ৩৩৯ প্যাকেজের রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে এক হাজার ১৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এই পণ্য আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এই মালামাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিপোতে নেওয়া হবে।
জাহাজ থেকে এসব পণ্য খালাস করে আপাত বন্দরের জেটিতে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে এমভি আনকা সান নামে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। আর ২৫ এপ্রিল এমভি ইয়ামাল অরনাল নামে অপর একটি জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে।
তার আগে এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা নামে জাহাজ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। ধারাবাহিকভাবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়ছে।
এছাড়া আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়বে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
রাশিয়ার সংসদের বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।
বুধবার (১২ এপ্রিল ২০২৩) স্থানীয় সময় সকালে রাশিয়া আইনসভার নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত স্টেট ডুমার নব গঠিত বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের আমন্ত্রণে তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, খেলাধুলা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, তৈরি পোশাক শিল্প, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, কৃষি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট ভবন স্টেট ডুমায় অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী ও ষ্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভার নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ষ্টেট ডুমার আইন ও সংসদ বিষয়ক ডেপুটি চেয়ারম্যান মিসেস ইরিনা ভিক্টোরোভনা বেলিখ, ষ্টেট ডুমার সদস্য নিকোলাই রবার্টোভিচ বুডুয়েভ ও আলেক্সি সিটনিকভণের। এসময় রাষ্ট্রদূতকে সহায়তা করেন দূতাবাসের উপ-প্রধান ফয়সাল আহমদ ও কাউন্সেলর শুভাশিস সরদার।
বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আরও বিলম্বিত হতে পারত। সভায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত এলাকার বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে আলোচনা হয়। রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধিকসংখায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রেরণের সম্ভাবনার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে বাধা হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করার এবং এবিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। দুই দেশের সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সফর বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রথাগত ও অপ্রচলিত খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানের পাশাপশি আরও অনেক অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ ও রাশিয়া এক যোগে কাজ করবে বলে ষ্টেট ডুমার সদস্যরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ষ্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ অর্থনীতির প্রধানদের একটি বৈঠক কোনো ঐক্যমত্য ছাড়াই শেষ হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের বর্ণনার একটি চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়া এবং চীন আপত্তি জানিয়েছে।
শনিবার ভারতে ব্যাঙ্গালুরুতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভারত আয়োজিত জি-২০ এর বৈঠকটির সভাপতির সারসংক্ষেপ এবং একটি ফলাফলের নথিতে বলা হয় ইউক্রেনে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চুক্তি ছিল না। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বার্ষিকীর প্রথম দিন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাতটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশ শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে। ঠিক সেসময় জি-২০ গ্রুপের আলোচনা ভারতীয় প্রযুক্তি কেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন রাশিয়ান কর্মকর্তাদের অংশগ্রহনে একই অধিবেশনে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বেআইনি এবং অন্যায় যুদ্ধের’ নিন্দা একই সঙ্গে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য এবং মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার জন্য জি-২০ দেশগুলোকে আরও কিছু করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শেষ শীর্ষ জি-২০ বৈঠকে নেতারা যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে সংঘাত বিশ্বের অর্থনীতিতে ভঙ্গুরতাকে তীব্রতর করছে। এই গোষ্ঠীতে রাশিয়া এবং চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোও রয়েছে যাদের মস্কোর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য রয়েছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাংবাদিকদের বলেছেন যে বেঙ্গালুরু বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা বিবৃতিতে বালি ঘোষণার দুটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। তবে রাশিয়া এবং চীন তাদের মুছে ফেলার দাবি করে বলেছে যে তারা এবার চূড়ান্ত নথির অংশ হতে পারবে না।
সীতারামন বলেছিলেন, তাদের বিরোধ ছিল তারা তখনকার পরিস্থিতিতে বালি ঘোষণা অনুমোদন করেছিল। ‘এখন তারা এটা চায়নি।’ এর বেশি কিছু তিনি জানাননি।
বালি ঘোষণায় বলা হয়েছে যে ‘বেশিরভাগ সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে এটি বিশাল মানবিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে তুলছে। এরমধ্যে রয়েছে- প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করা, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি।’
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে ৭০ জনের বেশি সেনা হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে: ‘অন্যান্য মতামত এবং পরিস্থিতি এবং নিষেধাজ্ঞার বিভিন্ন মূল্যায়ন ছিল। জি-২০ নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের ফোরাম নয়, আমরা স্বীকার করি যে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি হতে পারে।’
ঘোষণার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলেছে, এখন রাশিয়া এবং চীনের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা অপরিহার্য যেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করে। ... পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি অগ্রহণযোগ্য। দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টা, সেইসঙ্গে কূটনীতি এবং সংলাপ অত্যাবশ্যক। এই সময় অবশ্যই যুদ্ধের নয়।’
সীতারামন বলেছিলেন যে রাশিয়া এবং চীনের আপত্তির কারণে বৈঠকটি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারেনি এবং একটি সারসংক্ষেপ এবং একটি ফলাফলের নথি বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করলো হংকংয়ের বেইজিং অফিস
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে গেলে দেশ আবারও চাঙ্গা হবে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বর্তমান সময় সংকটময় সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে কারণ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। তবে বাংলাদেশের এই অবস্থা থাকবে না। সারাবিশ্বের থেকে আমরা এখন পর্যন্ত অনেক ভালো আছি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে গেলে দেশ আবারও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাতে আওয়ামীলীগ সরকার আর না করতে পারে সে জন্য একটা বিরোধী শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। তারা দেশের শান্তি নষ্ট করতে চায়। এমনকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য প্রস্তুত থাকে তারা। এই দিকে আমাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন,,আগামী এক বছর পর জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা অশুভ শক্তি দেশে অনেক কিছু করার চেষ্টা করতে পারে। এই অশুভ শক্তি যাতে তাদের এই শক্তিটা প্রয়োগ করতে না পারে এই জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনপ্রতিনিধি ও দেশের সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। সে জন্য সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে, সবাইকে ভোট প্রয়োগ করতে হবে।
মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, নাদের বখত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
ইউক্রেনে যতদিন দরকার ততদিন সাহায্য করবে ন্যাটো
রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনীয়দের রক্ষা করতে যতদিন সময় লাগবে ততদিন ইউক্রেনকে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর ন্যাটো। একই সঙ্গে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে পশ্চিমাদের মতো একটি আধুনিক সেনাবাহিনীতে রূপান্তর করতে সহায়তা করবে।
শুক্রবার সামরিক জোটটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহে রোমানিয়ায় ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
সংগঠন হিসেবে ন্যাটো অস্ত্র সরবরাহ করে না উল্লেখ করে ইউক্রেনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এককভাবে বা দলগতভাবে দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ করেছেন স্টলটেনবার্গ।
তিনি বলেন, ‘যতদিন লাগবে ইউক্রেনের পাশে থাকবে ন্যাটো। আমরা পিছপা হবো না। বলেছেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ‘মিত্ররা অভূতপূর্ব সামরিক সহায়তা দিয়েছে এবং আমি আশা করি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অ-প্রাণঘাতী সমর্থন বাড়াতে সম্মত হবেন।’স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন যে ৩০ জাতির নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা জ্বালানি, জেনারেটর, চিকিৎসা সরবরাহ, শীতকালীন সরঞ্জাম এবং ড্রোন জ্যামিং ডিভাইস সরবরাহ করছে। তবে শীতকাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি প্রয়োজন হবে। বিশেষত রাশিয়া ইউক্রেনের শক্তি অবকাঠামোতে আক্রমণ করার কারণে।
তিনি বলেন, ‘বুখারেস্টে আমাদের বৈঠকে আমি আরও কিছু করার জন্য ডাকব।’ ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা ইউক্রেনকে সোভিয়েত যুগের সরঞ্জাম থেকে আধুনিক ন্যাটোর মান, মতবাদ এবং প্রশিক্ষণে রূপান্তর করতে সহায়তা করব।’
স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন যে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা তার দেশের সবচেয়ে চাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগ দেবেন, তবে ন্যাটো কী ধরনের দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদান করতে পারে। ন্যাটোর শীর্ষ বেসামরিক কর্মকর্তা বলেছেন যে সহায়তা ইউক্রেনকে একদিন জোটে যোগদানের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
বুখারেস্টে ২৯ ও ৩০ নভেম্বরের বৈঠকটি ন্যাটো প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে যে ইউক্রেন এবং জর্জিয়া একদিন এই সংস্থার সদস্য হবে। আর এই অঙ্গীকারটি রাশিয়াকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছিল।
বসনিয়া, জর্জিয়া এবং মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন - তিনটি অংশীদার যে ন্যাটো বলছে রাশিয়ার চাপ বাড়ছে৷
স্টলটেনবার্গ বলেন, 'বৈঠকটি দেখতে পাবে ন্যাটো `তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং তাদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেবে।‘
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১০ মাস আগে ন্যাটো প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছে ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু একটি বড় পারমাণবিক শক্তির সঙ্গে বৃহত্তর যুদ্ধে জড়ানো এড়াতে সতর্কতার সঙ্গে চেষ্টা করেছে ন্যাটো। তবে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যেতে ইউক্রেনের ওপর কোন চাপ দেননি স্টলটেনবার্গ। প্রকৃতপক্ষে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বলেছেন যে পুতিন আলোচনার টেবিলে আসতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ যুদ্ধই আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।’ তবে আলোচনার টেবিলে কী হবে তা নির্ভর করে যুদ্ধক্ষেত্রে কী ঘটবে তার ওপর।
অতএব, শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা বাড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হলো ইউক্রেনকে সহায়তা করা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বিলম্ব: মন্ত্রী
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
দেশে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও (পণ্য) আমদানি শুরু করেছি।’শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও (রাশিয়ার ওপর) নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সমস্যা রয়েছে, সরকার একটি বিকল্প (পরিশোধ) ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশের কাছে রয়েছে।
রিজার্ভ ইস্যুতে সরকারের সমালোচকদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
তিনি বলেন যে মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট ও অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণ সংগ্রহ করতে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর সরকারকে এখন উচ্চমূল্যে ভোজ্যতেল, গম ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (সরকার) ভোগ্যপণ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই রিজার্ভ কমেছে।
তিনি আরও বলেন যে এখন একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে ব্যাংকে টাকা নেই এবং গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গুজবের কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ঘরে টাকা রাখলে চোরের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তাই না?... এখন এটা মালিকদের ব্যাপার যে তারা এটা ব্যাংকে রাখবে নাকি চোরদের হাতে তুলে দেবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
রাশিয়াকে ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সংঘাত বন্ধে নিবেদিত। এজন্য তারা তাদের জরুরি বিশেষ অধিবেশন পুনরায় শুরু করতে মিলিত হয়েছিল।
প্রায় ৫০টি দেশ ধ্বংস, ক্ষয়ক্ষতি এবং আঘাতের জন্য ক্ষতিপূরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া গঠনের পাশাপাশি প্রমাণ এবং দাবি নথিভুক্ত করতে একটি রেজ্যুলেশন তৈরিতে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
সাধারণ পরিষদ হল জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা, যেটি ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত।
৯৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে ভোট দেয় এবং বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশ বিরত থাকে।
ভোট সকালে অনুষ্ঠিত হয়, এবং দেশগুলো তাদের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে বিকেলে ফিরে আসে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, জাতিসংঘের অর্ধেকের বেশি সদস্য পশ্চিমাদের দ্বারা প্রচারিত খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানায় দূতাবাস।
ভোটের আগে বক্তৃতায়, রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া খসড়া রেজ্যুলিউশনটিকে একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রের ‘একটি ক্লাসিক উদাহরণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। যা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নয়, বরং অবৈধ কিছুকে পবিত্র করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেছিলেন যে রেজল্যুশনের সমর্থনকারী দেশগুলো সাধারণ পরিষদকে একটি বিচারিক সংস্থা হিসাবে স্থাপন করার চেষ্টা করছে, যা জাতিসংঘের তথ্যানুসারে আসলে যা নয় এটি।
রাশিয়ান ভাষায় তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলো আইনের শাসনের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু একই সঙ্গে তারা এর খুব উপমাকে লঙ্ঘন করছে।’
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার আইনে বুধবার স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা আন্তর্জাতিক আইনের অমান্য করে সম্মিলিতকরণকে চূড়ান্ত করে।
এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করার চুক্তি অনুমোদন করে।
এর আগে ইউক্রেন থেকে দখল করা এই চার অঞ্চলে গণভোট আয়োজনের পর রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন পুতিন।
তবে রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ডকে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে।
পড়ুন: রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
রাশিয়া অধিকৃত ডনবাসে শ্রমিক পাঠাতে পারে উ. কোরিয়া
‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’:এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে মোদি
প্রায় সাতমাস ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের এই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বললেন, এখন ‘যুদ্ধের সময় নয়’।
শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও)শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে একথা বলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেতদনে জানিয়েছে,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই দুই নেতা প্রথমবার সমরখন্দে মুখোমুখি হলেন।
এসময় মোদি পুতিনকে বলেন, ‘আমি জানি আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয়।’
রাশিয়ার প্রধান মিত্র চীনের ইউক্রেনের সংকট নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকারোক্তির পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মন্তব্য করেন।
এসময় পুতিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিস্তারে বলেন যে তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে চান এবং তিনি ভারতের উদ্বেগকে স্বীকার করেছেন।
পড়ুন: পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন মোদিকে বলেন ‘আমি ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে আপনার অবস্থান ও আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে জানি... আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে, মোদি ও পুতিন দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আরোচনা করেছেন।
ইউক্রেন আক্রমণের জন্য ভারত রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানায়নি। সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের জন্য জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি।
স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়া-ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বেইজিংয়ের ‘উদ্বেগ’ রয়েছে বলে পুতিনের স্বীকার করা সত্ত্বেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার বলেছেন যে বেইজিং ‘একে অপরের মৌলিক স্বার্থ’ এগিয়ে নিতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
ঢাকা-মস্কো গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে: পুতিন
রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিতে থাকা রাশিয়ার মালিকানাধীন তিনটি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জার্মানি। শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে, আগামী বছর রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই এই নিয়ন্ত্রণ নেয়া হলো।
দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রোজনেফট ডাচল্যান্ড জিএমবিএইচ ও আরএন রিফাইনিং অ্যান্ড মার্কেটিং জিএমবিএইচ-কে জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এনার্জি’র প্রশাসনের অধীনে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ
ফলে এই সংস্থাটি দেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তিনটি রুশ তেল শোধনাগার যথা পিসিকে সেডেট, মিরো ও বেরিনঅয়েল- কোম্পানির শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, রোজনেফট রাশিয়া থেকে প্রতিমাসে কয়েকশ’ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। যার জার্মানির চাহিদার ১২ শতাংশ তেল পরিশোধনের ক্ষমতা রয়েছে।
এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আগামী ছয় মাসের জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
রোজনেফট আগেই বলেছে যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। যদিও আগামী ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তাদের ওপর ইউ’র দেয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পিসিকে সেডেট এর জন্য ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। যেখানে ১২ হাজার মানুষ কর্মরত এবং এটি বার্লিনসহ জার্মানির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করে থাকে।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া