খুলনা
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
খুলনায় আরও ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার তিনটি আসনের ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
তিনি জানান, এই তিন আসনে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষামাণ।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে সোমবার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
তিনি আরও জানান, এ তিনটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমাণ। ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলবার ছয়টি আসনে জমা দেওয়া ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র দুই দিন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের ফলাফল অপেক্ষমাণ।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) (খুলনা- ৪, ৫ ও ৬) তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ফলে দুই দিনের যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার ছয়টি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-১ আসনের তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান; সমর্থনকারীদের জাল সই এবং প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি অপেক্ষমাণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অবরোধের প্রথম দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, নগরীতে স্বাভাবিক
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারী ভোটারদের সই জাল করা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা, হলফনামায় সই না থাকা এবং ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন— খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও জাতীয় পার্টির শাহীদ আলম।
খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, অহিদুজ্জামান মোড়ল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, রবিবার খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এই তিনটি আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের বাতিল, একজনের অপেক্ষমাণ এবং ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার খুলনা- ১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
খুলনার কয়রায় পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনার কয়রায় সরকারি পুকুর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ইসলামপুর সরকারি পুকুরের ইজারাদার মোশারফ হোসেন লাশটি ভাসতে দেখেন। পরে কয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাগর সাহা (৩০) পাইকাছা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের শংঙ্কর সাহার ছেলে এবং ইউনিলিভার কোম্পানির একজন কর্মী।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সুরতহাল শেষে খুলনা মেডিকেল কলে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
খুলনায় কাতার এয়ারওয়েজের স্টাফ বাসে আগুন
খুলনা নগরীতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি স্টাফ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় সোনাডাঙ্গা এম এ বারী সড়কে মোংলা ইপিজেডের একটি বাসে ঘটনাটি ঘটে।
খুলনা ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুনে বাসের বেশকিছু আসন পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
স্থানীয়রা জানান, কাতার এয়ারওয়েজ নামের বাসটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ বাসটিতে আগুন দেখতে পেয়ে সবাই এগিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খুলনা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: বিমানের স্টাফ বাসে আগুন: আহত কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা
খুলনায় তুলা-লেপ-তোষকের দোকানে অগ্নিকাণ্ড
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে তুলা-লেপ-তোষকের দোকানসহ তিনটি দোকান পুড়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মহানগরীর দৌলতপুর মহসিন মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও স্থানীয় লোকজন আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৬টার দিকে নগরীর দৌলতপুর মোহসীন মোড় এলাকায় অবস্থিত একটি তুলা-লেপ-তোষকের দোকানের পেছন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনটি দোকানে।
এরমধ্যে দুটি তুলা-লোপ-তোষকের দোকান এবং একটি টায়ারের দোকান ছিল। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, আমাদের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে তিনটি দোকান পুড়েছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ৩৭ ঘণ্টায় ১৫টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মনোনয়ন না পাওয়ায় খুলনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান মনোনয়ন না পাওয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে যুবদল কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আটক ১০
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা-যশোর মহাসড়কের রেলগেটে প্রতিমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তারা।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তারা নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। এসময় সড়কের দুই পাশে প্রচুর সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া: পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৩
মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিরোধী দল বিএনপিকে নেতৃত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানে যে তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই। তারা মুণ্ডুহীন দল মাত্র। একজন পলাতক, আরেকজন কারাগারে রয়েছে। ওই দল কোনো নির্বাচন করতে চায় না। তারা শুধু একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন এবং ভোটের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জানে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল।
তিনি আবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, যে হাত যানবাহনে আগুন দেয়, সেই হাত একই আগুনে পুড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের একটি উচিৎ শিক্ষা দিন, যাতে কেউ আর দেশের কারো ক্ষতি করার সাহস না পায়। এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।’
তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে; দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের কল্যাণ হয়।
তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক, বিএনপি সন্ত্রাসের সমার্থক। বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র কাজ অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা নির্দয়ভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ৪৫জন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে এবং তাদের কর্মসূচি কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর মতো হাসপাতাল আক্রমণ করেছে। তারা অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করে। আমি মনে করি না তাদের একটুও মানবতা আছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ হত্যা করাই বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে আমরা ছাড় দেব না।
তিনি বলেন, ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাংলাদেশকে ব্যাপক উন্নয়ন করতে সাহায্য করছে, যা সবার কাছে দৃশ্যমান।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলকে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে তার দলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং দলের নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
খুলনায় একদিনের সফরে ২ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো: গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ অফিসের সংস্কার ও আধুনিকায়ন, খুলনা বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিসের ১০ তলা ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণকাজ (সিভিল, স্যানিটারি ও ইলেকট্রিক্যাল) এবং দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৪ তলা বয়েজ হোস্টেল নির্মাণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যান্য ১১টি প্রকল্প হলো: ৫তলা বিশিষ্ট ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি মহিলা কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, নজরুল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আগর ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, পাইকগাছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক খালিশপুর বিআইডিসি সড়কের ড্রেন, ফুটপাথ, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়াডাঙ্গা বাজার-মুগুর খালি ইউপি অফিস সড়কে ভদ্রা নদীর উপর সেতু (৩১৫.৩০ মিটার), সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের শেখেরটেক ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কর্তৃক নবনির্মিত ৬ তলা খুলনা আঞ্চলিক অফিস।
কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, ইইডির দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক ও ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বিআইডব্লিউটিএ’র সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় রাজা বোহ্যংতো রায়ের স্মৃতিসৌধ এবং এলজিইডির কুরুলিয়া নদী সেতু (৭৪৮.৯০ মিটার)।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য নতুন ফেরি চালু
আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ।
সমাবেশকে ঘিরে খুলনা জুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে। মহাসমাবেশের জন্য নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরিসহ ওপরে প্রতীকী পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রূপসা ঘাটে পাঁচটি ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিন পর কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চলাচল শুরু
শুধু রূপসা ঘাটেই নয়, জেলখানা ঘাটে তিনটি ও নগরঘাটে দুটি ফেরি চলাচল করবে। সবমিলিয়ে খুলনার তিনটি ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচল করবে আজ।
খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজ (ফেরি বিভাগ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম শেখ জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নির্বিঘ্নে দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য আমরা নদীপথে আগের চারটি ফেরির সঙ্গে আরও ছয়টি নতুন ফেরি যুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
প্রধানমন্ত্রীকে আগামীকাল স্বাগত জানাতে প্রস্তুত খুলনা
আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে খুলনা শহরের সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেখানে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল খুলনাসার্কিট হাউজ মাঠে ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষে নগরী উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অনুষ্ঠানের জন্য ৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৪০ মিটার চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে স্বাগত জানাতে দুই শতাধিক তোরণ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকালের অনুষ্ঠান সফল করতে তারা বেশ কয়েকটি সভা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ কয়েকবার প্রস্তুতি রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীরা অনলাইন ও অফলাইন প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে জনসভায় যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এরই মধ্যে খুলনা বিভাগ জুড়ে জনসভার পক্ষে মিছিল বের করেছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ইউএনবিকে বলেন, সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের নারী কর্মীরা অবস্থান করবেন এবং পুরুষরা মাঠের চারপাশে রাস্তায় থাকবেন।
তিনি বলেন, এছাড়া নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ী, জেলখানা ঘাট, সদর থানা মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মহসিন রোডে সাউন্ড সিস্টেম চালু থাকবে।
মেয়র বলেন, শিববাড়ী মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্পটে এলইডি মনিটরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রদর্শিত হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ১০ লাখ মানুষের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
কমিশনার আরও বলেন, সার্কিট হাউস মাঠ ও তার আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং পুরো শহরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী