খুলনা
কক্সবাজারে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের ঝাউবাগানে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের সেতুর পাশে হাঁটার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম রব্বানি টিপু খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গোলাম রব্বানি সিগাল হোটেলের সামনে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের তৈরি সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে তার মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজিবাইক (টমটম) চালক আবদুস সালাম জানান, তিনি সিগাল হোটেলের দিকে ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে বালুতে পড়ে আছেন। দ্রুত তিনি তাকে নিজের টমটমে তুলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোলাম রব্বানি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সৈকতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
২৪ হাজারের বেশি ভোটার বেড়েছে খুলনায়
খুলনায় চলতি বছরে ২৪ হাজার ৮৬০ জন ভোটার বেড়েছে। সম্প্রতি হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকা অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৫৮ হাজার ২৯৩ জন। খুলনায় মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৭ জন ও নারী ভোটার ১০ লাখ ২৪ হাজার ৮২৭ জন। এছাড়া ১৯ জন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
এর আগে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী খুলনা জেলায় মোট ভোটার ছিল ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ জন ও নারী ছিল ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫২ জন। ওই তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭ জন।
হালনাগাদ ভোটার তালিকায় জেলার ১৩টি উপজেলা ও থানার মধ্য সবচেয়ে বেশি ভোটার বেড়েছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। সেখানে পুরুষ ও নারী ভোটার মিলে বেড়েছে ৩ হাজার ৮১ জন। বর্তমানে ডুমুরিয়ার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের লক্ষ্য: সিইসি
খুলনা সদর থানায় নারী পুরুষ মিলে ২ হাজার ২৫৩ জন বেড়ে মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৩২৬ জন। কয়রা উপজেলায়ও নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষ ভোটার কিছুটা বেড়েছে।
প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ২ হাজার ১৯২ জন বেড়ে মোট ভোটার তালিকা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৩ জনে।
এছাড়া সোনাডাঙ্গা থানায় ১ হাজার ৭১৪ জন বেড়ে মোট ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৪০ জন। খালিশপুর থানায় ১ হাজার ৫৬৩ জন বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৫ জন।
ফুলতলায় এক হাজার ৫৭৫ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ১১৭ জনে। পাইকগাছায় বেড়েছে দুই হাজার ১৯১ জন। মোট ভোটার এখন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬২ জন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২ হাজার ৭৩ জন বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৬১০ জন।
দাকোপে এক হাজার ৫৬১ জন বেড়ে এখন মোট ভোটার এক লাখ ৩৬ হাজার ২৪৪ জন। রুপসা উপজেলায় দুই হাজার ২৪ জন বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৩৮০ জন। তেরখাদায় ১ হাজার ৭০০ জন বেড়ে মোট ভোটার এক লাখ ৭ হাজার ৩২৪ জন।
দিঘলিয়ায় ১ হাজার ৭৪০ জন বেড়ে মোট ভোটার ১ লাথ ৩২ হাজার ৩১০ জন। দৌলতপুরে ১ হাজার ১৯৩ নতুন ভোটার যুক্ত হয়ে মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৫২৭ জনে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, খসড়া ভোটার তালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশের পর পরই ইসির মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কোনো দাবি, আপত্তি ও সংশোধন থাকলে সংশ্লিষ্ঠ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটবঞ্চনার দুঃখ ঘোচানোর অঙ্গীকার সিইসির
আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য জমা দেওয়া আবেদন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে। পরে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ২ মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কাজ চলবে। পাশাপাশি ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের চিন্তা চলছে। তবে এ বিষয়ে কমিশন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজির আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের চলবে।’
২ সপ্তাহ আগে
খুলনায় সবজির দাম কমলেও অন্যান্য পণ্যের দাম লাগামহীন
শীতের কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর খুলনা নগরীতে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। তবে মুরগি ও গরুর মাংস, চাল, ডাল, তেল ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) খুলনা শহর ও আশপাশের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তর দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও কারসাজির কারণে কমছে না ভোজ্যতেল, মুরগি ও গরুর মাংস, চাল, ডাল, তেল, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চাল ও মুরগির দাম। এসবের ফলে কৌশলে পকেট কাটা যাচ্ছে ভোক্তাদের, এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষ।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, নগরীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫৪ টাক টাকা, আটাশ বালাম ৬৫ টাকা, ভালো মানের মিনিকেট ৭৫ টাকা, নিম্নমানের মিনিকেট ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, কালিজিরা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অথচ দেড় মাস আগে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, আটাশ বালাম ৬৫ টাকা, ভালো মানের মিনিকেট ৭০ টাকা, নিম্নমানের মিনিকেট ৬০ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, কালিজিরা ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ চালের দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় টাকা।
এদিকে, মুরগির বাজারে যেন আগুন ঝরছে। নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা, কক মুরগি ৩২০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকায় অ্যাপ্রোচ রোডের কেসিসি সুপার মার্কেট, ময়লাপোতা সংলগ্ন কেসিসি সন্ধ্যা বাজার এলাকায় খোঁজখবর নিলে এমন চিত্র উঠে আসে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির মূল্য নিম্ন-মধ্য আয়ের ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
গরুর মাংসের দামও কোনোভাবেই কমছে না। নগরীসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭ শ’ টাকা দরে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কয়েক বছর ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়ে আসছে চড়া মূল্যে। ফলে নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে গরুর মাংস কেনা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করলেও মাংসের দোকানে তেমন কোনো অভিযান পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
এদিকে, ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে আরও এক দফা। বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকায়। যা এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। খোলা সয়াবিন তেলেও দামও চড়া। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। বাজারে সুপার পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ থেকে ১৭৯ টাকা দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগে বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৮৬০ টাকায়, আর এক লিটারের বোতল বিক্রি হয় ১৭২ টাকায়। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয় ১৯০ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল প্রতি লিটার ছিল ১৮০ টাকা।
তবে কয়েখ মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে মশুর ডালের দাম। শনিবার খুচরা বাজারাগুলোতে প্রতি কেজি চিকন মশুর ডাল ১৪০ টাকা ও মোটা ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া, স্বস্তি নেমেছে চিনির দামে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সাদা (ফ্রেশ) চিনি ১২৫ টাকা, লাল চিনি (প্যাকেটজাত) ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি সাদা (ফ্রেশ) চিনি ১৪০ টাকা ও লাল চিনি (প্যাকেটজাত) ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
তবে ডিমের দাম এখনও কমেনি। নগরীসহ গ্রামাঞ্চলে ব্রয়লার মুরগির লাল ডিমের হালি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা ও সাদা ডিম ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া, শীতের শুরুতেই কমতে শুরু করেছে আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম। অল্প দামেই কেনা যাচ্ছে সব ধরনের সবজি।
নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৬০ টাকা, পুরনো আলু ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চীনা রসুন ২২০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা, কাঁচামরিচ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরনো আলু ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চীনা রসুন ২২০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
কেসিসি সুপার মার্কেটের আপন পোল্ট্রি ফার্মের পরিচালক মো. রিপন হাওলাদার বলেন, ‘সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। তবে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও গরুর মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে কমছে না।’
কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সবজির দাম কমে গেলেও অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো প্রয়োজন।’
যেসব পণ্যের দাম কমছে না সেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে
খুলনায় আগুনে পুড়ল ৩ পোশাকের দোকান
নগরীর খালিশপুরে আগুনে পুড়ে গেছে তিনটি পোশাকের দোকান। এতে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে খালিশপুর বিআইডিসি সড়ক পাওয়ার হাউজ মোড়ের বিপরিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গোডাউনের আগুনে পুড়ল কোটি টাকার মালামাল
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, তার দোকানের নাম জ্যোতি ফ্যাশন। তিনি প্রতিদিনের মতো ওই দিন রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। রাত ২টার দিকে নিরাপত্তা প্রহরী মোবাইলে জানান তার দোকানে আগুন লেগেছে। তিনি ছুটে এসে দেখেন এলাকাবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা করছে। এ সময় তারা ৯৯৯ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি এসে আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি খালিশপুর থানায় জিডি করেছেন বলে জানান।
খালিশপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আগুনে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কম্বলে আগুন লেগে নারীর মৃত্যু
১ মাস আগে
খুলনায় ভারতীয় দূতাবাসে কঠোর নিরাপত্তা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনার পর খুলনার সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত থেকে খুলনায় ভারতীয় দূতাবাস এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ।
ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে ভারতীয় দূতাবাসগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ও এর আশপাশে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে দেখা গেছে, খুলনার শামসুর রহমান সড়কে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
১ মাস আগে
খুলনায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
খুলনার তেরোখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের খড়বাড়িয়া গ্রামের খাদিজাতুল কোবরা (রা) মহিলা দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদরাসার শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার ক্লাস নেওয়ার সময় বিভিন্ন অযুহাতে ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ব্যবসায়ী সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করলে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ওই ঘটনার কথা খুলে বলে।
প্রতিবেশীরা আলাউদ্দিন শিকদার সম্পর্কে জানান, পূর্বেও ওই শিক্ষক একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন। মাদরাসার এক ছাত্রীকে বিয়ে করে তিন বছর পর তালাক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু ও হামাসের নিহত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২ মাস আগে
খুলনার দুঃখ বিল ডাকাতিয়া, জীবন-জীবিকার ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও আড়ংঘাটার বিল ডাকাতিয়ায় জলাবদ্ধতায় প্রায় দুই মাস ধরে পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ।
আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টির পানিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বিল ডাকাতিয়ায়। এতে পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন এলাকাবাসী। উপরন্তু বিভিন্ন চর্ম ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয়রা জনান, একজন মানুষ মারা গেলে তাকে যে মাটি দেবে, তার কোনো জায়গা নেই এ অঞ্চলের মানুষের।
খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, আড়ংঘাটা এবং যশোর জেলার অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলা এলাকায় বিল ডাকাতিয়ার বিস্তৃতি। ৩০ হাজার একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে এই এলাকায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
প্রবল বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে প্রায় দুই মাস ধরে তলিয়ে আছে বিলের জমি। মাছ চাষিদেরও বিপাকে পড়তে হয়েছে। নদীতে পলি জমাট এবং অতিবৃষ্টিই এর মূল কারণ। এজন্য ফসল নষ্ট, আয়ের পথ বন্ধের পাশাপাশি চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এ এলাকায়। পরিস্থিতি এমন যে, বিল ডাকাতিয়া এখন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধানের দাবি এখানকার পানিবন্দি প্রায় ১৫ লাখ মানুষের।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, এ বছর বিল ডাকাতিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি। আমরা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহের জন্য সম্ভবত ১-২ সপ্তাহ সময় নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
প্রয়োজনে আমরা ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে আমাদের সঙ্গে কাজ করব এবং তারপর জেলা প্রশাসনের কাছে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করব।’
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি ও খুলনা-৫ আসনের (ফুলহাটলা ও ডুমুরিয়া) সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বলেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সমাধান খুঁজতে আগ্রহী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন পরিকল্পনা করছি।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ কোর্স বা অতিরিক্ত সেবনে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি
২ মাস আগে
খুলনায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২
খুলনায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে আরও দুইজন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর লবণচরা থানার হরিণটানা গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক মোংলা উপজেলার সানবান্দা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মিরাজ মোয়াজ্জেম ও ইজিবাইক চালক বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগারভিটা এলাকার হানিফ হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ রাব্বি হাওলাদার।
লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাব্বি হাওলাদার বাগমারা পার হয়ে হরিণটানা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কে উঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক মিরাজ মোয়াজ্জেমের মৃত্যু হয়। ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাব্বি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মাস আগে
খুলনার বাজারে শীতকালীন সবজি আসলেও দামে নাগাল পাচ্ছে না ক্রেতারা
শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে খুলনা মহানগরীসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি।
মাঝে মধ্যে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অতিরিক্ত মূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে ফেলেছে বেকায়দায়। তাই চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সদর চাঁদখালী বাঁকা কপিলমুনিসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দোকানির ওপরে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শীতের শুরুতেই বাজারে সকল ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। যা নাগালের বাইরে।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা বলেন, ‘সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। আগে যে টাকায় সকল কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে বাঁচব।’
এছাড়া সকল জায়গায় ভোগান্তি, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না বলে জানান বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
দামের বিষয়ে চাঁদখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারের ৭ থেকে ৮ ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই এবং বাকি সকল সবজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে হবে বলে জানান তিনি।
সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বাজারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া।
তবে আমরা মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো তদারকি করা হয় তবে দামটা অনেকটাই কমবে। তবে পুরোপুরি শীত চলে আসলে নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে, তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জে শীতকালীন পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত কৃষক
২ মাস আগে
খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে আপন দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত শিশুরা হলো- রুপসা উপজেলার শ্রীফলতলা চন্দন শ্রী এলাকার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুদ রানার মেয়ে ইরানী (৫) ও ছেলে মো. আব্দুল গনি (৪)। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতদের বাবা মাসুদ রানার স্থানীয় বাজারে মুদি দোকান রয়েছে ও মা নার্গিস বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। ওই দম্পতির মাছুরা নামে ৮ বছর বয়সি আরেকটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিবি সদস্যদের উপর হামলা, আহত ৩
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে মাসুদ রানা কিছু ফল কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে দুই শিশু খাবার খাওয়ার পর ফলগুলো খায়। কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রথমে তাদের খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যদি কেউ অভিযোগ দায়ের করেন, তবে তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বর্ণের বারসহ যুবক গ্রেপ্তার
২ মাস আগে