সংরক্ষণ
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার মাধ্যমে সারাদেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’- প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রী ও সদস্যরা, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধার করা মহাবিপন্ন হাতির চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গণ্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সম্বর হরিণ, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি জানান, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য এক লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়য়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
চামড়া ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।
অপর ব্যবসায়ী মো. আবু মুসা বলেন, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. আজিজুলও জানান, তিনি ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর বলেন, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত মূল্য ট্যানারি মালিকরা তাদের প্রদান করলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। আর যদি না দেয় তাহলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন। কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট না থাকায় খুলনায় ফুটপাতে, সড়কের ওপরই চামড়া কিনতে হয়।
তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কয়েকজন সারা বছর জবাই হওয়া গরু-ছাগলের চামড়া কিনে নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় তাদের গোডাউনে নিয়ে লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে ঈদের ৩ দিন সড়কের উপরেই সব কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যের একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
সুতরাং ধাপে-ধাপে, পর্যায়ক্রমে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করব। যাতে করে বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন নেতার মাজার সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা তার অন্যতম লক্ষ্য জানিয়ে মেয়র বলেন, নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয় বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, তারই একটি শুভ সূচনা আজকে আমরা করতে পারছি। এই ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক যেটা রমনা ফটক নামেও পরিচিত ছিল একসময়, তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের চিত্র যদি আপনারা দেখেন, এই ফটকই ছিল ঢাকার মূল প্রবেশদ্বার।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আসার পরেই এই প্রবেশদ্বার দিয়েই সকলে ঢাকায় প্রবেশ করতো এবং এই ফটকের চারিপাশে হাতি দ্বারা পাহারারত অবস্থায় থাকতো। এরকম চিত্রও আমরা দেখেছি। আমরা সেই ইতিহাস ও ঐতিহাসিক চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
স্বামী বিবেকানন্দ অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন: মেয়র তাপস
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
রবিবার (২৬ মার্চ) মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে ‘এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং মুক্তির সবুজায়ন’- শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গাটা নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি করপোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি।
এখন এ এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু।
তিনি বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
এদিকে মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে।
তাই নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
বরিশালের হিজলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলার শিকার হয় পুলিশসহ ২০ জন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা জানান, জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরও তিনশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, বেআইনিভবে জনতার ওপর হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার পর নামধারী ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ট্রলার ও একশ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজের নেতৃত্বে ১৬ পুলিশ সদস্যসহ মোট ২০ জনের একটি দল ভোর ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে খালিশপুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে ইলিশ শিকাররত জেলেদের কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা করা হয়। জেলেরা বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে দলের সকলকে আহত করে। এরমধ্যে কনস্টেবল মাহফুজ বেশি আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন,পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। তখন জেলেরা পালিয়ে যায়। এ সময় তদের ধাওয়া করে একটি ট্রলার ও জালসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌ র্যালি
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে র্যালির সঙ্গে পথ সভা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, নদী আমার, মাছ আমার, এটার ব্যবস্থাপনাও আমার। সচেতন হলে চাঁদপুরের ইলিশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, এ ২২দিন মেঘনা পদ্মায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ।ডিসি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে যারা নদীতে মাছ শিকার করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। মা ইলিশের সময় গত বছর ২০ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হয়েছিল। আর এ বছর ২৫ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহুর্তে বাজারে ইলিশ কেনাবেচার ধুম
ডিসি আরও বলেন, নদীতে কোন জেলেকে মাছ ধরা অবস্থায় পাওয়া গেলে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাইনা কোন জেলে বা তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাইমচর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস।সংক্ষিপ্ত পথ সভা শেষে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনায় নৌ র্যালি বের হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণের তথ্য জানাতে আইজিপিকে নির্দেশ
জব্দকৃত মালামাল থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে বা কীভাবে রাখা হয়েছে হয়েছে মঙ্গলবার তার বিস্তারিত প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথ সংরক্ষণ না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে ২৮ আগস্ট থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। একটা ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
রাজশাহী সিটির ৯৫২ পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকার ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজশাহী শহরে যেন আর কোনো পুকুর দখল ও ভরাট না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি’র) এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ আদেশ বাস্তবায়নে রাসিক মেয়র, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্য এক আদেশে রাজশাহী শহরের পুকুরগুলো যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তা নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে। এছাড়া মামলাটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এইচআরপিবি’র প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট তখন রুল জারির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো পুকুর আছে, তা জানতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন।
রুলে রাজশাহী মহানগরে (রাসিকের) ভেতরে পুকুর ভরাট বন্ধে এবং সেগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর ওই আদেশ অনুযায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তাতে দেখা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৫২টি পুকুর রয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্লট করে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত দীঘি ভরাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সব পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করি। সম্পূরক আবেদন ও রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন
মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ জাটকা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এ উপলক্ষে লৌহজংয়ের পদ্মা তীরে আয়োজিত আলোচনা শেষে পদ্মায় বর্ণাঢ্য নৌর্যালি বের হয়। এতে অংশ নেয়া নৌ যানগুলোতে ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’ স্লোগানসহ নানা সচেতনতামূলক বাণী স্থান পায়।
এ সময় সংসদ সদস্য, মৎস্য সচিব, নৌ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, জেলে সম্প্রাদায়সহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
অংশগ্রহণকারীরা পদ্মাসহ দেশের সকল স্থানে জাটকা সংরক্ষণে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
তারা বলেন,আজকের জাটকা আগামী দিনের ইলিশ। তাই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। জিডিপির এক শতাংশের আয় আসে ইলিশ সম্পদ থেকে।
গত এক বছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। আয়োজকরা বলছে ইলিশের প্রসার বাড়াতেই এই নৌ র্যালি। পদ্মার বুকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশ সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী