সংরক্ষণ
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
রবিবার (২৬ মার্চ) মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে ‘এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং মুক্তির সবুজায়ন’- শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গাটা নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি করপোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি।
এখন এ এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু।
তিনি বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
এদিকে মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে।
তাই নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
বরিশালের হিজলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলার শিকার হয় পুলিশসহ ২০ জন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা জানান, জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরও তিনশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, বেআইনিভবে জনতার ওপর হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার পর নামধারী ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ট্রলার ও একশ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজের নেতৃত্বে ১৬ পুলিশ সদস্যসহ মোট ২০ জনের একটি দল ভোর ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে খালিশপুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে ইলিশ শিকাররত জেলেদের কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা করা হয়। জেলেরা বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে দলের সকলকে আহত করে। এরমধ্যে কনস্টেবল মাহফুজ বেশি আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন,পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। তখন জেলেরা পালিয়ে যায়। এ সময় তদের ধাওয়া করে একটি ট্রলার ও জালসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌ র্যালি
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে র্যালির সঙ্গে পথ সভা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, নদী আমার, মাছ আমার, এটার ব্যবস্থাপনাও আমার। সচেতন হলে চাঁদপুরের ইলিশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, এ ২২দিন মেঘনা পদ্মায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ।ডিসি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে যারা নদীতে মাছ শিকার করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। মা ইলিশের সময় গত বছর ২০ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হয়েছিল। আর এ বছর ২৫ কেজি করে কার্ডধারীদের চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহুর্তে বাজারে ইলিশ কেনাবেচার ধুম
ডিসি আরও বলেন, নদীতে কোন জেলেকে মাছ ধরা অবস্থায় পাওয়া গেলে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাইনা কোন জেলে বা তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাইমচর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস।সংক্ষিপ্ত পথ সভা শেষে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনায় নৌ র্যালি বের হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণের তথ্য জানাতে আইজিপিকে নির্দেশ
জব্দকৃত মালামাল থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে বা কীভাবে রাখা হয়েছে হয়েছে মঙ্গলবার তার বিস্তারিত প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথ সংরক্ষণ না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে ২৮ আগস্ট থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। একটা ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
রাজশাহী সিটির ৯৫২ পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকার ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজশাহী শহরে যেন আর কোনো পুকুর দখল ও ভরাট না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি’র) এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ আদেশ বাস্তবায়নে রাসিক মেয়র, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্য এক আদেশে রাজশাহী শহরের পুকুরগুলো যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তা নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে। এছাড়া মামলাটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এইচআরপিবি’র প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট তখন রুল জারির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো পুকুর আছে, তা জানতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন।
রুলে রাজশাহী মহানগরে (রাসিকের) ভেতরে পুকুর ভরাট বন্ধে এবং সেগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর ওই আদেশ অনুযায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তাতে দেখা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৫২টি পুকুর রয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্লট করে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত দীঘি ভরাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সব পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করি। সম্পূরক আবেদন ও রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন
মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ জাটকা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এ উপলক্ষে লৌহজংয়ের পদ্মা তীরে আয়োজিত আলোচনা শেষে পদ্মায় বর্ণাঢ্য নৌর্যালি বের হয়। এতে অংশ নেয়া নৌ যানগুলোতে ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’ স্লোগানসহ নানা সচেতনতামূলক বাণী স্থান পায়।
এ সময় সংসদ সদস্য, মৎস্য সচিব, নৌ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, জেলে সম্প্রাদায়সহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
অংশগ্রহণকারীরা পদ্মাসহ দেশের সকল স্থানে জাটকা সংরক্ষণে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
তারা বলেন,আজকের জাটকা আগামী দিনের ইলিশ। তাই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। জিডিপির এক শতাংশের আয় আসে ইলিশ সম্পদ থেকে।
গত এক বছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। আয়োজকরা বলছে ইলিশের প্রসার বাড়াতেই এই নৌ র্যালি। পদ্মার বুকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশ সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার চট্টগ্রাম ওয়াসার নবনির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-২ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেভাবেই হোক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে এবং বর্ষায় নদীর পানি সংরক্ষণ করতে হবে যাতে আমরা পানির সঠিক ব্যবহার করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (পর্যায়-২) এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত পানি শোধনাগার চালুর ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক পানি সরবরাহ ক্ষমতা এখন১৪ দশমিক ৩০ কোটি লিটার বেড়ে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও বর্ষাকালে নদীর পানি সংরক্ষণের জন্য যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে পানির সংরক্ষণাগার রাখতে হবে, তা আবাসন বা শিল্প যাই হোক না কেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢামেক হাসপাতালে লাশ সংরক্ষণে নতুন হিমাগার ইউনিট স্থাপন
গণমৃত্যুর ঘটনাসমূহের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তার অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে লাশ সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার ইউনিট প্রদান করেছে আর্ন্তজাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)।
এ হিমাগার ইউনিট কম তাপমাত্রায় নিরাপদে লাশগুলোকে সংরক্ষণের সক্ষমতা বাড়াবে, যা হাসপাতালের উপর চাপ কমাবে এবং লাশের মর্যাদা রক্ষা করবে এমনটাই আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকক্ষের।
আরও পড়ুন: কুমুদিনী হাসপাতালের জন্য ভারতের অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
জরুরী অবস্থা এবং সংকটকালীন পরিস্থিতি যেমন, চলমান মহামারী মোকাবেলায় লাশের যথাযথ ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৃত ব্যক্তির মর্যাদা সংরক্ষণ তার পরিবারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাজনিত কোন ভুলের কারণে মানুষ যেন নিখোঁজ না হয়ে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও সহায়তা করে।
এই হিমাগারের গুরুত্ব ব্যাখা করে আইসিআরসি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জেনি হিউজ বলেন,‘দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থার সময়, অবকাঠামোগুলো বাড়তি চাপে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। বর্তমান মহামারি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরেছে গণমৃত্যুর ঘটনা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সক্ষমতা আরও বাড়াতে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে নিহতরা নিখোঁজ না হয়, মৃতদের অব্যবস্থাপনার শিকার হতে না হয়, শোকগ্রস্ত পরিবারগুলো যেন যথাযথ সম্মান পান এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যেন অযৌক্তিক ঝুঁকিতে রাখা না হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
গণমৃত্যুর ঘটনাগুলোর পর নিহতদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রাথমিক স্থান হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পাশাপাশি দাফনের জন্য দাতব্য সংস্থাগুলোকে হস্তান্তরের আগে অজ্ঞাত মৃতদেহগুলো সংরক্ষণ করা হয় এখানে। যদিও ঢামেকে লাশ সংরক্ষণের বর্তমান সুবিধাগুলো বাড়তি চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। আইসিআরসির করা সম্প্রসারিত হিমাগারটি লাশ সংরক্ষণে হাসপাতাল এবং মর্গের উপর বাড়তি চাপ কমাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুড়ে প্রথম সাড়াপ্রদানকারী হিসেবে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এপ্রিল ২০২১ থেকে আইসিআরসি লাশ বহনের জন্য ৪১৫৫ টি বডি ব্যাগ, ২০ টি জরুরি কীট এবং ৯৯৪৫৬টি বিভিন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম(পিপিই) প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
ঢাকায় এলো সিনোফার্মের প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা
চীনের সিনোফার্ম থেকে প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি ১৬ আগস্ট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ক্রয় করা সিনোফার্মের ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ ডোজ রাত ২টা ১০ মিনিটে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে বেক্সিমকোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে।
আরও পড়ুন: দেশে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষর
যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
কোরবানির ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরীর যত্রতত্র জবাই করা কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেয়া যাবে না। কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যদি অন্যান্য বারের মতো চমড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এই জন্য ঈদের দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকবেন বলে জানা গেছে ।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতীয় সম্পদ কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সার্বক্ষণিক তদারকির লক্ষ্যে চসিক টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন পর সরকার এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেনসভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন পর এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকেও বলা হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে চামড়া সংরক্ষণে প্রচার প্রচারণা চালাতে। শেষ মুহূর্তে যেহেতু সিদ্ধান্ত এসেছে এবার প্রাথমিকভাবে প্রচার প্রচারণা হিসেবে সিসিএলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তৎপর থাকবেন যাতে কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যেখানে সেখানে চামড়া ফেলে যেতে না পারে।‘
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকারজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ‘এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়ে ২০ হাজার লিফলেট ছাপিয়েছেন। যা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও নগরবাসীর মাঝে বিলি করা হবে। কারণ চামড়া সংরক্ষণ করে মাদ্রাসা ও এমিতখানাগুলো। কাজেই যতাযথ প্রচারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তৎপর থাকলে চামড়া শিল্প এবার লাভজনক হবে বলে আশা করি।‘
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম নগরে এইবার আট লাখ নয় হাজার পশু জবাই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।