কৃষক
কৃষকের কিডনি চুরি, দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আবু বক্কর নামে এক কৃষক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম এবং তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করের অপারেশন সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর আসামিদের বিষয়টি বললে, তারা কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
‘কৃষকের সামাজিক সুনাম ও সম্মান বাড়ানোর জন্যই এআইপি সম্মাননা’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন করছে, একইসঙ্গে কৃষকের সম্মানও বাড়েছে। দেশের কৃষকের কল্যাণ ও কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকের সামাজিক সুনাম ও সম্মান বাড়ানোর জন্যই এআইপি সম্মাননা। এআইপি সম্মাননা প্রদান তাদের কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত করবে। কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।’
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে কৃষিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’- ২০২১ সম্মাননা দেন।
‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি)’- ২০২১ সম্মাননা পেয়েছেন ২২জন।
এআইপিপ্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিদের ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এমন ত্যাগী ব্যক্তিদের অবদানে আমাদের কৃষি এগিয়ে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত বাজেট বরাদ্দে যত সমস্যাই থাকুক না কেন, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিকে সামনে এগিয়ে নিতে তিনি সবসময় বাজেটে কৃষিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, বিশাল পরিমাণ ভর্তুকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাহাবুব রহমান নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু
মাহাবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাহাবুর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করার সময় একটি তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নকলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
জাম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সাপের কামড় খেয়ে সাপ নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
রাজশাহীর চারঘাটে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন হেফজুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
তবে তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে সাপের কামড়ের হার বৃদ্ধি পায়
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার পিরোজপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হেফজুল ইসলাম বলেন, অন্য কৃষকের সঙ্গে সকালে জমিতে ধান কাটছিলাম আমি। একপর্যায়ে কৃষকেরা জমিতে সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি সাপটিকে ধরতে গেলে আমার মুখে কামড় দেয়। পরে আমি সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দি করে হাসপাতালে চিকিৎসকের সামনে হাজির হই। এরপর তারা আমার চিকিৎসা শুরু করেন।
অন্যদিকে সাপের কামড়ে আহত হেফজুলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিমা সুলতানা বলেন, সাপের কামড়ে আহত হেফজুল বিপদমুক্ত নয়। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরামপুর থেকে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ
যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক কৃষককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১ জুন) সকালে জেলার সদর উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই একই উপজেলার সুবদিয়ায় গ্রামের মৃত বেছের আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন, পাশাপাশি গ্রামে কবিরাজি করতেন।
আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় রূপসা নদীতে নিখোঁজ মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে যুগিরহুদা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মাঠে আব্দুর রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় কৃষকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধলাই নদীতে নিখোঁজের ৪ দিন যুবকের লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের চর খাজুরা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শরিফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত গোলাম নবী লস্করের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কৃষক শরিফুলের বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। সকালে বাড়িতে কাজ করতে গেলে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ভেঙে পড়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে কৃষক বুলু মিয়া হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক বিরোধের জেরে জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ- ২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভেকেট উদয় সিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশ্বুর বাড়িতেই থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। ওই রাতেই আসামিরা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরদিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকির উপর তার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, উৎপাদনের জন্য যে আধুনিক ও কৌশলগত জ্ঞান প্রয়োজন, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা তা জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সব মানুষের কল্যাণে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: কৃষিমন্ত্রী
এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের গোলা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।
বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার ফলে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই।
কৃষিমন্ত্রী কলেন, বাজেটে ঘাটতি বা যে সমস্যাই থাকুক কেন, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষিখাতে যেসব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আছে, তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আমাদের জোর দিতে হবে। কৃষিখাতে বাজেট আরও বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী ও ফারজানা মমতাজ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও অন্যান্য সংস্থার প্রধানরা।
উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গৃহীত উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন।
এর মধ্যে রয়েছে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের মামলা ও সম্পত্তির স্মার্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট রাইস প্রোফাইল মোবাইল অ্যাপ, বিএডিসির সেচ চার্জ আদায় পদ্ধতি ডিজিটালাইজকরণ, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির আইওটি ভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইওটিভিত্তিক প্রিপেইড মিটার ফর স্মার্ট ইরিগেশন প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়: কৃষিমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকসহ ২ জনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক তিনটি স্থানে বজ্রপাতে কৃষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার পাটা চোরা, সদর উপজেলার বেগমপুরের ঝাঁজরি গ্রাম ও গোবিন্দহুদা গ্রামের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে কৃষক আহাম্মদ মল্লিক এবং দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু, আহত ২
আহত টুনু খাতুন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী।
দামুড়হুদা দর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার পাটাচোরা গ্রামের কুতুব উদ্দিন বলেন, সকাল ৯টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় মাঠে কাজ করছিলেন মল্লিক। বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে মল্লিক মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলে বজ্রপাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজিয়া নওরিনের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই কৃষক মল্লিক মারা যান।
দামড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অপরাদিকে দর্শনা থানা পুলিশ বজ্রপাতে যুবক রুবেল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে রুবেল বস্তির পাশে একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে রুবেল নিহত হন।
দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বেগমপুর ঝাঝরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল ৯টার দিকে ওই গ্রামের বস্তির পাশে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে রুবেল মারা যান।
এদিকে গোবিন্দহুদা গ্রামে বজ্রপাতে আহত টুনু খাতুনের স্বামী মিলন মিয়া বলেন, ‘বজ্রবৃষ্টির সময় বাড়িতে ঘরের দরজায় বসা ছিল আমার স্ত্রী। এমন সময় বাড়ির উঠানে বজ্রপাত হলে সে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়।’
এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বজ্রপাতে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ৬
৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৩৫ কৃষকসহ ৭৪ জনের মৃত্যু
৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৩৫ কৃষকসহ ৭৪ জনের মৃত্যু
গত ৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৩৫ জন কৃষকসহ অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ)।
এসএসটিএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বজ্রপাতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ১১ জন। চলতি মাসের ১-৮ মে পর্যন্ত বজ্রপাতে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসটিএফের গবেষণা সেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে একদিনে বজ্রপাতে ১১ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে।
পাশাপাশি বজ্রপাতের ক্ষেত্রে কৃষকরা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারেন- সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বজ্রপাতে ২১ মাদরাসাছাত্র আহত
সংগঠনের সদস্যরা সম্প্রতি মানিকগঞ্জের সিংগাইর, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, ঢাকার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় ৫০০ জন করে কৃষক নিয়ে দল তৈরি করে বজ্রপাত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়াও মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাস বজ্রপাত সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এসএসটিএফ।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কৃষকদের কিছু পরামর্শও দিয়েছে সংগঠনটি। এগুলো হলো-
• মাঠে কাজ করার সময় আকাশে কালো মেঘ দেখে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
• বৃষ্টির সময় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকা।
• খোলা আকাশের নিচে কাজ করার সময় জুতা পরতে হবে।
• বজ্রপাতের সময় মাঠে কাজ করার সময় শুয়ে পড়ুন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাত বাড়ার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান ফোরামের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গাছ কাটা, বিশেষ করে মাঠে উঁচু গাছ কাটা।
তিনি বলেন, গাছপালা না থাকলে মাঠে বা খোলা জায়গায় বজ্রপাত মানুষের ওপর আঘাত হানে। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন ঝড়ের সময় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়াই ভালো। কিন্তু এটা ভুল। মানুষকে ঘরবাড়ি বা স্থাপনায় আশ্রয় নিতে হয়।
সরকার হাওর অঞ্চল ও উন্মুক্ত এলাকায় বজ্রনিরোধ যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারে বলে পরামর্শ দেন কবিরুল বাশার।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪