গ্রাহক
গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
প্রতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ‘জাদুকরী সেভিংসে, সবই কিনুন দারাজে’ ট্যাগলাইন নিয়ে শুরু হলো ব্র্যান্ড নিউ ক্যাম্পেইন 'দারাজ-এর চেরাগ'।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ও প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট এবং বিভিন্ন ডিল অফার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
৪ থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত, 'দারাজ এর চেরাগ'-এ গ্রাহকরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
যার মধ্যে থাকছে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি শিপিং, ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হট ডিল, প্রথম বারের অনলাইন পেমেন্টে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার এবং দারাজ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার।
এছাড়াও দারাজ ক্লাবের সদস্য নয় এমন গ্রাহকদের জন্য থাকছে এক দশমিক দুই গুণ এবং সদস্যদের জন্য এক দশমিক পাঁচ গুণ কয়েন বৃদ্ধির মতো সুবিধা।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার এবং মিস্ট্রি বক্সও জিততে পারবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, 'গ্রাহকদের মাসিক বাজেট বরাদ্দ করার গুরুত্ব আমরা বুঝি। সেজন্যই আমরা তাদের মাসিক কেনাকাটার খরচ কমানোর জন্য 'দারাজ-এর চেরাগ' ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগে আমাদের গ্রাহকরা আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাজেটের মধ্যেই করতে পারবেন।'
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে ছাড় উপভোগ করবেন, যেমন গ্রোসারি, পুরুষ এবং নারীদের ট্রেন্ডি ফ্যাশন আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য হোম অ্যান্ড লিভিং আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বিউটি এসেনশিয়ালস আইটেম, পছন্দের মেকআপ আইটেম এবং আরও অনেক কিছু।
দারাজ-এর চেরাগ ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য শুধু গ্রাহকদের মাসিক সঞ্চয়েই সাহায্য করা নয়, এর পাশাপাশি তাদের একটি আনন্দময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ পরিশোধ করতে হবে।
রবিবার ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে যদি সবাই ক্রয়ের খরচ দিতে সম্মত হয়। কতটা ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে? আর আমরা কেন ভর্তুকি দিতে থাকব? সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে ভর্তুকি দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
বিনিয়োগ ভবনটি তিনটি সংস্থার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সেগুলো হল- বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)।
শেখ হাসিনা বলেন যে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ১২ টাকা, কিন্তু দাম মাত্র ছয় টাকা। এর পরও বিদ্যুতের শুল্ক নিয়ে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম দেড়শ’ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি (এমন খারাপ পরিস্থিতি)।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে বলেছেন, যা এখন সারা দেশে গড়ে উঠছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
খুলনায় এলপি গ্যাস সংকট, বিপাকে ক্রেতারা
খুলনার বাজারে হঠাৎ করে এলপি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা টাকা দিয়েও গ্যাস কিনতে পারছেন না।
গ্যাস নিয়ে লুকোচুরির কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ায় বেশি দাম দিয়েই গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: এলপি গ্যাসের দাম কেজি প্রতি কমল ৮.৬৮ টাকা
গত কয়েকদিন নগরীর শেখপাড়া, ময়লাপোতা মোড়, সঙ্গিতা সিনেমা হলের মোড়, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজারসহ ১০টির বেশি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পরিবেশক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দু-একটি কোম্পানির বাইরে কোনো এলপি গ্যাস সিলিন্ডার নেই। আগে যেখানে তারা ছয়-সাতটি কোম্পানির এলপি গ্যাস রাখতেন, এখন তারা দু-তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে সিলিন্ডার গ্যাস পাচ্ছেন। খালি সিলিন্ডার পড়ে আছে অনেক বিক্রেতার দোকানে।
নগরীর শামসুর রহমান সড়কের এলপি গ্যাস বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে ছয়টি অপারেটরের প্রায় ২০০টি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তিনি। অপারেটরদের কাছ থেকে সরবরাহ না পাওয়ায় গত মাসে তার ৪০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।
তিনি জানান, বেশি দাম দিয়েও এলপি গ্যাস দোকানে তুলতে পারছেন না তিনি। স্বাভাবিক সরবরাহ দেয়া কোম্পানিগুলো এখন সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও পাবেন কিনা সে আশা পাচ্ছেন না তিনি।
একই কথা জানান গোবরচাকা বউ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সবুজ। তিনি জানান, প্রতি মাসে দুটি এলপিজি কোম্পানি অন্তত ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও এখন ঠিকমতো পণ্য পাচ্ছেন না। গ্যাসের সংকট জানিয়ে সরবরাহকারীরা পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছেন না। তবে বেশি দাম অফার করলে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরবরাহ কমার বিষয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য দিতে নিষেধ রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।
তাদের ভাষ্য মতে, ডলার সংকটে পণ্য আমদানিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়েছে। এরই মধ্যে সব কোম্পানির বিপণন ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে।
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে (২ জানুয়ারি) এলপি গ্যামের দাম কমিয়ে দেয় সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
দাম কমানোর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার ছিল। জানুয়ারি মাসে যা কমে যায় ৫৯০ ও ৬০৯ ডলারে।
কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হাজার ৩৫০ টাকার নিচে কোনো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বসন্ধুরা গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ওই গ্যাস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ১৫০০ টাকায়ও গ্যাস বিক্রি করছেন।
সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা এলপি গ্যাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোবারক হোসেন তপু বলেন, কোম্পানিগুলো গ্যাস দিচ্ছে না। ৫০ সিলিন্ডার চাইলে ১০টি দিচ্ছে। তারা আমাদের বলছে, এলসি খোলা যাচ্ছে না, ডলার সংকট। সত্য-মিথ্যা তারাই জানে।
তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু নেই। গ্যাস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করে ৮/১০টি কোম্পানি। তারা যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় এলপি গ্যাস ক্রস ফিলিং চক্রের ৩ সদস্য আটক
খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
‘৫৪ শতাংশ গ্রাহককে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত না করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না’
বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন(এমটব)আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এমটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডের জেনারেল(অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটররা এ খাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। যদিও ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না।
আরও পড়ুন: করের বোঝা চাপিয়ে সরকার মোবাইল খাতকে ক্রমেই দুর্বল করে তুলছে: এমটব
তিনি আরও বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন সহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।
টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরি কমিশনকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে। কেবলমাত্র রেগুলেশন আর লাইসেন্স প্রদান করলেই হবে না। চাই সমন্বিত উদ্যোগ।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন সেটা কিভাবে সম্ভব? উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমাদের টেলিকম নেটওয়ার্ক-এর মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই বলেই আজকে নাগরিকদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। আমাদের হাত পা বেঁধে শুধু রেগুলেশন দিয়ে আমাদের হাত পা বেঁধে রেখে কাজকর্ম করতে দিবেন না।
বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ইকো সিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
ফাইবার অ্যাট হোম এর চিফ রেগুলেটরি এন্ড গভমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক বলেন, অনেক দেশেই ফাইবার এনটিটিএন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এই প্রণোদনা পাই না। ২০০৯ সালে ফাইবার গাইডলাইন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এর মূল্য নির্ধারণ করা হয় নাই।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এই আলোচনায় যে সমস্যা এবং সমাধানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে এটি সমাধানের জন্য তাদেরকেই কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সরকারের যে লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের, তাতে আমরা অংশীজন হিসেবে সরকারকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পরেও তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় নাই।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ, আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট রাশেদা হাসানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এবং নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: আম্পানে টেলিকম নেটওয়ার্কের অনেক ক্ষতি হয়েছে: এমটব
বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি খুচরা গ্রাহকদের এই মুহূর্তে প্রভাবিত করবে না: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনও প্রভাব জনগণের ওপর পড়বে না।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নসরুল হামিদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) ভবিষ্যতে খুচরা ভোক্তাদের ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে সংসদে তোপের মুখে নসরুল হামিদ
বিইআরসি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাল্ক বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণার পর এ মন্ত্রব্য করলেন তিনি।
ঘোষণা অনুযায়ী, বাল্ক বিদ্যুতের দাম আগের পাঁচ দশমিক ১৭ টাকা থেকে বেড়ে ছয় দশমিক ২০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট (প্রতি ইউনিট) হবে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, সরকার গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘এ কারণেই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয় প্রয়োজন ছিল।’
এর আগে নসরুল হামিদ বলেছিলেন যে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসছে সিলেট
গ্যাসের অপচয়রোধে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসছে সিলেট। এমতাবস্থায় ৫০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে বিনামূল্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে দেবে জালালাবাদ গ্যাস টি. এন্ড ডি. সিস্টেমস লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)।
এ ব্যাপারে জেজিটিডিএসএল এবং দি কনসোর্টিয়াম অব জেনার মিটারিং টেকনোলজি (সাংহাই) লিমিটেড ও হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, চীনের সঙ্গে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একটি চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট সদর উপজেলার ৫০ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসবে।
এ উপলক্ষে এদিন দুপুরে জালালাবাদ গ্যাস ভবনে আয়োজিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জেজিটিডিএসএল-এর পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. শহিদুল ইসলাম এবং হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
জালালাবাদ গ্যাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী লিটন নন্দীসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে গলা কেটে হত্যা
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে জালালাবাদ গ্যাসের ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায় সূচিত হলো।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ মাসের প্রচেষ্টার পর মিটার স্থাপনের জন্য চায়না কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করা হলো।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের ৫০ হাজার গ্রাহক উপকৃত হবেন।
হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ এদেশে অনেক প্রকল্পে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। তারা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এ কাজে নিয়োজিত। জালালাবাদ গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প পরিচালক লিটন নন্দী জানান, আবাসিক বাসা বাড়িতে গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্রাহকদের বিল সাশ্রয়ে মূলত এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট ও উপশহর এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করবেন।
এ বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ দু’টি এলাকায় মিটার স্থাপন করা হবে। এ দু’টি স্থানে পাইলটিংয়ের পর নগরীতে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহৎ আকারে মিটার স্থাপনের কাজে হাত দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারী সেজে থাকা’ যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা!
তিনি জানান, জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিনামূল্যে মিটার লাগিয়ে দেয়া হবে। মিটারের মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, এটি কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন গ্যাস পরিমাপের মিটার। নিকটস্থ রিচার্জ পয়েন্ট থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কিনে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ শেষ হলেও এতে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের সুবিধা থাকবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে ১৬৫১১ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রিপেইড গ্যাস মিটার থাকলেও সিলেটে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে এ পদ্ধতি।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম সিলেট নগরীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় গ্যাসের ক্ষেত্রেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদ থেকে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যু
সমিতির গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ম্যানেজার আটক
খুলনায় রিয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা আদায়ের জন্য সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভনকে শুক্রবার রাতভর অবরুদ্ধ রাখার পর শনিবার পুলিশে সোপর্দ করেন গ্রাহকেরা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, খুলনা মহানগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় বস্তিবাসীর কাছে ২০১২ সাল থেকে ডিপিএস, এফডিআর, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মেয়াদে ওই সমিতি টাকা নিতো। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত দিতো তারা। কিন্তু করোনা মহামারির পর থেকে তারা গ্রাহকদের আর কোনো টাকা ফেরত দেয়নি।
তারা জানান, শুধু ঘাট এলাকা নয়; খালিশপুর, দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় সব মিলিয়ে তাদের গ্রাহক সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। দুবছর ধরে তারা কেউ সমিতির কাছ থেকে টাকা পান না। সম্প্রতি সমিতির লোকজন সবাই গা-ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভন খাবার খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ৪ নম্বর ঘাট বস্তির শতাধিক লোক গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে তাকে ৭ নম্বর ঘাট জেটি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে আটকে রাখে।
তবে ম্যানেজার শোভনের দাবি, সমিতির মালিক শিবলু নামে এক ব্যক্তি। তিনি কিছুদিন আগে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তিনি তাদের ম্যানেজার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কী করে টাকা ফেরত দেবো! শ্রমিকরা আমাকে অযথা আটকে রেখে মারধর করেছে।’
গ্রাহক ইতি আক্তার বলেন, আমি দৈনিক ৩০ টাকা করে তাদের কাছে জমা রাখতাম। বছর শেষে তারা সুদসহ মূল টাকা ফেরত দিতো। কিন্তু গত দুবছর আমার টাকা ফেরত পাইনি। তিনি বলেন, আমাদের ৪ নম্বর ঘাট বস্তিতে শত শত মানুষ তাদের বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছে।
অপর গ্রাহক রওশানারা বলেন, আমাদের পরিবারের চারজন তাদের কাছে টাকা জমা রাখতো। তবে গত দুবছর তারা কোনো টাকা দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) প্যানেল মেয়র মো.আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, তার ওয়ার্ডেরও অনেক লোক টাকা জমা রেখে এখন আর ফেরতে পাচ্ছে না। শুক্রবার রাতের ঘটনা তিনি জানেন। শোভনকে থানায় হস্তান্তর এবং ওই সমিতির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি জানান, গ্রাহকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই সমিতিটি প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান জানান, এখনও কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত ফি প্রদান করা যাবে উপায়-এ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এর গ্রাহকরা খুব শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা ফি উপায় এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া উপায় অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ব্যবহার করে এনআইডি সংশোধন, ডুপ্লিকেট এনআইডি সংগ্রহসহ সকল প্রকার ফি পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সব তথ্য জানানো হয়।
এই সংক্রান্তে মঙ্গলবার উপায়’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্র্মকর্তা রেজাউল হোসেন এবং নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহম্মদ আজিজুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপায়’র চিফ সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার ইমন কল্যাণ দত্ত, ডেপুটি ডিরেক্টর, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড এমারজিং সেলস শাকিব আলতাফ, অ্যাসিস্টান্ট ডিরেক্টর, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড এমারজিং সেলস হাসান মোহাম্মদ জাহিদ ও একাউন্ট ম্যানেজার বদিউর রহমান এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ও অ্যাডিশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর (প্রশাসন ও অর্থ) মুহম্মদ নুরুজ্জামান খান ও এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ শাখা) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’। বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি ও মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে। উপায়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের আর্থিক লেনদেন যেমন: ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট; রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ ও মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো এক্সক্লুসিভ সেবা নিতে পারছেন।
গ্রাহকের টাকা ফেরত দিলে আস্থা ফিরবে ই-কমার্সে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে ব্যবসায় ফিরলে আস্থায় ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।তিনি বলেন, যে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকবে তারা মার্চের পরে আর পারবে না। এই তথ্যটা সবার মাধ্যমে জানাতে চাই।বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দালাল প্লাস, বাংলাদেশ ডিল এবং আনন্দ বাজারের প্রতারিত গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সফিকুজ্জামান বলেন, যারা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা গ্রাহকের টাকা শোধ করে ব্যাবসায় আসলে আস্থার জায়গায় ফিরে আসবে। আজকে দালাল প্লাসের ১০ জন গ্রাহককে ৯ লাখ সাত হাজার ৪৬৩ টাকা, বাংলাদেশ ডিলের ১০ গ্রাহককে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯ টাকা এবং আনন্দের বাজার ১০ গ্রাহককে ৬ লাখ ৫ হাজার ৬৪৩ টাকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আমরা আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতের কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছি। আগামী সপ্তাহে আবার বসে শ্রেষ্ঠ.কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, ধামাকার টাকাগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত দিতে পারব। তাহলে সবমিলে ১১টি প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।অতিরিক্ত সচিব বলেন, কিউকমের এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তাদের টাকা সেটেল হয়ে গেছে, ফস্টারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে আরও ৩৫ কোটি টাকা চলে যাবে। তাহলে কিউকমের ৬০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৭ কোটি টাকার মতো পরিশোধ হয়ে যাবে, বাকি কিছু থাকতে পারে। তাদের ১০০ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আছে সেগুলোও প্রক্রিয়া করা যাবে।
আরও পড়ুন: কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
কিউকমের মালিকের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামিনের বিষয়ে আমরাও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি, ই-ক্যাবকে বলেছিলাম কোর্টে যোগাযোগ করার জন্য। তারা সেখানে গেছেন, সেটার রেজাল্টও আপনারা জানেন। একটা মামলার জামিন হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সে যদি লিগ্যাল প্রসিডিউরে আসতে পারলে কিউকমের আটকে থাকা প্রায় ৪শ' কোটি টাকা ফেরত দেয়া যাবে। এটি ফেরত দিতে পারলে বড় ধরনের রিলিফ হবে। এ কারণে আবারও বলব যারা যেখানে সমস্যায় আছে, গা ঢাকা দিয়ে আছে তারা যদি যোগাযোগ করে পজিটিভলি টাকাগুলো ফেরত দেয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অ্যাডযাস্টমেন্টও আছে তাদেরকে আমরা আপাতত ডিস্টার্ব করব না।উল্লেখ্য, আমাদের ই-কমার্সের ২৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমপক্ষ ১১০ টি মামলা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকা বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে ৫০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১০ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারমধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানের টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আগে বিটিটিসির প্রতিবেদন চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
মনিটরিং টিমের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
সরবরাহ সংকটের মধ্যেই বাড়তে পারে গ্যাসের দাম
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ স্বল্পতার কারণে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অনেক পরিবার সারাদিনের খাবার রান্নার জন্য শুধু এক ঘণ্টা সময় পেয়ে থাকে। আর এটাও সাধারণত খুব ভোরে।
এছাড়া এমনও হয় অনেক পরিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের চুলায় জ্বালাতে পারেন না।
এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো তাদের জন্য তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান বাসিন্দারা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের দাম পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পক্ষে তিনি। বিশেষ করে খুচরা পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম না বাড়াতে সরকারের প্রতি বিটিএমএ’র আহ্বান
প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য এমন সময়ে করেছেন যখন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।