র্যাব
জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
কোনও মামলা ছাড়াই নওগাঁর সুলতানা জেসমিনকে (৪৫) র্যাবের হেফাজতে নেওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া তা আইনগতভাবে কতটুকু সঠিক ছিল তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, আটকের পর সুলতানা জেসমিনকে সম্মানজনক জায়গায় (থানা অথবা কার্যালয়ে) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কিনা এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া আইনগতভাবে হয়েছে কিনা? তাকে একটা অভিযোগের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া র্যাবেরজুরিসডিকশনে (এখতিয়ার) ছিল কিনা?
রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী বুধবারের মধ্যে এসব প্রশ্নের জবাব দাখিল করতে বলেছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বেলা ২টায় এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা এক রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতিআহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এসব প্রশ্নের জবাব চান।
এর আগে র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রকাশিত খবর গত সোমবার আদালতের নজরে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
বিষয়টিতে শুনানির পর হেফাজতে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা এবং মৃত্যুর কারণ জানতে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখতে চান আদালত।
সুলতানা জেসমিনকে আটকের কারণ, স্থান, সময়, হেফাজতে নেওয়ার কারণ, জিজ্ঞাসাবাদ সুনির্দিষ্ট তথ্যও চান আদালত।
আর এসব তথ্য জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে এক দিনের সময় দেওয়া হয়।
আর আদালতের দৃষ্টিতে আনা ওই আইনজীবীকে বলা হয় রিট আবেদন নিয়ে আসতে।
নির্দেশমত গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রতিবেদন দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। সেখানে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল না।
অন্যদিকে, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ ও র্যাবের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ওই আইনজীবী।
সোমবার বেলা আড়াইটায় এ রিটের শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
আবেদনের আরজি তুলে ধরে রিটকারী মনোজ কুমার বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো বিষয়ও বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। র্যাব গঠন করা হয়েছিল দাগি চোর-ডাকাত, মাদক চোরাকারবারি ধরতে। এই নারীকে (সুলতানা জেসমিনকে) আটক করা হয় ২২ মার্চ। আর ২৪ মার্চ তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই আইনে কাউকে গ্রেপ্তারের এখতিয়ার পুলিশের থাকলেও র্যাবের নেই। তাছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুসারে সুলতানা জেসমিনকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়নি।'
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু : অভিযোগ পরিবারের
তিনি আরও বলেন, 'কোনও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতেই র্যাব এ ধরনের বেআইনি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আজ অসহায়। র্যাব যাকে ইচ্ছা তাকে তুলে নিয়ে উধাও করে দিচ্ছে। এটি (সুলতানা জেসমিনকে আটক, হেফাজত, জিজ্ঞাসাবাদ) সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে করা হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সুলতানা জেসমিনের মাথায় আঘাত থাকার কথা বলেছেন, যা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে। ফলে র্যাবের কর্মকাণ্ড ও নারীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। যে কারণে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।’
এরপর শুনানিতে আসেন অ্যাটর্নি জেনারেল। নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সুলতানা জেসমিনের উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ ১১ টা ৫০ মিনিটে নওগাঁ সদরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুসারে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। পরে জনসাধারণের সামনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। তার আগে আটক ওই নারীর মোবাইল ফোন থেকে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য ও নথি উদ্ধার করা হয়।’
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় র্যাব ওই নারীকে আটকে রাখেনি দাবি করে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশে সোপর্দ করতে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে আটক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর সোয়া ১টায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার রক্তচাপ ছিল ৯০/১৬০। এরপর ওইদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তিতে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এটি সম্পূর্ণভাবে ভুল যে, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ওই নারীকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, একজন নাগরিক জঘন্য অপরাধী হতে পারে। অত্যন্ত খারাপ কাজ করতে পারে। সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া (প্রসিডিউর) আছে। দিনশেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যখন র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করলো তখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে পুলিশ আটক করলেও একটা কথা ছিল। আইনে তাদের ক্ষমতা আছে। কিন্তু র্যাবের কি ওই আইনে সে ক্ষমতা আছে? কথা হচ্ছে র্যাব তাকে উঠিয়ে নিয়েছে, এরপরই তাকে পুলিশে দেবে। কিন্তু এখানে সেটা দেখা যাচ্ছে না। তাকে উঠিয়ে নেওয়ার পর অন্তবর্তী সময়ে যেভাবে ঘটনা ঘটেছে আমাদের উদ্বেগটা সেখানে। পুরো প্রক্রিয়া আইনগতভাবে হয়েছে এবং র্যাবের কি জুরিসডিকশন (এখতিয়ার) ছিল?
আদালত আরও বলেন, সবার মনে প্রশ্ন কারণ এটা বড় করে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সবার ধারণা তাকে র্যাবের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা একটা হাইপোথিটিক্যাল (অনুমানিক) বিষয়।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেলেএ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসুক। তারপর এটা বোঝা যাবে।
আদালত বলেন, সবার মনে যে প্রশ্ন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে নাকি অন্য কিছু এটা পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোন অপরাধ করে, তাহলে তার দায় রাষ্ট্র নেবে না।
আদালত এসময় বলেন, কেউ যেন এ ঘটনায় ভিকটিম না হয়। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। এই মহিলা একজন সরকারি কর্মচারী।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, তাকে আটকের পরই তার মোবাইলের কথোপকথনসহ যাবতীয় তথ্য প্রিন্ট আউট করা হয়েছে। টাকা যে পাঠানো হয়েছে, মোবাইলে তার ছবি রয়েছে, কথোপকথন প্রকাশ পেয়েছে। যখনই এগুলো প্রিন্ট আউট হয়েছে, তখনই তার প্রেসার বেড়ে গেছে।
এ সময় আদালত বলেন, আমাদের প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে আইনগত প্রক্রিয়া। এর বাইরে অনুমাননির্ভর বিষয়ে যাবো না। মামলা হবে কি হবে না সেটা রাষ্ট্র ও ভুক্তভোগীর পরিবারের বিষয়।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মামলা হবে কি হবে না সেটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। আর রিটকারীর যে মূল যুক্তি ২৪ ঘন্টা। এই যুক্তি তো থাকছে না। তদন্ত করতে হলে তো যুক্তি থাকতে হবে।
এসময় রিটকারী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, পুরো বিষয়টা কতটুকু আইনসঙ্গতভাবে হয়েছে নাকি হয়নি আমি সেটার তদন্ত চাই।
আদালত বলেন, আমরা আইনী পয়েন্টে থাকতে চাই। কোনও মামলা ছাড়াই এভাবে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার জুরিসডিকশন র্যাবের আছে কিনা?
এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, র্যাবের আলাদা রেগুলেটরি আইন আছে। সেখানে কোনও ক্ষমতা আছে কিনা দেখতে হবে। এছাড়া তাকে সাড়ে ১০টায় উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং সোয়া ১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল। হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত র্যাবের হেফাজতে রাখার এখতিয়ার আছে কিনা, একজন মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে, তার ভিত্তিতে তাকে উঠিয়ে নিতে পারে কিনা?
র্যাব বলেছে, সে অপরাদ স্বীকার করেছে, তার কাছ থেকে কিছু ম্যাটেরিয়াল (উপাদান) সংগ্রহ করেছে-এগুলো করতে পারে কিনা? তার মাথায় আঘাতের বিষয়টি পত্রিকায় এসেছে। কিছু পত্রিকায় বলা হয়েছে ২২ তারিখেই ব্রেইন হ্যামারেজ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখন তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। এ অবস্থায় তাকে তুলে নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া সঠিক ছির কিনা। এর পেছনে আইনগত ভিত্তি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ তিনটি বিষয় দেখে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য আগামী বুধবার বেলা ২টায় সময নির্ধারণ করেন।
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত আবুল কাশেম ওই এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন বাঁশ-বেতের হস্তশিল্পী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আসামি ধরতে গিয়ে র্যাব পরিচয় দেয়া একদল সাদা পোশাকধারী তাকে গুলি করেছেন।
নিহতের ছেলে দ্বীন ইসলাম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে সেলিমকে কে বা কারা ধরে মারধর করছিলেন। এ সময় নিহত আবুল কাশেম জানতে চান যে কেন সেলিমকে মারধর করা হচ্ছে। তারা আইনের লোক পরিচয় দিলে তাদের পোশাক নেই কেন জানতে চান নিহত আবুল কাশেম। এ কথা বলতেই প্রথমে তার বাঁ পায়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আবুল কাশেম চিৎকার করলে তাকে পেটে গুলি করা হয়। গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসী বেরিয়ে এলে তারা গুলি করতে করতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় হুমায়ূন কবির নামে আরেকজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘শুক্রবার সোনারগাঁওয়ে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার ঘটনার মূল সন্দেহভাজন আসামি সেলিমকে আটক করতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় র্যাবের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে র্যাব বাধা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘এসময় স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্যাবের ওপর হামলা চালালে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া এ ঘটনায় চারজন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘পরে র্যাব সদস্যরা আসামিকে আটক করে নিয়ে আসে। সকালে জানা যায় একজন মারা গেছেন। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন নিশ্চিত না।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, হাসপাতালে বৃদ্ধের লাশ রয়েছে। সেখানে পুলিশ রয়েছে। তিনি কীভাবে মারা গেছেন জানা যায়নি, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
নারায়ণগঞ্জে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টাকালে ডাকাত দলের আট সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর কালিরবাজার এলাকায় স্থানীয় ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার ও উপ-পরিচালক মনিরুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে র্যাব-১১ এর দুটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন চর বাউশিয়া এলাকায় একটি দল যানজটে আটকা পড়ে।’
আরও পড়ুন:র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের উপ-পরিচালক বলেন, ‘র্যাবের গাড়িটিকে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি ভেবে একদল সশস্ত্র ডাকাত সেটিকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে ডাকাতরা গাড়িতে হামলা চালায়। জবাবে সাদা পোশাকের র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে চক্রের নেতাসহ আটজনকে আটক করে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গত দুই বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০টির বেশি ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
বান্দরবানের সদর উপজেলার টংকাবতীতে র্যাবের অভিযানে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রশিক্ষণ কমান্ডারসহ ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১, ১১ ও ১৫ সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জঙ্গিরা হলেন- ট্রেনিং কমান্ডার দিদার হোসেন ওরফে মাসুম, আলামিন সরদার, সাইনুন রায়হান, তাহিয়াত চৌধুরী ওরফে পাভেল, মো. লোকমান মিয়া, মো. ইমরান হোসেন, মো. আমির হোসেন, মো. আরিফুল রহমান ও শামীম মিয়া।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
আল মঈন বলেন, নতুন গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৬৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দু’জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ১৭ সদস্যকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকও জব্দ করেছে এলিট ফোর্স।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত রবিবার সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার সঙ্গে এসব গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: জঙ্গি উত্থান ঠেকাতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন জব্দ, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার সকালে উপজেলার দোভাগী গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক আরিফ হোসেন(৪৫) দোভাগী গ্রামের মানারুল ইসলামের ছেলে।
দুপুরে র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনজয় কুমার সরকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার দোভাগী গ্রামে আরিফ হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইনসহ গৃহকর্তা আরিফ হোসেনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ১০ হাজার ৮০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
গুলিস্তানে পাঁচ তলা ভবনে বিস্ফোরণের কারণ ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের পরিচালক মেজর মোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রাথমিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষা করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মেজর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা সাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছি এবং মনে হচ্ছে এটা কোনও আগুনের ঘটনা নয়, এটি একটি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের মাত্রা ছিল বিশাল।’
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পিছনে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ সহ একাধিক কারণ থাকতে পারে এবং এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণেরও কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া ভবনের ভেতরে কোনো মানুষের জীবিত বা মৃত কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি ডগ স্কোয়াড দল সেখানে কাজ করছে বলেও জানান মোরশেদ।
এর আগে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি ৫ তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গুলিস্তানে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৬০ জনের বেশি
খুলনায় অনলাইন বেটিং এর মূলহোতাসহ ৫ জন আটক: র্যাব
খুলনায় অনলাইন বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন চক্রের হোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল। বৃহস্পতিবার রাতে রূপসা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-মো. রাজিব, মো. এনামুল গাজী, মো. মেহেদী হাসান, মো. ইদ্রিস মোল্লা ও মো. মামুন হোসেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো র্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রূপসা উপজেলার একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানএক্সবেট, ভেলকি লিভ সহ বিভিন্ন বেটিং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে আসছে। এ চক্রটি অনলাইনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয় এবং বিকাশ/নগদ/রকেট/ইউপে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
এরই প্রেক্ষিতে খুলনার র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল খুলনা রূপসা থানাধীন পূর্ব রূপসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইন বেটিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনকারী চক্রের হোতাসহ পাঁচজনকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইন বেটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
উদ্ধার করা মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে বিকাশ/নগদ/উপায়/রকেট ছাড়াও অনুমোদনহীন বিদেশি অ্যাপস মোবিক্যাশের সাহায্যে ওয়ানএক্সবেটসহ অন্যান্য অবৈধ বেটিং এ আয় ও ব্যয়কৃত ডলার এবং দেশিয় অর্থ অবৈধ উপায়ে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, আটক ২
রাঙ্গামাটিতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ এবং এ সময় এক যুবককে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার বিকালে জেলার গোমস্তাপুর চৌডালা ইউনিয়নের বেলাল বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আব্দুর রাজ্জাক রাজু (২৬) একই জেলার ভোলাহাটের সুরানপুর এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।
বুধবার র্যাব-৫ রাজশাহী এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দু’টি বিদেশি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবেশে চালককে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল মঙ্গলবার বিকালে বেলাল বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী ভ্যান থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগজিনসহ আব্দুর রাজ্জাক রাজুকে আটক করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটক যুবক দীর্ঘদিন ধরে সোনা মসজিদ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির। এ সময় কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেলের টায়ার থেকে সাড়ে ৭ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাভার্ডভ্যান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাভার্ডভ্যান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার রাত ৭টার দিকে জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. ফয়সাল মামুন(৩৮) নোয়াখালী জেলা সদরের চন্দ্রপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
এতে বলা হয়, কুমিল্লা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা একটি কাভার্ডভ্যানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসলে রবিবার রাত ৭টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার ফয়সাল নামে একজনকে আটক করা হয়। এসময় কাভার্ডভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেপ্তার ফয়সালের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকিরের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি: ৭ কনটেইনার পণ্য জব্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ লাখ রুপির সমপরিমাণ জাল নোট জব্দ, আটক ১
সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২১০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার নিউমার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আটকরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার রেহাইচর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী সানজিদা বেগম (৩০) এবং পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার নিকুরাহ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৮)।
র্যাব-১২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, শহরের নিউমার্কেট এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
মাদকের আখড়া এখন ফুলের রাজ্য