প্রতিমন্ত্রী
দুদু’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমানুল হাসান দুদু একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি রাজশাহী আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এবং রাজশাহীবাসী তাঁর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মরহুম আমানুল হাসান দুদু’র রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমানুল হাসান দুদু মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সুগন্ধা ট্রাজেডি: বছর পেরলেও থামেনি স্বজন হারানো পরিবারের শোক
২০১৪ সাল থেকে ১৯১৮ জন হজযাত্রী সরকারি খরচে হজ করেছেন: প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সংসদে বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ পালনের জন্য ১৯৮১ জনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দিনের অধিবেশন শুরু হলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সরকার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসলমানকে সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পাঠানোর একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল।
সরকারি খরচে হজ করা ১৯১৮ জনের মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫; ২০১৫ সালে ২৬৮, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ২২৪, ২০১৮ সালে ৩৪০, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নড়াইলের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির সহযোগিতায় দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অফিস ভবনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় সকাল থেকেই অংশ নেয় ৫৪টি আইসিটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিগত ৮ বছর থেকে এ চাকরি মেলর আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ বলেছেন যে সক্ষম, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে শিক্ষিত প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের চাকরির সুব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলা’- চাকরি দাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনিশীল হতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পে একজন উদ্ভাবক টকিং হোয়াইট স্টিক আবিষ্কার করেছেন উল্লেখ করে বলেন, এই সাদা ছড়ি দিয়ে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে স্পর্শ বা ধাক্কা খাওয়ার আগেই টকিং হোয়াইট স্টিক কথা বলে সতর্ক করে দেয়।
তিনি এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসেসটিব টেকনোলজি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইসিটি বিভাগ থেকে হুইল চেয়ার দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্বাচ্ছন্দে চলতে দেশে স্বল্প খরচে উচ্চ প্রযুক্তি সম্বলিত হুইলচেয়ার তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রকে বৈষম্যমুক্ত ও মানবিক করতে হলে সকল সুযোগ সুবিধা সকলের জন্য সমন্বিতভাবে ভাবে কাজে লাগাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোন প্রতিবন্ধী ভাই বোন যেন কোন নাগরিক সুবিধা হতে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের স্টাটআপ প্রকল্প, স্টাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের পুঁজি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি আগামী বছর থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সম্মেলন করার ঘোষণা দেন।
প্রশিক্ষিত প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ভাই-বোনদের মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সিডমানি হিসেবে পুঁজি প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা জব সিকার না হয়ে জব ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন। পরে তিনি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভাসানচর ও এতিমখানায় 'ফান জোন' স্থাপন
মেলায় সারাদেশ থেকে প্রায় ৪৫০ জন চাকরি প্রার্থী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এর মহাপরিচালক সচিব শেখ মো. মনিরুজ্জামান এবং সিএসআইডি এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ,প্রতিবন্ধীদের চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানে সমূহের পক্ষে বক্ত্যব রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিবুল বাশার।
উল্লেখ্য, এর আগে সারাদেশ থেকে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সিভি জমা দেন অনলাইনে।
এছাড়া, মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়েও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীরা সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার সুযোগ পান। যাদের তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতা রয়েছে তাদের নিয়োগের লক্ষ্যে ইন্টারভিউ গ্রহণ করে মেলায় অংশগ্রহণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার এজেন্ট, প্রোগ্রামিং-সহ নানা প্রকার পদের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বিভিন্ন ট্রেডবডি বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত আইসিটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওই মেলায় অংশগ্রহণ করে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), সাইবার ক্যাফে ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ আইসিটি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও ব্যুরোর তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধিতা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহ।
আশা করা হচ্ছে এ মেলা থেকে ৪০-৫০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এ মেলা থেকে ১৫০-২০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের আদানি গ্রুপের ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২২ টাকা হবে। এই বছরের মার্চ থেকে আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান ও বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
সফরকালে নসরুল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ পাবে যার জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,‘আদানির ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ আমদানি মার্চ থেকে সম্ভব হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট পাব। আগামী গ্রীষ্মে আমাদের চাহিদা মেটাতে আমাদের আরও বিদ্যুতের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আদানির ঝাড়খণ্ড কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটির প্লান্ট থেকে ৮০০ মেগাওয়াট করে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।
নসরুল বলেন, ‘আমরা শক্তির বিকল্প উৎস খুঁজছি। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
আদানি গ্রুপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার জন্য ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সই হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন এবং বিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে।
এদিকে, বিপিডিবি-এর কর্মকর্তারা ঝাড়খন্ড প্ল্যান্ট থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এর দাম বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত পায়রা পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় দ্বিগুণ হবে।
তারা জানায়, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বেসরকারি ভারতীয় কোম্পানি আদানি ১৬০০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করলে, সরকারের সঙ্গে সই হওয়া 'ত্রুটিপূর্ণ' চুক্তির কারণে বাংলাদেশ প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার বিদ্যমান দাম বিবেচনা করে ৭৫ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে আদানির প্ল্যান্ট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করতে, কয়লা পরিবহনের খরচসহ আমাদের প্রতি মাসে ২১০০ কোটি টাকা দিতে হবে। অনুরূপ অন্যান্য লেনদেনের কিছু নিয়ম ও কানুন যদি এখানে মানা হতো, তবে খরচ প্রতি মাসে ১৪০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির ত্রুটির জন্য দেশকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে এবং বছরে আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হবে।’
আরও পড়ুন: আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
নদী দখলকারীদের খসড়া তালিকা প্রস্তুত: নৌপরিবহনমন্ত্রী
সারাদেশে যারা স্থানীয়ভাবে নদ-নদী দখল করেছে সরকার তাদের তালিকা করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা ও নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সুপারিশ ও বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদ-নদী রক্ষায় আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি, যা আমাদের একটি সফলতা। এক সময় একটা কথা ছিল, যা কিছু নষ্ট, সবকিছু পানিতে ফেলে দাও। কিন্তু এখন আর তা নেই। সবাই পানি পবিত্র রাখেন। এখন সবাই সচেতনভাবে পানির পবিত্রতা রক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষায় আমরা কাজ করছি। এখানে ওয়াকওয়ে থেকে শুরু করে ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এর বাইরেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে প্রধান করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার চারপাশ ও কর্ণফুলী নদী রক্ষায় এই টাস্কফোর্স কাজ করবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে যারা নদী দখল করেছে, তাদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনও এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু এটা দীর্ঘদিনের একটি বোঝা, কাজেই আমরা এর সমাধান করতে চাই। আমরা নাব্যতা বাড়াতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, নদীর নাব্যতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত সাতটি ড্রেজার আটটিতে পৌঁছায়নি।
বর্তমান সরকার ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহের চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৫০টির মতো ড্রেজার আমাদের সংগ্রহে চলে এসেছে। কাজেই বোঝা যায়, নদীর গতিপথ বাড়াতে আমরা কতটা সচেষ্ট, তা এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেকগুলো চ্যানেল উদ্ধার করছি, তাতে নৌচলাচল করছে। অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল নতুন এক উচ্চতায় চলে গেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবস্থাপনায় মার্কিন সহযোগিতাকে স্বাগত জানালেন খালিদ মাহমুদ
সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জনগণের জন্য সরকার যে কাজগুলো করছে সাংবাদিকেরা তা যথাযথভাবে তুলে ধরছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে। দিনে দিনে সাংবাদিকতার উন্নতি হচ্ছে। এবিষয়ে সরকার সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)। 'রোল অব মিডিয়া ইন গুড গর্ভানেন্স' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম বিষয় হচ্ছে মানুষ হিসেবে ভালো হওয়া। একজন ভালো মানুষ শিক্ষক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবেও ভালো হবেন। সুশৃঙ্খল স্বাধীনতাই পারে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে। অনেক মিডিয়া এসেছে, এতে কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, প্রতিযোগিতা বাড়ছে। যারা মিডিয়া করছেন, তারাও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাজের পরিধি বাড়ছে, নতুন নতুন টেকনোলজি আসছে, আমরাও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে চাই।
আরও পড়ুন: আগের নিয়োগ পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের
কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিন।
বক্তব্য দেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সরকারের সমালোচনা করুন, তবে সেটির তথ্য সঠিক হতে হবে। সাংবাদিক কাউকে জেল দিতে পারে না, তার লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধীকে লজ্জিত করা। অপরাধী যেনো মনে করে অপরাধ করলে লজ্জায় পড়তে হবে। সে কারণে অপরাধ থেকে দূরে থাকবে। সাংবাদিকতার প্রাণ হচ্ছে সম্পাদনা। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওয়ান ম্যান শো, কোথায় সেখানে সম্পাদনা। অনেকে সাংবাদিকতায় এলেও নানা কারণে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মেধাবীদের ধরে রাখার জন্য যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৮ কেন্দ্রে হবে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ
দেশে আরও ১০০০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে: এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শুক্রবার বলেছেন, সরকার আরও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভোলার মনপুরায় সিত্রাং আঘাত হানা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলে আমরা দেখতে পাই যে আমাদের যতটা আশ্রয়কেন্দ্র দরকার ততটা নেই। তাই অনেক স্থাপনাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করতে হয়।’
সোমবার ভোলায় আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২২০টি নতুন সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫৫০টি মুজিব কেল্লা (বিশেষভাবে নকশা করা বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টার) নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলার চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বিসিজি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
সিত্রাং: ভোলায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমি আশাবাদী এবং আপনাদের হতাশ করতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার ব্র্যাক ইন সেন্টারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে আগস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন যে সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং পরে আবার বলেছিলেন যে অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের পরে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত
জ্বালানি আমদানি কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য সরকার জুলাই মাসে সব ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে। আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিও একই উদ্দেশ্যে স্থগিত করা হয়, ফলে সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করতে এবং উচ্চ মূল্যে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধের কথা উল্লেখ করে নসরুল বলেন, সরকার সব বিকল্প মূল্যায়ন করছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন যে তার মন্ত্রণালয় এলএনজি আমদানির বিষয়ে ব্রুনাইকে একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ব্রুনাই থেকে প্রতিক্রিয়া পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টর ডোমেনিকো স্কেল পিলি। রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়। ব্যস্তুচ্যুত এসকল মিয়ানমার নাগরিকের সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়।
কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এ সকল নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়:নিস্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, আলোচনায় রাজনীতি-অর্থনীতি
এছাড়া সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি, উদ্ধার কার্যক্রম এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষজনের নিকট শুকনো ও রান্না করা খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
বিদ্যুৎ খাতে ভালো সমন্বয় দরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও সমন্বয় নিশ্চিত করতে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘টুগেদার ফর এ স্মার্ট অ্যান্ড গ্রিন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়ের অভাবে অনেক অর্জনই ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গ্রিড ব্যর্থতার পটভূমিতে এই আহ্বান জানাল প্রতিমন্ত্রী। ৪ অক্টোবর দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল সাত ঘন্টার ব্ল্যাকআউটে নিমজ্জিত হয়েছিল।
চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেল যৌথভাবে স্মার্ট গ্রিডের উন্নয়ন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাওয়ার গ্রিড স্বয়ংক্রিয়করণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
একটি স্মার্ট গ্রিড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এবং স্মার্ট ডিভাইসের প্রবর্তন পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখবে।
তিনি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে প্রচলিত গ্রিড থেকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তর করতে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষ জনশক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
তিনি রাজধানীতে ও বাইরে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের তীব্র বিদ্যুতের সংকটে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
কর্মশালার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো পেতে জনগণকে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কর্মশালায় স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক যান এবং গ্লোবাল কনটেক্সট বিষয়ক দু’টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। স্মার্ট গ্রিড, সাইবার-আক্রমণ প্রতিরোধ, ডিজিটাইজেশন, অটোমেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তি-ভিত্তিক ক্লিন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়েও আলোচনা হয়।
সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়টিও কর্মশালায় উঠে আসে। ওয়ার্কশপে বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার্জিং গাইডলাইন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজির (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং।