আন্তর্জাতিক
জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জামদানি পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা
তিনি বলেন, জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা প্রদান এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে প্রদর্শনী করা।
সিনিয়র সচিব বলেন, উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। একসময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল। এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জামদানির বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদেশিদের কাছেও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়।
তিনি বলেন, নবীন কারিগররা জামদানির নকশা বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞ নয়। সেজন্য গত ১১ মার্চ থেকে এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
জাকিয়া সুলতানা আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরও গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো শিল্পে উৎপাদন খরচ না উঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী (৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেলা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের জামদানি কারিগররা ব্যস্ত
এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য ঢাকা ও দিল্লির প্রতি গ্যারান্টি ও সালিশি ধারাসহ একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।
শনিবার(৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি কেবল অববাহিকাভিত্তিক চুক্তির ভিত্তিতেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় নাটোরে পানি ক্রমশ বাড়ছে
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইএফসির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, লেখক ও গবেষক সিরাজুদ্দীন সাথী, তমিজউদ্দীন আহমদ, আইএফসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. নাজমা আহমদ এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আজাদ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সই করা পানি চুক্তিতে নিশ্চয়তা ও আরবিট্রেশন ক্লজ রয়েছে।
ফলে সিন্ধু ও মহাকালী পানিচুক্তি পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সই করা গঙ্গার পানি চুক্তিতে শর্ত পূরণ করা হয়নি।
এই ত্রুটির কারণে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আশানুরূপ গড়ে ওঠেনি।আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা সামাল দিতে ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত
১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট ৪১ দিন পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশে একতরফা পানি প্রত্যাহার অব্যাহত থাকে এবং পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়।
পরে ১৯৭৭ সালে ৮০ শতাংশ পানির প্রাপ্যতার গ্যারান্টি ক্লজ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি সই হয়। কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবায়নের পরিবর্তে ১৯৮২ সালে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দিয়ে ৫ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরপর ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য আবারও ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে এসে এই চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই গঙ্গা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায়নি। চুক্তিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ না থাকায় এটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। চুক্তির এই দুর্বলতা নবায়নের সময় দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার প্রভাবে ভাঙছে নবগঙ্গা-মধুমতি
২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তা আজও করা হয়নি।
শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর কোনো পানি বাংলাদেশে ছাড়া হয় না। পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সামান্য পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে।
অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তীব্র বন্যা ও তীর ভাঙনের কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে এই নদীর উৎপত্তিস্থল। তাই নদীর প্রবাহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। এ পর্যন্ত তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার বেড়েছে।
এতে বলা হয়, স্বল্পমেয়াদি সুবিধার জন্য অদূরদর্শী বাঁধ দিয়ে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মগুলো সময়মতো কাজ করে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম আছে, কিন্তু প্রয়োজনের সময় ফোরামগুলো কাজ করে না।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ইতোমধ্যে অনেক প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সময়মতো কাজ করে না।’
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ -এ যোগদানের লক্ষ্যে তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ক্ষুদ্র ভূমিতে বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মধ্যম শক্তি বা উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির কোনো উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না।
এনায়েতউল্লাহ খান তার প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রয়েছে, যখন জোটনিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। আমাদের (বাংলাদেশ) মতো মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম অন্যতম।
ইউএনবির প্রধান সম্পাদক জানতে চান, 'আপনি (শেখ হাসিনা) জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে মা ও শিশু, নারীর ক্ষমতায়নসহ (আন্তর্জাতিক ফোরামে) অনেক বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন কিনা?'
আরও পড়ুন: গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি আমার দেশ, দেশের মানুষ, ছোট ভূখণ্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত আছি। হ্যাঁ, আমি আওয়াজ তুলি এবং যেখানে কোনও অন্যায় দেখি সেখানে প্রতিবাদ করি। আমি সব সময় বলি, আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কোনো প্লাটফর্ম গঠন করার মতো যোগ্যতা ও চিন্তাভাবনা তার নেই।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে যেভাবে ভেটো দেওয়া হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে হাসপাতালগুলোও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এবং শিশুদের খাবার নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। আমার যা কিছু আছে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতন। এর চেয়ে বড় কিছু করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
আরও পড়ুন: রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বহুমুখী করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে বহুমুখী করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যে বিদেশি ক্রেতাদের আকর্ষণ আনতে আগামী মেলায় সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বাড়াতে দেশের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ আয়োজনে বিদেশি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করব বলে আশাকরি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন রপ্তানি পণ্য বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বর্ষপণ্য হস্তশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মেলা চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৮ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ এর উদোধন করেন। এবার মেলায় দেশি-বিদেশি তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ইতোমধ্যে, মেলা থেকে ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকা মূল্যের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগানে শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্দা উঠবে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসব চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি সিনেমা নিয়ে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী এই উৎসব।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি শর্মিলা ঠাকুর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালের এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচ্যুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম বিভাগ।
উৎসবকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়াম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমির মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ‘আগে এলে আগে দেখবেন’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। তবে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন ইরানের খ্যাতিমান নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মীলা ঠাকুর, স্বস্তিকা মুখার্জি, অঞ্জন দত্তসহ বিভিন্ন দেশের নামকরা সব তারকা।
সংবাদ সম্মেলন আরও জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রদর্শন করা হবে- ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম নির্মিত ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’ এবং বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজিত ও শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবার আকর্ষণ এবার ‘মাস্টার ক্লাস’-এ! কারণ মাস্টার ক্লাস নিতে যাচ্ছেন ইরানি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ‘চিলড্রেন অব হেভেন’, ‘বারান’ ও ‘সং অব স্প্যারো’র মতো বিশ্বনন্দিত সিনেমার পরিচালক মাজিদ মাজিদি। এছাড়া মাস্টার ক্লাসের দু’টি ভিন্ন সেশনে কথা বলবেন চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান এবং ভারতের নির্মাতা, অভিনেতা ও গায়ক অঞ্জন দত্ত। ২৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার ক্লাসটি।
মাস্টারক্লাসের সেশনগুলো পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। মাস্টারক্লাস শেষে পরিবেশিত হবে অঞ্জন দত্তের সংগীত। এই চারটি সেশনের জন্যই অগ্রিম নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন লিংক উৎসবের ফেসবুক পেইজে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুজতবা জামাল।
এছাড়া আগামী ২২ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান।
আরও পড়ুন: ‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
২১ থেকে ২২ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স’ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি সুযোগ পাবেন।
এখানে নারী নির্মাতারা তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে বিশ্বের খ্যাতিমান নারী নির্মাতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। বিশ্ব পরিবর্তনে নারীর নেতিবাচক ও ইতিবাচক ভূমিকা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে সমাধানের উপায়সমূহ উঠে আসবে এই কনফারেন্সে।
২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্সের’ উদ্বোধনী দিনে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এ পর্বটি উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম।
উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ২৩-২৬ জানুয়ারি আঁলিয়স ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্মাতাদের মিথস্ক্রিয়ামূলক চার দিনব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালা ‘ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা’। এই আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পাবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী চিত্রনাট্য পাবে ৩ হাজার মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থান জয়ী চিত্রনাট্য পাবে ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি এবং ভারতীয় অভিনয়শিল্পী শর্মিলা ঠাকুর। ২৮ জানুয়ারি এ উৎসবের পর্দা নামবে।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও চলচ্চিত্র উৎসব। এটি দেশে রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলে আমরা মনে করি। রেইনবো’র এই উৎসব তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ধারার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে যেমন সফল হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনুরূপ ধারাকে বলিষ্ঠ করেছে। সারা বিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন নতুন চলচ্চিত্র সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দেওয়াই উৎসবের মূল লক্ষ্য।
উৎসবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস ও সামিট গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারপারসন কিশওয়ার কামাল, গবেষক মফিদুল হক, নাট্যজন ম হামিদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নির্মাতা আকা রেজা গালিব, ফাখরুল আরেফিন খান, আরিফুর রহমান ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরুসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকে নিয়মিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্ট ড. পাট্টি হিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
রবিবার বঙ্গভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
এসময় তারা বাংলাদেশে লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে পাট্টি হিল বলেন, এ দেশের সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা গেলে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানে লায়ন্স ক্লাবের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের মানুষের কল্যাণে লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে লায়ন্সের ৫১তম আইএসএএমই ফোরামের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাক্ষাৎ
নবনিযুক্ত বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমটব নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
কপ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এ সদস্য ইউএনবিকে বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে এখানে যে শুনানি হচ্ছে তা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় কোনোভাবেই তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির ওপর উঠে গেলে তা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ২০৩০ সালের মধ্যে সব উন্নত দেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে বলেছেন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বাড়তি থাকবে। তবে কী কী উপায়ে আমরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা নিয়েও এই কপ সম্মেলনে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ সক্রিয় দাবি তুলে ধরেছে। কপ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। বৈশ্বিক স্টকটেক, ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু অর্থায়ন ও অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সচিব আরও বলেন, কপ-২৮ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত করা, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা,অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা, ক্ষয়ক্ষতি সক্রিয় করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা, অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নই বরং এর অসহায় শিকার।
কপে অংশ নেওয়া পরিবেশবাদীরা বলছেন, দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শুরুই হয়েছে ‘তহবিল’ বার্তা দিয়ে। তহবিল অবশ্যই জরুরি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বহু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ও দাবি তহবিলের আড়ালে চাপা পড়ে যেতে পারে।
জলবায়ু প্রশ্নে এখন পৃথিবীর মানুষ ন্যায্যতার দাবি তুলেছে। তবে সম্মেলনের শুরু থেকে প্রতিদিনই জলবায়ু অর্থায়নের সারিতে যোগ হচ্ছে নতুন দেশ। আর এইসব অর্থায়নের বেশিরভাগই আবার বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। অথচ বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ন্যায্যতার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) শুরুই হয়েছে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার দিয়ে। সম্মেলনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সপ্তম দিনেও গুরুত্ব পেয়েছে তহবিলের বিষয়টি।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই ১ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে চলে এসেছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এটা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেটিকে আর কমানো যাবে না।
যে সমস্ত দেশ নীতি কথা বলছে, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলছে- তারাই জীবাশ্ম জ্বালালি খাতে বিনিয়োগ করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে সারা বিশ্বের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
খাদ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যয় বেড়েছে বলে শুরু থেকে গত বেশ কয়েকটি কপ সম্মেলনে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মত হয়েছেন। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো সে তুলনায় কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে পায়নি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি সম্মেলনেই শুধু কথার পিঠে কথা থাকে। সম্মেলন শেষে আরেকটি নতুন সম্মেলনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। কীভাবে এই পৃথিবীকে আরও বেশি বাসযোগ্য করে তোলা যাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
কার্বনের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তি মূল ভূমিকা পালন করে বলে মনে করছে কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো।
সম্মেলনে মার্কিন জলবায়ুবিষয়ক রাষ্ট্রদূত জন কেরি বলেন, শক্তির অন্যান্য সব উৎসের চেয়ে এটি অন্যতম বিকল্প হতে চলেছে। তবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনাও সম্ভব নয়। এটি বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতা, এতে কোনো রাজনীতি বা মতাদর্শ জড়িত নয়।
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
কপ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সব শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে নিজ দেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
সেমস-গ্লোবাল আয়োজনে করছে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস ‘সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’-এর আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ প্রণালী ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
আগামী ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী আনুষ্ঠিত হবে এই ‘২৮তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৩’। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে ‘২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৩’।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জ্বালানি সক্ষমতা ও রুপান্তর উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এছাড়াও, ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর ওয়াটার প্রযুক্তি ও সমাধান সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে ‘পঞ্চম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৩’- অনুষ্ঠিত হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ও নবায়নযোগ্য শক্তির উপর ভিত্তি করে আরও অনুষ্ঠিত হবে পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন সংশ্লিষ্ট ‘২৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৩’, ‘২০তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৩’, এবং ‘পঞ্চম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৩’।
আগামী ৭-৯ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই ৭টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীগুলো ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়া, প্রদর্শনী চলাকালীন চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ‘সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক’- এর প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যমকে আসন্ন প্রদর্শনীগুলি আয়োজন সম্পর্কিত নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে বলেন, বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীগুলো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
একাধারে নির্মাণ শিল্প ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, প্রদর্শনীগুলো একটি ফলপ্রসূ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরর উপস্থিত ছিলেন- সেমস-গ্লোবাল এর সিইও এস. এস. সারওয়ার, সেমস-বাংলাদেশের চিফ কনসালট্যান্ট জাবেদ আহমেদ এবং সেমস-গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম।
বহুমাত্রিক প্রদর্শনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি বি-টু-বি সংযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে তরান্বিত করছে।
যা ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের রাজধানী ঢাকায় একই ছাদের নিচে একত্র হয়ে পণ্য প্রদর্শন ও একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি পেশাদার বহুজাতিক প্রদর্শনী ও সম্মেলন আয়োজক সংস্থা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চারটি মহাদেশে সফলতার সঙ্গে ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে পেশাদার বি-টু-বি ট্রেড শো আয়োজন করে আসছে।
চারটি মহাদেশে বিশ্বের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও উন্নয়নশীল দেশে প্রতি বছর সংগঠনটি সফলভাবে ৪০টি ট্রেড শো আয়োজনের মাধ্যমে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্ট শিল্প ক্ষেত্রের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু
বিমানের স্টাফ বাসে আগুন: আহত কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত: হাফিজউদ্দিন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
তবে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন।
মঙ্গলবার হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় নির্বাচনে যাওয়া। বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেবো।’
তিনি নতুন দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই বিএনপি নেতা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি যে আমি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি...আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমি এই মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না।’
৭৯ বছর বয়সী হাফিজ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য দুই মাস আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, অভিযোগ হাফিজউদ্দিনের
তিনি জানান, অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করব।’
হাফিজ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম সামরিক ব্রিগেড 'জেড ফোর্সের' অধীনে যুদ্ধ করেন।
সাহসিকতার জন্য তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার বীর বিক্রমে ভূষিত হন।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন থেকে ছয়বার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে বিএনপি গঠিত সরকারে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হাফিজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হাফিজকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগগুলিকে অসত্য বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, পার্টির নোটিশের ভাষা ‘আক্রমণাত্মক’ এবং তা ‘সৌজন্য ও প্রটোকল বিরোধী’। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের নোটিশ জারি করায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
৭ নভেম্বরের সাধারণ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি